একটা চাঁদের কন্যা
একটা চাঁদের কন্যা
সাইয়িদ রফিকুল হক
নিউ মার্কেটের দুই নাম্বার গেইট দিয়ে তাকে হাসতে-হাসতে
সবসময় ঢুকতে দেখতাম, আর সঙ্গে থাকতো একটা পুরুষ!
খুব সুন্দর ছিল সে, আর পরতো আরও সুন্দর পোশাক!
তাকে দেখলে মনে হতো, সে যেন চাঁদের কন্যা!
ভরা জোছনার মতো আলো ঝলমলে ছিল তার গায়ের রঙ!
আর তার মুখে লেগে থাকতো পরিতৃপ্তি আর প্রশান্তির হাসি।
তার জন্য সবসময় একটা গাড়ি পার্ক করা থাকতো গেইটের পাশে,
নো-পার্কিংয়ের কোনো নিয়মকানুন মানতো না তার বিশাল গাড়িটা,
খুব ক্ষমতা ছিল হয়তো মেয়েটির বাবার অথবা স্বামীর! অথবা...,
অথবা তার স্বামী না হলেও স্বামী-জাতীয় অন্য কারও!
প্রতিদিন তাকে এতো-এতো শপিং করা দেখে আমরা ক্লান্ত হয়ে যেতাম,
আর বুঝতাম: এদেশে কারও-কারও ঘরে ঈদ লেগে আছে নিত্যনতুন!
তার হাতের শপিং-ব্যাগগুলো এতো ভারী হতো যে—তা বহন করতে
গাড়ির ভিতর থেকে একদৌড়ে ছুটে আসতো জোয়ানমর্দ এক ড্রাইভার।
কী নাই তার শপিংয়ে? জড়োয়া গহনা, পোশাক, আর ফ্যাশনের কত কী!
কখনো তাকে সামান্য মুখভার করে আসতে দেখি নাই এই মার্কেটে,
আর সবসময় তার সঙ্গে থাকতো নতুন কোনো-একটা ধনাঢ্য পুরুষ!
প্রতিদিন তার জন্য যেন ঢেলে দিতে চায় সেই রাজপুরুষ লক্ষ টাকা!
খুব সুন্দর ছিল সেই মেয়েটি! আর কী রাজকীয় ছিল তার হাবভাব!
প্রায় প্রতিদিন ঘটা করে বিরাট রাজসিক আয়োজনে আসতো সে শপিংয়ে,
আর সে কিনে নিতে চাইতো তার ছোট্ট দুইহাত ভরে পৃথিবীর সবকিছু!
অনেকদিন পরে দেখি, তার মুখখানি ভারি মলিন! আর সঙ্গে নাই কেউ,
সরাসরি রিক্সা থেকে নেমে খুব ক্লান্তদেহে সে হাঁটছিল ফুটপাত ধরে!
গায়েগতরে নাই তার আগের সেই জৌলুস আর মোহনীয় রূপের হাসি!
নিউ মার্কেটের ফাস্টফুডের জমজমাট দোকানগুলোতে তাকে আর দেখি না!
ফুটপাত ধরে হেঁটে-হেঁটে তাকে দেখলাম, ভাঙ্গাচোরা একটা দোকানে বসতে!
সেখানে সে খুব বিমর্ষচিত্তে চা-পান করছিল আর কী যেন ভাবছিল!
মুখে নাই তার সেই আগের হাসি! বয়সটাও তার নাই আর আগের জায়গায়!
সাইয়িদ রফিকুল হক
০৯/১২/২০১৯
সাইয়িদ রফিকুল হক
নিউ মার্কেটের দুই নাম্বার গেইট দিয়ে তাকে হাসতে-হাসতে
সবসময় ঢুকতে দেখতাম, আর সঙ্গে থাকতো একটা পুরুষ!
খুব সুন্দর ছিল সে, আর পরতো আরও সুন্দর পোশাক!
তাকে দেখলে মনে হতো, সে যেন চাঁদের কন্যা!
ভরা জোছনার মতো আলো ঝলমলে ছিল তার গায়ের রঙ!
আর তার মুখে লেগে থাকতো পরিতৃপ্তি আর প্রশান্তির হাসি।
তার জন্য সবসময় একটা গাড়ি পার্ক করা থাকতো গেইটের পাশে,
নো-পার্কিংয়ের কোনো নিয়মকানুন মানতো না তার বিশাল গাড়িটা,
খুব ক্ষমতা ছিল হয়তো মেয়েটির বাবার অথবা স্বামীর! অথবা...,
অথবা তার স্বামী না হলেও স্বামী-জাতীয় অন্য কারও!
প্রতিদিন তাকে এতো-এতো শপিং করা দেখে আমরা ক্লান্ত হয়ে যেতাম,
আর বুঝতাম: এদেশে কারও-কারও ঘরে ঈদ লেগে আছে নিত্যনতুন!
তার হাতের শপিং-ব্যাগগুলো এতো ভারী হতো যে—তা বহন করতে
গাড়ির ভিতর থেকে একদৌড়ে ছুটে আসতো জোয়ানমর্দ এক ড্রাইভার।
কী নাই তার শপিংয়ে? জড়োয়া গহনা, পোশাক, আর ফ্যাশনের কত কী!
কখনো তাকে সামান্য মুখভার করে আসতে দেখি নাই এই মার্কেটে,
আর সবসময় তার সঙ্গে থাকতো নতুন কোনো-একটা ধনাঢ্য পুরুষ!
প্রতিদিন তার জন্য যেন ঢেলে দিতে চায় সেই রাজপুরুষ লক্ষ টাকা!
খুব সুন্দর ছিল সেই মেয়েটি! আর কী রাজকীয় ছিল তার হাবভাব!
প্রায় প্রতিদিন ঘটা করে বিরাট রাজসিক আয়োজনে আসতো সে শপিংয়ে,
আর সে কিনে নিতে চাইতো তার ছোট্ট দুইহাত ভরে পৃথিবীর সবকিছু!
অনেকদিন পরে দেখি, তার মুখখানি ভারি মলিন! আর সঙ্গে নাই কেউ,
সরাসরি রিক্সা থেকে নেমে খুব ক্লান্তদেহে সে হাঁটছিল ফুটপাত ধরে!
গায়েগতরে নাই তার আগের সেই জৌলুস আর মোহনীয় রূপের হাসি!
নিউ মার্কেটের ফাস্টফুডের জমজমাট দোকানগুলোতে তাকে আর দেখি না!
ফুটপাত ধরে হেঁটে-হেঁটে তাকে দেখলাম, ভাঙ্গাচোরা একটা দোকানে বসতে!
সেখানে সে খুব বিমর্ষচিত্তে চা-পান করছিল আর কী যেন ভাবছিল!
মুখে নাই তার সেই আগের হাসি! বয়সটাও তার নাই আর আগের জায়গায়!
সাইয়িদ রফিকুল হক
০৯/১২/২০১৯
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
মোহন দাস (বিষাক্ত কবি) ০৩/০২/২০২০দারুন
-
sudipta chowdhury ২৯/১২/২০১৯To a person his/ her loving person is very precious.
-
নুর হোসেন ১০/১২/২০১৯দারুন অভিজ্ঞতা!
-
স্বপন গায়েন ০৯/১২/২০১৯সু ন্দ র
-
আরজু নাসরিন পনি ০৯/১২/২০১৯খুব বাজে বাস্তবতা।
-
মুহাম্মদ মোজাম্মেল হোসেন ০৯/১২/২০১৯এটাই তো বাস্তবতা।