শিশুতোষগল্প--টুনটুনিদের বেঁচে থাকার গল্প
শিশুতোষগল্প:
টুনটুনিদের বেঁচে থাকার গল্প
সাইয়িদ রফিকুল হক
টোনাটুনি পাঁচ-দিন আগে বাসা বেঁধেছে করমচার ঝোড়ে।
খন্দকারবাড়ির বড় করমচা-গাছটাতে ওদের বাসা।
টুনি ইতোমধ্যে দুটো ডিমও পেড়েছে। ওরা নিয়মিত ডিম দুটোকে পাহারা দেয়। বাসার আশেপাশে কয়েকটি কাককে ওরা ঘোরাফেরা করতে দেখেছে। সেই থেকে ওদের মনে ভয়। এজন্য টোনাটুনি একসেকেন্ডের জন্যও বাসা ছেড়ে কোথাও যায় না। যদি কোনো বিশেষ প্রয়োজন পড়ে তখন হয় টোনা আর নয়তো টুনি একা বাইরে যায়।
ক’দিন আগে ওরা আরও ভয় পেয়েছে দুটি বড় সাপকে দেখে। সাপ দুটো ওদের বাসার কাছে ঘোরাফেরা করছিল। ভাগ্যিস, ওদের বাসাটা একটু উপরে ছিল। তাই, সাপ দুটো তা দেখতে পায়নি।
সাপ আবার পাখির ডিম খাওয়ায় ভীষণ পটু। ওরা ভয়ানক ডিম-লোভী।
এরপর থেকে টোনাটুনি সারারাত ঘুমাতে পারে না। ওরা দুটিতে মিলেমিশে রাত-জেগে পালাক্রমে ডিম পাহারা দেয়।
রাতের বেলা চারিদিকের নানারকম শব্দে ওরা ভয় পায়। আর বেশি ভয় পায় ওই বিষধর সাপ দুটোকে। ওরা কানাকুয়া-পাখিটার সঙ্গে কথা বলে জানতে পেরেছে, ও দুটো গোখরা-সাপ। ওদের আছে ভয়ংকর বিষ! সেই থেকে ওদের সাবধানতার মাত্রা আরও বেড়ে গিয়েছে।
কাকের ভয়, সাপের ভয়, টোনাটুনিদের খুব ভয় পাইয়ে দিয়েছে। তবুও ওরা বাঁচার চেষ্টা করে। আর ডিম দুটোকে পাহারা দিতে থাকে।
টোনা বাইরে যাওয়ায় টুনি বাসার ভিতরে বসে মনের সুখে ডিমে তা দিচ্ছে। আর ভাবছে, ডিম দুটো ফুটে কখন বাচ্চা বের হবে। আর দুটোর একটা ছেলে না একটা মেয়ে হবে? নাকি দুটোই ছেলে কিংবা মেয়ে হবে?
সে আপনমনে হাসে আর ভাবে। যাই হোক, ওরা যেন পৃথিবীর আলো দেখতে পারে। সাপের কবল থেকে ওদের বাঁচাতে পারলে আর-কোনো চিন্তা নাই।
টুনি বাসায় বসে যখন এসব ভাবছে তখন সে বাইরে বেশ শোরগোল শুনলো। দেখলো, আশেপাশে কয়েকটা শালিক খুব চেঁচামেচি জুড়ে দিয়েছে।
সে বাসার বাইরে এসে দেখলো, সেই বিষধর গোখরা-সাপ দুটো আজ আবার ওদের বাসার আশেপাশে ফোঁসফাঁস করছে।
ভয়ে টুনির গায়ের রক্ত যেন হিম হয়ে আসে।
