রমজানে আমাদের খাদ্যদ্রব্যের লোভ ত্যাগ করতে হবে
রমজানে আমাদের খাদ্যদ্রব্যের লোভ ত্যাগ করতে হবে
সাইয়িদ রফিকুল হক
খাদ্যদ্রব্যের প্রতি মানুষের লোভ সহজাতপ্রবৃত্তি। মানুষ জন্মগতভাবে খাদ্যলোভী। তবে এই পৃথিবীতে এমন কিছু মানুষ ছিলেন, আর এখনও আছেন যারা খাদ্যলোভী নয়। তাঁরা নিঃসন্দেহে মহাপুরুষ। আর তাঁরা আসলেই মহামানব। আমাদের এই মহাপুরুষদের পদাঙ্কই অনুসরণ করতে হবে।
রমজান-মাসে মানুষ সারাদিন ক্ষুধার্ত থাকেন। দিনশেষে সূর্যাস্তের পর মানুষ ইফতারি শুরু করে। আমাদের ধর্মে ইফতারির জন্য কোনোপ্রকারের নির্দিষ্ট খাবার নাই। আমরা যেকোনো হালাল খাবার দ্বারা দিনশেষে রোজাভঙ্গ করতে পারি। এখানে, শর্ত হলো হালাল খাবার গ্রহণ করা। শুধু রোজার ক্ষেত্রে নয় জীবনের সকল ক্ষেত্রে হালাল খাবার গ্রহণ করতে হবে। আমাদের ধর্মমতে, হালাল খাবার ব্যতীত মুসলমানের কোনো ইবাদত (নামাজ, রোজা, হজ্জ, জাকাত ইত্যাদি) কবুল হবে না।
রমজান-মাসে কারও হারাম খাবারে প্রতি লোভ না করে আমাদের নিজের হালাল সাধারণ খাবার দিয়ে ইফতারি করতে হবে। এতে রোজা কবুল হবে। নইলে কারও প্ররোচনায় কিংবা খাবারের লোভে কারও হারাম টাকার ইফতারমাহফিলে যোগদান করে নিজের মহামূল্যবান রোজা বিনষ্ট করার কোনো মানেই হয় না। আশা করি, বুদ্ধিমান মানুষমাত্রেই এই সহজ কথাটি উপলব্ধি করতে পারবেন।
রোজার জন্য জাঁকজমকপূর্ণ ইফতারসামগ্রী, লোভনীয় খাবারের সাহরি, কারও বিতরণকৃত খাদ্যসামগ্রী কোনো বিষয় নয়। এগুলো একেবারে অপ্রয়োজনীয়। নিজের সামর্থে্যর মধ্যে যে খাবার আছে তা-ই দিয়ে আমাদের সাহরি ও ইফতারির খাবার গ্রহণ করতে হবে।
আমরা যদি আমাদের রোজাটাকে বাঁচাতে চাই তাহলে অবশ্যই এই রমজানে আমাদের সবাইকে খাদ্যদ্রব্যের লোভ ত্যাগ করতে হবে। নিজের খাবারের প্রতি শ্রদ্ধা ও আস্থা রাখতে হবে। আর হ্যাঁ, কেউ যদি আপনাকে দাওয়াত করে তবে আপনাকে আগে দেখে নিতে হবে, তার কামাই-রোজগারের টাকা সম্পূর্ণ
হালাল কিনা। তবেই আমাদের রোজা সার্থক ও মকবুল হয়ে উঠবে।
সাইয়িদ রফিকুল হক
০৩/০৬/২০১৮
সাইয়িদ রফিকুল হক
খাদ্যদ্রব্যের প্রতি মানুষের লোভ সহজাতপ্রবৃত্তি। মানুষ জন্মগতভাবে খাদ্যলোভী। তবে এই পৃথিবীতে এমন কিছু মানুষ ছিলেন, আর এখনও আছেন যারা খাদ্যলোভী নয়। তাঁরা নিঃসন্দেহে মহাপুরুষ। আর তাঁরা আসলেই মহামানব। আমাদের এই মহাপুরুষদের পদাঙ্কই অনুসরণ করতে হবে।
রমজান-মাসে মানুষ সারাদিন ক্ষুধার্ত থাকেন। দিনশেষে সূর্যাস্তের পর মানুষ ইফতারি শুরু করে। আমাদের ধর্মে ইফতারির জন্য কোনোপ্রকারের নির্দিষ্ট খাবার নাই। আমরা যেকোনো হালাল খাবার দ্বারা দিনশেষে রোজাভঙ্গ করতে পারি। এখানে, শর্ত হলো হালাল খাবার গ্রহণ করা। শুধু রোজার ক্ষেত্রে নয় জীবনের সকল ক্ষেত্রে হালাল খাবার গ্রহণ করতে হবে। আমাদের ধর্মমতে, হালাল খাবার ব্যতীত মুসলমানের কোনো ইবাদত (নামাজ, রোজা, হজ্জ, জাকাত ইত্যাদি) কবুল হবে না।
রমজান-মাসে কারও হারাম খাবারে প্রতি লোভ না করে আমাদের নিজের হালাল সাধারণ খাবার দিয়ে ইফতারি করতে হবে। এতে রোজা কবুল হবে। নইলে কারও প্ররোচনায় কিংবা খাবারের লোভে কারও হারাম টাকার ইফতারমাহফিলে যোগদান করে নিজের মহামূল্যবান রোজা বিনষ্ট করার কোনো মানেই হয় না। আশা করি, বুদ্ধিমান মানুষমাত্রেই এই সহজ কথাটি উপলব্ধি করতে পারবেন।
রোজার জন্য জাঁকজমকপূর্ণ ইফতারসামগ্রী, লোভনীয় খাবারের সাহরি, কারও বিতরণকৃত খাদ্যসামগ্রী কোনো বিষয় নয়। এগুলো একেবারে অপ্রয়োজনীয়। নিজের সামর্থে্যর মধ্যে যে খাবার আছে তা-ই দিয়ে আমাদের সাহরি ও ইফতারির খাবার গ্রহণ করতে হবে।
আমরা যদি আমাদের রোজাটাকে বাঁচাতে চাই তাহলে অবশ্যই এই রমজানে আমাদের সবাইকে খাদ্যদ্রব্যের লোভ ত্যাগ করতে হবে। নিজের খাবারের প্রতি শ্রদ্ধা ও আস্থা রাখতে হবে। আর হ্যাঁ, কেউ যদি আপনাকে দাওয়াত করে তবে আপনাকে আগে দেখে নিতে হবে, তার কামাই-রোজগারের টাকা সম্পূর্ণ
হালাল কিনা। তবেই আমাদের রোজা সার্থক ও মকবুল হয়ে উঠবে।
সাইয়িদ রফিকুল হক
০৩/০৬/২০১৮
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
sudipta chowdhury ২৮/১২/২০১৯Ramadan makes us to be more patient; to control greed; lead life honestly. Allah gives us tolerance. Ameen.
-
দীপঙ্কর বেরা ০৫/০৬/২০১৮জানলাম
-
পবিত্র চক্রবর্তী ০৪/০৬/২০১৮অনেক কিছু আবার জানলাম