এক মুঠো ভালোবাসার রোদ্দুর পর্ব ২৩
#এক মুঠো ভালোবাসার রোদ্দুর
#পর্ব ২৩
#তাবেরী ইসলাম
উনি হচকচিয়ে উঠলেন বিস্মিত হয়ে তাকালেন আমার দিকে। খাটাশ লোক এখানে এসেও শান্তি নাই এরোসেল মারতে কে বলছে আপনাকে। মারা ফন্ধি আটছেন বুঝি মা মেয়েকে।
ছি!
জোহান স্মিত হেসে উঠে এসে দাঁড়ালেন আমার সামনে আর মুখটা চট করে আমার জামায় মুছে নিলেন। যাও গিয়ে গুমাও প্লিজ বলে চলে গেলেন।
রাগটা আরো বেড়ে গেল আমার। সোফায় আবার শুয়ে পড়লেন। দিলাম চুলে ধরে টান আহ বলেই খপ করে হাতে ধরে কোমর জড়িয়ে ধরে বললেন মিস করছ বুঝি আমাকে!
হুহ মিস করতে যাব কেন??খবিশ, খাটাশ বেসরম লোক এই মাঝ রাতে বিমরতি ধরছেন ছাড়ুন বলছি। টুপ করে কপালে ঠোঁট চুয়ে দিলেন।
ঘুম ভেঙ্গে দেখি মানহাকে নিয়ে উনি পাশেই শুয়ে আছেন।চা নাস্তা সব কাজের ফুফু নিয়ে আসছেন। চার কাপ নিয়ে চলে এলাম ছাদে। আম্মু এখনো মরিচের গাছ লাগিয়ে রাখছেন ।
উনি বললেন বাহ কত মরিচের গাছ। তোমার গুষ্টি শুদ্ধো লোক কি মরিচের মত জ্বাল?? তীক্ষ্ণ চোখে তাকাতেই বললেন না মানে এমনি বলছিলাম। চুপচাপ ভাগেন এখান থেকে বলছি।
আমার মাথায় দুষ্টু বুদ্ধি চলে এলো আজকে নাগা মরিচের আচার উনাকে না খাওয়ালে তো নয়। যথাযথ উনার জন্য খাবার তৈরি করে নিলাম। সাথে আচার দিয়ে ট্রেষ্টি হট ফুডস।
দুপুরের খাবার খাচ্ছেন আর উনি আমার দিকে তাকাচ্ছেন বুঝেই গেছি এবার কাজে আসছে। ঝালে জবদ্ধ যাকে বলে। আমি মিটিয়ে হাসছি। আমার গুষ্টি ঝালের লংকা এবার বুঝেন মিঃ জোহান।
রুমে আসতেই বললেন প্লিজ রিমা হাত দুটো গালে জড়িয়ে রাখ। টুপ টুপ করে করে জল ছড়লেন চোখ বন্ধ করে। লাল হয়ে আছে চোখ গুলো। মনে হচ্ছে বেশি কিছু করে ফেলেছি। মন ভারি লাগছে এখন।
আমি চোখ নামিয়ে নিলাম উনি এখনো তাকিয়ে আছেন আমার দিকে।কি ভাবছ বুঝতে পারি নি ভাবও? আমি জানি এর চেয়ে বেশি কষ্ট তোমায় দিয়ে দিয়েছি।বুঝতেই পারি নি তোমার কষ্ট গুলো নিজের করে। শুধু নিজের ইচ্ছেটাই পুষে রেখেছিলাম। আই এম সরি এন্ড আই প্রমিজ আমার পিচ্ছিকে আর কষ্ট দিব না।
নিঃশব্দে কাঁদছি আমি। একবার সুযোগ দাও রিমা সব শুধরে নিব প্রমিজ। শার্ট ভিজিয়ে দিবে নাকি শেষে তোমারই ধোয়ে দিতে হবে। হুহ মনে আছে আমার নতুন থাকতে আপনি আমাকে দিয়ে একগাদা কাপড় ধুইয়েছেন।
এখন কাজ আপনি করবেন না হলে মা মেয়ে আমার চলে আসব এখানে হুম।তো ঝালে যাদু আছে দেখছি হি হি।
সেদিনের প্রমিজ জোহান অক্ষরে অক্ষরে ধরে রেখেছেন। আমি যখন কনসিভ করি প্রথম দিকে অনেক জ্বালিয়ে জোহানকে। হুট হাট এটা সেটা বায়না ধরে থাকতাম।
