ফকির আলমগীর একজন গণমানুষের শিল্পী
আমার কাছে ফকির আলমগীর মানে প্রতিটি ১লা বৈশাখে ঢাকার শিশুপর্কের সামনে 'ও সখিনা' গান করা। আমার কাছে ফকির আলমগীর মানে ‘নীচু তলার মানুষে’র গান গাওয়া। আমার কাছে ফকির আলমগীর মানে গণমানুষের প্রাণের শিল্পী। আমার কাছে ফকির আলমগীর মানে মুক্তিযোদ্ধাদের অনুপ্রেরণা। আমার কাছে ফকির আলমগীর মানে বাংলাদেশের মাটি ও মানুষ।
১লা বৈশাখে আমি শিশুপার্কের সামনে দেখেছি ফকির আলমগীরকে। তাঁর একটার পর একটা গণমানুষের গান আমাকে সবসময় বিমুগ্ধ করেছে। কখনো কখনো কাঁদিয়েছে। আমি অবাক নয়নে তাঁর গান যতই শুনেছি ততই অনুপ্রাণিত হয়েছি। হয়েছি অভিভূত। ১লা বৈশাখে বাসা থেকে বের হলেই আমি ফকির আলমগীরের গান শুনতাম। পরিবারকে শুনাতাম।
বাংলাদেশের সব ঐতিহাসিক আন্দোলনে এই শিল্পী তার তাঁর গান দিয়ে মানুষকে উজ্জীবিত করেছেন। তিনি স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে গান গেয়েছেন। ঊনসত্তরের গণ অভ্যুত্থান, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ ও নব্বইয়ের সামরিক শাসন বিরোধী গণ আন্দোলনে তিনি তার গান নিয়ে সামিল হয়েছেন।
স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে বাংলা পপ গানের বিকাশেও তার রয়েছে বিশেষ অবদান। বিশেষ করে তার কণ্ঠে , 'চল সখিনা দুবাই যাব, 'মন আমার দেহ ঘড়ি', 'আহারে কাল্লু মাতব্বর', 'ও জুলেখা', 'সান্তাহার জংশনে দেখা', 'বনমালী তুমি' এমন আরও অসংখ্য গান গেয়ে তিনি ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। গণমানুষের হৃদয় জয় করেছেন।
সঙ্গীতাঙ্গনে অবদানের জন্য ১৯৯৯ সালে একুশে পদক পান ফকির আলমগীর। এছাড়া শেরেবাংলা পদক, ভাসানী পদক, জসীমউদ্দীন স্বর্ণপদকও অর্জন করেছেন এই গুণী শিল্পী।
এই গুণী শিল্পী ২১ ফেব্রুয়ারি, ১৯৫০ খ্রীষ্টাব্দে জন্মগ্রহণ করেন। মাত্র ১৬ বছর বয়সে তিনি তাঁর শিল্পী জীবনের ক্যারিয়ার শুরু করেন। তিনি ঋষিজ শিল্পীগোষ্ঠীর প্রতিষ্ঠাতা এবং গণসঙ্গীত সমন্বয় পরিষদেরও প্রেসিডেন্ট।
ফকির আলমগীর বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী। তিনি বাংলাদেশের একজন লেখক যা আমরা অনেকেই জানি না। তিনি এযাবৎ ৯টি বই রচনা করেছেন।
তিনি এখন নেই। তিনি গতকাল (২৩ জুলাই, ২১) আমাদের সবাইকে কাঁদিয়ে পরপারে চলে গেছেন। তাঁর আত্মার চিরশান্তি কামনা করি ও শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি জানাই গভীর সমবেদনা। তাঁর গানগুলো অক্ষয় হিসেবে ধরা দিবে আমাদের হৃদয়ের মনিকোঠায়, এই কামনা করি।
১লা বৈশাখে আমি শিশুপার্কের সামনে দেখেছি ফকির আলমগীরকে। তাঁর একটার পর একটা গণমানুষের গান আমাকে সবসময় বিমুগ্ধ করেছে। কখনো কখনো কাঁদিয়েছে। আমি অবাক নয়নে তাঁর গান যতই শুনেছি ততই অনুপ্রাণিত হয়েছি। হয়েছি অভিভূত। ১লা বৈশাখে বাসা থেকে বের হলেই আমি ফকির আলমগীরের গান শুনতাম। পরিবারকে শুনাতাম।
বাংলাদেশের সব ঐতিহাসিক আন্দোলনে এই শিল্পী তার তাঁর গান দিয়ে মানুষকে উজ্জীবিত করেছেন। তিনি স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে গান গেয়েছেন। ঊনসত্তরের গণ অভ্যুত্থান, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ ও নব্বইয়ের সামরিক শাসন বিরোধী গণ আন্দোলনে তিনি তার গান নিয়ে সামিল হয়েছেন।
স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে বাংলা পপ গানের বিকাশেও তার রয়েছে বিশেষ অবদান। বিশেষ করে তার কণ্ঠে , 'চল সখিনা দুবাই যাব, 'মন আমার দেহ ঘড়ি', 'আহারে কাল্লু মাতব্বর', 'ও জুলেখা', 'সান্তাহার জংশনে দেখা', 'বনমালী তুমি' এমন আরও অসংখ্য গান গেয়ে তিনি ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। গণমানুষের হৃদয় জয় করেছেন।
সঙ্গীতাঙ্গনে অবদানের জন্য ১৯৯৯ সালে একুশে পদক পান ফকির আলমগীর। এছাড়া শেরেবাংলা পদক, ভাসানী পদক, জসীমউদ্দীন স্বর্ণপদকও অর্জন করেছেন এই গুণী শিল্পী।
এই গুণী শিল্পী ২১ ফেব্রুয়ারি, ১৯৫০ খ্রীষ্টাব্দে জন্মগ্রহণ করেন। মাত্র ১৬ বছর বয়সে তিনি তাঁর শিল্পী জীবনের ক্যারিয়ার শুরু করেন। তিনি ঋষিজ শিল্পীগোষ্ঠীর প্রতিষ্ঠাতা এবং গণসঙ্গীত সমন্বয় পরিষদেরও প্রেসিডেন্ট।
ফকির আলমগীর বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী। তিনি বাংলাদেশের একজন লেখক যা আমরা অনেকেই জানি না। তিনি এযাবৎ ৯টি বই রচনা করেছেন।
তিনি এখন নেই। তিনি গতকাল (২৩ জুলাই, ২১) আমাদের সবাইকে কাঁদিয়ে পরপারে চলে গেছেন। তাঁর আত্মার চিরশান্তি কামনা করি ও শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি জানাই গভীর সমবেদনা। তাঁর গানগুলো অক্ষয় হিসেবে ধরা দিবে আমাদের হৃদয়ের মনিকোঠায়, এই কামনা করি।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
নুর হোসেন ২৫/০৭/২০২১উনার আত্মার শান্তি কামনা করছি
-
নাসরীন আক্তার রুবি ২৫/০৭/২০২১উনার গান ভাল লাগত
-
ফয়জুল মহী ২৫/০৭/২০২১Respect