আজও তুমি স্বাধীনতার অতন্দ্র প্রহরী
আজও তুমি স্বাধীনতার অতন্দ্র প্রহরী
সাইয়িদ রফিকুল হক
সেদিন আমেরিকা, চীন, সৌদিআরব
ধনসম্পদ আর যাবতীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে
দাঁড়িয়েছিল পাকিস্তানের পক্ষে!
তবুও কোনো ভয় দেখিনি পিতা তোমার চোখেমুখে,
আর ভয়ের লেশমাত্র ছিল না তোমার
ছাপান্ন মাইল বিস্তৃত বক্ষোদেশে।
তোমার সাহসে ভয় পায়নি বাংলার কোনো বাঙালি,
শুধু মিনমিন করছিল অবাঙালি আর বিহারি!
তিন মিলিয়ন মানুষ সেদিন
তোমার ভাষণ শুনতে জমায়েত হয়েছিল
রেসকোর্সের ঐতিহাসিক ময়দানে।
তুমি সবার ভয়ডর কেড়ে নিয়েছিলে
আর প্রতিটি বাঙালি অন্তরে জাগিয়ে দিয়েছিলে
সাহসের সুবিশাল পিরামিড।
তোমার উন্নত চিত্ত ভরা ছিল প্রচণ্ড সাহসে,
তুমি ভালোবাসার লাভা উদগীরণ করেছিলে
এই ভূখণ্ডের ছাপান্ন হাজার বর্গমাইলজুড়ে।
তোমার জলদগম্ভীরস্বরে আর পবিত্র চেহারার ঝলকে
তাইতে সেদিন জেগে উঠেছিল ঘুমন্ত বাঙালি।
তোমার সিংহনাদে প্রতিটি বাঙালি হয়ে উঠেছিল
একেকটি ব্যাঘ্রশাবক আর পুরুষসিংহ!
কিংবা দেশপ্রেমিক সবাই হয়ে উঠেছিল সিংহপুরুষ!
সকল ভয়, আর বরাভয়কে পদদলিত করে
বাঙালি সেদিন আমেরিকা, চীন, সৌদিআরবের
মুখে সুতীব্র আক্রোশে করেছিল চপোটাঘাত,
তাদের শেষরক্ষা হয়নি ষড়যন্ত্রের জাল বপন করেও।
মেরুদণ্ডহীন, শৃগাল, হায়েনা আর আরশোলারা
সেদিন কত ফুর্তিতে ঘর বেঁধেছিল পাকিপ্রেমে,
তবুও তুমি ছিলে অনড়, অটল, অবিচল,
আর দেশপ্রেমে তুমি হয়ে উঠেছিলে চিরতরে অক্ষয়।
পৃথিবীতে এমন কোনো কারাগার ছিল না
তোমাকে আটকিয়ে রাখবে চিরতরে
তবুও নেকড়ের আর হায়েনার জাত পাকিস্তানি
তোমাকে বন্দি করে রেখেছিল অন্ধ-কারাগারে,
এতে পরম সুখে অট্টহাসিতে ফেটে পড়েছিল
শুধু মুখচেনা মীরজাফরের বংশধরেরা।
তুমি তো মরতেই চেয়েছিলে স্বদেশের জন্য,
তুমি মরতে চেয়েছিলে বাঙালির স্বাধীনতার জন্য,
আর বাঙালি মরেছিল, লড়েছিল শুধু তোমার জন্য।
তোমার পবিত্র মুখের হাসি ধরে রাখার জন্য
ছাপান্ন হাজার বর্গমাইলজুড়ে ফুটেছিল আগুনের ফুল!
তাঁরা জাতির বুকে অভিহিত হয়েছিল মুক্তিযোদ্ধা-নামে।
বিজয়ীর বেশে তুমি ফিরে না-এলে
আমাদের স্বাধীনতা কখনো হতো না পরিপূর্ণ-অর্থপূর্ণ,
তুমি ফিরে না-এলে এই জাতি আবার হতো পরাধীন,
পিতা, আজও তুমি আমাদের স্বাধীনতার অতন্দ্র প্রহরী
আর বাঙালি-জাতিসত্তার চিরদিনের আশীর্বাদক।
সাইয়িদ রফিকুল হক
১০/০১/২০২১
সাইয়িদ রফিকুল হক
সেদিন আমেরিকা, চীন, সৌদিআরব
ধনসম্পদ আর যাবতীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে
দাঁড়িয়েছিল পাকিস্তানের পক্ষে!
