এক মুঠো ভালোবাসার রোদ্দুর পর্ব ৩
#এক মুঠো ভালোবাসার রোদ্দুর
#পর্ব ৩
#তাবেরী ইসলাম
আমি গ্রাউনটা পড়ে নিলাম। চুল খোপা করছি এমন সময় উনি রুমে আসলেন।
উনাকে বললাম আপনার পাঞ্জাবি নিন। ওয়াশরুমে গিয়ে চেইঞ্জ করে আসলেন।
আজই খেয়াল করলাম মুখে উনার রাগি রাগি ভার। আমি হিজাব ঠিক করতে পারছি না বার বার চোখ যাচ্ছে উনার দিকে। সুঠাম দেহ মন্দ না ভালোই লাগছে।
গোল্ডেন কালারের পাঞ্জাবি পায়জাম আর টিয়া কালারের ব্লেজার স্পইক চুল,গোল্ডেন কালারের ঘড়ি।
বেটা হিটলারকে নাতিকে ভালোই লাগছে।
খাট মানুষের লম্বা বর হয় আজকে বুঝলাম। মনে মনে বলে মুচকি হাসছি, কি এতক্ষণ ধরে করছ? সাহায্য লাগলে বল করে দিচ্ছি। ইস্কাপের পিন এগিয়ে দিয়ে বললাম এটা এখানে লাগিয়ে দিন।
উফফ আমার মাথা কি গেথে ফেলবেন আপনি?
কেন?একটা হিজাবে এত পিন মারতে হয় আর আমি কি জানি তোমার মাথায় লাগবে।
সরি বলে মাথায় ফু দিচ্ছেন উনি। ভাবি আমি এসে গেছি বলে নাতাশা রুমে ঢুকল।
কি রোমানটিক ভাবি চোখ টিপে নাতাশা হাসছে।
ভাইয়া মানহাকে একটু রাখতো।
উনি ওকে দেখেই আম্মু বলে কোলে নিয়ে বারান্দায় চলে গেলেন। কিছুক্ষণ পর চোখ মুখ লাল করে মেয়েটা কে নিয়ে রুমে এসে বললেন একে নাও আমি বাহিরে যাব।
নাতাশা বলল বিছানায় রাখও আমি দেখছি।উনি চলে গেলেন মানহাকে রেখে বিছানায়। মেকাপও শেষ,
একদম রেডি ভাবি তুমি এখন বলে উঠল নাতাশা।
আমি হেসে শুকরিয়া ননদিনী বলে নাতাশাকে জড়িয়ে ধরলাম। নাতাশার হাজবেন্ড দরজায় এসে বলল ভাবি আসবো। আমি হেসে বললাম এসো।
সিহাব বলে উঠল ভাবি আপনার ননদের ও কি বিয়ে আজ,যে পেত্নী মার্কা সাজ। আমার মেয়ে তো ওকে দেখে ভয় পাবে।
নাতাশা বলল আপনি যাবেন এখন থেকে না আমি আম্মু ডাকব। বেচারা চলে গেল নিরব হয়ে।
সবাই এসে গেছে আমাদের বাড়ির আম্মুও এসেছেন। বুকে জড়িয়ে কেঁদে দিলাম।
আমার চোখ জোড়া উনাকেই খুঁজ ছিল কিছুক্ষণ পর স্ট্রেইজে উনিও এসে আমার পাশে বসলেন। কিছু ফটোসেশান হলো কিছু কাপল পিক।নাতাশার মেয়েটাও ছিল আমাদের মাঝে। মেয়েটা দেখতে ঠিক জোহানের মত। পরিবারের সবার সাথেও ফটোসেশান করা হলো।
খাওয়ার দাওয়া শেষে সবাই চলে গেলেন। আব্বু আম্মু বলে গেলেন কাল কখন যাব ফোনে জানিয়ে দিতে।
আমি বললাম ঠিক আছে জানিয়ে দিব।
পরের দিন দুপুরে খাওয়ার পর কিছু কাপড় গোছালাম আর নাতাশাকে বললাম আমাদের সাথে চলো সেও খুশি।
নাতাশার ছেলে খুব দুষ্টু মেয়েটাকে কাঁদিয়ে ছাড়ে।
আমাদের বাড়িতে এসে সেই দুষ্টুমি শুরু করছে ছেলেটা।
