যারা উন্মাদ তারা কখনও ধার্মিক নয়
যারা উন্মাদ তারা কখনও ধার্মিক নয়
সাইয়িদ রফিকুল হক
যারা উন্মাদ তারা পাগল, আর তারা দিগম্বর। এদের কোনো লজ্জাশরমের বালাই নাই। আর এদের কোনো মনুষ্যত্বও নাই। তাই, যারা উন্মাদ—তারা বনের পশুর চেয়ে নিকৃষ্ট ও অধম। এদের মতো হিংস্র-জানোয়ার পৃথিবীতে আর নাই।
উন্মাদনা কোনো ধর্ম নয়—যারা উন্মাদ হয়েছে, আর যারা উন্মাদ হবে—তারা ধীরে-ধীরে শয়তানে পরিণত হবে। ধর্মের নামে মন্দির ভাঙ্গলে তা হয় স্রেফ শয়তানী। আর এইসব শয়তানী দেখে মসজিদের অধিপতি মহান আল্লাহ খুশি হন না। শয়তানগুলো আজ ধর্মের অপব্যাখ্যা করতে-করতে সাধারণ মানুষকে এমনভাবে বিভ্রান্ত করেছে যে, এই সাধারণ পশুগুলো এখন বিশেষশ্রেণীর পশুতে রূপান্তরিত হয়েছে। সাধারণ পশুগুলো ধর্মের কথা শোনামাত্র কাছা দিয়ে অমনি দৌড় শুরু করে। আর এরা একবারও দেখে না যে কে ধর্মের কথা বলছে—আর সে মানুষ নাকি শয়তান!
আজকাল শয়তানও ধার্মিক হওয়ার চেষ্টা করছে। কিন্তু শয়তান যতোই ধার্মিক হওয়ার চেষ্টা করবে সে ততোই অধার্মিকে পরিণত হবে। কারণ, শয়তান নিজেই তো অধর্ম। আর অধর্ম কখনও ধর্ম বলে প্রচলন করা যায় না, আর এই অধর্ম অবলম্বন করে কেউ কখনও ধার্মিক হতে পারে না।
আজ মন্দির-ভাংচুরকারী-শয়তানদের আমি বলি: পবিত্র ইসলামের কোথায় লেখা আছে যে, ইসলামের নামে হিন্দুর মন্দির ভাংচুর করতে হবে? আর প্রকাশ্য দিবালোকে কিংবা রাতের আঁধারে হিন্দুর বাড়িঘরে আগুন দিতে হবে? কিংবা হিন্দুসম্প্রদায়ের ঘরবাড়িতে নির্বিচারে হামলা চালাতে হবে? আর নিজের স্বার্থে হিন্দুর বাড়িঘর লুটপাট করে তাকে ধর্ম বলতে হবে? আর নিজের শয়তানীকে ধর্ম বলতে হবে? আর নিজের স্বার্থের শয়তানীকে রক্ষা করার জন্য তাতে ইসলামের দোহাই দিতে হবে? এইসব শয়তান ধার্মিক নয়। এরা ধর্মের নামে আবর্জনা ও শয়তান মাত্র। আজ এরাই বাংলাদেশে হিন্দুসম্প্রদায়ের উপর নির্বিচারে হামলা করে জাতির ভয়ানক ক্ষতি করছে। এই পশুগুলো আমাদের সমাজ-রাষ্ট্র থেকে চিরতরে নির্মূল হোক।
সাইয়িদ রফিকুল হক
মিরপুর, ঢাকা, বাংলাদেশ।
০৬/১১/২০১৬
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
মোনালিসা ১১/১১/২০১৬ধারমিক হন
-
মুহাম্মদ মনিরুজ্জামান ০৭/১১/২০১৬ঘোলা পানিতে মাছ শিকার যাদের স্বভাব এই জঘন্য কাজ তাদের দ্বারাই সম্ভব। এদেরকে চিহ্নিত করে শাস্তির আওতায় আনা জরুরী।