www.tarunyo.com

সাম্প্রতিক মন্তব্যসমূহ

বেশি কষ্ট হলে কিংবা জীবননাশের আশংকা দেখা দিলে রোজাভঙ্গ করুন

বেশি কষ্ট হলে কিংবা জীবননাশের আশংকা দেখা দিলে রোজাভঙ্গ করুন
সাইয়িদ রফিকুল হক

ধর্মে কখনও জোরজবরদস্তি নাই। এগুলো থাকতেও পারে না। আর রোজার ক্ষেত্রেও তা-ই। জোরজবরদস্তি করে রোজা রাখা ঠিক নয়। ডায়াবেটিসের রোগী, আলসারের রোগী, অধিক ভ্রমণের কাজে নিয়োজিত কর্মচারী, শিশু, নাবালক, পাগল ইত্যাদি প্রকারের মানুষকে রোজা রাখতে বেশি বাড়াবাড়ি করবেন না।

যে বা যারা অসুস্থ, রোজা রাখলে তার রোগবৃদ্ধি পেতে পারে, এমনকি জীবননাশের আশংকা দেখা দিতে পারে, এমন ব্যক্তির ক্ষেত্রে রোজাভঙ্গ করা জায়েজ। কারও জীবন শেষ করে রোজা রাখতে বলা হয়নি। এভাবে, রিক্সাচালক, ঠেলাচালক, মুটে, মজুর, কুলি সারাদিন হাড়ভাঙ্গা পরিশ্রম করে রোজা রাখতে পারবে না। তার ব্যাপারে কারও অতিউৎসাহী হয়ে রোজা রাখতে বলাটা অমানবিক ও নিষ্ঠুরতা। এক্ষেত্রে তারউপরে বিষয়টি ছেড়ে দিতে হবে। তার সাধ্যে কুলালে সে রোজা রাখবে আর নয়তো রাখবে না। এধরনের পরিশ্রম করে কয়জন রোজা রাখতে পারবে?

মানুষের দুঃখ-কষ্টকে আমাদের বুঝতে হবে। আমাদের মনে রাখতে হবে: সকলের জন্য রোজা রাখাটা ফরজ নয়। যে সম্পূর্ণ সুস্থ, আর যার সামর্থ্য আছে, সেই শুধু রোজা রাখবে। আরও একটা কথা মনে রাখবেন: বেশি কষ্ট হলে কিংবা জীবননাশের আশংকা দেখা দিলে রোজাভঙ্গ করুন।


সাইয়িদ রফিকুল হক
০৭/০৬/২০১৮
বিষয়শ্রেণী: প্রবন্ধ
ব্লগটি ৫২৪ বার পঠিত হয়েছে।
প্রকাশের তারিখ: ০৭/০৬/২০১৮

মন্তব্য যোগ করুন

এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।

Use the following form to leave your comment on this post.

মন্তব্যসমূহ

 
Quantcast