শালিকগুলোর চিৎকার ও চেঁচামেচিতে সাপ দুটো আপাততঃ পালিয়ে গেলেও টুনি খুশি হতে পারলো না। সে জানে, ওরা আবার ফিরে আসবে। তার কারণ, পাখির ডিমের প্রতি সাপের ভীষণ লোভ। তবুও ওদের বাসার কাছাকাছি বড় জামগাছটাতে শালিক-পাখিদের বাসা তৈরি করতে দেখে টুনি খুশি হলো। যাক, তবুও সাহসী প্রতিবেশী পাওয়া গেল।
একটুখানি পরে টোনা ফিরে এলে টুনি তার কাছে সব খুলে বললো।
সব শুনে টোনা বললো, “আমাদের এখনই সাপের শত্রু বেজির সঙ্গে আলাপ করতে হবে। নইলে আমাদের অনাগত সন্তানসন্ততিকে কোনোভাবেই বাঁচানো যাবে না।”
টুনি চিন্তিতমুখে বললো, “তাড়াতাড়ি তা-ই কর।”
ওরা বাসার কাছে বসে রইলো। আর বেজিকে খুঁজতে লাগলো। ওদের বাসার আশেপাশে বেজিরা মাঝে-মাঝে ঘোরাফেরা করে।
দুপুরের সময় ওরা দেখলো, দুটো বেজি এদিকেই আসছে।
খুশিতে টোনাটুনি ডাকতে লাগলো, “বেজি-ভাই, বেজি-ভাই। একটু দাঁড়াও। আমাদের বড় বিপদ। একটু বুদ্ধি দিয়ে সাহায্য কর।”
এতে বেজি দুটো সঙ্গে-সঙ্গে থমকে দাঁড়ালো।
টোনা খুব উদ্বিগ্ন হয়ে বললো, “বেজি-ভাই, আমরা এখানে এসেছি এক-মাস হলো। ইতোমধ্যে টুনি নতুন বাসায় দুটো ডিমও পেড়েছে।কিন্তু দু’দিন পরেই আমরা দেখতে পেয়েছি, দুটো বড় পাজী সাপ আমাদের বাসার আশেপাশে ঘোরাফেরা করছে। মনে হয়, ওরা আমাদের ডিম দুটো খেতে চায়। তুমি আমাদের ডিম দুটোকে বাঁচানোর একটা উপায় বলে দাও ভাই।”
বেজি কিছুক্ষণ চুপ থেকে কী যেন ভাবতে লাগলো। তারপর বললো, “ওই সাপ দুটোকে আমরা চিনি। ওরা গোখরা-সাপ। খুব বিষাক্ত। ওদের আমরা খুঁজছি। আমাদের সামনে পড়লে ওদের গলাটিপে মেরে ফেলবো। কিন্তু ওরা সহজে আমাদের সামনে আসে না।”
টুনি একটু কাছে এগিয়ে এসে বললো, “ভাইজান, আমাদের জন্য একটাকিছু কর।”
বেজি আরও কিছুক্ষণ চুপচাপ থেকে বললো, “তোমরা একটা কাজ করতে পারবে?”
টোনাটুনি একসঙ্গে বললো, “কী কাজ?”
বেজি বললো, “জেলেপাড়ায় গিয়ে জেলেদের ফেলে দেওয়া বা পুরানো একটা কারেন্ট-জাল আনতে পারবে?”
টোনাটুনি বললো, “হ্যাঁ, পারবো।”
বেজি এবার বললো, “তাইলে তোমাদের বিপদ কেটে যাবে।”
টোনা বললো, “কীভাবে?”
