এক মুঠো ভালোবাসার রোদ্দুর পর্ব ৬
#এক মুঠো ভালোবাসার রোদ্দুর
#পর্ব ৬
#তাবেরী ইসলাম
আন্টি এসে হাত ধরে নিয়ে বসালেন সোফায়
উনিও রুমে এসে বসলেন।
উনার ফ্রেন্ড তাসফি ভাইয়া এসে উনার ভাই বোন জড়ো করে বলেন,এই দেখ তোমাদের জোহান ভাইয়ার বউ।
মেয়ে গুলো ব্যস্ত হয়ে আমাকে ঘিরে বসল। তাসফি ভাইয়া দমকে আনিকাকে বলেন আগে কিছু খাওয়াও ওদের গল্প তো তোরা সারা রাত্র করতে পারবি।
আন্টি মিষ্টি নিয়ে এসে মুখে দিয়ে বললেন নতুন বউ মিষ্টি দিতে হয় আগে।আমার ভীষণ লজ্জা লাগছে এখন।
ওদের সাথে গল্প গুজব করছি সামনে আসলো একটা মেয়ে। এসেই আনিকাকে উনি কে আনিকা?
ভাইয়ার ফ্রেন্ড জোহান ভাইয়ার বউ উনি। মেয়েটা ভাবি বলেই এসে গল্প জুড়ে দিলো।
কথায় কথায় জানলাম ওদের বাড়ি আমাদের এদিকেই বাড়ি।মায়িশা আনিকার ফুফুতো বোন। ভাই বোন জিজ্ঞাস করতেই বলে দিল ও জুবায়েরের বোন।
ভেতরটা ধক করে উঠলো। হলুদ শুরু হয়ে গেল।মনোযোগটা অন্য দিকে দিতে হবে। উনি এসে নিয়ে গেলেন হলুদের অনুষ্ঠানে। আমরাও হলুদ লাগিয়ে দিলাম কনেকে।
হলুদের অনুষ্ঠান এখনো চলছে। আমি উনাকে ফিসফিস করে বললাম বাড়ি চলে যাই এখন আমরা।
উনি ভ্রু কুঁচকে বললেন একটু পরে যাই অনুষ্ঠানটা শেষ হোক।
আমি বললাম মাথা ব্যথা করছে ভীষন আর আপনি কি এখানে থাকতে এসেছেন??
না তবে কেমন দেখায় না আমরা চলে যাচ্ছি। কিচ্ছু হবে না আন্টিকে ডেকে আনুন।আমি বুঝিয়ে নিব উনাকে।
আন্টি আসতে উৎকন্ঠা নিয়ে বলে উঠলেন কি হয়েছে মা এখনই চলে যাবার কি আছে??
আমি বললাম আন্টি আসলে আমার মাথা ব্যথা করছে খুব।এখন চলে যাই কাল তো আমরা সবাই বিয়েতে আসছি।কিন্তু মা আমি বললাম আর কোনো কিন্তু না আন্টি।
উনাকে বুঝিয়ে চলে আসলাম জোহানের কাছে।বললাম চলেন এবার।
নির্জন এই রাত্রিতে ভালোই লাগছে। চারপাশ নিরব স্তব্ধ কোলাহল বিহীন।
বাসায় আস্তে আস্তে প্রায় রাত্র ১টা বেজে গেল।আম্মু দরজা খোলা দিলেন। রুমে এসে ফ্রেশ হয়ে শুয়ে পড়লাম।
মাথাটা সত্যি ভারি লাগছে এখন। ঘুমের রাজ্য পাড়ি দিলাম।
সকালে উনি ডাকছেন এই রিমা উঠো। হুম কি? এত ডাকছেন কেন?এই দেখ কে এসেছে আমাদের রুমে।
রিমা উঠো!