মধ্য রাত্রে খাওয়া ছিল নিত্যদিনের মত অব্যশ। নিজ হাতে খাইয়েছেন। জামা কাপড় ধুয়ে দিয়েছেন। হঠাৎ যখন পেইন উঠলো উনাকে কল করে বলেছিলাম তুমি কি জলদি আসবে আমার পেইন করছে। ভয় পেওনা আসছি। নাতাশা আমার পাশে বসে আছে আর বলছে ভাবি রিল্যাক্স। সিহাব ছেলে মেয়ে গুলোকে বাহিরে যাচ্ছে। মানহা পুরুই অস্থির আম্মু বলে কেঁদে কেঁদে।
জোহান শক্ত হাতে আমার হাতটা ধরে ছিল। আমি বলেছিলাম হাত ছাড়বে না তুমি। সাহস যুগিয়ে ছিলেন সেদিন।
মেয়ে কান্না যখন আসলো কানে চোখ চুয়ে জল গড়াল। অস্থির হয়ে রিমা বলছিলেন আমি শুনতে পেয়েছিলাম কিন্তু চোখ খুলতে পারি নি। কয়েক ঘন্টা পর জোহান মেয়েকে চুমু দিয়ে আমার কোলে তুলে দিলেন। আমার কপালে চুমু দিয়ে কেঁদে বললেন আজ আমাদের ঘর ভালোবাসার রোদ্দুরে পূর্ণ রিমা।
এটা সুখের অনুভূতির প্রহর মেয়ের দিকে তাকিয়ে বললেন এই পিচ্ছি কবে বড় হবে বলতো। অল রেডি মা মেয়ে এখন তিন তিনটি পিচ্ছি আমি তো অকালে বুড়ো হয়ে যাব। আমি হেসে উঠলাম তো কি?বলে দিলাম চিমটি।
জোহান আবারও মেয়ের দিকে তাকিয়ে বললেন পিচ্ছি আম্মু তুমি শুধু আমার দিকে থাকবে নট মায়ের। নাতাশার হাত ধরে মানহা উকি দিচ্ছে দেখার জন্য। জোহান ওকে কোলে নিতেই বলে উঠলো ওকি আমার সাথে খেলবে পাপা। হুম আম্মু খেলবে আপু ডাকবে তোমায়।
আবারও সেই কুইন্স পার্কে এসেছি মনোরম পরিবেশে। মেয়েদের সাথে খেলছি আমি আর জোহান। ভালোবাসার রোদ্দুর ঘিরে আছে আমার পরিবার।জোহান আমার হাত ধরে বললেন তুমি সেদিন প্রথম আমায় তুমি বলে ছিলে তাতে আমার মেয়ে এসেছে পূর্ণতায়।এবার একটা ছেলে চাই প্লিজ ভ্রু কুচকে তাকালাম উনার দিকে। বলছি কি? আমার মেয়েদের একটা ভাই হলে ভালো হতো মামনিরা।
বেসরম লোক মেয়েদের কি শিখাচ্ছেন আপনি?? উনি গম্ভীর হয়ে বললেন এসবে কাজ হবে না। চলো আম্মু এই বজ্জাত লোকদের কথায় দেশে জনসংখ্যা বাড়ে বলেই মেয়েদের নিয়ে হাটতে লাগলাম। পিছনে উনি বলেই যাচ্ছেন এটা ঠিক না রিমা।
আমরা মা মেয়েরা খাচ্ছি উনাকে দেখিয়ে দেখিয়ে। হুট করে পূর্ণতা জোহানকে নিয়ে এসে বলে আব্বু আমার। জোহান বোকা বনে গেলেন আমরা হেসে উঠলাম এক চিলতে হাসি ঘিরে চলছে জীবন এভাবেই সময়ের সাথে।
-------------- সমাপ্ত---------------------
#পর্ব ২৩
#তাবেরী ইসলাম
উনি হচকচিয়ে উঠলেন বিস্মিত হয়ে তাকালেন আমার দিকে। খাটাশ লোক এখানে এসেও শান্তি নাই এরোসেল মারতে কে বলছে আপনাকে। মারা ফন্ধি আটছেন বুঝি মা মেয়েকে।
ছি!