বেজি বললো, “তোমাদের বাসার চারপাশে খুব সুন্দর করে কারেন্ট-জালের বেড়া দিয়ে রাখবে। এর ফলে সাপ কখনও তোমাদের বাসায় ডিম খেতে এলে কারেন্ট-জালে জড়িয়ে মারা যাবে।”
টোনাটুনি আনন্দে হাততালি দিয়ে উঠলো।
বেজি হাসিমুখে ওদের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে তার মেয়ের বাড়ির দিকে রওনা হলো।
বেজির কথা শুনে টোনা তখনই জেলেপাড়ায় ছুটে গেল। আর খুঁজে বের করলো একখানা পরিত্যক্ত কারেন্ট-জাল। কিন্তু জালের তো অনেক ওজন আছে। সে একা এটা আনতে পারবে না।
সে মনখারাপ করে বাসায় ফিরে এলো। তারপর টুনির সঙ্গে পরামর্শ করে একটা বুদ্ধি বের করলো।
ওদের বাসার কাছে জামগাছে বাসাবাঁধা শালিক-পাখির বাসায় গেল। টোনা খুব মনখারাপ করে শালিক দুটোকে ওদের দুঃখের কথা বললো। সব শুনে শালিক-পাখি বললো, “হু, তোমাদের বুদ্ধি ভালো। ওই সাপ দুটো আমাদেরও ক্ষতি করতে পারে। তাই, ওদের মরাই ভালো। চল তবে এখনই জাল নিয়ে আসি।”—এই বলে টোনার সঙ্গে শালিক দুটোও জেলেপাড়ায় জাল আনতে ছুটে গেল।
জেলেদের পুরানো একটা ঘরের পিছনে জালটা পড়ে ছিল। ওটা দেখামাত্র শালিক দুটো কামড়ে ধরে উড়তে শুরু করলো। আর টোনাও ওদের সঙ্গে জালটা মুখে নিয়ে একত্রে উড়তে লাগলো।
অল্পসময়ের মধ্যে ওরা বাসার কাছে ফিরে এলো। তারপর সবাই মিলে টোনাটুনির বাসাটা ঘিরে ফেললো।
সন্ধ্যায় নিজের বাড়িতে ফেরার আগে বেজি দুটো দেখলো, টোনাটুনির বাসাটা জাল দিয়ে ঘেরা। ওরা খুব খুশি হলো।
আজ রাতে নির্ভয়ে টোনাটুনি ঘুমাতে লাগলো। ওরা নিশ্চিন্তে ঘুমাচ্ছে। অনেকদিন পরে ওরা যেন ঘুমের রাজ্যে চলে গেল।
সকালে ঘুম থেকে জেগে টোনাটুনি দেখলো, সেই সাপ দুটো জালে আটকা পড়ে কাঁদছে।
টোনা আনন্দে উড়ে গিয়ে বেজি দুটোকে ডেকে আনলো। ওরা সাপ দুটোকে মেরে ফেললো।
বেঁচে গেল টোনাটুনি।
সাইয়িদ রফিকুল হক
০৩/১১/২০১৮
টুনটুনিদের বেঁচে থাকার গল্প
সাইয়িদ রফিকুল হক
টোনাটুনি পাঁচ-দিন আগে বাসা বেঁধেছে করমচার ঝোড়ে।
খন্দকারবাড়ির বড় করমচা-গাছটাতে ওদের বাসা।
টুনি ইতোমধ্যে দুটো ডিমও পেড়েছে। ওরা নিয়মিত ডিম দুটোকে পাহারা দেয়। বাসার আশেপাশে কয়েকটি কাককে ওরা ঘোরাফেরা করতে দেখেছে। সেই থেকে ওদের মনে ভয়। এজন্য টোনাটুনি একসেকেন্ডের জন্যও বাসা ছেড়ে কোথাও যায় না। যদি কোনো বিশেষ প্রয়োজন পড়ে তখন হয় টোনা আর নয়তো টুনি একা বাইরে যায়।
ক’দিন আগে ওরা আরও ভয় পেয়েছে দুটি বড় সাপকে দেখে। সাপ দুটো ওদের বাসার কাছে ঘোরাফেরা করছিল। ভাগ্যিস, ওদের বাসাটা একটু উপরে ছিল। তাই, সাপ দুটো তা দেখতে পায়নি।
সাপ আবার পাখির ডিম খাওয়ায় ভীষণ পটু। ওরা ভয়ানক ডিম-লোভী।
এরপর থেকে টোনাটুনি সারারাত ঘুমাতে পারে না। ওরা দুটিতে মিলেমিশে রাত-জেগে পালাক্রমে ডিম পাহারা দেয়।
রাতের বেলা চারিদিকের নানারকম শব্দে ওরা ভয় পায়। আর বেশি ভয় পায় ওই বিষধর সাপ দুটোকে। ওরা কানাকুয়া-পাখিটার সঙ্গে কথা বলে জানতে পেরেছে, ও দুটো গোখরা-সাপ। ওদের আছে ভয়ংকর বিষ! সেই থেকে ওদের সাবধানতার মাত্রা আরও বেড়ে গিয়েছে।
কাকের ভয়, সাপের ভয়, টোনাটুনিদের খুব ভয় পাইয়ে দিয়েছে। তবুও ওরা বাঁচার চেষ্টা করে। আর ডিম দুটোকে পাহারা দিতে থাকে।
টোনা বাইরে যাওয়ায় টুনি বাসার ভিতরে বসে মনের সুখে ডিমে তা দিচ্ছে। আর ভাবছে, ডিম দুটো ফুটে কখন বাচ্চা বের হবে। আর দুটোর একটা ছেলে না একটা মেয়ে হবে? নাকি দুটোই ছেলে কিংবা মেয়ে হবে?
