এক মুঠো ভালোবাসার রোদ্দুর পর্ব ১০
#এক মুঠো ভালোবাসার রোদ্দুর
#পর্ব ১০
#তাবেরী ইসলাম
তাও কোলে নিলাম আমার সাথে হেসে উঠছে।আম্মু মিষ্টি আম্মু কি বলে মাম্মা কি মজা দেয় না তোমায়।
আর মানহা কি বুঝে যেন হাসছে।
আমি বারান্দায় বসে চাঁদ দেখছি আর আম্মুর সাথে কথা বলছি। উনি এসে পাশে বসলেন আম্মুর সাথে কথাও বললেন।
কথা শেষে উনি আমার এত কাছে এসে দাঁড়িয়েছেন যে শ্বাস যেন বন্ধ হওয়ার উপক্রম।চোখ কিচে বন্ধ করে নিলাম আর কাঁপছি।উনি এক হাত আমার বাহু ধরে আরেক হাত গালে রাখলেন।
উনার উষ্ণ নিঃশ্বাস আমার কপাল চুয়ে যাচ্ছে। জানো রিমা আমি ভাবিনি তুমি মানহাকে মেনে নিবে।বেচারি নাতাশা কেঁদে কুটে হয়রান।
উনি আমার কপালে উনার ঠোঁটের কোমল স্পর্শ চুয়ে দিয়ে দিলেন। আমি চোখ মেলে তাকালাম উনার দিকে
উনি হাসছেন আমার দিকে চেয়ে। কপট রাগ হলো আমার এত ভাব কিসের মিঃ জোহান।
আমি চলে আসতেই উনি হাত ধরে হেঁচকা টান দিতেই আমি উনার বুকে হুরমুরিয়ে পড়লাম। উনি আমার কোমর জড়িয়ে ধরে আছেন কপালে কপাল ঠেকিয়ে চোখ বন্ধ করে।
আমি হু হু করে কেঁদে উঠলাম, আমি তো ওমন মা হতে চাই নি। তবে কেন ঠকিয়েছেন আমাকে। কেন আমার ভাব না গুলো এলোমেলো করে দিলেন।
সব সময় যা ভাববে তা নাও হতে পারে রিমা। জীবনের চকে ভাবনা গুলো এলোমেলোই হয় মাঝে মধ্যে।
আপনাকে কে বলল আমি মানহাকে মেনে নিয়েছি?তোমার ভাব বঙ্গিমাতেই আমি বুঝতে পারি।
তুমি চাও ওকে আমি বুঝি তো। এভাবে কাঁদবে না কখনো আর তুমি।
আমি বললাম যদি ওকে আদর স্নেহ ভালোবাসা দিতে না পারি। উনি আমার মুখের কথা আটকিয়ে বলে উঠলেন তুমি পারবে রিমা আমি জানি। চেষ্টা কর আমি তো আছি সারাজীবন তোমার দু'হাত ধরে।
উনি আমায় বুকে জড়িয়ে রাখলেন। কিছুক্ষণ এভাবে থাকার পর উনি আমায় বলেন খাবে না।
নাকি অন্য কিছু খাবে বলে দুষ্টু হাসি দিলেন উনি।আমি বললাম আমার কিছু কথা ছিল।
উনি বললেন বল কি কথা। আমি বললাম আমি পড়াশুনাটা শেষ করতে চাই।আর মাত্র এক বছর আছে।
এটা শেষ হলে আর পড়শুনা করতে চাই বলব না, আমি কিছুটা ভয়েই বলে দেই।
উনি দু'হাত আমার গাল ধরে বললেন ভয়ের কি আছে? একটা এক্সাম দিলেই তো শেষ সমস্যা নেই।
আর একটা কথা উনি সুক্ষ্ণ দৃষ্টিতে তাকালেন আমার দিকে। মানহা আপনার মেয়ে এটা যেন আমাদের বাড়ির কেউ না জানে আপাতত ।
বাহিরে প্রচন্ড বাতাস বইছে। আমার চুল গুলো ও এলোমেলো হয়ে যাচ্ছে।
জীবন যতই কঠিন হোক না কেন আমি সহজ করতে চাই। আপনি পাশে থাকবেন তো আমার।
উনি বললেন হুম অবশ্যই আর এতো গম্ভীর হয়ে এসব ভাববে না। খাবে চল আম্মু আব্বু অপেক্ষা করছেন।
-----------------------------------
আজ বাড়িতে যাব ভেবেই কেমন খুশি লাগছে। কিন্তু উনাকে দেখে মনে হয় নি উনি খুশি এতে।
কাপড় চোপড়া আগেই গুছিয়ে রেখেছিলাম তাই সকালের নাস্তার পর আমরা বের হলাম। যেতে অবশ্যই এক ঘন্টা লাগবে।
কিছুক্ষন যেতে আমার ঘুম চলে আসলো। উনি বিরক্তি নিয়ে বললেন এতো ঘুম কিসের সেই প্রথম দিন থেকে ঘুমাচ্ছ, এত ঘুম আসে কোথা থেকে।
আমি ভ্রু কুঁচকে বললাম আপনার কি হিংসে হয় আমার ঘুমকে? যদি হয় তাহলে ঘুমকে আপনার সতিন বানালাম।
উনি ভ্যাবাচ্যাকা খেলে ফেললেন আমার কথায়।আর কিছু বললেন না। আমি আবার চোখ ভুজতেই ধীরে ধীরে ঘুমের রাজ্যে তলিয়ে গেলাম।
চলবে
#পর্ব ১০
#তাবেরী ইসলাম
