হিয়ার দাহ্যে প্রিয় পর্ব ৫
রোদ্রের প্রখরতা ভর দুপুর ছাতা হাতে দাঁড়িয়ে আছি। অপেক্ষার পালা অবসান ঘটিয়ে সিয়াম এসে দাঁড়িয়েছেন। আজ না কি খুশিতে ট্রিট দেবেন আমাকে সাথে উনার বন্ধুদের।
ধুরন্ত আঁখি যুগলে বদ্ধ হয়ে আছে তার বিমুগ্ধ হাসি।কেবল বন্ধুত্বের মাত্রা ছাড়িয়ে সম্পর্ক। নুহাকে দেখলে এখন আমার হিংসে বা জেলাসি ফিল হয় না।
ভাগ্য বলে কিছু আমি সেটা মেনে নিয়েছি। পিয়াস, মাহির ভাইয়া মনি,মারিয়া আর নুহা তো আছেই।সবার অল্প সল্প জানা আমাদের সম্পর্ক কেবল বন্ধুত্বের। আমি ছাড় দিতে রাজি নই তাই তো আজ উনার পছন্দের কালারের বোরখা পড়েছি। পাশে বসার জায়গা করে নিয়েছি।
নুহা হয়তো আমাকে লক্ষ্য করছে। সিয়ামের কেয়ার একটু হলেও নজর কাড়ছে তার আমি তাতেই খুশি।পিয়াস ভাইয়া তো বলেই ফেললেন কি রে তুই তো দেখছি ভাবিকে চোখে হারাস।
রূপালি চাঁদের আলো পূর্ণ পৃথিবী সময়ের গহীনে আর্বতীত এক সূক্ষ্ণ প্রকাশ। আমি সিয়াম যতই একরকম থাকি না কেন?এর কি ভবিষ্যৎ??
ঘুম ঘোর চোখে তাকিয়ে আছে সিয়াম শুক্রবার ছুটির দিন। আমি তেলাওয়াত করছি সোফায় বসে। অবাক উনার চাউনি ছিলো আমি ভ্রু কুঁচকে ইশারায় প্রশ্ন করি কি??
কিছু না তা আজকে কি??আমি বললাম বিশেষ কিছু না থাকলে কি তিলাওয়াত করা বারণ আছে?মাথা নাড়িয়ে না জানালেন।আমি আমার তিলাওয়াতে মনোযোগি হলাম।
ভেজা চুলে বারান্দায় দাঁড়িয়ে আছি গগনের তেজী আলোয় উষ্ণ হয়ে উঠেছে মধান্য প্রহর। সিয়ামের মনের কোণে জমে উঠছে উৎফুল্ল ইচ্ছা।
ধীর পায়ে এগিয়ে নাক ডুবিয়ে দিলো ভেজা চুলে। অধর প্রসারিত করে বলে উঠলেন তুমি তো আগের চেয়ে সুশ্রী হয়ে যাচ্ছ।
কপট রাগ উগ্রে উঠলো বললাম তা কবে আমি বিশ্রী ছিলাম?? চোখে ধুলো জমলে সব কিছুই শ্রীহীন মনে হয়।
হাত ধরে সামনে বসিয়ে দিলাম, বন্ধুত্ব চুলের ঘ্রাণে নয় সামনে। সিয়ামের মুখ ভার হয়ে গেল।কিছু বলতে চেয়েও বলা হলো না তার।
বিকেলে ধুয়া উঠা চায়ের কাপে চুমুক দিচ্ছি আর ভাবছি বেটা খচ্চর। কি শান্তিতে বউ আর গালফ্রেন্ড দুটোই নিয়ে আছেন।
হাতে একটা শাড়ি নিয়ে রুমে প্রবেশ করে সিয়াম।রিমু এদিকে আসবে তুমি।আসতেই হাতের মধ্যে শাড়িটা বাড়িয়ে দিলেন বলেন খুশি হব যদি এটা পড়। মুখের হাসি প্রসস্থ করে বললাম চেষ্টা করব।
তাতেই যেন তার মন ভরে গেল।
শাড়িটা কালো কিংবা নীল নয় খয়েরী রঙের। আমার মনে প্রশান্তি বইছে।এই প্রথম হয়তো আমার জন্য নিজে থেকে কিছু আনলেন। ভাবনার মধ্যেই বলে উঠলেন পছন্দ হয়েছে।
আমি মাথা নাড়িয়ে হ্যাঁ বললাম। ভ্রু কুঁচকে তীক্ষ্ণ চোখে বললেন একা একা চা খাচ্ছ আমাকে দিলে কি হয়??
