এক মুঠো ভালোবাসার রোদ্দুর পর্ব ৯
#এক মুঠো ভালোবাসার রোদ্দুর
#পর্ব ৯
#তাবেরী ইসলাম
আমি অবাক হয়ে তাকিয়ে আছি উনি তো আমার সাথে এত জোরে কথা বলেন না।আজ কি হলো??
কি বেপার বলুন তো আমার চোখে মুখে বিষ্মের চাপ!উনি বললেন আমার ওয়ালেট পাচ্ছি না,দেখেছ তুমি।
আমি মুচকি হাসছি তা মিঃ এতো জলদি ভুলে গেলে
চলবে।উনি খুঁজেই চলেছেন এলোমেলো করে রেখেছেন বিছানা।
আমি ওয়ালেট টা ড্রেসিং টেবিলের ড্রয়ার থেকে উনার হাতে দিলাম। উনি বললেন তুমি জানতে তাহলে বলনি কেন আগে?
আপনাকে ওভাবে দেখতে ভালোই লাগছিল বলে ফিক করে হেসে দিলাম।উনি আমার দিকে ভ্রু কুঁচকে তাকালেন।
দুষ্টুমির শাস্তি পাবে নিশ্চয়ই পরে,বলে চলে গেলেন উনি।
রাত্রের খাওয়া দাওয়া শেষে রুমে টিভি দেখছি।উনি পাশে বসে বললেন আজকে কি শাস্তি দেওয়া যায় রিমা?
আমি বললাম কিসের শাস্তি। উনি বললেন ওয়ালেট এর জন্য শাস্তি দিব মনে আছে!
আমি কিছুটা ভয়ে চুপসে গেলাম।আল্লাহ জানেন কি শাস্তি দিবেন ??
তোমার শাস্তি হলো কাল আমার এই সব কাপড় গুলো ধুয়ে দিবে।খালাকে ডাকা যাবে না সাহায্যের জন্য। যদি আমি দেখি তাহলে তোমার খবর আছে।
আমি শুধু মাথা নাড়িয়ে হ্যাঁ বললাম।উনি উনার কাজ শুরু করলেন ল্যাপটপে।
রাগে দুঃখে টিভি অফ করে আমি শুয়ে পড়লাম। উনি একবার তাকিয়ে আবার কাজে মনোযোগ দিলেন।
পরের দিন সকালে উঠেই কাপড় ধুয়া জন্য ভিজিয়ে রেখে দেই।উনি বাহিরে যেতে খালাকে ডেকে উনার সাহায্য নেই।
এত কাপড় ধুয়ে আমি ক্লান্ত হয়ে গেছি।খালাকে বলে দিলাম উনাকে যেন না বলেন আমাকে সাহায্য করছেন।
নাইলে আরো শাস্তি ভোগ করতে হবে। আমি তো পারব না এত শাস্ত নিতে।
বিকেলে ঝুম বৃষ্টি হচ্ছিলো আমি আর নাতাশা বৃষ্টিতে খুব ভিজেছি। উনি আসার আগেই রুমে গিয়ে কাপড় চোপড় বদলে নেই।
এখন হাচিদিতে দিতে আমার জান যাচ্ছে।
চোখ মুখ লাল হয়ে আছে। উনি ঘরে এসেই জিজ্ঞেস করলেন কি হয়েছে রিমা এত হাঁচি দিচ্ছ আর চোখমুখ লাল কেন?
