আমার শৈশব ২
[দুই]
September 1, 2013 at 12:58am
ছোটবেলা হাটের সাথে পরিচয় গ্রামের বাড়িতে।
একটু বলে রাখি, আমার জন্ম ঢাকা শহরে - Holy Family Hospital এ। জানিনা এখনও আছে কি না। তাই গ্রামের বাড়িতে যাওয়া আমার কাছে এক মহা আনন্দের ব্যপার ছিল।
আমাদের ছয় ঠাকুরদা মিলে বিক্রমপুরে থাকতেন। পরে বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্তে ওনারা ছড়িয়ে পড়েন পদ্মার ভাঙন ও জীবিকার প্রয়োজনে। বাবা তো বরিশালের ভাণ্ডারীয়া বন্দরে আমার ছোটো ঠাকুরদার কাছেই মানুষ হয়েছিলেন কারন বাবা খুব ছোট বয়সেই পিতৃ হীন হয়েছিলেন। ওনারাই ছিলেন আমাদের ঠাকুমা দাদু।
বড় আনন্দে রাখতেন আমাদের যখন দেশে যেতাম। দাদু সারা পাড়া আমাদের নিয়ে ঘুরে বেড়াতেন। আর যেদিন হাট বসতো সেদিন একটা দেখার মত ব্যপার হত। ভোর না হতেই কোথা থেকে অগুনতি নৌকা করে ব্যপারিরা তাঁদের জিনিষ প্ত্র এনে নির্দিষ্ট জায়গায় বেচা কেনা করতেন। সব কিছু অত স্পষ্ট মনে নেই।
খুব মজা লাগতো হুঁকো বানানো দেখতে। দাদুর টা নষ্ট হয়ে গেলে কিনতেন। আস্ত নারকোল খোল টা কি করে অক্ষত রেখে তাতে নল লাগিয়ে আর কল্কে লাগিয়ে কি চটপট বানিয়ে ফেলত এক একটা হুঁকো। আর পাওয়া যেত সামুদ্রিক কাঁকড়া ইয়া বড়! কেজি খানেক ওজন হবে কম পক্ষে ওই লাল কাঁকড়া গুলোর।
হাটে পাওয়া যেতো ছোট ছোট সাড়ি। একদম মায়ের শাড়ির মত তার ডিজাইন আর বুনন। দেশে গেলে ওই হাট থেকে একটা শাড়ি দাদু কিনে দিতেন ই। তারপর ঢাকায় ফিরে ওই শাড়ি পড়ে বন্ধুদের দেখানো।। সে এক মজার অভিজ্ঞতা।
ব্যপারিদের স্থান সঙ্কুলান না হলে নৌকার মধ্যেই পশরা নিয়ে বিকি কিনি চালাতেন। ভাণ্ডারীয়া সমুদ্রের কাছে হয়াতে নদীর পাড় গুলো সমুদ্র সৈকতের মত ঢালু হত। নদীর অনেক দূর অবধি গেলেও হাঁটু জলও হতনা। কিন্তু সাহস ও হতনা বেশী দূর যাওয়ার।
হাটের দিন অনেক নৌকা থাকায় , নৌকা ধরে ধরে নদীর অনেক দূর অবধি চলে যেতাম। আর সেই সাহসে আত্মবিশ্বাস বেড়ে যেতো।
সেই হাটের স্মৃতি এখনও জ্বলজ্বল করে জ্বলছে মনে। চোখ বুজলেই স্পষ্ট দেখতে পাই সেই কোলাহল, ব্যস্ততা, আমাদের হুটোপুটি।
[ক্রমশ]
September 1, 2013 at 12:58am
ছোটবেলা হাটের সাথে পরিচয় গ্রামের বাড়িতে।
একটু বলে রাখি, আমার জন্ম ঢাকা শহরে - Holy Family Hospital এ। জানিনা এখনও আছে কি না। তাই গ্রামের বাড়িতে যাওয়া আমার কাছে এক মহা আনন্দের ব্যপার ছিল।
