আমার শৈশব ১
[এক]
August 23, 2013 at 1:06am
আমাদের ছোটবেলা এত মজার ছিল যে কি বলব। ঢাকা রামকৃষ্ণ মিশন রোড এ বাংলাদেশ ব্যাঙ্ক এ স্টাফ কোয়াটার এ তখন মাত্র দুটো বিল্ডিং। মাত্র চব্বিশ টা পরিবার। সবাই মিলে মিশে থাকা।
স্কুল ও খুব কাছে। হেঁটে যেতাম দল বেঁধে। সেকথা পরে হবে।
প্রকাণ্ড বড় খেলার মাঠ ছিল। এখন জানিনা পুরো মাঠ টা আছে কি না! না কি কংক্রিট খেয়ে নিয়েছে!
কোনও খেলা বাদ যেত না। বিকেল চারটা বাজলে এক মুহূর্ত ও ঘরে থাকার কোন কথা নেই... সোজা মাঠে! আমাদের বড় দিদি ছিলেন বেবি আপা। রুটিন বানিয়ে রেখেছিলেন খেলার - পুরো এক মাসের - যা তে কোনও খেলা বাদ না পরে!
কি কি ছিলনা তাতে! পুতুল খেলা, রান্না-বাটি, ফুটবল, ক্রিকেট, কবাডি, বেস বল, গোল্লা ছুট, বুড়ি বাসন্তী, আইস-বাইস, সাত চারা, এক্কা- দোক্কা, ছু-কিতকিত আরও কত কি।
হটাত মনে হল বনভোজন করব। মাঠের মাঝে এক বড় তাল গাছ। সবাই বাড়ি থেকে চাল আর আলু আর বোধ হয় দু পয়সা চেয়ে নিতাম মায়েদের কাছ থেকে। বড় দাদা আর দিদিরা মিলে ইট দিয়ে উনুন পেতে রান্না চাপাত। আমরা শুকনো ডাল আর পাতা কুড়িয়ে আনতাম। রান্না হয়ে গেলে সব এক সাথে বসে ওই তাল গাছের নিচে বসে খাওয়া।
তাল গাছ টা ছিল মাঠে একদম মাঝখানে। গাছটার এক পাশে একটা মড়া নদীর খাদ ছিল। বর্ষার জল জমে আমাদের চান করার মত জল ভরে উঠত তাতে। স্কুল থেকে ফিরে এক দৌড়ে সেই জলায় নেমে হুটোপুটি সেরে বাড়ি ফিরে মায়ের হাতে মার! রোজ মার খাওয়া আর রোজ জলায় চান।
একদিন আমি আর ভাই গামছা নিয়ে ছোট ছোট মাছ ধরে মায়ের কাছে মহা উৎসাহে নিয়ে এলাম! মা দেখে তো হেসেই আকুল! আসলে সে গুলো ছিল ব্যাঙ্গাচি!
এই যে সবাই এক সাথে থাকা। এই যে এত ভালবাসা! এই টান! কোথায় যে হারিয়ে গেলো।
[ক্রমশ]
August 23, 2013 at 1:06am
আমাদের ছোটবেলা এত মজার ছিল যে কি বলব। ঢাকা রামকৃষ্ণ মিশন রোড এ বাংলাদেশ ব্যাঙ্ক এ স্টাফ কোয়াটার এ তখন মাত্র দুটো বিল্ডিং। মাত্র চব্বিশ টা পরিবার। সবাই মিলে মিশে থাকা।
স্কুল ও খুব কাছে। হেঁটে যেতাম দল বেঁধে। সেকথা পরে হবে।
প্রকাণ্ড বড় খেলার মাঠ ছিল। এখন জানিনা পুরো মাঠ টা আছে কি না! না কি কংক্রিট খেয়ে নিয়েছে!
কোনও খেলা বাদ যেত না। বিকেল চারটা বাজলে এক মুহূর্ত ও ঘরে থাকার কোন কথা নেই... সোজা মাঠে! আমাদের বড় দিদি ছিলেন বেবি আপা। রুটিন বানিয়ে রেখেছিলেন খেলার - পুরো এক মাসের - যা তে কোনও খেলা বাদ না পরে!