আমি বললাম এর্লাজি সমস্যা কিছু না।
উনার ভাগ্নে সোহান এসেই বলল মামা আম্মু আর মামি দুজন আজকে বৃষ্টিতে ভিজেছে আর আমাকে বকা দিয়েছে আম্মু।
আমি তো হা হয়ে আছি পিচ্ছির কথা শুনে। উনি কটমট করে তাকালেন আমার দিকে।
আমি হেচ্ছু হেচ্ছু , হয়েছে এবার ওষুধ খেয়েছ বলে উনি ওয়াশরুমে চলে গেলেন। এসে গায়ে হাত দিয়ে বললেন তোমার তো জ্বর আসবে।
আমি বললাম আমার তো এর্লাজি আছে এর জন্য এমন হচ্ছে। উনি আসছি বলে বাহিরে গেলে। কিছুক্ষণ পর কিছু ওষুধ নিয়ে হাতে ধরিয়ে দিলেন।
ওষুধ খেয়ে ঘুমিয়ে পড়লাম। রাত বাড়ার সাথে সাথে আমার জ্বর আসলো। সকালে দেখলাম আমার শীত করছে খুব মাথা তুলতেই পারছি না।
চোখ খুলতেই উনি বললেন কেমন লাগছে রিমা এখন।
অনেক বেলা হয় গেছে আমি উঠব বলে উঠতে লাগলাম। মেঝেতে পা ফেলতে গা শিউরে উঠল।
মাথাটা যেন ঘুরতে লাগল পড়ে যাব এমন সময় উনি আমাকে ধরে বিছানায় বসালেন। আর রাগে গজগজ করে বললেন কি দরকার ছিল বৃষ্টিতে ভেজার এবার হয়েছে শখ পূরণ।
আর যেন বৃষ্টিতে ভিজতে কোনো দিন না শুনি বা দেখি।তাহলে টেং ভেঙ্গে দিব চুপচাপ এখানে বস।
করুন ভাবে তাকিয়ে বললাম আমি ওয়াশরুমে যাব।
উনি এগিয়ে দিয়ে দরজায় অপেক্ষা করছেন আসতেই আবার এগিয়ে বসিয়ে দিলেন
নাস্তা করে উনি ওষুধ খাইয়ে দিলেন। এত বেখিয়াল কেন রিমা নিজে কি একটু সামলে চলতে পার না।
স্প্রে নাকে দিচ্ছি আর উনার দিকে বিরক্তি নিয়ে তাকাচ্ছি।
আমি বললাম আপনিই তো আমাকে এত গুলো কাপড় ধুয়ালেন। এর জন্য ঠান্ডা লেগেছে বৃষ্টির জন্য না। আর বলতে আসছেন এখন বলে মুখ ঘুরিয়ে নিলাম।
উনি আমার যাওয়া জন্য কাগজ পত্র রেডি করছেন।
আগামী সপ্তাহে দিয়েছে পাসপোর্ট এর ডেইট ছবি তুলে আসতে হবে তুমি তো ভুলেই গেছ দেখছি।
উনি আমার কথা কানেই নিলেন না উল্টো,
এসময় অসুস্থ হলে চলবে বলেই উনি বাহিরে গেলেন।
আমি শুয়ে থাকলাম। আম্মু আব্বু এসে দেখে গেছেন আমাকে।
নাতাশা এসে বলল ভাবি তুমি তো জ্বর বাধালে, আর আম্মু ভাইয়া আমাকে বকছে,কেন তোমাকে নিয়ে ভিজলাম।
আমি হেসে বললাম তোমার পুছকি বুড়ি কোথায় দাও আমার কোলে। নাতাশার মুখ একটু কালো হয়ে গেল।
চলবে --
#পর্ব ৯
#তাবেরী ইসলাম
আমি অবাক হয়ে তাকিয়ে আছি উনি তো আমার সাথে এত জোরে কথা বলেন না।আজ কি হলো??
কি বেপার বলুন তো আমার চোখে মুখে বিষ্মের চাপ!উনি বললেন আমার ওয়ালেট পাচ্ছি না,দেখেছ তুমি।
আমি মুচকি হাসছি তা মিঃ এতো জলদি ভুলে গেলে
চলবে।উনি খুঁজেই চলেছেন এলোমেলো করে রেখেছেন বিছানা।
আমি ওয়ালেট টা ড্রেসিং টেবিলের ড্রয়ার থেকে উনার হাতে দিলাম। উনি বললেন তুমি জানতে তাহলে বলনি কেন আগে?
আপনাকে ওভাবে দেখতে ভালোই লাগছিল বলে ফিক করে হেসে দিলাম।উনি আমার দিকে ভ্রু কুঁচকে তাকালেন।
দুষ্টুমির শাস্তি পাবে নিশ্চয়ই পরে,বলে চলে গেলেন উনি।
রাত্রের খাওয়া দাওয়া শেষে রুমে টিভি দেখছি।উনি পাশে বসে বললেন আজকে কি শাস্তি দেওয়া যায় রিমা?
আমি বললাম কিসের শাস্তি। উনি বললেন ওয়ালেট এর জন্য শাস্তি দিব মনে আছে!
আমি কিছুটা ভয়ে চুপসে গেলাম।আল্লাহ জানেন কি শাস্তি দিবেন ??
তোমার শাস্তি হলো কাল আমার এই সব কাপড় গুলো ধুয়ে দিবে।খালাকে ডাকা যাবে না সাহায্যের জন্য। যদি আমি দেখি তাহলে তোমার খবর আছে।
আমি শুধু মাথা নাড়িয়ে হ্যাঁ বললাম।উনি উনার কাজ শুরু করলেন ল্যাপটপে।
রাগে দুঃখে টিভি অফ করে আমি শুয়ে পড়লাম। উনি একবার তাকিয়ে আবার কাজে মনোযোগ দিলেন।
পরের দিন সকালে উঠেই কাপড় ধুয়া জন্য ভিজিয়ে রেখে দেই।উনি বাহিরে যেতে খালাকে ডেকে উনার সাহায্য নেই।
এত কাপড় ধুয়ে আমি ক্লান্ত হয়ে গেছি।খালাকে বলে দিলাম উনাকে যেন না বলেন আমাকে সাহায্য করছেন।
নাইলে আরো শাস্তি ভোগ করতে হবে। আমি তো পারব না এত শাস্ত নিতে।
বিকেলে ঝুম বৃষ্টি হচ্ছিলো আমি আর নাতাশা বৃষ্টিতে খুব ভিজেছি। উনি আসার আগেই রুমে গিয়ে কাপড় চোপড় বদলে নেই।
এখন হাচিদিতে দিতে আমার জান যাচ্ছে।
চোখ মুখ লাল হয়ে আছে। উনি ঘরে এসেই জিজ্ঞেস করলেন কি হয়েছে রিমা এত হাঁচি দিচ্ছ আর চোখমুখ লাল কেন?
