মানুষের অসুখ আর প্রকৃতির সুখ
মানুষের অসুখ আর প্রকৃতির সুখ
সাইয়িদ রফিকুল হক
মানুষের খুব ক্ষতি হলেও প্রকৃতি আজ দারুণ খুশি!
ওরা যেন আজ মন খুলে একটু হাসবার সুযোগ পেয়েছে,
এখন কোথাও মানুষের কোলাহল আর অত্যাচার নাই।
প্রকৃতির মগজ ছিন্নভিন্ন করার মতো অমানুষেরা নেই মাঠে!
তাদের বিষাক্ত পদভারে আর প্রকম্পিত হয় না সবুজপৃথিবী।
করোনাভাইরাসের দাপটে মানুষগুলো আচমকা ঢুকে গেছে ঘরে,
তাদের অযাচিত পদভারে আর ক্ষুধার্ত নেকড়েসম বিষাক্ত হাতে
নিষ্পেষিত হচ্ছে না কেউই—রেহাই পেয়েছে পৃথিবীর বৃক্ষগুলো।
অনেক অমানুষের হাত অহেতুক চুলকায় আর
এরা গাছের পাতা কিংবা ফুল-ফল দেখলে শুধু ছিঁড়তে চায়,
আজ সেইসব দানব একেবারে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে!
এবার প্রকৃতি সত্যি দারুণ সাজে সজ্জিত হয়েছে!
আর মন খুলে অবিরাম হাসবার একটু সুযোগ পেয়েছে।
রাস্তার পাশে বুনো লতাগুলো কী সুন্দর করে হাসছে এখন!
তার পাশে নরম রোদে শুয়ে আছে আরও কতরকম সবুজ ঘাস,
কেউ তাদের নিষ্ঠুর হাতে ছুঁয়ে দেখে না কিংবা ধর্ষণ করে না।
বাংলাদেশের মেঠোপথ, পিচঢালাপথ, উন্মুক্তমাঠ সবকিছু এখন
দারুণ একটা ভালোবাসার জোয়ারে বেড়ে উঠছে সজীব হয়ে।
সরকারি পার্কে, রাস্তার পাশে কিংবা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর উদ্যানে
অমানুষের আনাগোনা থমকে যাওয়ায় নিরাপদ জীবন খুঁজে পেয়েছে
কত শত বছরের নির্যাতিত-শোষিত আমাদের ভালোবাসার প্রকৃতি!
সেখানে আজ অবাধে হাস্যোজ্জ্বল মুখে প্রস্ফুটিত হয়েছে কৃষ্ণচূড়া,
রাধাচূড়া, গন্ধরাজ, সোনালিলতা, কাঁঠালচাঁপা, সোনালু আরও কত কী?
এই মানুষের হাতে আমাদের ভালোবাসার প্রকৃতি চিরদিনই নিগৃহীত,
এবার তাদের উন্মুক্ত বাতাসে চিরযৌবনা হয়ে প্রস্ফুটিত হওয়ার
দারুণ একটা সম্ভাবনার দ্বার হঠাৎ করেই যেন খুলে গিয়েছে।
বাংলাদেশে মানুষের অসুখ হলেও প্রকৃতির মুখে দারুণ হাসি!
পৃথিবীর এই সবুজপ্রকৃতির বেড়ে ওঠার পথে
একশ্রেণীর অমানুষ আর বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারবে না।
সাইয়িদ রফিকুল হক
০৪/০৫/২০২০
সাইয়িদ রফিকুল হক
মানুষের খুব ক্ষতি হলেও প্রকৃতি আজ দারুণ খুশি!
ওরা যেন আজ মন খুলে একটু হাসবার সুযোগ পেয়েছে,
এখন কোথাও মানুষের কোলাহল আর অত্যাচার নাই।
প্রকৃতির মগজ ছিন্নভিন্ন করার মতো অমানুষেরা নেই মাঠে!
তাদের বিষাক্ত পদভারে আর প্রকম্পিত হয় না সবুজপৃথিবী।
করোনাভাইরাসের দাপটে মানুষগুলো আচমকা ঢুকে গেছে ঘরে,
তাদের অযাচিত পদভারে আর ক্ষুধার্ত নেকড়েসম বিষাক্ত হাতে
নিষ্পেষিত হচ্ছে না কেউই—রেহাই পেয়েছে পৃথিবীর বৃক্ষগুলো।
অনেক অমানুষের হাত অহেতুক চুলকায় আর
এরা গাছের পাতা কিংবা ফুল-ফল দেখলে শুধু ছিঁড়তে চায়,
আজ সেইসব দানব একেবারে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে!
এবার প্রকৃতি সত্যি দারুণ সাজে সজ্জিত হয়েছে!
আর মন খুলে অবিরাম হাসবার একটু সুযোগ পেয়েছে।
রাস্তার পাশে বুনো লতাগুলো কী সুন্দর করে হাসছে এখন!
তার পাশে নরম রোদে শুয়ে আছে আরও কতরকম সবুজ ঘাস,
কেউ তাদের নিষ্ঠুর হাতে ছুঁয়ে দেখে না কিংবা ধর্ষণ করে না।
বাংলাদেশের মেঠোপথ, পিচঢালাপথ, উন্মুক্তমাঠ সবকিছু এখন
দারুণ একটা ভালোবাসার জোয়ারে বেড়ে উঠছে সজীব হয়ে।
সরকারি পার্কে, রাস্তার পাশে কিংবা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর উদ্যানে
অমানুষের আনাগোনা থমকে যাওয়ায় নিরাপদ জীবন খুঁজে পেয়েছে
কত শত বছরের নির্যাতিত-শোষিত আমাদের ভালোবাসার প্রকৃতি!
সেখানে আজ অবাধে হাস্যোজ্জ্বল মুখে প্রস্ফুটিত হয়েছে কৃষ্ণচূড়া,
রাধাচূড়া, গন্ধরাজ, সোনালিলতা, কাঁঠালচাঁপা, সোনালু আরও কত কী?
এই মানুষের হাতে আমাদের ভালোবাসার প্রকৃতি চিরদিনই নিগৃহীত,
এবার তাদের উন্মুক্ত বাতাসে চিরযৌবনা হয়ে প্রস্ফুটিত হওয়ার
দারুণ একটা সম্ভাবনার দ্বার হঠাৎ করেই যেন খুলে গিয়েছে।
বাংলাদেশে মানুষের অসুখ হলেও প্রকৃতির মুখে দারুণ হাসি!
পৃথিবীর এই সবুজপ্রকৃতির বেড়ে ওঠার পথে
একশ্রেণীর অমানুষ আর বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারবে না।
সাইয়িদ রফিকুল হক
০৪/০৫/২০২০
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
স্বপন রোজারিও (মাইকেল) ০৪/০৫/২০২০বর্তমান অবস্থায় মানুষের অসুখ কিন্তু প্রকৃতির সুখ।
-
ফয়জুল মহী ০৪/০৫/২০২০সাবলীল সুন্দর উপস্থাপন
-
সিন্ধু সেঁচে মুক্তা-আব্দুল কাদির মিয়া ০৪/০৫/২০২০চমৎকার