তিনি ভদ্রলোক
তিনি ভদ্রলোক
সাইয়িদ রফিকুল হক
ন্যাংটা সকাল হেসে বললো
এসো, কথা বলি মন খুলে!
আর ন্যাংটা হই সংগোপনে
কিংবা প্রকাশ্যে গর্বসহকারে।
ন্যাংটা সকাল বড়মুখ করে
বললো আবার সহাস্যে—
আর কী আছে দেখার?
প্রায় সবাই এখন বসতে চায়
খুব আমোদে আমার বুকে।
এখন সকাল ন্যাংটা, বিকাল ন্যাংটা
আরও ন্যাংটা হলো গভীর রাত!
ন্যাংটার ভিড়ে খুব শক্ত করে
ধরে রাখি নিজের মনুষ্যত্ব
আর বিবেকের পোশাকআশাক।
জনসমুদ্রে দেখি ন্যাংটার বিশাল জোয়ার!
আরও কত ন্যাংটা মিছিল করছে আনন্দে,
আরও কত বুদ্ধিমান আফসোস করছে
এখনও ন্যাংটা হতে না পেরে।
ন্যাংটা সকালে ভিড় জমেছে খুব—
আর চারিদিকে পাচ্ছি বিবেক-পোড়ার গন্ধ,
আর দেখছি, মগজধোলাইয়ের মহোৎসব,
আর বুদ্ধিমানরা সব ন্যাংটা হচ্ছে দেদারসে!
এই ভিড়ে দেখলাম একজন খুব সাহস করে
জনসমুদ্র থেকে পালিয়ে বেড়াচ্ছে,
বুঝলাম, যুগের হাওয়ায় তার বুদ্ধিসুদ্ধি খুব কম!
আর তিনি খুব অসহায় এক ভদ্রলোক।
সাইয়িদ রফিকুল হক
পূর্বরাজাবাজার, ঢাকা,
বাংলাদেশ।
২২/০৬/২০১৭
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
বিশ্বামিত্র ২৪/০৬/২০১৭সত্যিই শুধু ভদ্রলোক কেন সমাজের সর্ব স্তরে আজ ন্যাংটার ভুমিকা নানা ভাবে নানা পরিস্থিতিতে আমাদের সামনে হাজির।ভদ্রলোকের বর্নণা অপূর্ব ভাবে ফুটে উঠেছে।কবি শুভে্ছা রইল।
-
ডঃ সুজিতকুমার বিশ্বাস ২২/০৬/২০১৭নাটকীয়।
-
পরশ ২২/০৬/২০১৭সুন্দর