কঠোর লকডাউনে খেটে খাওয়া মানুষদের পাশে দাঁড়ানো উচিত
বাংলাদেশে এখন কঠোর লকডাউন চলছে। করোনা ভাইরাসের বিস্তার রোধ কল্পে বিভিন্ন সময় এই লকডাউন বাংলাদেশে বিভিন্ন নামে এসেছে। ২০২০ খ্রীষ্টাব্দের ৮ মার্চ বাংলাদেশে করোনা রোগী সমাক্ত হয়। এর পর সরকার সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে। ঐটাও এক ধরনের লকডাউনই ছিলো। পরবর্তীতে যখনই দেশে করোনা পরিস্থিতি খারাপ আকার ধারণ করেছে তখনই সরকার দেশের জনসাধারণের চলাফেরা নিয়ন্ত্রণ করার লক্ষ্যে লকডাউন (বিভিন্ন নামে) ঘোষণা করেছে। সর্বশেষ গত ১ লা জুলাই থেকে ১৪ জুলাই পর্যন্ত সরকার লকডাউন ঘোষণা করেছে। পরবর্তীতে ঈদ উৎসব উদযাপনের জন্য ১৫ জুলাই থেকে ২২ জুলাই পর্যন্ত লকডাউন শিথিল করা হয়েছিলো এবং ২৩ জুলাই থেকে আবার কঠোর লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। লকডাউনে শুধু জরুরী সেবা ছাড়া অন্যান্য সেবা-পরিসেবা বন্ধ রাখা হয়।
বাংলাদেশে অনেক খেটে খাওয়া গরীব মানুষ আছে। আছে দিন মজুর, রিক্সওয়ালা, কুলি, নাপিত, ধোঁপা, শ্রমিক, জেলে, কাঠমিস্ত্রি ইত্যাদি পেশার মানুষ। তাঁরা দিন আনে দিন খায়। তাদের কোন সঞ্চয় নেই। তারা একদিন কাজ না করলে খাবার ক্রয়ের টাকা থাকে না। প্রথম দিকে যখন সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছিলো তখন সরকার থেকে রিলিফের পণ্য বিতরণ করা হয়েছিলো। কিন্তু এবারের লকডাউনে গরীব মানুষদের জন্য কোন রিলিফ-এর ব্যবস্থা করা হয় নি। ফলশ্রুতিতে দেশের গরীব মানুষ এই লকডাউনে পড়েছে চরম বিপদে। ঘর থেকে বের হলে পুলিশের নির্যাতন সহ্য করতে হয় এবং ঘরে থাকলে না খেয়ে মরতে হয়। এই পরিস্থিতিতে মানুষ পেটের দায়ে পুলিশের নির্য়াতন সহ্য করে লাকডাউনে বাইরে বের হয়ে আসছে। এর ফলে সরকারের লকডাউন পূর্ণভাবে বাস্তবায়িত হচ্ছে না এবং সরকার কাংখিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারছে না। লকডাউন দেয়া হলে মানুষ যাতে তা মানে সে দিকে দৃষ্টি দিতে হবে। লকডাউনের সময় গরীব মানুষদের রিলিফের পণ্য দেয়ার ব্যবস্থা করলে মানুষ অবশ্যই লকডাউন মানবে। আর এই দায়িত্ব সরকারের একার না। যারা সমাজে বিত্তবান মানুষ আছেন তাদেরও এগিয়ে আসতে হবে। সরকার ও বিত্তবানরা গরীবদের প্রতি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলে লকডাউন সফল হতে বাধ্য।
বাংলাদেশে অনেক খেটে খাওয়া গরীব মানুষ আছে। আছে দিন মজুর, রিক্সওয়ালা, কুলি, নাপিত, ধোঁপা, শ্রমিক, জেলে, কাঠমিস্ত্রি ইত্যাদি পেশার মানুষ। তাঁরা দিন আনে দিন খায়। তাদের কোন সঞ্চয় নেই। তারা একদিন কাজ না করলে খাবার ক্রয়ের টাকা থাকে না। প্রথম দিকে যখন সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছিলো তখন সরকার থেকে রিলিফের পণ্য বিতরণ করা হয়েছিলো। কিন্তু এবারের লকডাউনে গরীব মানুষদের জন্য কোন রিলিফ-এর ব্যবস্থা করা হয় নি। ফলশ্রুতিতে দেশের গরীব মানুষ এই লকডাউনে পড়েছে চরম বিপদে। ঘর থেকে বের হলে পুলিশের নির্যাতন সহ্য করতে হয় এবং ঘরে থাকলে না খেয়ে মরতে হয়। এই পরিস্থিতিতে মানুষ পেটের দায়ে পুলিশের নির্য়াতন সহ্য করে লাকডাউনে বাইরে বের হয়ে আসছে। এর ফলে সরকারের লকডাউন পূর্ণভাবে বাস্তবায়িত হচ্ছে না এবং সরকার কাংখিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারছে না। লকডাউন দেয়া হলে মানুষ যাতে তা মানে সে দিকে দৃষ্টি দিতে হবে। লকডাউনের সময় গরীব মানুষদের রিলিফের পণ্য দেয়ার ব্যবস্থা করলে মানুষ অবশ্যই লকডাউন মানবে। আর এই দায়িত্ব সরকারের একার না। যারা সমাজে বিত্তবান মানুষ আছেন তাদেরও এগিয়ে আসতে হবে। সরকার ও বিত্তবানরা গরীবদের প্রতি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলে লকডাউন সফল হতে বাধ্য।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
ফয়জুল মহী ২৬/০৭/২০২১
-
সাইয়িদ রফিকুল হক ২৫/০৭/২০২১সরকার পাশে দাঁড়িয়েছে।
ভালো লাগলো