সেলিব্রিটি
রর্বিবারের দুপুর। রসিক ভোজন শেষ করে শ্যামল বাবু টিভির সামনে খবরের চ্যানেল গিয়ে বসেছেন।সাথে শ্যামল বাবুর ছেলে মনিষ।। মনিষ ক্লাস ৪ এ পড়ে। আজ স্কুল ছুটি ।তাই আজকের দিনটাই ওর টিভি দেখার সময়।।বাকি দিন তো স্কুলে কেটে যায়।সন্ধ্যা হলে মা পড়তে বসিয়ে দেন।মনিষ ও খেয়ে-দেয়ে বাবার সাথে টিভি দেখছে।কিন্ত ওর সখের ডরেমন যে চলবে না তা ও ভাল করে জানে। তাই অগত্যা ও খবর দেখছে বসে থেকে।।আজ নিউজ চ্যানেল গুলি রিতুপর্ন ঘোষের ম্রিত্যু স্ংবাদ নিয়ে ব্যাস্ত।যে মানুষ টি তারঁ শিল্প কলায় এই সমাজ কে ভরিয়ে গেল সে আজ সুধুই মিডিয়ার ঝলকে এক নস্বর শরীর মাত্র। মনি্ষ হাঁ করে দেখছে টিভি টা। হঠাত বাবা কে একটু খুচিয়ে বল্ল-বাবা উনি ঘুমিয়ে আছেন আর সবাই উনার ফোটো কেন তুলছে।বাবা বল্লেন- সোনা,উনি চিরঘুমে ঘুমিয়ে আছেন।উনি এখন আকাশের তারা।মনিষ বুঝল যখন ওর ঠাকুমা মারা গিয়েছিল তখন মা বলেছিল যে ওর ঠাকুমা আকাশের তারা হইয়ে গেছে।" কিন্তু বাবা ওতো হইচই আর ফোটো তোলা এসব কেন?" মনিষ আবার প্রস্ন করে বসল।
শ্যামল বাবু মাথায় হাত বুলিয়ে বল্লেন-উনি যে সেলিব্রিটি। সেলিব্রিটি মানে টা মনিষ জানে না। তাই বাবাকে মানে টা জিঙ্গাসা করে বসল।ওর বাবা ঈষত হাসি হেসে বল্লেন যে সমাযের জন্য ভাল কাজ করেন তিনি সেলিব্রিটি।মনিষের খুব ইচ্ছা হচ্ছে যে ও সেলিব্রিটি কে ফুল দিয়ে প্রনাম করে।ওরও তো বাগানে কত ফুল আছে।ট্গর, শিউলি, জবা,নয়নতারা আরো কত কি।বেল গাছের নিচে একটু ঘাসফুলো হইয়েছে ও পরষু খেলতে যাবার সমইয় দেখেছিল।কিন্তু কি করে জাবে।।ও তো থাকে বালুরঘাটে।।ওটা তো সেই কলিকাতা। তাই আনচান মনে ও শুয়ে পরল বিছানায়। কিন্তু ঘুম কি আর আসে? ঘড়িতে তখন বিকাল ৬টা। মনিষ হ্ঠাত ওর সাইকেল টা নিয়ে আর কইয়েক টা টগর্ ফুল পকেটে ভরে রওনা হোলো ভাগারের দিকে।যাবার সময় মাঠে বলে গেল যে ও আজ খেলবে না।বারি থেকে জে রাস্তাটা গ্রামের দিকে যায় তাতে কিছুটা সোজা গেলেই ভাগার। গতকাল ওর প্রিয় ভুলু মারা গেছে।মা বলেছিল ভুলু কে ভাগারে রাখা হবে।ভুলু ওর সখের একটা কাল মিস্টি কুকুর।ভুলু ও তো কত উপকার করেছে।যখন ওরা বাড়িতে থাকত না তখন ভুলু ওদের বাড়ি পাহারা দিতো।।ওর সাথে কত খেলত। ঐ তো ওর সেলিব্রিটি।ভাগারে আবর্জ্নার মাঝে ও খুজে নিল ভুলুর নিথর দেহ টা।পচে গন্ধ বের হইছে সামান্য।মনিষ টগর গুলি দিয়ে ভুলুকে প্রনাম করল। কেউ না হোক ও তো ওর সেলিব্রিটি কে চিনেছে।ওখানে বসে ওর ভুলুর সাথে কাটানো
