মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ঢাকাসহ বাংলাদেশের ৬৫টি শহর এখনই লকডাউন করুন
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, ঢাকাসহ বাংলাদেশের ৬৫টি শহর এখনই লকডাউন করুন
সাইয়িদ রফিকুল হক
করোনাভাইরাস-প্রতিরোধ আর সময়ক্ষেপন করা দেশ-জাতির জন্য কখনো-কোনোভাবেই মঙ্গলজনক হবে না। দেশের স্বার্থে জনগণের মঙ্গলার্থে এখনই আমাদের এই ‘ভাইরাস-প্রতিরোধে’ সর্বাত্মক ও কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। ইতোমধ্যে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে এই ভাইরাস-প্রতিরোধে সর্বাত্মক ও কার্যকরী পদক্ষেপগ্রহণ করা হয়েছে। আমাদের পার্শ্ববর্তীদেশ ভারতে সরকার কার্যকরীপন্থা গ্রহণে বিলম্ব করায় সেখানে জনগণ ভারতজুড়ে ১৪ ঘণ্টার গণকারফিউ-পালন করেছেন। এরপর মোদী-সরকার বাধ্য হয়ে কলকাতা, মুম্বাই, চেন্নাই ও দিল্লিসহ ভারতের ৮০টি শহর ৩১-এ মার্চ পর্যন্ত ইতোমধ্যে ‘লকডাউন’ করে দিয়েছে। এই লকডাউন করে দেওয়া হয়েছে ভারতবাসীর স্বার্থে। ইতালিসহ পৃথিবীর অধিকাংশ রাষ্ট্র বর্তমানে করোনাভাইরাস-মোকাবেলায় তাদের দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীকে ব্যবহার করছে। এক্ষেত্রে আমরা এখনও পিছিয়ে রয়েছি। আমাদের বিমানবন্দর থেকে শুরু করে দেশের সকল গুরুত্বপূর্ণস্থানের দায়দায়িত্ব আমাদের সেনাবাহিনীর হাতে ছেড়ে দিন। নইলে, এই দেশের অসচেতন মানুষগুলোকে কোনোভাবেই নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে না। কামারের কাছে গিয়ে কুরআনের কথা বললে কোনো কাজ হবে না। সেখানে দরকার শুধু হাতুড়ি।
আজ শুধু ভারতে নয়—অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, স্পেন, ফ্রান্স, কানাডা, জার্মানি, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, মালয়েশিয়াসহ বহু দেশ তাদের প্রধান-প্রধান শহর-বন্দর অনির্দিষ্টকালের জন্য কিংবা দীর্ঘমেয়াদে ‘লকডাউন’ করে দিয়েছে। এসব দেশ আমাদের চেয়ে অনেক উন্নত। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, এদের মত ও পথ অনুসরণ করে আমাদের গুরুত্বপূর্ণ শহর-বন্দর এখনই লকডাউন করে দেওয়া উচিত।
এখনও আমাদের দেশের অসচেতন মানুষগুলো যত্রতত্র সভাসমাবেশ, পিকনিক, খাইদাই-পার্টি, ব্যবসায়িক ওয়াজমাহফিল, বিভিন্নভবনে ব্যবসায়িক কোচিং, রাজনৈতিক আড্ডাবাজি, গলাবাজি ইত্যাদি বহাল তবিয়তে চালু রেখেছে। এদের বিরুদ্ধে কঠোর ও কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করুন।