আমি বললাম বাহিরে থাকলে কাউকে চা দিব কি করে!
সিয়াম চেয়ে আছে রিমুর দিকে অদ্ভুত ব্যাপার তাই না নুহাকে রেখে ওর প্রতি আমার টান বাড়ছে। ইজি চেয়ারে বসে চোখ বুজে আছে সিয়াম।
চটজলদি চা টা নিয়ে হাজির হলাম হাতে হাত দিতেই চোখ জোড়া শান্ত ভাবে তাকালেন।
ছলছল করছে পানিতে। জিজ্ঞেস করলাম কি হয়েছে??ব্যতিত হয়ে উদাসী পলক ফেললেন। স্বগতোক্তিতে দীর্ঘ শ্বাস টেনে বললেন নুহা আগামী সপ্তাহে ইউকে যাচ্ছে।
আমার মনে লাড্ডু ফুটছে আমি এত দয়ালু নই যে সব সহ্য হবে আমার।
অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করলাম কেন?? ও নাকি সেখান থেকেই পড়াটা শেষ করবে তাই।
তাহলে তো ভালো আপনাকে তো আর ছেড়ে যাচ্ছে না??বলতেই চা রেখে তাকালেন আমার দিকে।
হেয়ালি বন্ধ কর তোমার আমি পুড়ব নিত্যনতুন ব্যস্ত থাকার বায়না খুঁজব। তা তুমি কি?? বলতেই
হুম আমার তো আপনার মত কেউ ছিলো না, যে আমি বুঝে ধন্য করব কাউকে।
চলবে ----
#হিয়ার_দাহ্যে_প্রিয়
#তাবেরী ইসলাম
#পর্ব ৫
ধুরন্ত আঁখি যুগলে বদ্ধ হয়ে আছে তার বিমুগ্ধ হাসি।কেবল বন্ধুত্বের মাত্রা ছাড়িয়ে সম্পর্ক। নুহাকে দেখলে এখন আমার হিংসে বা জেলাসি ফিল হয় না।
ভাগ্য বলে কিছু আমি সেটা মেনে নিয়েছি। পিয়াস, মাহির ভাইয়া মনি,মারিয়া আর নুহা তো আছেই।সবার অল্প সল্প জানা আমাদের সম্পর্ক কেবল বন্ধুত্বের। আমি ছাড় দিতে রাজি নই তাই তো আজ উনার পছন্দের কালারের বোরখা পড়েছি। পাশে বসার জায়গা করে নিয়েছি।
নুহা হয়তো আমাকে লক্ষ্য করছে। সিয়ামের কেয়ার একটু হলেও নজর কাড়ছে তার আমি তাতেই খুশি।পিয়াস ভাইয়া তো বলেই ফেললেন কি রে তুই তো দেখছি ভাবিকে চোখে হারাস।
রূপালি চাঁদের আলো পূর্ণ পৃথিবী সময়ের গহীনে আর্বতীত এক সূক্ষ্ণ প্রকাশ। আমি সিয়াম যতই একরকম থাকি না কেন?এর কি ভবিষ্যৎ??
ঘুম ঘোর চোখে তাকিয়ে আছে সিয়াম শুক্রবার ছুটির দিন। আমি তেলাওয়াত করছি সোফায় বসে। অবাক উনার চাউনি ছিলো আমি ভ্রু কুঁচকে ইশারায় প্রশ্ন করি কি??