আম্মু শুয়ে আছেন আমরা দুই বোন ওদের জন্য নাস্তার ব্যবস্থা করলাম। উনি আব্বুর সাথে জমিয়ে গল্প করছেন। খাওয়া দাওয়া পরে শুরু হলো সবাই মিলে আড্ডা। আড্ডা দিতে দিতে অনেক রাত্র হয়ে গেল আমি উনাদের রুম দেখিয়ে দিলাম। আর নিজের রুমে উনাকে নিয়ে আসলাম।
আমার রুম আপনার রুমের মত সুন্দর না।একটু কষ্ট করে আজকে মানিয়ে নিন প্লিজ। উনি কিছু বলেন নি, মশারি টানিয়ে দিতেই শুয়ে পড়লেন।
আমিও শুয়ে পড়ি উনার পাশে।
পরের দিন চলে আসলাম শশুর বাড়িতে, মেহমানরা চলে গেছেন।আমার শাশুড়ী সব কিছু আমাকে বুঝিয়ে দিচ্ছেন। নিজের রুমে নিয়ে বললেন আমাকে মা,কিছু কথা বলি যদি কখনো কিছু জানো তাহলে হুঠ করে কিছু সিদ্ধান্ত নিও না।এর পর অন্য গল্প জুড়ে দিলেন তিনি।
উনার একটা লেদার থেকে আমাকে কয়টা হিজাব আর একটা শাড়ি দিলেন। এটা আমি তোমার জন্য কিনেছি পছন্দ হয়েছে তো। আমি বললাম অনেক সুন্দর আম্মু।
চলে এলাম রুমে। উনাকে দেখে কিছুটা অন্য মনস্ক লাগল। বললাম কফি দেব না লেবু দিয়ে চা দিব।
আমার কিন্তু লেবুর চা খুব প্রিয়।
উনি চুপচাপ আমার হাত ধরে কিছু একটা ভাবলেন যাও লেবুর চা নিয়ে আসো খেয়ে দেখি কেমন ট্রেস্ট তোমার লেবুর চায়ে।
একটু পর নিয়ে আসলাম উনার জন্য চা নাস্তা। নাতাশার মেয়েকে উনি সারাদিনই নিজের কাছে রাখেন।আমি বিষয়টা স্বাভাবিকই নিলাম। সেদিন যখন আমার চাচাতো জ্বা আমাকে বলেন জানিস রিমা।
তোমার জামাইয়ের আরেক বিয়ে ছিল, একটা বাচ্চাও আছে তারপর ভাবি আর অনেক কিছুই বলতে চাইছিলেন।
শাশুড়ী আম্মুকে দেখে উনি কথা ঘুরিয়ে নিলেন।
আমি আর কথা বাড়ালাম না।
এরপর থেকে আমি উনাকে ফলো করতাম। নাতাশাকে কিছু জিজ্ঞেস করব কিনা ভাবছি।
#পর্ব ৩
#তাবেরী ইসলাম
আমি গ্রাউনটা পড়ে নিলাম। চুল খোপা করছি এমন সময় উনি রুমে আসলেন।
উনাকে বললাম আপনার পাঞ্জাবি নিন। ওয়াশরুমে গিয়ে চেইঞ্জ করে আসলেন।
আজই খেয়াল করলাম মুখে উনার রাগি রাগি ভার। আমি হিজাব ঠিক করতে পারছি না বার বার চোখ যাচ্ছে উনার দিকে। সুঠাম দেহ মন্দ না ভালোই লাগছে।
গোল্ডেন কালারের পাঞ্জাবি পায়জাম আর টিয়া কালারের ব্লেজার স্পইক চুল,গোল্ডেন কালারের ঘড়ি।
বেটা হিটলারকে নাতিকে ভালোই লাগছে।
খাট মানুষের লম্বা বর হয় আজকে বুঝলাম। মনে মনে বলে মুচকি হাসছি, কি এতক্ষণ ধরে করছ? সাহায্য লাগলে বল করে দিচ্ছি। ইস্কাপের পিন এগিয়ে দিয়ে বললাম এটা এখানে লাগিয়ে দিন।
উফফ আমার মাথা কি গেথে ফেলবেন আপনি?
