করোনা প্রতিরোধের দায়িত্ব আমাদের সকলের
করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) পরিস্থিতি আমাদের দেশে ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। ক্রমেই মৃত্যু ও সনাক্তের হার বেড়েই চলেছে। সোমবার সকাল ৮টা থেকে আজ মঙ্গলবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ২৫৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময়ে নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে ১৪ হাজার ৯২৫ জন। তাছাড়া করোনার লক্ষণ নিয়ে গ্রামে-গঞ্জে অনেক মানুষ মারা যাচ্ছে যার কোন হিসাবই আমাদের কাছে নেই। এখন দেশের প্রায় সকল হাসপাতালের বেডের তুলনায় রোগীর সংখ্যা অনেক বেশী এবং কোন হাসপাতালে আইসিইউ খালি নেই বললেও চলে।
বাংলাদেশ সরকার এই পরিস্থিতি মোকাবেলায় অনেক আন্তরিক। করোনার বিস্তার রোধে সরকার প্রথম থেকেই বিধিনিষেধ আরোপ করে জনসাধারণের চলাচলকে সীমিত করার চেষ্টা করেছিলো এবং সরকার এখনো এই প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। সরকার যথাসম্ভব হাসপাতালের বেড সংখ্যা বাড়িয়েছে। বিভিন্ন স্থানে নতুন হাসপাতাল করেছে। করোনা পরীক্ষার সুযোগ উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি করেছে। স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনায় বিপুল অগ্রগতি সাধন করেছে। অনেক দেশের তুলনায় করোনার ভেক্সিনও দেশে এনেছে সরকার অনেক আগেই । এজন্য সরকারকে ধন্যবাদ জানাই। দেশের ইলেকট্রনিক্স ও প্রিন্ট মিডিয়াগুলোও করোনা প্রতিরোধে বিপুল প্রচারনা চালাচ্ছে। কিন্তু আমরা জনসাধারণ সরকারের দেয়া বিধিনিষেধের তোয়াক্কা না করে অবাধে চলাফেরা করছি, উৎসবে গাঁদাগাদি করে বাড়ী যাচ্ছি এবং বাড়ী থেকে ফেরৎ আসছি একই কায়দায়। উৎসবে হাট-বাজার করেছি। বিভিন্ন অনুষ্ঠান পর্যন্ত করতেও আমরা কুন্ঠা বোধ করি না। এমতাবস্থায় প্রশ্ন উঠেছে, করোনা প্রতিরোধের দায়িত্ব কি সরকারের একার? অবশ্যই না। করোনা প্রতিরোধের দায়িত্ব সকল নাগরিকের সমান। সরকার জরিমানা করে জনগণকে ঘরে রাখতে পারবে না। করোনা প্রতিরোধে সকলের ইচ্ছাশক্তি জরুরী। আসুন, সকলে মিলে এই ভয়াবহ পরিস্থিতি মোকাবেলা করি।
-স্বপন রোজারিও (মাইকেল), ঢাকা, ২৭ জুলাই, ২০২১।
বাংলাদেশ সরকার এই পরিস্থিতি মোকাবেলায় অনেক আন্তরিক। করোনার বিস্তার রোধে সরকার প্রথম থেকেই বিধিনিষেধ আরোপ করে জনসাধারণের চলাচলকে সীমিত করার চেষ্টা করেছিলো এবং সরকার এখনো এই প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। সরকার যথাসম্ভব হাসপাতালের বেড সংখ্যা বাড়িয়েছে। বিভিন্ন স্থানে নতুন হাসপাতাল করেছে। করোনা পরীক্ষার সুযোগ উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি করেছে। স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনায় বিপুল অগ্রগতি সাধন করেছে। অনেক দেশের তুলনায় করোনার ভেক্সিনও দেশে এনেছে সরকার অনেক আগেই । এজন্য সরকারকে ধন্যবাদ জানাই। দেশের ইলেকট্রনিক্স ও প্রিন্ট মিডিয়াগুলোও করোনা প্রতিরোধে বিপুল প্রচারনা চালাচ্ছে। কিন্তু আমরা জনসাধারণ সরকারের দেয়া বিধিনিষেধের তোয়াক্কা না করে অবাধে চলাফেরা করছি, উৎসবে গাঁদাগাদি করে বাড়ী যাচ্ছি এবং বাড়ী থেকে ফেরৎ আসছি একই কায়দায়। উৎসবে হাট-বাজার করেছি। বিভিন্ন অনুষ্ঠান পর্যন্ত করতেও আমরা কুন্ঠা বোধ করি না। এমতাবস্থায় প্রশ্ন উঠেছে, করোনা প্রতিরোধের দায়িত্ব কি সরকারের একার? অবশ্যই না। করোনা প্রতিরোধের দায়িত্ব সকল নাগরিকের সমান। সরকার জরিমানা করে জনগণকে ঘরে রাখতে পারবে না। করোনা প্রতিরোধে সকলের ইচ্ছাশক্তি জরুরী। আসুন, সকলে মিলে এই ভয়াবহ পরিস্থিতি মোকাবেলা করি।
-স্বপন রোজারিও (মাইকেল), ঢাকা, ২৭ জুলাই, ২০২১।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
আলমগীর সরকার লিটন ২৮/০৭/২০২১মহান আল্লাহ সহায়ক হোন আমিন
-
ভাস্কর অনির্বাণ ২৭/০৭/২০২১সময়োপযোগী,,