কবিতার পাঠক চাই (দ্বিতীয় পর্ব)
কবিতার পাঠক চাই (দ্বিতীয় পর্ব)
সাইয়িদ রফিকুল হক
বিশ্বসাহিত্যের প্রথম প্রকাশ, সাহসীপদক্ষেপ ও নান্দনিক-উদ্ভব কবিতা। এটি পৃথিবীর মানুষের সবচেয়ে বিস্ময়কর আবিষ্কার। মানবসৃষ্ট সকলপ্রকার কাব্যকলার মধ্যে সর্বাপেক্ষা শ্রেষ্ঠ ও জনপ্রিয় ছিল কবিতা। একটা সময় মানুষ শুধু কবিতাই পড়তো। আর তখন সবকিছু কবিতার ভাষায় রচিত হতো। আর মানুষ সবকিছু কবিতার ভাষায় রচনা করতো।
সেকালে পৃথিবীর সর্ববৃহৎ কাহিনী থেকে শুরু করে অন্যান্য ছোট-বড় সকল কিসসাকাহিনী কবিতার ভাষায় রচিত হয়েছে। এর উৎকৃষ্ট প্রমাণ মেলে ‘রামায়ণ’ ও ‘মহাভারতে’র ক্ষেত্রে। এ দুটি গ্রন্থ পৃথিবীর সর্বকালের সর্ববৃহৎ কাব্য। এমনকি পৃথিবীর তাবৎ প্রাচীন ধর্মগ্রন্থগুলো পর্যন্ত কবিতার ভাষায় আর ছন্দে-ছন্দে রচিত হয়েছে। এরও প্রমাণ মেলে ‘তাওরাত’, ‘যাবুর’ ও ‘ইঞ্জিলে’র ক্ষেত্রে। এসকল ধর্মগ্রন্থ কাব্যময় ছন্দে ও ভাষানৈপুণ্যে অনন্য হয়ে উঠেছে। মুসলমানদের ধর্মগ্রন্থ আল-কুরআনও কাব্যময়-ছন্দে শ্রুতিমধুর হয়ে উঠেছে। মূলত প্রাচীনকালে সবখানে ছিল ছন্দ, অলংকার ও কাব্যেময়-রূপের অনুপম প্রকাশ।
ভারতীয় উপমহাদেশে একমাত্র লৌকিক ধর্ম হলো সনাতনধর্ম বা হিন্দুধর্ম। এঁদের আদিধর্মগ্রন্থ ‘বেদ’ থেকে শুরু করে আধুনিক ‘গীতা’ পর্যন্ত সুরে, ছন্দে ও ভাষানৈপুণ্যে অনন্য। কবিত্বশক্তিবলে এগুলো আজও মানুষের কাছে সুখপাঠ্য বলে বিবেচ্য।
প্রাচীনকালে গদ্য বা গদ্যসাহিত্য বলে তেমনকিছু ছিল না। সেই সময় মানুষের যাবতীয় সাহিত্য রচিত হতো কবিতার ছন্দে। আর কবিতাই ছিল সাহিত্যপ্রকাশের একমাত্র মাধ্যম।
আজও কবিতাই সাহিত্যের প্রধান শাখা। আর বাংলা-কবিতার ক্ষেত্রেও কথাটি প্রণিধানযোগ্য।
সাইয়িদ রফিকুল হক
মিরপুর, ঢাকা, বাংলাদেশ।
২৪/০৭/২০১৭
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
সাদ জাহিদ ২৫/০৭/২০১৭কবির পাঠক চাই,,,,
-
কামরুজ্জামান সাদ ২৫/০৭/২০১৭সম্মানিত সাইয়িদ রফিকুল, আসলে কবিতার পাঠক কমে যায়নি বরং পাঠক তৈরি হচ্ছে না।পাঠক তৈরি না হওয়ার ব্যর্থতা কবিদের উপরেই বর্তায়।
-
দীপঙ্কর বেরা ২৪/০৭/২০১৭সঠিক বলেছেন