কেন?একটা হিজাবে এত পিন মারতে হয় আর আমি কি জানি তোমার মাথায় লাগবে।
সরি বলে মাথায় ফু দিচ্ছেন উনি। ভাবি আমি এসে গেছি বলে নাতাশা রুমে ঢুকল।
কি রোমানটিক ভাবি চোখ টিপে নাতাশা হাসছে।
ভাইয়া মানহাকে একটু রাখতো।
উনি ওকে দেখেই আম্মু বলে কোলে নিয়ে বারান্দায় চলে গেলেন। কিছুক্ষণ পর চোখ মুখ লাল করে মেয়েটা কে নিয়ে রুমে এসে বললেন একে নাও আমি বাহিরে যাব।
নাতাশা বলল বিছানায় রাখও আমি দেখছি।উনি চলে গেলেন মানহাকে রেখে বিছানায়। মেকাপও শেষ,
একদম রেডি ভাবি তুমি এখন বলে উঠল নাতাশা।
আমি হেসে শুকরিয়া ননদিনী বলে নাতাশাকে জড়িয়ে ধরলাম। নাতাশার হাজবেন্ড দরজায় এসে বলল ভাবি আসবো। আমি হেসে বললাম এসো।
সিহাব বলে উঠল ভাবি আপনার ননদের ও কি বিয়ে আজ,যে পেত্নী মার্কা সাজ। আমার মেয়ে তো ওকে দেখে ভয় পাবে।
নাতাশা বলল আপনি যাবেন এখন থেকে না আমি আম্মু ডাকব। বেচারা চলে গেল নিরব হয়ে।
সবাই এসে গেছে আমাদের বাড়ির আম্মুও এসেছেন। বুকে জড়িয়ে কেঁদে দিলাম।
আমার চোখ জোড়া উনাকেই খুঁজ ছিল কিছুক্ষণ পর স্ট্রেইজে উনিও এসে আমার পাশে বসলেন। কিছু ফটোসেশান হলো কিছু কাপল পিক।নাতাশার মেয়েটাও ছিল আমাদের মাঝে। মেয়েটা দেখতে ঠিক জোহানের মত। পরিবারের সবার সাথেও ফটোসেশান করা হলো।
খাওয়ার দাওয়া শেষে সবাই চলে গেলেন। আব্বু আম্মু বলে গেলেন কাল কখন যাব ফোনে জানিয়ে দিতে।
আমি বললাম ঠিক আছে জানিয়ে দিব।
পরের দিন দুপুরে খাওয়ার পর কিছু কাপড় গোছালাম আর নাতাশাকে বললাম আমাদের সাথে চলো সেও খুশি।
নাতাশার ছেলে খুব দুষ্টু মেয়েটাকে কাঁদিয়ে ছাড়ে।
আমাদের বাড়িতে এসে সেই দুষ্টুমি শুরু করছে ছেলেটা।
আম্মু শুয়ে আছেন আমরা দুই বোন ওদের জন্য নাস্তার ব্যবস্থা করলাম। উনি আব্বুর সাথে জমিয়ে গল্প করছেন। খাওয়া দাওয়া পরে শুরু হলো সবাই মিলে আড্ডা। আড্ডা দিতে দিতে অনেক রাত্র হয়ে গেল আমি উনাদের রুম দেখিয়ে দিলাম। আর নিজের রুমে উনাকে নিয়ে আসলাম।
আমার রুম আপনার রুমের মত সুন্দর না।একটু কষ্ট করে আজকে মানিয়ে নিন প্লিজ। উনি কিছু বলেন নি, মশারি টানিয়ে দিতেই শুয়ে পড়লেন।
আমিও শুয়ে পড়ি উনার পাশে।
পরের দিন চলে আসলাম শশুর বাড়িতে, মেহমানরা চলে গেছেন।আমার শাশুড়ী সব কিছু আমাকে বুঝিয়ে দিচ্ছেন। নিজের রুমে নিয়ে বললেন আমাকে মা,কিছু কথা বলি যদি কখনো কিছু জানো তাহলে হুঠ করে কিছু সিদ্ধান্ত নিও না।এর পর অন্য গল্প জুড়ে দিলেন তিনি।
উনার একটা লেদার থেকে আমাকে কয়টা হিজাব আর একটা শাড়ি দিলেন। এটা আমি তোমার জন্য কিনেছি পছন্দ হয়েছে তো। আমি বললাম অনেক সুন্দর আম্মু।
চলে এলাম রুমে। উনাকে দেখে কিছুটা অন্য মনস্ক লাগল। বললাম কফি দেব না লেবু দিয়ে চা দিব।
আমার কিন্তু লেবুর চা খুব প্রিয়।
উনি চুপচাপ আমার হাত ধরে কিছু একটা ভাবলেন যাও লেবুর চা নিয়ে আসো খেয়ে দেখি কেমন ট্রেস্ট তোমার লেবুর চায়ে।
একটু পর নিয়ে আসলাম উনার জন্য চা নাস্তা। নাতাশার মেয়েকে উনি সারাদিনই নিজের কাছে রাখেন।আমি বিষয়টা স্বাভাবিকই নিলাম। সেদিন যখন আমার চাচাতো জ্বা আমাকে বলেন জানিস রিমা।
তোমার জামাইয়ের আরেক বিয়ে ছিল, একটা বাচ্চাও আছে তারপর ভাবি আর অনেক কিছুই বলতে চাইছিলেন।
শাশুড়ী আম্মুকে দেখে উনি কথা ঘুরিয়ে নিলেন।
আমি আর কথা বাড়ালাম না।
এরপর থেকে আমি উনাকে ফলো করতাম। নাতাশাকে কিছু জিজ্ঞেস করব কিনা ভাবছি।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
ভাস্কর অনির্বাণ ২০/০৭/২০২১ভাল লাগলো
-
ফয়জুল মহী ২০/০৭/২০২১অসাধারণ l
-
সাইয়িদ রফিকুল হক ১৯/০৭/২০২১আচ্ছা।