হিয়ার দাহ্যে প্রিয় পর্ব ৩
হিয়ার_দাহ্যে_প্রিয়
তাবেরী ইসলাম
পর্ব ৩
উনার ঘুমন্ত চোখ জোড়া অবাধ্য করে তুলে আমায়। বিরক্ত করতে চাই না এ প্রহর আমি শুধু দেখব। ভালোবাসা বইকি কি পাথর??আমি তোমার নিত্যদিনের অব্যস হতে চাই। হতে চাই হৃদয়ের প্রণয়ী।
সকালের নাস্তা করে আমরা ঘুরতে বেড়িয়েছি।এ পাহাড়ি রাস্তা হাটতে গিয়ে আমি উনার হাত খামচে ধরেছি।
উনি বললেন তুমি নিজে হাটতে পার না তো এসেছ কেন?? এমন চিপকে আছো কেন??
হাত ছেড়ে দিলাম। হাটছি নিজের মত করে। ঘুরাঘুরিতে দুপুর গড়িয়ে পড়ল উনার দিকে তাকিয়ে বললাম ক্ষিধে পেয়েছে মিঃ।
চলে এলাম হোটেলে রুমে এসে ফ্রেশ হয়ে নিলাম।খাবার খেয়ে উনি রেস্ট নিচ্ছেন আর আমি ঘুরে ঘুরে হোটেলের চারপাশ। কিছুক্ষণ পর রুমে এসে রেস্ট নিলাম।
বিকেলে বিচে যাব রেডি হচ্ছি উনি বললেন তুমি সাতার জানো তো। আমি বললাম হ্যাঁ কেন??
না ভাবছি পানিতে নামব আমরা। আমি বললাম আমি নামব না। বিকেলের মুগ্ধ বাতায়ন আমি ভাবিকে ভিডিও কলে কথা বলছি। উনি পানিতে পা ভেজাতে ব্যস্ত। মুনা লাবিব এর সাথেও কথা হয়।
গৌধুলি এই লগ্নে আমি হাটতে চাই বহুদুর তোমার সাথে। রিমু বলে চিৎকার করে ডাক দিলেন ভাবনা গুলো উবে গেল। ভেজা হাতে ধরে বলেন কি ভাবছ শুনি?মাথা নাড়িয়ে না বুঝিয়ে দেই।
আমি নুড়ি পাথর খুড়াচ্ছি আর উনি আমার দিকে পানি চিটা দিচ্ছেন। বিকেলের সূর্যাস্ত অপূর্ব লাগছে। কয়টা ছবি ও তুলেছি আমরা।যা শুধুই দ্বায়িত্ব আর দেখানোর খাতিরে।
সন্ধ্যায় নাস্তা করে আমি ঘুমিয়ে গেলাম। উনার তো আবার সেই প্রেমালাপ চলবে। রাত্র প্রায় দশটা বাজে ঘুম চলে গেল। এক কাপ লাল চা হলে ভালোই হতো। কল করে বলে দিলাম চায়ের জন্য। ধুয়া উঠা চায়ের কাপে চুমুকে চুমুকে ভাসছে মনের বিষাদের চুয়া।
খাবারও রুমে দিয়ে গেছে সিয়াম বলে গিয়েছেন তাই। ফোনে স্কলিং করছি কাউকে দেখতে ইচ্ছে করে মাঝে মাঝে।
সে কি আমায় আসলেই ভালোবাসতো?? তার নিরবতা ভাসিয়ে দিল আমায়। প্রেমের ঢেউয়ে না ভাসার জন্য। সেদিন ও বলে ছিলাম এখনো কি আসে নি আপনার সময়।সে নিরব ছিলো। অপেক্ষার প্রহর চুয়ে সব বদলে গেল।
------- ------- ------- ------- -----------
বিকেলে অনেক গুলো কাপল হাটছে দেখেই ভালো লাগছে। আমি একা একা হাটছি আর সিয়াম উনার বন্ধুদের সাথে। আমার জন্য তার কোনো ভাবনাও নেই।
হঠাৎ মনে হলো অনেকটা দূরে চলে এসেছি। এখন কি করব আমি ভয় পেয়ে যাই। দুটি ছেলে আমার দিকে তাকিয়ে হাসছে আর কথা বলছে।
দেখেই বুঝা যাচ্ছে কি করতে যাচ্ছে ছেলে গুলো। আমি জোরে জোরে হাটা দিলাম পিছনে ওরাও আসছে। ভয়টা একটু বেশিই ঝেঁকে বসলো ঘামছি আমি।
হাতে ফোন নিয়ে কল দিলাম ধরছেন না উনি। আবারও কল কেটে গেল সামনে কিছু দূর দেখেই দৌড়ে গিয়ে সিয়ামকে জড়িয়ে ধরি। হাপাচ্ছি আমি ভয়ে হাত কাঁপছে।