আমি আরেকটু ঘুমাই প্লিজ বলে এপাশ থেকে ওপাশ ঘুরে ঘুমালাম।
উনি মানহাকে আমার পাশে বিছানায় বসিয়ে দিলেন। মানহার হাত ধরে আম্মু উঠো শিখিয়ে দিচ্ছেন উনি।
আমি বুঝতে দেই নি আমি জেগে আছি সেটা। আর মানহা উনার কথায় আম্মু আম্মু বলে আমার মুখে হাত দিচ্ছে আর হাসছে।
উনি আমাকে খুব জোরে একটা চিমটি কাটলেন।আমি আহ করে বিরক্তি নিয়ে উনার দিকে তাকালাম।
দেখ মানহা তোমাকে আম্মু ডাকছে আর তুমি ঘুমাচ্ছ। উঠো ফ্রেশ হয়ে আসো। বিয়েতেও যেতে হবে। তোমাদের মেয়েদের সাজতে সাজতেই ১২মাস লেগে যায়।
আমি উনার দিকে চোখ কটমট করে তাকালাম। উঠে ফ্রেশ হয়ে আসলাম। চা নাস্তা করে করে নিলাম সবাই।
নাতাশা মানহা আর সোহানকে রেডি করে নিয়েছে আগেই।আমি আর নাতাশা রেডি হচ্ছি । উন মোবাইলে চোখ রেখে বলছেন আর কতক্ষণ লাগবে শুনি।
কেন? এইতো শেষ হয়ে যাবে।
উনি আমার দিকে তাকিয়ে বললেন আজকে শাড়ি পড়লে যে তুমি।
ইচ্ছে হয়েছে তাই পড়েছি। উনি বললেন তো শাড়ি সামলাতে পারবে আজকে আর হাসছেন।
আমি বললাম আপনি তো আছেন তাই না শাড়ি সামলে নিব ঠিক আছে।
নাতাশার কাছে যাব এমন সময় উনি চোখ ছোট ছোট করে ঘোর লাগা কন্ঠে বলতে লাগলেন মুখের তিলটা যে তোমায় আরো মোহনীয় করে তুলল।
দুহাত ধরে আছেন এখনো।আবার স্বপ্ন ঘোর আঙ্গিনায় আমি আবার তোমাতে বিলিন হই।
আমি চোখ ভুজে উনার কথা শুনছিলাম। দরজায় নাতাশা এসে ঠুকা দিতেই উনার হুশ এলো।
আমি চট করে একটু দুরে সরে দাঁড়ালাম। নাতাশা বলল এবার চলো আমি রেডি।
আম্মু আব্বুর থেকে বিদায় নিয়ে আমরা বেরিয়ে পড়লাম। নাতাশার হাজবেন্ড সিহাব ভাইয়াও যাবেন।
ওখানে গিয়ে আবার মায়িশার সাথে দেখা। অনেক কথা বাতা হলো সবাই মিলে।
মেয়েটা নিজের এলাকার বলে বেশ ভাব জমিয়েছে আমার আর নাতাশার সাথে।
ফটো তুললো আমাদের সাথে। এভাবে নাম্বারটাও দিল নিজের ভাবি মাঝে মধ্যে খুঁজ খবর নিও খুশি হবো।
আমি বললাম আর আমদের পিক গুলো দিও মনে করে। বেশ মজা করে সময় চলে গেল। বিকেলে চলে আসলাম বাড়িতে।
সন্ধ্যায় বারান্দায় চা খাচ্ছি আর ভাবছি কিছু স্মৃতি আসলেই বেদনাবিদুর। বিত্তের দ্বন্দ্বে সময়ের সাথে সবি হারিয়ে যায়।
আমি ভাবতে চাই না ওসব। ভালোই আছি বেশ আছি।
চলবে--
#পর্ব ৬
#তাবেরী ইসলাম
আন্টি এসে হাত ধরে নিয়ে বসালেন সোফায়
উনিও রুমে এসে বসলেন।
উনার ফ্রেন্ড তাসফি ভাইয়া এসে উনার ভাই বোন জড়ো করে বলেন,এই দেখ তোমাদের জোহান ভাইয়ার বউ।
মেয়ে গুলো ব্যস্ত হয়ে আমাকে ঘিরে বসল। তাসফি ভাইয়া দমকে আনিকাকে বলেন আগে কিছু খাওয়াও ওদের গল্প তো তোরা সারা রাত্র করতে পারবি।
আন্টি মিষ্টি নিয়ে এসে মুখে দিয়ে বললেন নতুন বউ মিষ্টি দিতে হয় আগে।আমার ভীষণ লজ্জা লাগছে এখন।
ওদের সাথে গল্প গুজব করছি সামনে আসলো একটা মেয়ে। এসেই আনিকাকে উনি কে আনিকা?
ভাইয়ার ফ্রেন্ড জোহান ভাইয়ার বউ উনি। মেয়েটা ভাবি বলেই এসে গল্প জুড়ে দিলো।
কথায় কথায় জানলাম ওদের বাড়ি আমাদের এদিকেই বাড়ি।মায়িশা আনিকার ফুফুতো বোন। ভাই বোন জিজ্ঞাস করতেই বলে দিল ও জুবায়েরের বোন।
ভেতরটা ধক করে উঠলো। হলুদ শুরু হয়ে গেল।মনোযোগটা অন্য দিকে দিতে হবে। উনি এসে নিয়ে গেলেন হলুদের অনুষ্ঠানে। আমরাও হলুদ লাগিয়ে দিলাম কনেকে।
হলুদের অনুষ্ঠান এখনো চলছে। আমি উনাকে ফিসফিস করে বললাম বাড়ি চলে যাই এখন আমরা।
উনি ভ্রু কুঁচকে বললেন একটু পরে যাই অনুষ্ঠানটা শেষ হোক।
আমি বললাম মাথা ব্যথা করছে ভীষন আর আপনি কি এখানে থাকতে এসেছেন??
না তবে কেমন দেখায় না আমরা চলে যাচ্ছি। কিচ্ছু হবে না আন্টিকে ডেকে আনুন।আমি বুঝিয়ে নিব উনাকে।
আন্টি আসতে উৎকন্ঠা নিয়ে বলে উঠলেন কি হয়েছে মা এখনই চলে যাবার কি আছে??