কিছু না তা আজকে কি??আমি বললাম বিশেষ কিছু না থাকলে কি তিলাওয়াত করা বারণ আছে?মাথা নাড়িয়ে না জানালেন।আমি আমার তিলাওয়াতে মনোযোগি হলাম।
ভেজা চুলে বারান্দায় দাঁড়িয়ে আছি গগনের তেজী আলোয় উষ্ণ হয়ে উঠেছে মধান্য প্রহর। সিয়ামের মনের কোণে জমে উঠছে উৎফুল্ল ইচ্ছা।
ধীর পায়ে এগিয়ে নাক ডুবিয়ে দিলো ভেজা চুলে। অধর প্রসারিত করে বলে উঠলেন তুমি তো আগের চেয়ে সুশ্রী হয়ে যাচ্ছ।
কপট রাগ উগ্রে উঠলো বললাম তা কবে আমি বিশ্রী ছিলাম?? চোখে ধুলো জমলে সব কিছুই শ্রীহীন মনে হয়।
হাত ধরে সামনে বসিয়ে দিলাম, বন্ধুত্ব চুলের ঘ্রাণে নয় সামনে। সিয়ামের মুখ ভার হয়ে গেল।কিছু বলতে চেয়েও বলা হলো না তার।
বিকেলে ধুয়া উঠা চায়ের কাপে চুমুক দিচ্ছি আর ভাবছি বেটা খচ্চর। কি শান্তিতে বউ আর গালফ্রেন্ড দুটোই নিয়ে আছেন।
হাতে একটা শাড়ি নিয়ে রুমে প্রবেশ করে সিয়াম।রিমু এদিকে আসবে তুমি।আসতেই হাতের মধ্যে শাড়িটা বাড়িয়ে দিলেন বলেন খুশি হব যদি এটা পড়। মুখের হাসি প্রসস্থ করে বললাম চেষ্টা করব।
তাতেই যেন তার মন ভরে গেল।
শাড়িটা কালো কিংবা নীল নয় খয়েরী রঙের। আমার মনে প্রশান্তি বইছে।এই প্রথম হয়তো আমার জন্য নিজে থেকে কিছু আনলেন। ভাবনার মধ্যেই বলে উঠলেন পছন্দ হয়েছে।
আমি মাথা নাড়িয়ে হ্যাঁ বললাম। ভ্রু কুঁচকে তীক্ষ্ণ চোখে বললেন একা একা চা খাচ্ছ আমাকে দিলে কি হয়??
আমি বললাম বাহিরে থাকলে কাউকে চা দিব কি করে!
সিয়াম চেয়ে আছে রিমুর দিকে অদ্ভুত ব্যাপার তাই না নুহাকে রেখে ওর প্রতি আমার টান বাড়ছে। ইজি চেয়ারে বসে চোখ বুজে আছে সিয়াম।
চটজলদি চা টা নিয়ে হাজির হলাম হাতে হাত দিতেই চোখ জোড়া শান্ত ভাবে তাকালেন।
ছলছল করছে পানিতে। জিজ্ঞেস করলাম কি হয়েছে??ব্যতিত হয়ে উদাসী পলক ফেললেন। স্বগতোক্তিতে দীর্ঘ শ্বাস টেনে বললেন নুহা আগামী সপ্তাহে ইউকে যাচ্ছে।
আমার মনে লাড্ডু ফুটছে আমি এত দয়ালু নই যে সব সহ্য হবে আমার।
অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করলাম কেন?? ও নাকি সেখান থেকেই পড়াটা শেষ করবে তাই।
তাহলে তো ভালো আপনাকে তো আর ছেড়ে যাচ্ছে না??বলতেই চা রেখে তাকালেন আমার দিকে।
হেয়ালি বন্ধ কর তোমার আমি পুড়ব নিত্যনতুন ব্যস্ত থাকার বায়না খুঁজব। তা তুমি কি?? বলতেই
হুম আমার তো আপনার মত কেউ ছিলো না, যে আমি বুঝে ধন্য করব কাউকে।
চলবে ----
#হিয়ার_দাহ্যে_প্রিয়
#তাবেরী ইসলাম
#পর্ব ৫
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
ন্যান্সি দেওয়ান ২৬/০৯/২০২১খুব ভাল
-
রাফিয়া নূর পূর্বিতা ২৬/০৯/২০২১nice
-
জামাল উদ্দিন জীবন ২৬/০৯/২০২১বেশ
-
ফয়জুল মহী ২৫/০৯/২০২১চমৎকার প্রকাশ।