হে যুবক তুমি আত্মহত্যা কোরো না
হে যুবক, তুমি আত্মহত্যা কোরো না
সাইয়িদ রফিকুল হক
আজ তুমি আত্মহত্যা কোরো না হে যুবক,
আগামীকাল পৃথিবী ভেসে যাবে চতুর্দশীর পূর্ণিমায়!
জোছনাঝরা রাতটুকু দেখবে না একবার তুমি?
তোমার চোখে বুঝি এখন ঘুম নামতে চাইছে!
তবে তুমি শুয়ে পড় কোকিল-ডাকা দিনের কথা ভেবে,
তোমার বুক ভরে উঠুক বকুল ফুলের পবিত্র সুবাসে।
তুমি আত্মহননের দুশ্চিন্তা মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলে
আমার সঙ্গে চাঁদ-জোছনার শোভা দেখবে ফাঁকা মাঠে বসে,
তুমি যদি আরও কাছ থেকে জোছনা দেখতে চাও—
তবে তোমাকে ভালোবেসে নিয়ে যাবো নিশিদের বাড়ির ছাদে!
তবুও তুমি আত্মহত্যা কোরো নাকো, হে বুদ্ধিমান যুবক।
তোমার যদি কষ্ট খুব বেশি হয়ে থাকে তবে তার থেকে
আশি ভাগ কষ্ট এখনই আমাকে দিয়ে দাও,
পারলে তোমার সবটুকু কষ্ট আমার বুকে চাপিয়ে দাও,
আমি পাথরবক্ষে পৃথিবীর সব কষ্ট ধারণ করবো হাসিমুখে,
তবুও তুমি আত্মহত্যা কোরো নাকো, হে বুদ্ধিমান যুবক।
এখনও বসন্ত আসতে অনেক বাকি, শীতের আগমন সবে,
ঘুম থেকে জেগে কুয়াশাঢাকা সকাল দেখবে না তুমি?
শিশিরভেজা ঘাসগুলো তোমার পায়ের স্পর্শ যে
পেতে চাইবে প্রতিদিন নরম রোদেভাজা সকালে!
তাদের আমি কী বলে বুঝাবো? তুমি আমাকে বলে দাও,
শীতের প্রায় অবসানে আবার আসবে পাতা ঝরার দিন!
আবার আসবে খুব রঙিন হয়ে পৃথিবীর আলো ঝলমলে বসন্ত,
তবুও কি তুমি মরতে চাও এই সোনাঝরা পৃথিবীতে?
আর তুমি আত্মহত্যার কথা ভেবো না হে যুবক,
কেউ ভালোবাসুক-না-বাসুক, এই পৃথিবী তোমাকে ভালোবাসে।
বুকের ভিতরে দিনে-দিনে খুব কষ্ট জমেছে তোমার,
তাই কী হয়েছে বন্ধু? তুমি ভেঙে ফেল কষ্টের বিশাল পাহাড়,
কেউ তোমার ভালোবাসার স্বপ্নচুরি করেছে? তাই কী হয়েছে বন্ধু?
তুমি দুনিয়ার সব স্বপ্নচোরের সঙ্গ ত্যাগ করে এসো আমার সঙ্গে,
আমরা দুজন পাহাড়তলীর সবুজ ঘাসে বসে শুনবো ঝর্নার গান,
পাখির মনমাতানো কলতানে মুগ্ধ হয়ে ডুবে যাবো নতুন স্বপ্নে,
আর পৃথিবীতে আবার কত জোছনা ঝরবে ভালোবেসে হাসিমুখে,
এমন স্বর্গ ছেড়ে মিথ্যাঅভিমানে তুমি কোথায় যাবে বন্ধু?
আজ তুমি আত্মহত্যা কোরো না হে অভিমানী যুবক,
এই পৃথিবীর কেউ তোমাকে ভালোবাসুক-না-বাসুক
পৃথিবী কিন্তু তোমাকে পরম মমতায় আগের মতো ভালোবাসে।
তুমি ফিরে আসো যুবক ভালোবাসার বেঁচে থাকার চিরসবুজ স্বপ্নে,
তুমি কেন মরবে তোমার কষ্টের কারণ পাপীদের পথের কাঁটা হয়ে?
তারচেয়ে বন্ধু, এসো হাসিমুখে ভেসে যাই দুজনে নীলজোছনায়,
আগামীকাল হেসে উঠবে আমাদের পৃথিবী চতুর্দশীর পূর্ণিমায়!