তাও কোলে নিলাম আমার সাথে হেসে উঠছে।আম্মু মিষ্টি আম্মু কি বলে মাম্মা কি মজা দেয় না তোমায়।
আর মানহা কি বুঝে যেন হাসছে।
আমি বারান্দায় বসে চাঁদ দেখছি আর আম্মুর সাথে কথা বলছি। উনি এসে পাশে বসলেন আম্মুর সাথে কথাও বললেন।
কথা শেষে উনি আমার এত কাছে এসে দাঁড়িয়েছেন যে শ্বাস যেন বন্ধ হওয়ার উপক্রম।চোখ কিচে বন্ধ করে নিলাম আর কাঁপছি।উনি এক হাত আমার বাহু ধরে আরেক হাত গালে রাখলেন।
উনার উষ্ণ নিঃশ্বাস আমার কপাল চুয়ে যাচ্ছে। জানো রিমা আমি ভাবিনি তুমি মানহাকে মেনে নিবে।বেচারি নাতাশা কেঁদে কুটে হয়রান।
উনি আমার কপালে উনার ঠোঁটের কোমল স্পর্শ চুয়ে দিয়ে দিলেন। আমি চোখ মেলে তাকালাম উনার দিকে
উনি হাসছেন আমার দিকে চেয়ে। কপট রাগ হলো আমার এত ভাব কিসের মিঃ জোহান।
আমি চলে আসতেই উনি হাত ধরে হেঁচকা টান দিতেই আমি উনার বুকে হুরমুরিয়ে পড়লাম। উনি আমার কোমর জড়িয়ে ধরে আছেন কপালে কপাল ঠেকিয়ে চোখ বন্ধ করে।
আমি হু হু করে কেঁদে উঠলাম, আমি তো ওমন মা হতে চাই নি। তবে কেন ঠকিয়েছেন আমাকে। কেন আমার ভাব না গুলো এলোমেলো করে দিলেন।
সব সময় যা ভাববে তা নাও হতে পারে রিমা। জীবনের চকে ভাবনা গুলো এলোমেলোই হয় মাঝে মধ্যে।
আপনাকে কে বলল আমি মানহাকে মেনে নিয়েছি?তোমার ভাব বঙ্গিমাতেই আমি বুঝতে পারি।
তুমি চাও ওকে আমি বুঝি তো। এভাবে কাঁদবে না কখনো আর তুমি।
আমি বললাম যদি ওকে আদর স্নেহ ভালোবাসা দিতে না পারি। উনি আমার মুখের কথা আটকিয়ে বলে উঠলেন তুমি পারবে রিমা আমি জানি। চেষ্টা কর আমি তো আছি সারাজীবন তোমার দু'হাত ধরে।
উনি আমায় বুকে জড়িয়ে রাখলেন। কিছুক্ষণ এভাবে থাকার পর উনি আমায় বলেন খাবে না।
নাকি অন্য কিছু খাবে বলে দুষ্টু হাসি দিলেন উনি।আমি বললাম আমার কিছু কথা ছিল।
উনি বললেন বল কি কথা। আমি বললাম আমি পড়াশুনাটা শেষ করতে চাই।আর মাত্র এক বছর আছে।
এটা শেষ হলে আর পড়শুনা করতে চাই বলব না, আমি কিছুটা ভয়েই বলে দেই।
উনি দু'হাত আমার গাল ধরে বললেন ভয়ের কি আছে? একটা এক্সাম দিলেই তো শেষ সমস্যা নেই।
আর একটা কথা উনি সুক্ষ্ণ দৃষ্টিতে তাকালেন আমার দিকে। মানহা আপনার মেয়ে এটা যেন আমাদের বাড়ির কেউ না জানে আপাতত ।
বাহিরে প্রচন্ড বাতাস বইছে। আমার চুল গুলো ও এলোমেলো হয়ে যাচ্ছে।
জীবন যতই কঠিন হোক না কেন আমি সহজ করতে চাই। আপনি পাশে থাকবেন তো আমার।
উনি বললেন হুম অবশ্যই আর এতো গম্ভীর হয়ে এসব ভাববে না। খাবে চল আম্মু আব্বু অপেক্ষা করছেন।
-----------------------------------
আজ বাড়িতে যাব ভেবেই কেমন খুশি লাগছে। কিন্তু উনাকে দেখে মনে হয় নি উনি খুশি এতে।
কাপড় চোপড়া আগেই গুছিয়ে রেখেছিলাম তাই সকালের নাস্তার পর আমরা বের হলাম। যেতে অবশ্যই এক ঘন্টা লাগবে।
কিছুক্ষন যেতে আমার ঘুম চলে আসলো। উনি বিরক্তি নিয়ে বললেন এতো ঘুম কিসের সেই প্রথম দিন থেকে ঘুমাচ্ছ, এত ঘুম আসে কোথা থেকে।
আমি ভ্রু কুঁচকে বললাম আপনার কি হিংসে হয় আমার ঘুমকে? যদি হয় তাহলে ঘুমকে আপনার সতিন বানালাম।
উনি ভ্যাবাচ্যাকা খেলে ফেললেন আমার কথায়।আর কিছু বললেন না। আমি আবার চোখ ভুজতেই ধীরে ধীরে ঘুমের রাজ্যে তলিয়ে গেলাম।
চলবে
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
সাইয়িদ রফিকুল হক ০২/০৮/২০২১পড়ছি।
-
ফয়জুল মহী ০২/০৮/২০২১চমৎকার লাগলো