শেষ কথা
দড়িপাড়ার মি. জেঞ্জু ডি’ কস্তাকে আমি জেঞ্জু দা বলেই ডাকতাম। আমি জানি, উনি ঢাকার মনিপুরীপাড়াতেই থাকেন। কিন্তু হঠাৎ করে কবে যে উনি স্বপরিবারে আমেরিকা চলে গেছেন তা আমি জানতাম না। ২০২০ খ্রীষ্টাব্দের প্রথম দিকের কথা বলছি। তখন করোনাভাইরাসের আক্রমনে পৃথিবীটা একেবারে খন্ড-বিখন্ড হয়ে গেছে। সাধারণ ছুটিতে (লকডাউনে) আমিও অফিসে যাওয়া বাদ দিয়েছি। ঠিক ঐ সময় আমেরিকা থেকে জেঞ্জু দা আমাকে ফোন করেন। এটাই আমার সাথে তার শেষ কথা। তিনি আমার সাথে অনেক বিষয়ে আলোচনা করেন। তবে এত আলাপের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ অংশটি ছিলো করোনার এই মহামারীতে আমরা (ঢাকা ক্রেডিট) যেন সদস্যদের নিকট থেকে সুদের টাকা কম গ্রহণ করি। আমি তার আবেদন শুনে আশ্চার্যান্বিত হয়েছি। তিনি আমার অবস্থান জানেন। আমি একজন সাধারণ সমবায়ী কর্মী মাত্র। তিনি এটাও জানেন, সুদের হার কমানোর ব্যাপারে আমার কোন ভূমিকা নেই। আমি সে দিন তাকে বুঝাতে পারি নি যে, আমার এ ব্যাপারে কোন কিছু করণীয় নেই। তিনি আমাকে বার বার অনুরোধ করেছেন। তিনি আমাকে এমনভাবে অনুরোধ করেছেন যেন আমি কলম দিয়ে এক খোঁচা দিলেই সুদ মাফ হয়ে যাবে। আমার প্রতি তাঁর এ অগাধ বিশ্বাস কোথা থেকে জন্মেছে তা বলতে পারবো না। বিষয়টা জানার ইচ্ছা আমার রয়েই গেল। কিন্তু তিনি যে নাই??
তাঁর মৃত্যুকে আমরা শোকাহত। শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করছি। সৃষ্টিকর্তা তাঁকে স্বর্গে স্থান দান করুন।
তাঁর মৃত্যুকে আমরা শোকাহত। শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করছি। সৃষ্টিকর্তা তাঁকে স্বর্গে স্থান দান করুন।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
ভাস্কর অনির্বাণ ২১/০৭/২০২১চমৎকার উপস্থাপনা
-
সাইয়িদ রফিকুল হক ২০/০৭/২০২১বেশ তো!
-
মঈনুল ইসলাম ২০/০৭/২০২১সুন্দর গল্প!