আমি বললাম আন্টি আসলে আমার মাথা ব্যথা করছে খুব।এখন চলে যাই কাল তো আমরা সবাই বিয়েতে আসছি।কিন্তু মা আমি বললাম আর কোনো কিন্তু না আন্টি।
উনাকে বুঝিয়ে চলে আসলাম জোহানের কাছে।বললাম চলেন এবার।
নির্জন এই রাত্রিতে ভালোই লাগছে। চারপাশ নিরব স্তব্ধ কোলাহল বিহীন।
বাসায় আস্তে আস্তে প্রায় রাত্র ১টা বেজে গেল।আম্মু দরজা খোলা দিলেন। রুমে এসে ফ্রেশ হয়ে শুয়ে পড়লাম।
মাথাটা সত্যি ভারি লাগছে এখন। ঘুমের রাজ্য পাড়ি দিলাম।
সকালে উনি ডাকছেন এই রিমা উঠো। হুম কি? এত ডাকছেন কেন?এই দেখ কে এসেছে আমাদের রুমে।
রিমা উঠো!
আমি আরেকটু ঘুমাই প্লিজ বলে এপাশ থেকে ওপাশ ঘুরে ঘুমালাম।
উনি মানহাকে আমার পাশে বিছানায় বসিয়ে দিলেন। মানহার হাত ধরে আম্মু উঠো শিখিয়ে দিচ্ছেন উনি।
আমি বুঝতে দেই নি আমি জেগে আছি সেটা। আর মানহা উনার কথায় আম্মু আম্মু বলে আমার মুখে হাত দিচ্ছে আর হাসছে।
উনি আমাকে খুব জোরে একটা চিমটি কাটলেন।আমি আহ করে বিরক্তি নিয়ে উনার দিকে তাকালাম।
দেখ মানহা তোমাকে আম্মু ডাকছে আর তুমি ঘুমাচ্ছ। উঠো ফ্রেশ হয়ে আসো। বিয়েতেও যেতে হবে। তোমাদের মেয়েদের সাজতে সাজতেই ১২মাস লেগে যায়।
আমি উনার দিকে চোখ কটমট করে তাকালাম। উঠে ফ্রেশ হয়ে আসলাম। চা নাস্তা করে করে নিলাম সবাই।
নাতাশা মানহা আর সোহানকে রেডি করে নিয়েছে আগেই।আমি আর নাতাশা রেডি হচ্ছি । উন মোবাইলে চোখ রেখে বলছেন আর কতক্ষণ লাগবে শুনি।
কেন? এইতো শেষ হয়ে যাবে।
উনি আমার দিকে তাকিয়ে বললেন আজকে শাড়ি পড়লে যে তুমি।
ইচ্ছে হয়েছে তাই পড়েছি। উনি বললেন তো শাড়ি সামলাতে পারবে আজকে আর হাসছেন।
আমি বললাম আপনি তো আছেন তাই না শাড়ি সামলে নিব ঠিক আছে।
নাতাশার কাছে যাব এমন সময় উনি চোখ ছোট ছোট করে ঘোর লাগা কন্ঠে বলতে লাগলেন মুখের তিলটা যে তোমায় আরো মোহনীয় করে তুলল।
দুহাত ধরে আছেন এখনো।আবার স্বপ্ন ঘোর আঙ্গিনায় আমি আবার তোমাতে বিলিন হই।
আমি চোখ ভুজে উনার কথা শুনছিলাম। দরজায় নাতাশা এসে ঠুকা দিতেই উনার হুশ এলো।
আমি চট করে একটু দুরে সরে দাঁড়ালাম। নাতাশা বলল এবার চলো আমি রেডি।
আম্মু আব্বুর থেকে বিদায় নিয়ে আমরা বেরিয়ে পড়লাম। নাতাশার হাজবেন্ড সিহাব ভাইয়াও যাবেন।
ওখানে গিয়ে আবার মায়িশার সাথে দেখা। অনেক কথা বাতা হলো সবাই মিলে।
মেয়েটা নিজের এলাকার বলে বেশ ভাব জমিয়েছে আমার আর নাতাশার সাথে।
ফটো তুললো আমাদের সাথে। এভাবে নাম্বারটাও দিল নিজের ভাবি মাঝে মধ্যে খুঁজ খবর নিও খুশি হবো।
আমি বললাম আর আমদের পিক গুলো দিও মনে করে। বেশ মজা করে সময় চলে গেল। বিকেলে চলে আসলাম বাড়িতে।
সন্ধ্যায় বারান্দায় চা খাচ্ছি আর ভাবছি কিছু স্মৃতি আসলেই বেদনাবিদুর। বিত্তের দ্বন্দ্বে সময়ের সাথে সবি হারিয়ে যায়।
আমি ভাবতে চাই না ওসব। ভালোই আছি বেশ আছি।
চলবে--
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
ফয়জুল মহী ২৭/০৭/২০২১মনোমুগ্ধকর লিখনী
-
কানিজ ফাতেমা ২৬/০৭/২০২১দারুন লিখেছেন, শুভ কামনা রইল 😍
-
সাইয়িদ রফিকুল হক ২৬/০৭/২০২১গল্প পড়েছি।