মুহুর্ত গুলি মনে পরছিল।তারপর সাইকেল নিয়ে ও ফিরে গেল বাড়ির
পথে।সন্ধ্যা নামে এসেছে প্রায়।।কয়েকটা তারাও ফুটেছে।অই তারার মাঝে মনিষ ভুলুর নির্মল চেহারা টা দেখতে পেল।
শ্যামল বাবু মাথায় হাত বুলিয়ে বল্লেন-উনি যে সেলিব্রিটি। সেলিব্রিটি মানে টা মনিষ জানে না। তাই বাবাকে মানে টা জিঙ্গাসা করে বসল।ওর বাবা ঈষত হাসি হেসে বল্লেন যে সমাযের জন্য ভাল কাজ করেন তিনি সেলিব্রিটি।মনিষের খুব ইচ্ছা হচ্ছে যে ও সেলিব্রিটি কে ফুল দিয়ে প্রনাম করে।ওরও তো বাগানে কত ফুল আছে।ট্গর, শিউলি, জবা,নয়নতারা আরো কত কি।বেল গাছের নিচে একটু ঘাসফুলো হইয়েছে ও পরষু খেলতে যাবার সমইয় দেখেছিল।কিন্তু কি করে জাবে।।ও তো থাকে বালুরঘাটে।।ওটা তো সেই কলিকাতা। তাই আনচান মনে ও শুয়ে পরল বিছানায়। কিন্তু ঘুম কি আর আসে? ঘড়িতে তখন বিকাল ৬টা। মনিষ হ্ঠাত ওর সাইকেল টা নিয়ে আর কইয়েক টা টগর্ ফুল পকেটে ভরে রওনা হোলো ভাগারের দিকে।যাবার সময় মাঠে বলে গেল যে ও আজ খেলবে না।বারি থেকে জে রাস্তাটা গ্রামের দিকে যায় তাতে কিছুটা সোজা গেলেই ভাগার। গতকাল ওর প্রিয় ভুলু মারা গেছে।মা বলেছিল ভুলু কে ভাগারে রাখা হবে।ভুলু ওর সখের একটা কাল মিস্টি কুকুর।ভুলু ও তো কত উপকার করেছে।যখন ওরা বাড়িতে থাকত না তখন ভুলু ওদের বাড়ি পাহারা দিতো।।ওর সাথে কত খেলত। ঐ তো ওর সেলিব্রিটি।ভাগারে আবর্জ্নার মাঝে ও খুজে নিল ভুলুর নিথর দেহ টা।পচে গন্ধ বের হইছে সামান্য।মনিষ টগর গুলি দিয়ে ভুলুকে প্রনাম করল। কেউ না হোক ও তো ওর সেলিব্রিটি কে চিনেছে।ওখানে বসে ওর ভুলুর সাথে কাটানো
মুহুর্ত গুলি মনে পরছিল।তারপর সাইকেল নিয়ে ও ফিরে গেল বাড়ির
পথে।সন্ধ্যা নামে এসেছে প্রায়।।কয়েকটা তারাও ফুটেছে।অই তারার মাঝে মনিষ ভুলুর নির্মল চেহারা টা দেখতে পেল।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
একনিষ্ঠ অনুগত ০১/০৯/২০১৪মনে দাগ কাটে... বেশ ভালো লাগলো।।
-
surajit sarkar ৩১/০৮/২০১৪khub e valo hoye6e..
asha kr6i future e r o porte parbo.. -
উদ্বাস্তু নিশাচর ৩১/০৮/২০১৪ভাল
-
আলোকিত অন্ধকার ৩১/০৮/২০১৪বেশ লাগলো...।
-
মারুফা তামান্না ৩১/০৮/২০১৪অনেক ভাল লাগল
-
সহিদুল হক ৩১/০৮/২০১৪ভাল লাগলো গল্পটি।
-
শিমুল শুভ্র ৩১/০৮/২০১৪আসরে অভিনন্দন -ছোট গল্প বেশ লাগলো ।