রোজার উদ্দেশ্য যেন ব্যর্থ না হয়
রোজার উদ্দেশ্য যেন ব্যর্থ না হয়
সাইয়িদ রফিকুল হক
রোজা রাখতে অনেক কষ্ট হয়। নিজের নফসকে দমন করার জন্য সুবহে সাদিক থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত আমরা উপবাসব্রত পালন করছি। এইসময়ের মধ্যে রোজাদারদের জন্য খাবার গ্রহণ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। আর সারাদিন আমরা সামান্য একটু পানিও পান করছি না।
এই কষ্টের রোজাকে সারাদিন আমাদের পাহারা দিয়ে রাখতে হবে। কারণ, আমাদের নফস সবসময় আমাদের কুমন্ত্রণা দেওয়ার জন্য সদাপ্রস্তুত রয়েছে। আমাদের প্রত্যেকের উচিত হলো প্রতিমুহূর্তে নফসকে দমন করার জন্য সচেষ্ট থাকা। নফস নানাভাবে আমাদের সামনে কুমন্ত্রণা উপস্থাপন করে থাকে। যেমন, মিথ্যা বলার কুমন্ত্রণা, কাউকে গালমন্দ করার কুমন্ত্রণা, নারীসঙ্গলাভের কুমন্ত্রণা, অবৈধভাবে অর্থোপার্জনের কুমন্ত্রণা, সুদ-ঘুষ খাওয়ার কুমন্ত্রণা, নানাবিধ লোভের কুমন্ত্রণা ইত্যাদি।
আজকালকার পারিপার্শ্বিক অবস্থা এমন হয়েছে যে, নিজে ভালো থাকার চেষ্টা করলেও সহরেজ ভালো থাকা যায় না। অনেকের আচার-ব্যবহার এমনই রূঢ় যে, একজন ভালোমানুষ তা দেখে উত্তেজিত হয়ে ওঠেন। আসলে, সমাজে সব মানুষ ভালো না হলে ভালোমানুষদের ভালো থাকা বড় দায়। তবুও শতপ্রচেষ্টার মাধ্যমে ভালোমানুষকে ভালো থাকতেই হবে।
নিজের নফসকে যেকোনোভাবে হোক না কেন, তা দমন করতেই হবে। রোজাদার ব্যক্তির জন্য নফসকে দমন করাটা অতীব জরুরি। রোজা রেখে নিজের নফসকে দমন করতে না পারলে রোজার উদ্দেশ্য একেবারে ব্যর্থ
হয়ে যাবে। তােই, আমাদের সারাদিনের এতো কষ্টের রোজা তথা উপবাসকে রাহে লিল্লাহে রাখার জন্য সজাগ ও সতর্ক থাকতে হবে। আর সবসময় লক্ষ্য রাখতে হবে যে, রোজার উদ্দেশ্য যেন ব্যর্থ না হয়।
সাইয়িদ রফিকুল হক
৩০/০৫/২০১৮
সাইয়িদ রফিকুল হক
রোজা রাখতে অনেক কষ্ট হয়। নিজের নফসকে দমন করার জন্য সুবহে সাদিক থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত আমরা উপবাসব্রত পালন করছি। এইসময়ের মধ্যে রোজাদারদের জন্য খাবার গ্রহণ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। আর সারাদিন আমরা সামান্য একটু পানিও পান করছি না।
এই কষ্টের রোজাকে সারাদিন আমাদের পাহারা দিয়ে রাখতে হবে। কারণ, আমাদের নফস সবসময় আমাদের কুমন্ত্রণা দেওয়ার জন্য সদাপ্রস্তুত রয়েছে। আমাদের প্রত্যেকের উচিত হলো প্রতিমুহূর্তে নফসকে দমন করার জন্য সচেষ্ট থাকা। নফস নানাভাবে আমাদের সামনে কুমন্ত্রণা উপস্থাপন করে থাকে। যেমন, মিথ্যা বলার কুমন্ত্রণা, কাউকে গালমন্দ করার কুমন্ত্রণা, নারীসঙ্গলাভের কুমন্ত্রণা, অবৈধভাবে অর্থোপার্জনের কুমন্ত্রণা, সুদ-ঘুষ খাওয়ার কুমন্ত্রণা, নানাবিধ লোভের কুমন্ত্রণা ইত্যাদি।
আজকালকার পারিপার্শ্বিক অবস্থা এমন হয়েছে যে, নিজে ভালো থাকার চেষ্টা করলেও সহরেজ ভালো থাকা যায় না। অনেকের আচার-ব্যবহার এমনই রূঢ় যে, একজন ভালোমানুষ তা দেখে উত্তেজিত হয়ে ওঠেন। আসলে, সমাজে সব মানুষ ভালো না হলে ভালোমানুষদের ভালো থাকা বড় দায়। তবুও শতপ্রচেষ্টার মাধ্যমে ভালোমানুষকে ভালো থাকতেই হবে।
নিজের নফসকে যেকোনোভাবে হোক না কেন, তা দমন করতেই হবে। রোজাদার ব্যক্তির জন্য নফসকে দমন করাটা অতীব জরুরি। রোজা রেখে নিজের নফসকে দমন করতে না পারলে রোজার উদ্দেশ্য একেবারে ব্যর্থ
হয়ে যাবে। তােই, আমাদের সারাদিনের এতো কষ্টের রোজা তথা উপবাসকে রাহে লিল্লাহে রাখার জন্য সজাগ ও সতর্ক থাকতে হবে। আর সবসময় লক্ষ্য রাখতে হবে যে, রোজার উদ্দেশ্য যেন ব্যর্থ না হয়।
সাইয়িদ রফিকুল হক
৩০/০৫/২০১৮
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
দীপক কুমার বেরা ৩১/০৫/২০১৮রোজা রাখার মাধ্যমে নিজের রিপুগুলিকে দমন এবং নিয়ন্ত্রণে রাখবার প্রকৃষ্ট উপায়।
-
মো: মাসুদুর রহমান ৩১/০৫/২০১৮খুব সুন্দর
-
পবিত্র চক্রবর্তী ৩১/০৫/২০১৮অনেক কিছু জানতে ও শিখতে পারলাম ॥
-
মোঃ নূর ইমাম শেখ বাবু ৩০/০৫/২০১৮অনেক ভাল লাগল।
-
জয় দেবনাথ ৩০/০৫/২০১৮ভালো লাগলো