সে আপনমনে হাসে আর ভাবে। যাই হোক, ওরা যেন পৃথিবীর আলো দেখতে পারে। সাপের কবল থেকে ওদের বাঁচাতে পারলে আর-কোনো চিন্তা নাই।
টুনি বাসায় বসে যখন এসব ভাবছে তখন সে বাইরে বেশ শোরগোল শুনলো। দেখলো, আশেপাশে কয়েকটা শালিক খুব চেঁচামেচি জুড়ে দিয়েছে।
সে বাসার বাইরে এসে দেখলো, সেই বিষধর গোখরা-সাপ দুটো আজ আবার ওদের বাসার আশেপাশে ফোঁসফাঁস করছে।
ভয়ে টুনির গায়ের রক্ত যেন হিম হয়ে আসে।
শালিকগুলোর চিৎকার ও চেঁচামেচিতে সাপ দুটো আপাততঃ পালিয়ে গেলেও টুনি খুশি হতে পারলো না। সে জানে, ওরা আবার ফিরে আসবে। তার কারণ, পাখির ডিমের প্রতি সাপের ভীষণ লোভ। তবুও ওদের বাসার কাছাকাছি বড় জামগাছটাতে শালিক-পাখিদের বাসা তৈরি করতে দেখে টুনি খুশি হলো। যাক, তবুও সাহসী প্রতিবেশী পাওয়া গেল।
একটুখানি পরে টোনা ফিরে এলে টুনি তার কাছে সব খুলে বললো।
সব শুনে টোনা বললো, “আমাদের এখনই সাপের শত্রু বেজির সঙ্গে আলাপ করতে হবে। নইলে আমাদের অনাগত সন্তানসন্ততিকে কোনোভাবেই বাঁচানো যাবে না।”
টুনি চিন্তিতমুখে বললো, “তাড়াতাড়ি তা-ই কর।”
ওরা বাসার কাছে বসে রইলো। আর বেজিকে খুঁজতে লাগলো। ওদের বাসার আশেপাশে বেজিরা মাঝে-মাঝে ঘোরাফেরা করে।
দুপুরের সময় ওরা দেখলো, দুটো বেজি এদিকেই আসছে।
খুশিতে টোনাটুনি ডাকতে লাগলো, “বেজি-ভাই, বেজি-ভাই। একটু দাঁড়াও। আমাদের বড় বিপদ। একটু বুদ্ধি দিয়ে সাহায্য কর।”
এতে বেজি দুটো সঙ্গে-সঙ্গে থমকে দাঁড়ালো।
টোনা খুব উদ্বিগ্ন হয়ে বললো, “বেজি-ভাই, আমরা এখানে এসেছি এক-মাস হলো। ইতোমধ্যে টুনি নতুন বাসায় দুটো ডিমও পেড়েছে।কিন্তু দু’দিন পরেই আমরা দেখতে পেয়েছি, দুটো বড় পাজী সাপ আমাদের বাসার আশেপাশে ঘোরাফেরা করছে। মনে হয়, ওরা আমাদের ডিম দুটো খেতে চায়। তুমি আমাদের ডিম দুটোকে বাঁচানোর একটা উপায় বলে দাও ভাই।”
বেজি কিছুক্ষণ চুপ থেকে কী যেন ভাবতে লাগলো। তারপর বললো, “ওই সাপ দুটোকে আমরা চিনি। ওরা গোখরা-সাপ। খুব বিষাক্ত। ওদের আমরা খুঁজছি। আমাদের সামনে পড়লে ওদের গলাটিপে মেরে ফেলবো। কিন্তু ওরা সহজে আমাদের সামনে আসে না।”
টুনি একটু কাছে এগিয়ে এসে বললো, “ভাইজান, আমাদের জন্য একটাকিছু কর।”
বেজি আরও কিছুক্ষণ চুপচাপ থেকে বললো, “তোমরা একটা কাজ করতে পারবে?”