সিয়াম হতম্বব হয়ে চেয়ে আছে রিমুর দিকে আর রাগ বাড়ছে। হাতের ইশারায় সিয়াম সামনে তাকিয়ে দেখলো ছেলে গুলো কি বিশ্রী হাসছে তারা আর বাজে কথা বলছে।উনার ফ্রেন্ড গুলো ওদের দু'চারটে মেরে ভাগিয়ে দিলেন। সিয়াম আমার দু বাহু চেপে ঝাকিয়ে বললেন কি করছ ননন্সেস? চড়টা বসিয়ে দিলেন গালে। বিস্ময়ে চোখের পাতা ভরে উঠেছে পানিতে। দৌড়ে চলে এলাম রুমে।
ফ্রেশ হয়ে কেঁদেই চলছি সামান্য একটু জড়িয়ে ধরেছি বলে মারলেন উনি আমায়।
তবে আমি ভুলি নি মধ্য রাত্রে প্রার্থনায় নত শিরে কষ্ট গুলো কান্নায় বলে দিতে।মনের এপ্রান্তে আমি আর কত অপেক্ষায় থাকব।
সিয়াম রুমে এসে খাবার ডাকা রয়েছে এখনো। রিমুর ঘুমের মধ্যে এলোমেলো চুল গাল লাল হয়ে আছে। মেয়েটা না খেয়ে আছে মলিন মুখ হয়ে গেছে। মাঝে মাঝে মনে হয় এমনটা না হলেই হতো।
চোখের পলকে মায়াবী চোখ জোড়া ভাসছে মিষ্টি হাসিতে। পরম যতনে হাতটা ডুবিয়েছে রিমুর চুলে। পর মূহুর্তে মনে হলো এটা ভুল করতে যাচ্ছি সিয়ামের। হাত ধরে একটানে বসিয়ে দিল রিমুকে খাও নি কেন বলেই ধমকালেন ।
কর্কশ ধ্বনিতে ঘুম চলে গেল। কোনো কথা না বলে রিমু খাচ্ছে আর সিয়াম ভাবছে একি আজ কেন রিয়েকশন কেন??সিয়াম ভ্রু কুচকে জিজ্ঞেস করলেন তোমার ফোন অফ কেন??
অলস ভাবেই বললাম ফোনে চার্জ ছিল না।বিরক্ত প্রকাশ পেল উনার মুখে। আবারও শুয়ে পড়লাম সোফায় বলব না কথা। ঘুম আসছিলো না তবে সিয়াম আজকে মধ্যরাতে বারান্দায় নয় বিছানায় আছেন।
ফোন টিপার একটু অভ্যাস আছে আমার।ফোনের আলো দেখেই সিয়ামের গম্ভীর প্রশ্ন এত রাতে এখন কি করে ফোন চলে তোমার??
কাট গলায় বললাম তাতে আপনার কি?? আমি তো আর পরক্রিয়া করছি না কারো সাথে।
উনি ভ্রু কুচকে উঠে এসে দাঁড়িয়ে বললেন কথা তো দেখছি বেশ শিখে গেছ।আমি আর কথা বাড়াই নি ঘুমিয়ে গেলাম।
ভোরে নিজেকে বিছানায় দেখে অভিমান মনে হানা দিল। নামাজ টা পরে নিলাম। সূর্য এই উঁকি দিবে সবুজের প্রান্তে। দুজন পাশাপাশি উপভোগ করতে পারতাম। কিন্তু এমন হবে কি কখনো??
বাহিরে হাটছি পাশের রুমে চার জন উঠেছেন । ঢাকা থেকে এসেছেন উনারা। ব্রেকফাস্টের সময় তাদের সাথে পরিচয় হয়।
হাটছি আর উনাকে বলছি আচ্ছা আপনাকে যদি ভাবি ডাকি সমস্যা নেই তো। লাবনি ভাবি হেসেই বললেন নো প্রব্লেম। আমাদের মধ্যে একটা ভালো বন্ধুত্ব তৈরি হয়।
সিয়াম আজ একটু দেরিতেই উঠে রিমুকে দেখতে পায় না রুমে।
চলবে--
তাবেরী ইসলাম
পর্ব ৩
উনার ঘুমন্ত চোখ জোড়া অবাধ্য করে তুলে আমায়। বিরক্ত করতে চাই না এ প্রহর আমি শুধু দেখব। ভালোবাসা বইকি কি পাথর??আমি তোমার নিত্যদিনের অব্যস হতে চাই। হতে চাই হৃদয়ের প্রণয়ী।
সকালের নাস্তা করে আমরা ঘুরতে বেড়িয়েছি।এ পাহাড়ি রাস্তা হাটতে গিয়ে আমি উনার হাত খামচে ধরেছি।
উনি বললেন তুমি নিজে হাটতে পার না তো এসেছ কেন?? এমন চিপকে আছো কেন??