জোহান স্মিত হেসে উঠে এসে দাঁড়ালেন আমার সামনে আর মুখটা চট করে আমার জামায় মুছে নিলেন। যাও গিয়ে গুমাও প্লিজ বলে চলে গেলেন।
রাগটা আরো বেড়ে গেল আমার। সোফায় আবার শুয়ে পড়লেন। দিলাম চুলে ধরে টান আহ বলেই খপ করে হাতে ধরে কোমর জড়িয়ে ধরে বললেন মিস করছ বুঝি আমাকে!
হুহ মিস করতে যাব কেন??খবিশ, খাটাশ বেসরম লোক এই মাঝ রাতে বিমরতি ধরছেন ছাড়ুন বলছি। টুপ করে কপালে ঠোঁট চুয়ে দিলেন।
ঘুম ভেঙ্গে দেখি মানহাকে নিয়ে উনি পাশেই শুয়ে আছেন।চা নাস্তা সব কাজের ফুফু নিয়ে আসছেন। চার কাপ নিয়ে চলে এলাম ছাদে। আম্মু এখনো মরিচের গাছ লাগিয়ে রাখছেন ।
উনি বললেন বাহ কত মরিচের গাছ। তোমার গুষ্টি শুদ্ধো লোক কি মরিচের মত জ্বাল?? তীক্ষ্ণ চোখে তাকাতেই বললেন না মানে এমনি বলছিলাম। চুপচাপ ভাগেন এখান থেকে বলছি।
আমার মাথায় দুষ্টু বুদ্ধি চলে এলো আজকে নাগা মরিচের আচার উনাকে না খাওয়ালে তো নয়। যথাযথ উনার জন্য খাবার তৈরি করে নিলাম। সাথে আচার দিয়ে ট্রেষ্টি হট ফুডস।
দুপুরের খাবার খাচ্ছেন আর উনি আমার দিকে তাকাচ্ছেন বুঝেই গেছি এবার কাজে আসছে। ঝালে জবদ্ধ যাকে বলে। আমি মিটিয়ে হাসছি। আমার গুষ্টি ঝালের লংকা এবার বুঝেন মিঃ জোহান।
রুমে আসতেই বললেন প্লিজ রিমা হাত দুটো গালে জড়িয়ে রাখ। টুপ টুপ করে করে জল ছড়লেন চোখ বন্ধ করে। লাল হয়ে আছে চোখ গুলো। মনে হচ্ছে বেশি কিছু করে ফেলেছি। মন ভারি লাগছে এখন।
আমি চোখ নামিয়ে নিলাম উনি এখনো তাকিয়ে আছেন আমার দিকে।কি ভাবছ বুঝতে পারি নি ভাবও? আমি জানি এর চেয়ে বেশি কষ্ট তোমায় দিয়ে দিয়েছি।বুঝতেই পারি নি তোমার কষ্ট গুলো নিজের করে। শুধু নিজের ইচ্ছেটাই পুষে রেখেছিলাম। আই এম সরি এন্ড আই প্রমিজ আমার পিচ্ছিকে আর কষ্ট দিব না।
নিঃশব্দে কাঁদছি আমি। একবার সুযোগ দাও রিমা সব শুধরে নিব প্রমিজ। শার্ট ভিজিয়ে দিবে নাকি শেষে তোমারই ধোয়ে দিতে হবে। হুহ মনে আছে আমার নতুন থাকতে আপনি আমাকে দিয়ে একগাদা কাপড় ধুইয়েছেন।
এখন কাজ আপনি করবেন না হলে মা মেয়ে আমার চলে আসব এখানে হুম।তো ঝালে যাদু আছে দেখছি হি হি।
সেদিনের প্রমিজ জোহান অক্ষরে অক্ষরে ধরে রেখেছেন। আমি যখন কনসিভ করি প্রথম দিকে অনেক জ্বালিয়ে জোহানকে। হুট হাট এটা সেটা বায়না ধরে থাকতাম।