ইসলামধর্মের জন্মভূমি সৌদিআরবসহ আরবভূমির অধিকাংশ রাষ্ট্র আজ করোনাভাইরাস-প্রতিরোধে সেসব দেশের মসজিদসহ সকলপ্রকার ধর্মীয় সভাসমাবেশ কিংবা মসজিদে গিয়ে জামাতে-নামাজ সাময়িকভাবে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। অথচ, আমাদের দেশে এগুলো এখনও সাময়িকভাবে বন্ধ করা হয়নি। মালয়েশিয়ায় ‘করোনাভাইরাস-বিস্তারে’ মুখ্যভূমিকাপালন করেছে তাবলীগজামাত। এরা ধর্মের দোহাই দিয়ে আজ মানুষকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিচ্ছে।
করোনাভাইরাস-মোকাবেলায় ইসলামের দেশ সৌদিআরব এপর্যন্ত সবচেয়ে বড় ও কার্যকরী পদক্ষেপগ্রহণ করেছে। তারা হারামাইনশরীফ ও মসজিদে নব্বী ব্যতীত দেশের সকল মসজিদে জামাতে-নামাজ আদায় নিষিদ্ধ করেছে। এমনকি আজ থেকে তারা ২১দিনের জন্য সারাদেশে কারফিউ জারী করেছে। এসবকিছুই জনগণের মঙ্গলার্থে করেছে তারা। কারণ, আমাদের নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলে গেছেন, কোথাও আজাব-গজব এলে সেখানে ভালো ও মন্দ উভয়প্রকারের মানুষই মারা যাবে। তাই, মানুষের বেঁচে থাকার জন্য মহান আল্লাহর ওপর ভরসা করে সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে।
বিপদ আসার আগেই আমাদের সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। ভাইরাসের বিস্তার ঘটলে তখন লকডাউন করাটা হবে অর্থহীন। আগেভাগে সর্বত্র সতর্ককতা জারী করাটাই এখন শ্রেয়। আমাদের মনে রাখতে হবে: দেশের অধিকাংশ মানুষ এখনও সর্বদিক দিয়ে অসতর্ক ও অসচেতন। এদের আইন মানার প্রবণতাও একেবারে কম। তদুপরি আমাদের সিংহভাগ মানুষ বৈজ্ঞানিক ধন্যানধারণা থেকে একেবারে বঞ্চিত। এদের সজাগ করতে গেলে আমাদের বিপর্যয়ের মুখে পড়তে হবে। দেশের মানুষকে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে আইনের কঠোরশাসনদ্বারা। এজন্য লকডাউন ও সেনাবাহিনী নামানো অতীব জরুরি।
আমরা ঘনজনবসতিপূর্ণ দেশের অধিবাসী। আমাদের করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার শঙ্কা আরও বেশি। অন্যদিকে এটি প্রতিরোধে বিশ্বের সকল উন্নতদেশের তুলনায় আমাদের সামর্থ্যও কম। তা সত্ত্বেও, আমরা অনেকদিক দিয়ে আজও বিরাট অজ্ঞ ও অসচেতন জাতি। এমতাবস্থায়, আমাদের জীবনরক্ষার্থে মহান আল্লাহর নিকট প্রার্থনা করাসহ সবার আগে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাসহ দেশের ৬৪টি জেলার ৬৪টি শহর, এবং তৎসঙ্গে ১০টি বিভাগের বিভাগীয় শহরগুলোও অতিদ্রুত লকডাউন করে দিন। মানুষ আর মানবতারক্ষার স্বার্থে ঢাকাসহ বাংলাদেশের ৬৫টি শহর এখনই লকডাউন করুন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, বাংলাদেশরাষ্ট্রের স্বার্থে আপনি ঢাকাসহ বাংলাদেশের ৬৫টি শহর এখনই লকডাউন করুন।
সাইয়িদ রফিকুল হক
২৩/০৩/২০২০
সাইয়িদ রফিকুল হক