টোনাটুনি একসঙ্গে বললো, “কী কাজ?”
বেজি বললো, “জেলেপাড়ায় গিয়ে জেলেদের ফেলে দেওয়া বা পুরানো একটা কারেন্ট-জাল আনতে পারবে?”
টোনাটুনি বললো, “হ্যাঁ, পারবো।”
বেজি এবার বললো, “তাইলে তোমাদের বিপদ কেটে যাবে।”
টোনা বললো, “কীভাবে?”
বেজি বললো, “তোমাদের বাসার চারপাশে খুব সুন্দর করে কারেন্ট-জালের বেড়া দিয়ে রাখবে। এর ফলে সাপ কখনও তোমাদের বাসায় ডিম খেতে এলে কারেন্ট-জালে জড়িয়ে মারা যাবে।”
টোনাটুনি আনন্দে হাততালি দিয়ে উঠলো।
বেজি হাসিমুখে ওদের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে তার মেয়ের বাড়ির দিকে রওনা হলো।
বেজির কথা শুনে টোনা তখনই জেলেপাড়ায় ছুটে গেল। আর খুঁজে বের করলো একখানা পরিত্যক্ত কারেন্ট-জাল। কিন্তু জালের তো অনেক ওজন আছে। সে একা এটা আনতে পারবে না।
সে মনখারাপ করে বাসায় ফিরে এলো। তারপর টুনির সঙ্গে পরামর্শ করে একটা বুদ্ধি বের করলো।
ওদের বাসার কাছে জামগাছে বাসাবাঁধা শালিক-পাখির বাসায় গেল। টোনা খুব মনখারাপ করে শালিক দুটোকে ওদের দুঃখের কথা বললো। সব শুনে শালিক-পাখি বললো, “হু, তোমাদের বুদ্ধি ভালো। ওই সাপ দুটো আমাদেরও ক্ষতি করতে পারে। তাই, ওদের মরাই ভালো। চল তবে এখনই জাল নিয়ে আসি।”—এই বলে টোনার সঙ্গে শালিক দুটোও জেলেপাড়ায় জাল আনতে ছুটে গেল।
জেলেদের পুরানো একটা ঘরের পিছনে জালটা পড়ে ছিল। ওটা দেখামাত্র শালিক দুটো কামড়ে ধরে উড়তে শুরু করলো। আর টোনাও ওদের সঙ্গে জালটা মুখে নিয়ে একত্রে উড়তে লাগলো।
অল্পসময়ের মধ্যে ওরা বাসার কাছে ফিরে এলো। তারপর সবাই মিলে টোনাটুনির বাসাটা ঘিরে ফেললো।
সন্ধ্যায় নিজের বাড়িতে ফেরার আগে বেজি দুটো দেখলো, টোনাটুনির বাসাটা জাল দিয়ে ঘেরা। ওরা খুব খুশি হলো।
আজ রাতে নির্ভয়ে টোনাটুনি ঘুমাতে লাগলো। ওরা নিশ্চিন্তে ঘুমাচ্ছে। অনেকদিন পরে ওরা যেন ঘুমের রাজ্যে চলে গেল।
সকালে ঘুম থেকে জেগে টোনাটুনি দেখলো, সেই সাপ দুটো জালে আটকা পড়ে কাঁদছে।
টোনা আনন্দে উড়ে গিয়ে বেজি দুটোকে ডেকে আনলো। ওরা সাপ দুটোকে মেরে ফেললো।
বেঁচে গেল টোনাটুনি।
সাইয়িদ রফিকুল হক
০৩/১১/২০১৮
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
মোহন দাস (বিষাক্ত কবি) ০৭/০২/২০২০সুন্দর ।
-
সুনিল শুভ্র ০৪/০১/২০২০ভালো লাগলো
-
নুর হোসেন ০৩/০১/২০২০ভালো লেগেছে
-
শঙ্খজিৎ ভট্টাচার্য ০৩/০১/২০২০টুনটুনির গল্প পড়ে খুব ভালো লাগলো