হাত ছেড়ে দিলাম। হাটছি নিজের মত করে। ঘুরাঘুরিতে দুপুর গড়িয়ে পড়ল উনার দিকে তাকিয়ে বললাম ক্ষিধে পেয়েছে মিঃ।
চলে এলাম হোটেলে রুমে এসে ফ্রেশ হয়ে নিলাম।খাবার খেয়ে উনি রেস্ট নিচ্ছেন আর আমি ঘুরে ঘুরে হোটেলের চারপাশ। কিছুক্ষণ পর রুমে এসে রেস্ট নিলাম।
বিকেলে বিচে যাব রেডি হচ্ছি উনি বললেন তুমি সাতার জানো তো। আমি বললাম হ্যাঁ কেন??
না ভাবছি পানিতে নামব আমরা। আমি বললাম আমি নামব না। বিকেলের মুগ্ধ বাতায়ন আমি ভাবিকে ভিডিও কলে কথা বলছি। উনি পানিতে পা ভেজাতে ব্যস্ত। মুনা লাবিব এর সাথেও কথা হয়।
গৌধুলি এই লগ্নে আমি হাটতে চাই বহুদুর তোমার সাথে। রিমু বলে চিৎকার করে ডাক দিলেন ভাবনা গুলো উবে গেল। ভেজা হাতে ধরে বলেন কি ভাবছ শুনি?মাথা নাড়িয়ে না বুঝিয়ে দেই।
আমি নুড়ি পাথর খুড়াচ্ছি আর উনি আমার দিকে পানি চিটা দিচ্ছেন। বিকেলের সূর্যাস্ত অপূর্ব লাগছে। কয়টা ছবি ও তুলেছি আমরা।যা শুধুই দ্বায়িত্ব আর দেখানোর খাতিরে।
সন্ধ্যায় নাস্তা করে আমি ঘুমিয়ে গেলাম। উনার তো আবার সেই প্রেমালাপ চলবে। রাত্র প্রায় দশটা বাজে ঘুম চলে গেল। এক কাপ লাল চা হলে ভালোই হতো। কল করে বলে দিলাম চায়ের জন্য। ধুয়া উঠা চায়ের কাপে চুমুকে চুমুকে ভাসছে মনের বিষাদের চুয়া।
খাবারও রুমে দিয়ে গেছে সিয়াম বলে গিয়েছেন তাই। ফোনে স্কলিং করছি কাউকে দেখতে ইচ্ছে করে মাঝে মাঝে।
সে কি আমায় আসলেই ভালোবাসতো?? তার নিরবতা ভাসিয়ে দিল আমায়। প্রেমের ঢেউয়ে না ভাসার জন্য। সেদিন ও বলে ছিলাম এখনো কি আসে নি আপনার সময়।সে নিরব ছিলো। অপেক্ষার প্রহর চুয়ে সব বদলে গেল।
------- ------- ------- ------- -----------
বিকেলে অনেক গুলো কাপল হাটছে দেখেই ভালো লাগছে। আমি একা একা হাটছি আর সিয়াম উনার বন্ধুদের সাথে। আমার জন্য তার কোনো ভাবনাও নেই।
হঠাৎ মনে হলো অনেকটা দূরে চলে এসেছি। এখন কি করব আমি ভয় পেয়ে যাই। দুটি ছেলে আমার দিকে তাকিয়ে হাসছে আর কথা বলছে।
দেখেই বুঝা যাচ্ছে কি করতে যাচ্ছে ছেলে গুলো। আমি জোরে জোরে হাটা দিলাম পিছনে ওরাও আসছে। ভয়টা একটু বেশিই ঝেঁকে বসলো ঘামছি আমি।
হাতে ফোন নিয়ে কল দিলাম ধরছেন না উনি। আবারও কল কেটে গেল সামনে কিছু দূর দেখেই দৌড়ে গিয়ে সিয়ামকে জড়িয়ে ধরি। হাপাচ্ছি আমি ভয়ে হাত কাঁপছে।