করোনাভাইরাস-প্রতিরোধ আর সময়ক্ষেপন করা দেশ-জাতির জন্য কখনো-কোনোভাবেই মঙ্গলজনক হবে না। দেশের স্বার্থে জনগণের মঙ্গলার্থে এখনই আমাদের এই ‘ভাইরাস-প্রতিরোধে’ সর্বাত্মক ও কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। ইতোমধ্যে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে এই ভাইরাস-প্রতিরোধে সর্বাত্মক ও কার্যকরী পদক্ষেপগ্রহণ করা হয়েছে। আমাদের পার্শ্ববর্তীদেশ ভারতে সরকার কার্যকরীপন্থা গ্রহণে বিলম্ব করায় সেখানে জনগণ ভারতজুড়ে ১৪ ঘণ্টার গণকারফিউ-পালন করেছেন। এরপর মোদী-সরকার বাধ্য হয়ে কলকাতা, মুম্বাই, চেন্নাই ও দিল্লিসহ ভারতের ৮০টি শহর ৩১-এ মার্চ পর্যন্ত ইতোমধ্যে ‘লকডাউন’ করে দিয়েছে। এই লকডাউন করে দেওয়া হয়েছে ভারতবাসীর স্বার্থে। ইতালিসহ পৃথিবীর অধিকাংশ রাষ্ট্র বর্তমানে করোনাভাইরাস-মোকাবেলায় তাদের দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীকে ব্যবহার করছে। এক্ষেত্রে আমরা এখনও পিছিয়ে রয়েছি। আমাদের বিমানবন্দর থেকে শুরু করে দেশের সকল গুরুত্বপূর্ণস্থানের দায়দায়িত্ব আমাদের সেনাবাহিনীর হাতে ছেড়ে দিন। নইলে, এই দেশের অসচেতন মানুষগুলোকে কোনোভাবেই নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে না। কামারের কাছে গিয়ে কুরআনের কথা বললে কোনো কাজ হবে না। সেখানে দরকার শুধু হাতুড়ি।
আজ শুধু ভারতে নয়—অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, স্পেন, ফ্রান্স, কানাডা, জার্মানি, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, মালয়েশিয়াসহ বহু দেশ তাদের প্রধান-প্রধান শহর-বন্দর অনির্দিষ্টকালের জন্য কিংবা দীর্ঘমেয়াদে ‘লকডাউন’ করে দিয়েছে। এসব দেশ আমাদের চেয়ে অনেক উন্নত। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, এদের মত ও পথ অনুসরণ করে আমাদের গুরুত্বপূর্ণ শহর-বন্দর এখনই লকডাউন করে দেওয়া উচিত।
এখনও আমাদের দেশের অসচেতন মানুষগুলো যত্রতত্র সভাসমাবেশ, পিকনিক, খাইদাই-পার্টি, ব্যবসায়িক ওয়াজমাহফিল, বিভিন্নভবনে ব্যবসায়িক কোচিং, রাজনৈতিক আড্ডাবাজি, গলাবাজি ইত্যাদি বহাল তবিয়তে চালু রেখেছে। এদের বিরুদ্ধে কঠোর ও কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করুন।
ইসলামধর্মের জন্মভূমি সৌদিআরবসহ আরবভূমির অধিকাংশ রাষ্ট্র আজ করোনাভাইরাস-প্রতিরোধে সেসব দেশের মসজিদসহ সকলপ্রকার ধর্মীয় সভাসমাবেশ কিংবা মসজিদে গিয়ে জামাতে-নামাজ সাময়িকভাবে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। অথচ, আমাদের দেশে এগুলো এখনও সাময়িকভাবে বন্ধ করা হয়নি। মালয়েশিয়ায় ‘করোনাভাইরাস-বিস্তারে’ মুখ্যভূমিকাপালন করেছে তাবলীগজামাত। এরা ধর্মের দোহাই দিয়ে আজ মানুষকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিচ্ছে।
