বইমেলায় সাহিত্য কতটুকু (চতুর্থ পর্ব)
বইমেলায় সাহিত্য কতটুকু? (চতুর্থ পর্ব)
সাইয়িদ রফিকুল হক
একশ্রেণীর সরকারি-কর্মকর্তা এখন বই লিখছে অর্থোপার্জনের জন্য। আর তারা বই লিখছে অতিসস্তায় লেখক হওয়ার ইচ্ছায়। কারণ, এদের হাতে এখন অর্থ ও ক্ষমতা---দুই-ই রয়েছে। অনেক প্রকাশকই এখন এদের টার্গেট করে বই-ব্যবসায় নেমেছে। এদের বই ছাপলে তাদের লাভ বেশি। এরা সরকারি-কর্মকর্তা হওয়ায় এদের কয়েক হাজার বই অতিসহজেই বিক্রয় করা সম্ভব। দেশে সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান রয়েছে, সেখানে এদের বই একরকম জোর করেই গছিয়ে দেওয়া যায়।
আজকালকার অসাধু-প্রকাশকরা চায় টাকা। তারা একবার টাকার গন্ধ পেলে অমনি হুমড়ি খেয়ে পড়ে। এরা সাহিত্য বোঝে না, এরা সাহিত্যের কদর জানে না। এরা কখনও সাহিত্য পড়ে না। আর এরা কখনও সাহিত্য ভালোবাসে না। এরা বোঝে শুধু টাকা। তাই, এরা লাভের অংক ঠিক রেখে এখন বই ছাপাচ্ছে। আর এতে আগের যেকোনো সময়ের তুলনায় মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে সৃজনশীল গ্রন্থরচনায়।
অসাধু-প্রকাশকদের লোভের আগুনে পুড়ে অনেক প্রতিভাবান কবি-লেখক এখনও পাঠকের দরজায় করাঘাত করতে পারছেন না। কিন্তু একই সময়ে পয়সার জোরে অনেক অকবির লেখাও সমানে ছাপা হচ্ছে। আর সবখানে এইসব প্রকাশকের ব্যবসায়িক মনোবৃত্তিই দায়ী।
আমরা এখন উন্নতজাতের সাহিত্যিক আবিষ্কার করতে ব্যর্থ হচ্ছি। নতুন কবি-লেখকদের সরাসরি তাড়িয়ে দিচ্ছে অসাধু-প্রকাশকশ্রেণী। এরা কখনওই নতুন কবি-লেখকদের লেখা পড়েও না আর বোঝেও না। এরা বোঝে টাকা। আর বোঝে একশ্রেণীর ফরমায়েশী কবি-লেখকের সস্তা-জনপ্রিয়তা।
এখনকার অধিকাংশ সংবাদপত্রই ভণ্ডদের দ্বারা পরিচালিত। আর এদের অধিকাংশই সাহিত্য বোঝে না। আর তাই, এই বঙ্গদেশে এখন নতুন-নতুন সাহিত্য রচিত হবে কীভাবে?
(ক্রমশঃ)
সাইয়িদ রফিকুল হক
মিরপুর, ঢাকা, বাংলাদেশ।
১৪/০২/২০১৭
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
রাবেয়া মৌসুমী ১৫/০২/২০১৭আর বলবো কি ের ভাই,প্রকাশেকর কােছ নতুন লেখকের েকানই মূল্য নাই।তবু লেখা চালিয়ে যাবো,মনের চাহিদাই..