সিয়াম হতম্বব হয়ে চেয়ে আছে রিমুর দিকে আর রাগ বাড়ছে। হাতের ইশারায় সিয়াম সামনে তাকিয়ে দেখলো ছেলে গুলো কি বিশ্রী হাসছে তারা আর বাজে কথা বলছে।উনার ফ্রেন্ড গুলো ওদের দু'চারটে মেরে ভাগিয়ে দিলেন। সিয়াম আমার দু বাহু চেপে ঝাকিয়ে বললেন কি করছ ননন্সেস? চড়টা বসিয়ে দিলেন গালে। বিস্ময়ে চোখের পাতা ভরে উঠেছে পানিতে। দৌড়ে চলে এলাম রুমে।
ফ্রেশ হয়ে কেঁদেই চলছি সামান্য একটু জড়িয়ে ধরেছি বলে মারলেন উনি আমায়।
তবে আমি ভুলি নি মধ্য রাত্রে প্রার্থনায় নত শিরে কষ্ট গুলো কান্নায় বলে দিতে।মনের এপ্রান্তে আমি আর কত অপেক্ষায় থাকব।
সিয়াম রুমে এসে খাবার ডাকা রয়েছে এখনো। রিমুর ঘুমের মধ্যে এলোমেলো চুল গাল লাল হয়ে আছে। মেয়েটা না খেয়ে আছে মলিন মুখ হয়ে গেছে। মাঝে মাঝে মনে হয় এমনটা না হলেই হতো।
চোখের পলকে মায়াবী চোখ জোড়া ভাসছে মিষ্টি হাসিতে। পরম যতনে হাতটা ডুবিয়েছে রিমুর চুলে। পর মূহুর্তে মনে হলো এটা ভুল করতে যাচ্ছি সিয়ামের। হাত ধরে একটানে বসিয়ে দিল রিমুকে খাও নি কেন বলেই ধমকালেন ।
কর্কশ ধ্বনিতে ঘুম চলে গেল। কোনো কথা না বলে রিমু খাচ্ছে আর সিয়াম ভাবছে একি আজ কেন রিয়েকশন কেন??সিয়াম ভ্রু কুচকে জিজ্ঞেস করলেন তোমার ফোন অফ কেন??
অলস ভাবেই বললাম ফোনে চার্জ ছিল না।বিরক্ত প্রকাশ পেল উনার মুখে। আবারও শুয়ে পড়লাম সোফায় বলব না কথা। ঘুম আসছিলো না তবে সিয়াম আজকে মধ্যরাতে বারান্দায় নয় বিছানায় আছেন।
ফোন টিপার একটু অভ্যাস আছে আমার।ফোনের আলো দেখেই সিয়ামের গম্ভীর প্রশ্ন এত রাতে এখন কি করে ফোন চলে তোমার??
কাট গলায় বললাম তাতে আপনার কি?? আমি তো আর পরক্রিয়া করছি না কারো সাথে।
উনি ভ্রু কুচকে উঠে এসে দাঁড়িয়ে বললেন কথা তো দেখছি বেশ শিখে গেছ।আমি আর কথা বাড়াই নি ঘুমিয়ে গেলাম।
ভোরে নিজেকে বিছানায় দেখে অভিমান মনে হানা দিল। নামাজ টা পরে নিলাম। সূর্য এই উঁকি দিবে সবুজের প্রান্তে। দুজন পাশাপাশি উপভোগ করতে পারতাম। কিন্তু এমন হবে কি কখনো??
বাহিরে হাটছি পাশের রুমে চার জন উঠেছেন । ঢাকা থেকে এসেছেন উনারা। ব্রেকফাস্টের সময় তাদের সাথে পরিচয় হয়।
হাটছি আর উনাকে বলছি আচ্ছা আপনাকে যদি ভাবি ডাকি সমস্যা নেই তো। লাবনি ভাবি হেসেই বললেন নো প্রব্লেম। আমাদের মধ্যে একটা ভালো বন্ধুত্ব তৈরি হয়।
সিয়াম আজ একটু দেরিতেই উঠে রিমুকে দেখতে পায় না রুমে।
চলবে--
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
ন্যান্সি দেওয়ান ১১/০৯/২০২১Darun.
-
ফয়জুল মহী ০৮/০৯/২০২১ভালো লাগলো
-
স্বপন রোজারিও (মাইকেল) ০৮/০৯/২০২১Very Beautiful.
-
সাইয়িদ রফিকুল হক ০৮/০৯/২০২১নাটকীয়তা আছে।