করোনাভাইরাস-মোকাবেলায় ইসলামের দেশ সৌদিআরব এপর্যন্ত সবচেয়ে বড় ও কার্যকরী পদক্ষেপগ্রহণ করেছে। তারা হারামাইনশরীফ ও মসজিদে নব্বী ব্যতীত দেশের সকল মসজিদে জামাতে-নামাজ আদায় নিষিদ্ধ করেছে। এমনকি আজ থেকে তারা ২১দিনের জন্য সারাদেশে কারফিউ জারী করেছে। এসবকিছুই জনগণের মঙ্গলার্থে করেছে তারা। কারণ, আমাদের নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলে গেছেন, কোথাও আজাব-গজব এলে সেখানে ভালো ও মন্দ উভয়প্রকারের মানুষই মারা যাবে। তাই, মানুষের বেঁচে থাকার জন্য মহান আল্লাহর ওপর ভরসা করে সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে।
বিপদ আসার আগেই আমাদের সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। ভাইরাসের বিস্তার ঘটলে তখন লকডাউন করাটা হবে অর্থহীন। আগেভাগে সর্বত্র সতর্ককতা জারী করাটাই এখন শ্রেয়। আমাদের মনে রাখতে হবে: দেশের অধিকাংশ মানুষ এখনও সর্বদিক দিয়ে অসতর্ক ও অসচেতন। এদের আইন মানার প্রবণতাও একেবারে কম। তদুপরি আমাদের সিংহভাগ মানুষ বৈজ্ঞানিক ধন্যানধারণা থেকে একেবারে বঞ্চিত। এদের সজাগ করতে গেলে আমাদের বিপর্যয়ের মুখে পড়তে হবে। দেশের মানুষকে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে আইনের কঠোরশাসনদ্বারা। এজন্য লকডাউন ও সেনাবাহিনী নামানো অতীব জরুরি।
আমরা ঘনজনবসতিপূর্ণ দেশের অধিবাসী। আমাদের করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার শঙ্কা আরও বেশি। অন্যদিকে এটি প্রতিরোধে বিশ্বের সকল উন্নতদেশের তুলনায় আমাদের সামর্থ্যও কম। তা সত্ত্বেও, আমরা অনেকদিক দিয়ে আজও বিরাট অজ্ঞ ও অসচেতন জাতি। এমতাবস্থায়, আমাদের জীবনরক্ষার্থে মহান আল্লাহর নিকট প্রার্থনা করাসহ সবার আগে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাসহ দেশের ৬৪টি জেলার ৬৪টি শহর, এবং তৎসঙ্গে ১০টি বিভাগের বিভাগীয় শহরগুলোও অতিদ্রুত লকডাউন করে দিন। মানুষ আর মানবতারক্ষার স্বার্থে ঢাকাসহ বাংলাদেশের ৬৫টি শহর এখনই লকডাউন করুন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, বাংলাদেশরাষ্ট্রের স্বার্থে আপনি ঢাকাসহ বাংলাদেশের ৬৫টি শহর এখনই লকডাউন করুন।
সাইয়িদ রফিকুল হক
২৩/০৩/২০২০
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
মোহন দাস (বিষাক্ত কবি) ২৭/০৩/২০২০সারা বিশ্ব
-
স্বপন রোজারিও (মাইকেল) ২৪/০৩/২০২০সারা দেশ লকডাউন করার সময় এসেছে
-
একনিষ্ঠ অনুগত ২৪/০৩/২০২০আমরা সাধারণ জনগণ, সাধারণ চোখ দিয়েই আমরা দেখি এবং তাই বলি। তবে আমি বিশ্বাস করি রাষ্ট্র পরিচালনা অনেক জটিল কাজ। আমাদের দাবী থাকতেই পারে, বর্তমানে যারা রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্বে আছেন তাঁদের জ্ঞান, প্রজ্ঞা ও অভিজ্ঞতা দিয়ে সঠিক সিদ্ধান্তই গ্রহণ করবেন ইনশাআল্লাহ্।
-
পি পি আলী আকবর ২৪/০৩/২০২০সুন্দর কাজ
-
শঙ্খজিৎ ভট্টাচার্য ২৩/০৩/২০২০good job