কি কি ছিলনা তাতে! পুতুল খেলা, রান্না-বাটি, ফুটবল, ক্রিকেট, কবাডি, বেস বল, গোল্লা ছুট, বুড়ি বাসন্তী, আইস-বাইস, সাত চারা, এক্কা- দোক্কা, ছু-কিতকিত আরও কত কি।
হটাত মনে হল বনভোজন করব। মাঠের মাঝে এক বড় তাল গাছ। সবাই বাড়ি থেকে চাল আর আলু আর বোধ হয় দু পয়সা চেয়ে নিতাম মায়েদের কাছ থেকে। বড় দাদা আর দিদিরা মিলে ইট দিয়ে উনুন পেতে রান্না চাপাত। আমরা শুকনো ডাল আর পাতা কুড়িয়ে আনতাম। রান্না হয়ে গেলে সব এক সাথে বসে ওই তাল গাছের নিচে বসে খাওয়া।
তাল গাছ টা ছিল মাঠে একদম মাঝখানে। গাছটার এক পাশে একটা মড়া নদীর খাদ ছিল। বর্ষার জল জমে আমাদের চান করার মত জল ভরে উঠত তাতে। স্কুল থেকে ফিরে এক দৌড়ে সেই জলায় নেমে হুটোপুটি সেরে বাড়ি ফিরে মায়ের হাতে মার! রোজ মার খাওয়া আর রোজ জলায় চান।
একদিন আমি আর ভাই গামছা নিয়ে ছোট ছোট মাছ ধরে মায়ের কাছে মহা উৎসাহে নিয়ে এলাম! মা দেখে তো হেসেই আকুল! আসলে সে গুলো ছিল ব্যাঙ্গাচি!
এই যে সবাই এক সাথে থাকা। এই যে এত ভালবাসা! এই টান! কোথায় যে হারিয়ে গেলো।
[ক্রমশ]
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
ইঞ্জিনিয়ার সজীব ইমাম ০২/১১/২০১৪সেই সাত জন নেই তবু টেবিলটা আজো আছে সাতটা পেয়ালা আজো খালি নেই...............
-
সাখাওয়াতুল আলম চৌধুরী. ২২/১০/২০১৩একটা দীর্ঘ শ্বাস বেড়িয়ে গেল! সেই পুরনো শৈশব স্মৃতি পড়ে মনে পড়ে গেল।সত্যিই হৃদয় ছুঁইয়ে গেল।
-
বাবলু ভট্টাচার্য ২৭/০৯/২০১৩'হারানো শৈশব' নামে লিখুন।
-
দাদা মুহাইমিন চৌধূরী ২৫/০৯/২০১৩সবই একদিন হারিয়ে যায়
-
দীপঙ্কর বেরা ২২/০৯/২০১৩ভাল লাগল । আপনার অভিজ্ঞতা শেয়ার করলাম ।
-
jahirul islam jony ২২/০৯/২০১৩chomotkar@pore khub valo legese@
-
দেবদাস মৈত্র ২২/০৯/২০১৩লেখাটা কিন্তু এই আসরে গল্প শ্রেনিভুক্ত হতে পারে না । " অভিজ্ঞতা কলাম " - এ স্থান পাওয়া উচিত ছিল । যাই হোক লেখার মর্যাদা দিয়েই জানাতে চাই যে লেখাটা পরিবেশনের প্রতি আর একটু দৃষ্টি দেওয়া উচিত ছিল বলে আমার মনে হয় ।
-
পল্লব ২১/০৯/২০১৩সুন্দর লিখেছেন। আপনার লেখা পড়ে একটা প্রশ্ন এলো মাথায়। এটা কি গল্প? নাকি বাস্তব থেকে নেয়া? বাস্তব থেকে নেয়া হলে গল্পের পরিবর্তে "অভিজ্ঞতা" বিষয়শ্রেণীর অন্তর্ভুক্ত করা উচিত লেখাটা।
-
Înšigniã Āvî ২১/০৯/২০১৩খুব ভাল লাগলো
আমার মামা বাড়ির স্মৃতিটা অনেকটাই টাটকা হয়ে গেল এই লেখা পড়ে। -
সুবীর কাস্মীর পেরেরা ২১/০৯/২০১৩দিদি তুমি যে ঢাকার কন্যা আগে বলনি তো??? যাক ঢাকাইয়্যা মাইয়্যা পাইলাম,