আমাদের ছয় ঠাকুরদা মিলে বিক্রমপুরে থাকতেন। পরে বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্তে ওনারা ছড়িয়ে পড়েন পদ্মার ভাঙন ও জীবিকার প্রয়োজনে। বাবা তো বরিশালের ভাণ্ডারীয়া বন্দরে আমার ছোটো ঠাকুরদার কাছেই মানুষ হয়েছিলেন কারন বাবা খুব ছোট বয়সেই পিতৃ হীন হয়েছিলেন। ওনারাই ছিলেন আমাদের ঠাকুমা দাদু।
বড় আনন্দে রাখতেন আমাদের যখন দেশে যেতাম। দাদু সারা পাড়া আমাদের নিয়ে ঘুরে বেড়াতেন। আর যেদিন হাট বসতো সেদিন একটা দেখার মত ব্যপার হত। ভোর না হতেই কোথা থেকে অগুনতি নৌকা করে ব্যপারিরা তাঁদের জিনিষ প্ত্র এনে নির্দিষ্ট জায়গায় বেচা কেনা করতেন। সব কিছু অত স্পষ্ট মনে নেই।
খুব মজা লাগতো হুঁকো বানানো দেখতে। দাদুর টা নষ্ট হয়ে গেলে কিনতেন। আস্ত নারকোল খোল টা কি করে অক্ষত রেখে তাতে নল লাগিয়ে আর কল্কে লাগিয়ে কি চটপট বানিয়ে ফেলত এক একটা হুঁকো। আর পাওয়া যেত সামুদ্রিক কাঁকড়া ইয়া বড়! কেজি খানেক ওজন হবে কম পক্ষে ওই লাল কাঁকড়া গুলোর।
হাটে পাওয়া যেতো ছোট ছোট সাড়ি। একদম মায়ের শাড়ির মত তার ডিজাইন আর বুনন। দেশে গেলে ওই হাট থেকে একটা শাড়ি দাদু কিনে দিতেন ই। তারপর ঢাকায় ফিরে ওই শাড়ি পড়ে বন্ধুদের দেখানো।। সে এক মজার অভিজ্ঞতা।
ব্যপারিদের স্থান সঙ্কুলান না হলে নৌকার মধ্যেই পশরা নিয়ে বিকি কিনি চালাতেন। ভাণ্ডারীয়া সমুদ্রের কাছে হয়াতে নদীর পাড় গুলো সমুদ্র সৈকতের মত ঢালু হত। নদীর অনেক দূর অবধি গেলেও হাঁটু জলও হতনা। কিন্তু সাহস ও হতনা বেশী দূর যাওয়ার।
হাটের দিন অনেক নৌকা থাকায় , নৌকা ধরে ধরে নদীর অনেক দূর অবধি চলে যেতাম। আর সেই সাহসে আত্মবিশ্বাস বেড়ে যেতো।
সেই হাটের স্মৃতি এখনও জ্বলজ্বল করে জ্বলছে মনে। চোখ বুজলেই স্পষ্ট দেখতে পাই সেই কোলাহল, ব্যস্ততা, আমাদের হুটোপুটি।
[ক্রমশ]
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
সাখাওয়াতুল আলম চৌধুরী. ২২/১০/২০১৩পড়তে খুবই ভালো লাগছে।
-
সুবীর কাস্মীর পেরেরা ২৪/০৯/২০১৩দিদিদ আরো জানলাম ,হলি ফ্যামিলি এখন হলি ফ্যামিলি রে ক্রিসেন্ট হসপিটাল ক্রস বাদ দিয়ে ক্রিসেন্ট করা হয়েছে।
-
বিশ্বজিৎ বণিক ২৪/০৯/২০১৩ছোট বেলা বড় বেলায় এসে স্মৃতি রোমন্থন । বেশ ভালো লাগলো । @ স্বাতী বিশ্বাস
-
ইব্রাহীম রাসেল ২৪/০৯/২০১৩--বাহ! পরেরটির জন্য অপেক্ষায় রইলাম। ভালো লিখছেন---
-
Înšigniã Āvî ২৪/০৯/২০১৩সত্যি স্বাতীদি আপনার লেখা পড়ে খুব নস্টালজিক হয়ে পড়ছি.....
ভীষণভাবে মনে পড়ছে আমার মামা বাড়ির সব স্মৃতিরা ।