তবুও কোনো ভয় দেখিনি পিতা তোমার চোখেমুখে,
আর ভয়ের লেশমাত্র ছিল না তোমার
ছাপান্ন মাইল বিস্তৃত বক্ষোদেশে।
তোমার সাহসে ভয় পায়নি বাংলার কোনো বাঙালি,
শুধু মিনমিন করছিল অবাঙালি আর বিহারি!
তিন মিলিয়ন মানুষ সেদিন
তোমার ভাষণ শুনতে জমায়েত হয়েছিল
রেসকোর্সের ঐতিহাসিক ময়দানে।
তুমি সবার ভয়ডর কেড়ে নিয়েছিলে
আর প্রতিটি বাঙালি অন্তরে জাগিয়ে দিয়েছিলে
সাহসের সুবিশাল পিরামিড।
তোমার উন্নত চিত্ত ভরা ছিল প্রচণ্ড সাহসে,
তুমি ভালোবাসার লাভা উদগীরণ করেছিলে
এই ভূখণ্ডের ছাপান্ন হাজার বর্গমাইলজুড়ে।
তোমার জলদগম্ভীরস্বরে আর পবিত্র চেহারার ঝলকে
তাইতে সেদিন জেগে উঠেছিল ঘুমন্ত বাঙালি।
তোমার সিংহনাদে প্রতিটি বাঙালি হয়ে উঠেছিল
একেকটি ব্যাঘ্রশাবক আর পুরুষসিংহ!
কিংবা দেশপ্রেমিক সবাই হয়ে উঠেছিল সিংহপুরুষ!
সকল ভয়, আর বরাভয়কে পদদলিত করে
বাঙালি সেদিন আমেরিকা, চীন, সৌদিআরবের
মুখে সুতীব্র আক্রোশে করেছিল চপোটাঘাত,
তাদের শেষরক্ষা হয়নি ষড়যন্ত্রের জাল বপন করেও।
মেরুদণ্ডহীন, শৃগাল, হায়েনা আর আরশোলারা
সেদিন কত ফুর্তিতে ঘর বেঁধেছিল পাকিপ্রেমে,
তবুও তুমি ছিলে অনড়, অটল, অবিচল,
আর দেশপ্রেমে তুমি হয়ে উঠেছিলে চিরতরে অক্ষয়।
পৃথিবীতে এমন কোনো কারাগার ছিল না
তোমাকে আটকিয়ে রাখবে চিরতরে
তবুও নেকড়ের আর হায়েনার জাত পাকিস্তানি
তোমাকে বন্দি করে রেখেছিল অন্ধ-কারাগারে,
এতে পরম সুখে অট্টহাসিতে ফেটে পড়েছিল
শুধু মুখচেনা মীরজাফরের বংশধরেরা।
তুমি তো মরতেই চেয়েছিলে স্বদেশের জন্য,
তুমি মরতে চেয়েছিলে বাঙালির স্বাধীনতার জন্য,
আর বাঙালি মরেছিল, লড়েছিল শুধু তোমার জন্য।
তোমার পবিত্র মুখের হাসি ধরে রাখার জন্য
ছাপান্ন হাজার বর্গমাইলজুড়ে ফুটেছিল আগুনের ফুল!
তাঁরা জাতির বুকে অভিহিত হয়েছিল মুক্তিযোদ্ধা-নামে।
বিজয়ীর বেশে তুমি ফিরে না-এলে
আমাদের স্বাধীনতা কখনো হতো না পরিপূর্ণ-অর্থপূর্ণ,
তুমি ফিরে না-এলে এই জাতি আবার হতো পরাধীন,
পিতা, আজও তুমি আমাদের স্বাধীনতার অতন্দ্র প্রহরী
আর বাঙালি-জাতিসত্তার চিরদিনের আশীর্বাদক।
সাইয়িদ রফিকুল হক
১০/০১/২০২১
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
ফয়জুল মহী ১০/০১/২০২১নন্দিত শিল্প সাধন ও অসামান্য উপস্থাপন ।