সাইয়িদ রফিকুল হক
৩১/০১/২০১৯
সাইয়িদ রফিকুল হক
আজ তুমি আত্মহত্যা কোরো না হে যুবক,
আগামীকাল পৃথিবী ভেসে যাবে চতুর্দশীর পূর্ণিমায়!
জোছনাঝরা রাতটুকু দেখবে না একবার তুমি?
তোমার চোখে বুঝি এখন ঘুম নামতে চাইছে!
তবে তুমি শুয়ে পড় কোকিল-ডাকা দিনের কথা ভেবে,
তোমার বুক ভরে উঠুক বকুল ফুলের পবিত্র সুবাসে।
তুমি আত্মহননের দুশ্চিন্তা মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলে
আমার সঙ্গে চাঁদ-জোছনার শোভা দেখবে ফাঁকা মাঠে বসে,
তুমি যদি আরও কাছ থেকে জোছনা দেখতে চাও—
তবে তোমাকে ভালোবেসে নিয়ে যাবো নিশিদের বাড়ির ছাদে!
তবুও তুমি আত্মহত্যা কোরো নাকো, হে বুদ্ধিমান যুবক।
তোমার যদি কষ্ট খুব বেশি হয়ে থাকে তবে তার থেকে
আশি ভাগ কষ্ট এখনই আমাকে দিয়ে দাও,
পারলে তোমার সবটুকু কষ্ট আমার বুকে চাপিয়ে দাও,
আমি পাথরবক্ষে পৃথিবীর সব কষ্ট ধারণ করবো হাসিমুখে,
তবুও তুমি আত্মহত্যা কোরো নাকো, হে বুদ্ধিমান যুবক।
এখনও বসন্ত আসতে অনেক বাকি, শীতের আগমন সবে,
ঘুম থেকে জেগে কুয়াশাঢাকা সকাল দেখবে না তুমি?
শিশিরভেজা ঘাসগুলো তোমার পায়ের স্পর্শ যে
পেতে চাইবে প্রতিদিন নরম রোদেভাজা সকালে!
তাদের আমি কী বলে বুঝাবো? তুমি আমাকে বলে দাও,
শীতের প্রায় অবসানে আবার আসবে পাতা ঝরার দিন!
আবার আসবে খুব রঙিন হয়ে পৃথিবীর আলো ঝলমলে বসন্ত,
তবুও কি তুমি মরতে চাও এই সোনাঝরা পৃথিবীতে?
আর তুমি আত্মহত্যার কথা ভেবো না হে যুবক,
কেউ ভালোবাসুক-না-বাসুক, এই পৃথিবী তোমাকে ভালোবাসে।
বুকের ভিতরে দিনে-দিনে খুব কষ্ট জমেছে তোমার,
তাই কী হয়েছে বন্ধু? তুমি ভেঙে ফেল কষ্টের বিশাল পাহাড়,
কেউ তোমার ভালোবাসার স্বপ্নচুরি করেছে? তাই কী হয়েছে বন্ধু?
তুমি দুনিয়ার সব স্বপ্নচোরের সঙ্গ ত্যাগ করে এসো আমার সঙ্গে,
আমরা দুজন পাহাড়তলীর সবুজ ঘাসে বসে শুনবো ঝর্নার গান,
পাখির মনমাতানো কলতানে মুগ্ধ হয়ে ডুবে যাবো নতুন স্বপ্নে,
আর পৃথিবীতে আবার কত জোছনা ঝরবে ভালোবেসে হাসিমুখে,
এমন স্বর্গ ছেড়ে মিথ্যাঅভিমানে তুমি কোথায় যাবে বন্ধু?
আজ তুমি আত্মহত্যা কোরো না হে অভিমানী যুবক,
এই পৃথিবীর কেউ তোমাকে ভালোবাসুক-না-বাসুক
পৃথিবী কিন্তু তোমাকে পরম মমতায় আগের মতো ভালোবাসে।
তুমি ফিরে আসো যুবক ভালোবাসার বেঁচে থাকার চিরসবুজ স্বপ্নে,
তুমি কেন মরবে তোমার কষ্টের কারণ পাপীদের পথের কাঁটা হয়ে?
তারচেয়ে বন্ধু, এসো হাসিমুখে ভেসে যাই দুজনে নীলজোছনায়,
আগামীকাল হেসে উঠবে আমাদের পৃথিবী চতুর্দশীর পূর্ণিমায়!
সাইয়িদ রফিকুল হক
৩১/০১/২০১৯
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
সাইদুর রহমান ০৫/০২/২০১৯খুব সুন্দর।
-
ইবনে মিজান ০৩/০২/২০১৯সুন্দর
-
মোঃ নূর ইমাম শেখ বাবু ০২/০২/২০১৯বাঃ