আগে কি সুন্দর দিন কাটাইতাম (১০৪)
একসাথে মিলে খাওয়া-দাওয়া !
আমি কৃষক পরিবারের সন্তান। আমরা তিন বেলা খাবার খেতাম। ধরতে গেলে ভাতই খেতাম বেশী। সকাল, দুপুর ও রাতে আয়োজন হতো খাবারের। বিকালে কোন নাস্তা-টাস্তার কোন ব্যবস্থা ছিলো না। পরিবারের সদস্য ছিলো অনেক বেশী। কমপক্ষে ১৫/২০ জন তো হবেই। এ এক বিরাট ব্যাপার। এই ১৫/২০ জনের খাবার পাকানো (রান্না করা) হতো প্রতি বেলা। এই খাবার রান্নার জন্য বড় পাতিল লাগতো। রান্না করতো মা। তারপর তা রীতি অনুসারে স্থানান্তরিত হতো বৌদির কাছে। খাবার রান্নার পর চলতো পরিবেশনের বিরাট আয়োজন। সবাই একসাথে রান্না ঘরে বসতাম পিরি (ফিরি) বা মাদুরের উপর। খাবারের জন্য আলাদা কোন ঘর ছিলো না, কোন চেয়ার-টেবিলও কিন্তু ছিলো না। পিরি বা মাদুরের উপর বসেই চলতো খাবারের পালা। বড় বোলে পরিবেশিত হতো ভাত ও ডাল। একসাথে খেতে না পাড়লে রান্না ঘরের দরজা বন্ধ হয়ে যেত। পরে খেতে হলে অনেক অনুরোধ-বিনয় করতে হতো, আবার কখনো খাবার পাওয়া যেত না। আগের এমন ঐতিহ্যের কথা মনে করে এখনও তৃপ্তিতে মন ভরে যায়। চলে যেতে মন চায় আগের দিনগুলোর কাছে ! আগে কি সুন্দর দিন কাটাইতাম !
আমি কৃষক পরিবারের সন্তান। আমরা তিন বেলা খাবার খেতাম। ধরতে গেলে ভাতই খেতাম বেশী। সকাল, দুপুর ও রাতে আয়োজন হতো খাবারের। বিকালে কোন নাস্তা-টাস্তার কোন ব্যবস্থা ছিলো না। পরিবারের সদস্য ছিলো অনেক বেশী। কমপক্ষে ১৫/২০ জন তো হবেই। এ এক বিরাট ব্যাপার। এই ১৫/২০ জনের খাবার পাকানো (রান্না করা) হতো প্রতি বেলা। এই খাবার রান্নার জন্য বড় পাতিল লাগতো। রান্না করতো মা। তারপর তা রীতি অনুসারে স্থানান্তরিত হতো বৌদির কাছে। খাবার রান্নার পর চলতো পরিবেশনের বিরাট আয়োজন। সবাই একসাথে রান্না ঘরে বসতাম পিরি (ফিরি) বা মাদুরের উপর। খাবারের জন্য আলাদা কোন ঘর ছিলো না, কোন চেয়ার-টেবিলও কিন্তু ছিলো না। পিরি বা মাদুরের উপর বসেই চলতো খাবারের পালা। বড় বোলে পরিবেশিত হতো ভাত ও ডাল। একসাথে খেতে না পাড়লে রান্না ঘরের দরজা বন্ধ হয়ে যেত। পরে খেতে হলে অনেক অনুরোধ-বিনয় করতে হতো, আবার কখনো খাবার পাওয়া যেত না। আগের এমন ঐতিহ্যের কথা মনে করে এখনও তৃপ্তিতে মন ভরে যায়। চলে যেতে মন চায় আগের দিনগুলোর কাছে ! আগে কি সুন্দর দিন কাটাইতাম !
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
জামাল উদ্দিন জীবন ০৪/০৮/২০২১স্মৃতির বাক্যালাপ।
-
রেদওয়ান আহমেদ বর্ণ ৩১/০৭/২০২১খুব ভালো লাগলো প্রিয়
-
আলমগীর সরকার লিটন ৩১/০৭/২০২১সুন্দর স্মৃতিময় করেছেন