অদ্ভুত তুমি সুন্দর তুমি
সাইয়িদ রফিকুল হক
সেদিন বিকালে তুমি দাঁড়িয়েছিলে
তোমাদের বাসার জানালার গ্রিল ধরে,
তোমার পরনে ছিল আকাশি-রঙের শাড়ি।
আর তা চমৎকারভাবে মানিয়েছিলো তোমার তনুদেহে
আমি দেখেছি তোমাকে কালোপেড়ে আকাশি-শাড়িতে,
আর বারবার দেখেছি তোমাকেই মুগ্ধচোখে—
কী অদ্ভুত সুন্দর লাগছিলো তোমাকে।
আর তোমার শাড়ি-পরার স্টাইলটা খুব বনেদী
এমন স্টাইল সহজে চোখে পড়ে না আজকাল
আর কী ভয়ানক আকর্ষণ তাতে!
দেখলে মুগ্ধ হবে নির্ঘাত যে-কেউ,
দাঁড়িয়ে-দাঁড়িয়ে দেখছিলাম শুধু
তোমার শাড়ি-পরার স্টাইল,
আর একফাঁকে দেখে নিয়েছিলাম একটুখানি
তোমার কপালের রক্তলাল-টিপ।
আর মুগ্ধচোখে আমার তখন মনে হচ্ছিলো:
তুমি আমাদের সুচিত্রা সেনের একদম কাছাকাছি।
আর তখনই আমার রোমাঞ্চিত-হৃদয়ে
তোমাকে দেখে আরেকবার মনে হলো:
কী অদ্ভুত আর কী সুন্দর তুমি!
সেদিন তোমাকে শেষবিকালে বারান্দায়
অমন মোহনীয় ভঙ্গিতে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে
তোমাকে একটি কথা বলার ইচ্ছে হয়েছিলো আমার,
এমন সময় দেখলাম: তোমার রাশভারী পিতা
এসে দাঁড়ালেন বারান্দায়—তোমারই পাশে।
যে-টুকু সাহস সঞ্চয় করেছিলাম
তোমাকে এতোদিনে একটি কথা বলার
মুহূর্তে তা যেন উড়ে গেল কর্পূরের মতো,
তখন আমি বড় আফসোসে দাঁড়িয়েছিলাম রুদ্ধবাকে।
কিন্তু তোমার রাশভারী পিতার চোখটাকে
ফাঁকি দেওয়া আমার কর্ম নয়,
তাই সভয়ে একটু পরে দূরে সরে গিয়েছিলাম।
পরে যখন ফিরে আসি সম্মোহিতের মতো
তখন দেখলাম তুমি দাঁড়িয়ে নেই সেখানে।
তবু আমি দেখলাম মুগ্ধচোখে তোমাকে
আর শুধু তোমাকেই দেখলাম মানসপটে,
আর আপনমনে বলেছি তখন বারবার:
অদ্ভুত তুমি সুন্দর তুমি!
সাইয়িদ রফিকুল হক
মিরপুর, ঢাকা, বাংলাদেশ।
১১/০৬/২০১৬
সেদিন বিকালে তুমি দাঁড়িয়েছিলে
তোমাদের বাসার জানালার গ্রিল ধরে,
তোমার পরনে ছিল আকাশি-রঙের শাড়ি।
আর তা চমৎকারভাবে মানিয়েছিলো তোমার তনুদেহে
আমি দেখেছি তোমাকে কালোপেড়ে আকাশি-শাড়িতে,
আর বারবার দেখেছি তোমাকেই মুগ্ধচোখে—
কী অদ্ভুত সুন্দর লাগছিলো তোমাকে।
আর তোমার শাড়ি-পরার স্টাইলটা খুব বনেদী
এমন স্টাইল সহজে চোখে পড়ে না আজকাল
আর কী ভয়ানক আকর্ষণ তাতে!
দেখলে মুগ্ধ হবে নির্ঘাত যে-কেউ,
দাঁড়িয়ে-দাঁড়িয়ে দেখছিলাম শুধু
তোমার শাড়ি-পরার স্টাইল,
আর একফাঁকে দেখে নিয়েছিলাম একটুখানি
তোমার কপালের রক্তলাল-টিপ।
আর মুগ্ধচোখে আমার তখন মনে হচ্ছিলো:
তুমি আমাদের সুচিত্রা সেনের একদম কাছাকাছি।
আর তখনই আমার রোমাঞ্চিত-হৃদয়ে
তোমাকে দেখে আরেকবার মনে হলো:
কী অদ্ভুত আর কী সুন্দর তুমি!
সেদিন তোমাকে শেষবিকালে বারান্দায়
অমন মোহনীয় ভঙ্গিতে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে
তোমাকে একটি কথা বলার ইচ্ছে হয়েছিলো আমার,
এমন সময় দেখলাম: তোমার রাশভারী পিতা
এসে দাঁড়ালেন বারান্দায়—তোমারই পাশে।
যে-টুকু সাহস সঞ্চয় করেছিলাম
তোমাকে এতোদিনে একটি কথা বলার
মুহূর্তে তা যেন উড়ে গেল কর্পূরের মতো,
তখন আমি বড় আফসোসে দাঁড়িয়েছিলাম রুদ্ধবাকে।
কিন্তু তোমার রাশভারী পিতার চোখটাকে
ফাঁকি দেওয়া আমার কর্ম নয়,
তাই সভয়ে একটু পরে দূরে সরে গিয়েছিলাম।
পরে যখন ফিরে আসি সম্মোহিতের মতো
তখন দেখলাম তুমি দাঁড়িয়ে নেই সেখানে।
তবু আমি দেখলাম মুগ্ধচোখে তোমাকে
আর শুধু তোমাকেই দেখলাম মানসপটে,
আর আপনমনে বলেছি তখন বারবার:
অদ্ভুত তুমি সুন্দর তুমি!
সাইয়িদ রফিকুল হক
মিরপুর, ঢাকা, বাংলাদেশ।
১১/০৬/২০১৬
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
শঙ্খজিৎ ভট্টাচার্য ০২/১১/২০২৩অনবদ্য
-
সজীব ১১/০৭/২০১৬খুব ভাল লাগল
-
অঙ্কুর মজুমদার ০৯/০৭/২০১৬nice1
-
মোনালিসা ০৮/০৭/২০১৬ভালো