আগে কি সুন্দর দিন কাটাইতাম (৯৮-১০১)
আগে কি সুন্দর দিন কাটাইতাম (৯৮) !
রাত জেগে বিশ্বকাপ ফুটবল খেলা দেখতাম !
আমরা ছাত্রাবস্থায় রাত জেগে বিশ্বকাপ ফুটবল খেলা দেখতাম। এর মজাটাই আলাদা ছিলো। আবাল-বৃদ্ধা-বনিতা একত্রে এই খেলা উপভোগ করতাম। এই খেলা হত রাতে। সবাই মিলে গোল বলে দিতাম এক চিৎকার... গোল.....। আগে বিশ্বকাপ খেলা শুরু হলে গ্রাম-গঞ্জে সাজ সাজ রব পড়ে যেত। বাড়ী সাজানো হতো পছন্দের পতাকা দিয়ে। আর্জেন্টিনা, ব্রাজিল, ইটালী, জার্মানী.... ইত্যাদি। ১০ নম্বর জার্সির কদর বেড়ে যেত। বাজারে পাওয়া যেত না। সবাই ১০ নম্বর জার্সির পেছনে ঘুরতো। ফুটবল বাজারে পাওয়া যেত না। মাঝে মাঝে খেলা দেখতে দেখতে ঘুমিয়ে যেতাম। আবার কখনো গোলা ঘর থেকে গাওয়ালের আধাপাকা কাঁঠাল সবাই মিলে খেয়ে ফেলতাম। মাঝে মাঝে মুড়ি দিয়ে কাঁঠাল খেতাম। এই কাঁঠাল খাওয়ার জন্য কোন কইফিয়ৎ দিতে হতো না। কারণ আমাদের সাথে বড়রাও থাকতো ! আগে কি সুন্দর দিন কাটাইতাম !
আগে কি সুন্দর দিন কাটাইতাম (৯৯) !
মেলায় চরকিতে চড়া !
বার মাসে তের উৎসবের এই দেশ বাংলাদেশ। এই দেশে প্রায়ই বি্ভিন্ন উৎসব লেগে থাকে। এতোসব উৎসবের মধ্যে রয়েছে গ্রামীণ মেলা। এই মেলা সার্বজনীন। সর্ব ধর্মের মানুষ এই মেলাতে অংশগ্রহণ করে একাকার হয়ে যায়। আমরা শিক্ষার্থী থাকাকালীন অবস্থায় সব সময় বিভিন্ন মেলায় যেতাম। কখনো কালীগঞ্জ, কখনো পূবাইল, আবার কখনো উদুর। এই মেলাগুলো আমাদের গ্রামীণ ঐতিহ্যের অংশ হিসেবে পরিগণিত হয়েছে। এই মেলায় গিয়ে আমরা সবসময় চরকিতে উঠতাম। মেলা মানেই চরকিতে উঠা। যে বার টাকার অভাবে চরকিতে উঠতে পারতাম না, সেই বার আমাদের কষ্টের সীমা থাকতো না। চরকিতে উঠলে খুব ভালো লাগতো। চরকি যখন দ্রুতবেগে চলতো তখন মাঝে মাঝে মনে হতো প্রাণবায়ু উঠে গেছে। আবার কতক্ষণ পরে প্রাণবায়ু দেহে ফিরে আসতো। গ্রাম-বাংলায় ছোটদের সবচেয়ে আকর্ষণীয় ছিলো এই চরকি।
আগে কি সুন্দর দিন কাটাইতাম (১০০) !
কলাপাতা বৃষ্টি !
আগে গ্রাম-বাংলায় কলাগাছ হতো অনেক। এই কলা, কলাগাছ ও কলাপাতা আমাদের গ্রামীণ ঐতিহ্য জুরে পাখা বিস্তার করে রয়েছে। বিভিন্ন উৎসবে এই কলাগাছ দিয়ে ঘর-বাড়ী সাজানো হত। কলাপাতা গো-খাদ্যের জন্য অতি উত্তম। এই কলাপাতায় খাবার রেখে মানুষ প্রাণভরে খেত। বৃষ্টিতে গরীবের একমাত্র অবলম্বন ছিলো এই কলাপাতা। ছাত্র-ছাত্রীরাও বৃষ্টিতে কলাপাতা মাথায় দিয়ে বৃষ্টি নিবারণ করতো। সামান্য কলাপাতার এতো গুণ, না দেখলে বুঝতামই না হয়তো।
আগে কি সুন্দর দিন কাটাইতাম (১০১) !
কেরাইয়া বড় নাও (নৌকা) আনা !
আমরা বর্ষাকালে নৌকা চালাতাম। নৌকাকে আমরা বলতাম নাও। নৌকা বলতে তখন চিনতাম না। নীচু এলাকার (যেখানে পানি উঠে) বিভিন্ন বাড়ীতে সাধারণত: ছোট বা মাঝারী ধরনের নৌকা ছিলো। বড় নৌকা সাধারণত: ছিলো না। তবে বড় নৌকা সারা অঞ্চলে একটা বা দুইটা ছিলো।এই বড় নৌকা আমরা কেরাইয়া আনতাম দূর-দূরান্ত থেকে খের আনার জন্য। কেরাইয়া আনার অর্থ কোন কিছুর বিনিময়ে (ক্যাশ/কাইন্ড) বড় নৌকা ভাড়া আনা।
রাত জেগে বিশ্বকাপ ফুটবল খেলা দেখতাম !