আমি বললাম এর্লাজি সমস্যা কিছু না।
উনার ভাগ্নে সোহান এসেই বলল মামা আম্মু আর মামি দুজন আজকে বৃষ্টিতে ভিজেছে আর আমাকে বকা দিয়েছে আম্মু।
আমি তো হা হয়ে আছি পিচ্ছির কথা শুনে। উনি কটমট করে তাকালেন আমার দিকে।
আমি হেচ্ছু হেচ্ছু , হয়েছে এবার ওষুধ খেয়েছ বলে উনি ওয়াশরুমে চলে গেলেন। এসে গায়ে হাত দিয়ে বললেন তোমার তো জ্বর আসবে।
আমি বললাম আমার তো এর্লাজি আছে এর জন্য এমন হচ্ছে। উনি আসছি বলে বাহিরে গেলে। কিছুক্ষণ পর কিছু ওষুধ নিয়ে হাতে ধরিয়ে দিলেন।
ওষুধ খেয়ে ঘুমিয়ে পড়লাম। রাত বাড়ার সাথে সাথে আমার জ্বর আসলো। সকালে দেখলাম আমার শীত করছে খুব মাথা তুলতেই পারছি না।
চোখ খুলতেই উনি বললেন কেমন লাগছে রিমা এখন।
অনেক বেলা হয় গেছে আমি উঠব বলে উঠতে লাগলাম। মেঝেতে পা ফেলতে গা শিউরে উঠল।
মাথাটা যেন ঘুরতে লাগল পড়ে যাব এমন সময় উনি আমাকে ধরে বিছানায় বসালেন। আর রাগে গজগজ করে বললেন কি দরকার ছিল বৃষ্টিতে ভেজার এবার হয়েছে শখ পূরণ।
আর যেন বৃষ্টিতে ভিজতে কোনো দিন না শুনি বা দেখি।তাহলে টেং ভেঙ্গে দিব চুপচাপ এখানে বস।
করুন ভাবে তাকিয়ে বললাম আমি ওয়াশরুমে যাব।
উনি এগিয়ে দিয়ে দরজায় অপেক্ষা করছেন আসতেই আবার এগিয়ে বসিয়ে দিলেন
নাস্তা করে উনি ওষুধ খাইয়ে দিলেন। এত বেখিয়াল কেন রিমা নিজে কি একটু সামলে চলতে পার না।
স্প্রে নাকে দিচ্ছি আর উনার দিকে বিরক্তি নিয়ে তাকাচ্ছি।
আমি বললাম আপনিই তো আমাকে এত গুলো কাপড় ধুয়ালেন। এর জন্য ঠান্ডা লেগেছে বৃষ্টির জন্য না। আর বলতে আসছেন এখন বলে মুখ ঘুরিয়ে নিলাম।
উনি আমার যাওয়া জন্য কাগজ পত্র রেডি করছেন।
আগামী সপ্তাহে দিয়েছে পাসপোর্ট এর ডেইট ছবি তুলে আসতে হবে তুমি তো ভুলেই গেছ দেখছি।
উনি আমার কথা কানেই নিলেন না উল্টো,
এসময় অসুস্থ হলে চলবে বলেই উনি বাহিরে গেলেন।
আমি শুয়ে থাকলাম। আম্মু আব্বু এসে দেখে গেছেন আমাকে।
নাতাশা এসে বলল ভাবি তুমি তো জ্বর বাধালে, আর আম্মু ভাইয়া আমাকে বকছে,কেন তোমাকে নিয়ে ভিজলাম।
আমি হেসে বললাম তোমার পুছকি বুড়ি কোথায় দাও আমার কোলে। নাতাশার মুখ একটু কালো হয়ে গেল।
চলবে --
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
নাসরীন আক্তার রুবি ০১/০৮/২০২১ভাল লাগল
-
আমান শেখ ৩১/০৭/২০২১চলবে,,
-
আলমগীর সরকার লিটন ৩১/০৭/২০২১সুন্দর লাগছে-------
-
সাইয়িদ রফিকুল হক ৩০/০৭/২০২১পাঠক হিসাবে আছি।
-
ফয়জুল মহী ৩০/০৭/২০২১চমৎকার