মধ্য রাত্রে খাওয়া ছিল নিত্যদিনের মত অব্যশ। নিজ হাতে খাইয়েছেন। জামা কাপড় ধুয়ে দিয়েছেন। হঠাৎ যখন পেইন উঠলো উনাকে কল করে বলেছিলাম তুমি কি জলদি আসবে আমার পেইন করছে। ভয় পেওনা আসছি। নাতাশা আমার পাশে বসে আছে আর বলছে ভাবি রিল্যাক্স। সিহাব ছেলে মেয়ে গুলোকে বাহিরে যাচ্ছে। মানহা পুরুই অস্থির আম্মু বলে কেঁদে কেঁদে।
জোহান শক্ত হাতে আমার হাতটা ধরে ছিল। আমি বলেছিলাম হাত ছাড়বে না তুমি। সাহস যুগিয়ে ছিলেন সেদিন।
মেয়ে কান্না যখন আসলো কানে চোখ চুয়ে জল গড়াল। অস্থির হয়ে রিমা বলছিলেন আমি শুনতে পেয়েছিলাম কিন্তু চোখ খুলতে পারি নি। কয়েক ঘন্টা পর জোহান মেয়েকে চুমু দিয়ে আমার কোলে তুলে দিলেন। আমার কপালে চুমু দিয়ে কেঁদে বললেন আজ আমাদের ঘর ভালোবাসার রোদ্দুরে পূর্ণ রিমা।
এটা সুখের অনুভূতির প্রহর মেয়ের দিকে তাকিয়ে বললেন এই পিচ্ছি কবে বড় হবে বলতো। অল রেডি মা মেয়ে এখন তিন তিনটি পিচ্ছি আমি তো অকালে বুড়ো হয়ে যাব। আমি হেসে উঠলাম তো কি?বলে দিলাম চিমটি।
জোহান আবারও মেয়ের দিকে তাকিয়ে বললেন পিচ্ছি আম্মু তুমি শুধু আমার দিকে থাকবে নট মায়ের। নাতাশার হাত ধরে মানহা উকি দিচ্ছে দেখার জন্য। জোহান ওকে কোলে নিতেই বলে উঠলো ওকি আমার সাথে খেলবে পাপা। হুম আম্মু খেলবে আপু ডাকবে তোমায়।
আবারও সেই কুইন্স পার্কে এসেছি মনোরম পরিবেশে। মেয়েদের সাথে খেলছি আমি আর জোহান। ভালোবাসার রোদ্দুর ঘিরে আছে আমার পরিবার।জোহান আমার হাত ধরে বললেন তুমি সেদিন প্রথম আমায় তুমি বলে ছিলে তাতে আমার মেয়ে এসেছে পূর্ণতায়।এবার একটা ছেলে চাই প্লিজ ভ্রু কুচকে তাকালাম উনার দিকে। বলছি কি? আমার মেয়েদের একটা ভাই হলে ভালো হতো মামনিরা।
বেসরম লোক মেয়েদের কি শিখাচ্ছেন আপনি?? উনি গম্ভীর হয়ে বললেন এসবে কাজ হবে না। চলো আম্মু এই বজ্জাত লোকদের কথায় দেশে জনসংখ্যা বাড়ে বলেই মেয়েদের নিয়ে হাটতে লাগলাম। পিছনে উনি বলেই যাচ্ছেন এটা ঠিক না রিমা।
আমরা মা মেয়েরা খাচ্ছি উনাকে দেখিয়ে দেখিয়ে। হুট করে পূর্ণতা জোহানকে নিয়ে এসে বলে আব্বু আমার। জোহান বোকা বনে গেলেন আমরা হেসে উঠলাম এক চিলতে হাসি ঘিরে চলছে জীবন এভাবেই সময়ের সাথে।
-------------- সমাপ্ত---------------------
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
মোহাম্মদ আফজাল হোসেন মাসুম ০৭/০৯/২০২১খুব ভালো লাগল
-
ন্যান্সি দেওয়ান ২৯/০৮/২০২১Very Good
-
ফয়জুল মহী ২৮/০৮/২০২১দারুণ উপস্থাপন
-
আমান শেখ ২৮/০৮/২০২১বেশ প্রতিভাবান লেখনী।
-
কবি অন্তর চন্দ্র ২৮/০৮/২০২১চমৎকার