আমরা ছাত্রাবস্থায় রাত জেগে বিশ্বকাপ ফুটবল খেলা দেখতাম। এর মজাটাই আলাদা ছিলো। আবাল-বৃদ্ধা-বনিতা একত্রে এই খেলা উপভোগ করতাম। এই খেলা হত রাতে। সবাই মিলে গোল বলে দিতাম এক চিৎকার... গোল.....। আগে বিশ্বকাপ খেলা শুরু হলে গ্রাম-গঞ্জে সাজ সাজ রব পড়ে যেত। বাড়ী সাজানো হতো পছন্দের পতাকা দিয়ে। আর্জেন্টিনা, ব্রাজিল, ইটালী, জার্মানী.... ইত্যাদি। ১০ নম্বর জার্সির কদর বেড়ে যেত। বাজারে পাওয়া যেত না। সবাই ১০ নম্বর জার্সির পেছনে ঘুরতো। ফুটবল বাজারে পাওয়া যেত না। মাঝে মাঝে খেলা দেখতে দেখতে ঘুমিয়ে যেতাম। আবার কখনো গোলা ঘর থেকে গাওয়ালের আধাপাকা কাঁঠাল সবাই মিলে খেয়ে ফেলতাম। মাঝে মাঝে মুড়ি দিয়ে কাঁঠাল খেতাম। এই কাঁঠাল খাওয়ার জন্য কোন কইফিয়ৎ দিতে হতো না। কারণ আমাদের সাথে বড়রাও থাকতো ! আগে কি সুন্দর দিন কাটাইতাম !
আগে কি সুন্দর দিন কাটাইতাম (৯৯) !
মেলায় চরকিতে চড়া !
বার মাসে তের উৎসবের এই দেশ বাংলাদেশ। এই দেশে প্রায়ই বি্ভিন্ন উৎসব লেগে থাকে। এতোসব উৎসবের মধ্যে রয়েছে গ্রামীণ মেলা। এই মেলা সার্বজনীন। সর্ব ধর্মের মানুষ এই মেলাতে অংশগ্রহণ করে একাকার হয়ে যায়। আমরা শিক্ষার্থী থাকাকালীন অবস্থায় সব সময় বিভিন্ন মেলায় যেতাম। কখনো কালীগঞ্জ, কখনো পূবাইল, আবার কখনো উদুর। এই মেলাগুলো আমাদের গ্রামীণ ঐতিহ্যের অংশ হিসেবে পরিগণিত হয়েছে। এই মেলায় গিয়ে আমরা সবসময় চরকিতে উঠতাম। মেলা মানেই চরকিতে উঠা। যে বার টাকার অভাবে চরকিতে উঠতে পারতাম না, সেই বার আমাদের কষ্টের সীমা থাকতো না। চরকিতে উঠলে খুব ভালো লাগতো। চরকি যখন দ্রুতবেগে চলতো তখন মাঝে মাঝে মনে হতো প্রাণবায়ু উঠে গেছে। আবার কতক্ষণ পরে প্রাণবায়ু দেহে ফিরে আসতো। গ্রাম-বাংলায় ছোটদের সবচেয়ে আকর্ষণীয় ছিলো এই চরকি।
আগে কি সুন্দর দিন কাটাইতাম (১০০) !
কলাপাতা বৃষ্টি !
আগে গ্রাম-বাংলায় কলাগাছ হতো অনেক। এই কলা, কলাগাছ ও কলাপাতা আমাদের গ্রামীণ ঐতিহ্য জুরে পাখা বিস্তার করে রয়েছে। বিভিন্ন উৎসবে এই কলাগাছ দিয়ে ঘর-বাড়ী সাজানো হত। কলাপাতা গো-খাদ্যের জন্য অতি উত্তম। এই কলাপাতায় খাবার রেখে মানুষ প্রাণভরে খেত। বৃষ্টিতে গরীবের একমাত্র অবলম্বন ছিলো এই কলাপাতা। ছাত্র-ছাত্রীরাও বৃষ্টিতে কলাপাতা মাথায় দিয়ে বৃষ্টি নিবারণ করতো। সামান্য কলাপাতার এতো গুণ, না দেখলে বুঝতামই না হয়তো।
আগে কি সুন্দর দিন কাটাইতাম (১০১) !
কেরাইয়া বড় নাও (নৌকা) আনা !
আমরা বর্ষাকালে নৌকা চালাতাম। নৌকাকে আমরা বলতাম নাও। নৌকা বলতে তখন চিনতাম না। নীচু এলাকার (যেখানে পানি উঠে) বিভিন্ন বাড়ীতে সাধারণত: ছোট বা মাঝারী ধরনের নৌকা ছিলো। বড় নৌকা সাধারণত: ছিলো না। তবে বড় নৌকা সারা অঞ্চলে একটা বা দুইটা ছিলো।এই বড় নৌকা আমরা কেরাইয়া আনতাম দূর-দূরান্ত থেকে খের আনার জন্য। কেরাইয়া আনার অর্থ কোন কিছুর বিনিময়ে (ক্যাশ/কাইন্ড) বড় নৌকা ভাড়া আনা।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
রাজা গুহ ২১/০৭/২০২১সুন্দর একটি লেখা। শুভেচ্ছা রইলো।