কখনও দেখবো না তোমার মুখ
কখনও দেখবো না তোমার মুখ
সাইয়িদ রফিকুল হক
কতদিন ভেবেছি
তোমাকে একটু ভালোভাবে দেখবো,
আর মন খুলে ভীষণ সুখে হাসবো।
কতদিন তোমাকে দেখতে গিয়েছি
তোমাদের বাড়িতে—নিকুঞ্জ-কুটিরে,
দেখেছি বারবার তোমাদের বাসাটা খালি,
আর সেখানে পড়ে আছে
তোমার রেখে যাওয়া সুবাসটুকু।
বাড়িতে সবাই আছে—নেই শুধু তুমি,
ভালো লাগেনি তাই কোনোকিছু,
ফিরে এসেছি নিজের একপ্রস্থ মেসে!
আর যতবার তোমাদের বাড়িতে গিয়েছি
শুধু শুনেছি: তুমি ভার্সিটিতে, আর ক্লাসে!
কত ক্লাস তোমার! ভেবে-ভেবে
আমার মনটা ভরে উঠতো সুখের স্বপ্নে।
আর ভেবেছি: একদিন তুমি সত্যি বড় হবে,
পড়ালেখা-শেষে ঢুকবে কোনো বড় অফিসে!
হঠাৎ একদিন এক পড়ন্ত-বিকালে দেখলাম:
তুমি শুয়ে আছো এক যুবকের কোলে!
আমাদেরই ভার্সিটির পাশে রমনা-পার্কে,
কী নির্লজ্জ বিকাল দেখলাম সেদিন!
মাদকসেবীটার কোলে শুয়ে তুমি খুব হাসছিলে
আর কী যেন সব আবোলতাবোল গল্প বলছিলে
আর হয়তো কোনো স্বপ্নের কথা বলছিলে!
লজ্জায় আমি কুঁকড়ে গিয়েছিলাম সেদিন
ঠিক লজ্জাবতীর লতার মতো!
আমি পুরুষ হয়েও দিতে পারিনি লজ্জা বিসর্জন।
আর তুমি আমার ভালোবাসা ধূলায় মিশিয়ে দিয়ে
উন্মুক্ত পার্কে শুয়ে আছো একটা হিজড়ার কোলে!
এই বুঝি তোমার ভার্সিটি?
আর এই বুঝি তোমার খুব ক্লাস?
আর তাই, নিয়মিত ভার্সিটিতে যাতায়াতের মহড়া!
আর ভাবি না তোমাকে নিয়ে
আর কখনও দেখবো না তোমার মুখ।
সাইয়িদ রফিকুল হক
মিরপুর, ঢাকা, বাংলাদেশ।
১৬/১০/২০১৬
সাইয়িদ রফিকুল হক
কতদিন ভেবেছি
তোমাকে একটু ভালোভাবে দেখবো,
আর মন খুলে ভীষণ সুখে হাসবো।
কতদিন তোমাকে দেখতে গিয়েছি
তোমাদের বাড়িতে—নিকুঞ্জ-কুটিরে,
দেখেছি বারবার তোমাদের বাসাটা খালি,
আর সেখানে পড়ে আছে
তোমার রেখে যাওয়া সুবাসটুকু।
বাড়িতে সবাই আছে—নেই শুধু তুমি,
ভালো লাগেনি তাই কোনোকিছু,
ফিরে এসেছি নিজের একপ্রস্থ মেসে!
আর যতবার তোমাদের বাড়িতে গিয়েছি
শুধু শুনেছি: তুমি ভার্সিটিতে, আর ক্লাসে!
কত ক্লাস তোমার! ভেবে-ভেবে
আমার মনটা ভরে উঠতো সুখের স্বপ্নে।
আর ভেবেছি: একদিন তুমি সত্যি বড় হবে,
পড়ালেখা-শেষে ঢুকবে কোনো বড় অফিসে!
হঠাৎ একদিন এক পড়ন্ত-বিকালে দেখলাম:
তুমি শুয়ে আছো এক যুবকের কোলে!
আমাদেরই ভার্সিটির পাশে রমনা-পার্কে,
কী নির্লজ্জ বিকাল দেখলাম সেদিন!
মাদকসেবীটার কোলে শুয়ে তুমি খুব হাসছিলে
আর কী যেন সব আবোলতাবোল গল্প বলছিলে
আর হয়তো কোনো স্বপ্নের কথা বলছিলে!
লজ্জায় আমি কুঁকড়ে গিয়েছিলাম সেদিন
ঠিক লজ্জাবতীর লতার মতো!
আমি পুরুষ হয়েও দিতে পারিনি লজ্জা বিসর্জন।
আর তুমি আমার ভালোবাসা ধূলায় মিশিয়ে দিয়ে
উন্মুক্ত পার্কে শুয়ে আছো একটা হিজড়ার কোলে!
এই বুঝি তোমার ভার্সিটি?
আর এই বুঝি তোমার খুব ক্লাস?
আর তাই, নিয়মিত ভার্সিটিতে যাতায়াতের মহড়া!
আর ভাবি না তোমাকে নিয়ে
আর কখনও দেখবো না তোমার মুখ।
সাইয়িদ রফিকুল হক
মিরপুর, ঢাকা, বাংলাদেশ।
১৬/১০/২০১৬
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
মোঃ সোহেল মাহমুদ ১৭/১০/২০১৬এটা কি আপনার জীবনের ঘটনা। অভিমান না করে, ভালবাসাকে সফল করুন। তাহলেই সুখী হবেন। ধন্যবাদ
-
দ্বীপ সরকার ১৭/১০/২০১৬নাইস
-
ডঃ সুজিতকুমার বিশ্বাস ১৭/১০/২০১৬কবিতার নাম "নিকুঞ্জ কুটির" হলে ভালো হত। শুভেচ্ছা।
-
শাহ আজিজ ১৭/১০/২০১৬কবিতার থিম চমৎকার কিন্তু শব্দ স্থাপনা দুর্বল ।লিখে যান নিরন্তর।
-
অঙ্কুর মজুমদার ১৬/১০/২০১৬vlo.