একটি ব্যাগের আত্মকাহিনী (২৬)
আমি একটি ব্যাগ। পুরান ঢাকার একটি ব্যাগের কারখানায় আমার জন্ম। সালটা ছিলো ২০১০। জন্মের পর মগবাজারের এক ব্যাগ ব্যবসায়ী আমাকে কিনে নিয়ে আসে। তার ব্যাগের দোকান আছে মৌচাক মার্কেটে। যথারীতি তিনি আমাকে দোকানে সাজিয়ে রাখে বিক্রির জন্য। দেখতে আমার চেহারা সেই রকম ছিলো। খুবই চমৎকার ! আমার নিচদিকে চাকা আছে যাতে আমাকে চালিয়ে নেয়া যায়। আবার আমার একটি লম্বা বাহুর মত হাতল আছে যার মাধ্যমে আমাকে বহন করে নেয়াও সম্ভব। আমার বাহিরের সৌন্দর্য্য এতো মনমুগ্ধকর যে, যে কোন ক্রেতা দেখলে পছন্দ করবেন আমায় !
যিনি আমাকে কিনেছেন তার হঠাৎ করে ব্যাংকক যাওয়ার সুযোগ হয়ে গেল। এটা ছিলো ৭দিনের একটা ট্রেনিং। এটাই তার জীবনে প্রথম বিদেশ যাওয়া। তিনি এই খবর শুনে একেবারে বিচলিত হয়ে গেলেন। কি করবেন, না করবেন, একেবারে দিশেহারা হয়ে গেলেন। তার বিদেশে নিয়ে যাওয়ার জন্য সুন্দর ব্যাগ ছিলো না। তিনি একটি ব্যাগ ক্রয় করার জন্য স্ত্রীকে নিয়ে মৌচাক মার্কেটে এসে আমাকে দেখলো। আমার রূপ দেখে তিনি বিমোহিত হয়ে গেলেন। টাকা পরিশোধ করে আমাকে নিয়ে গেলেন বাসায়।
আমি আমার মালিকের সাথে ব্যাংকক রওয়ানা হলাম। আমার মালিক আমার অনেক যত্ন নেয়। এয়ারপোর্টের ফ্লোরে আমাকে রাখতে চায় না। পাছে আমার গায়ে ময়লা লেগে যায়। কিন্তু বিপত্তিটা হল- বোরিং পাশের পর আমাকে একটা আলাদা লাইনে ফেলে দেয়া হয় বিমানে উঠানোর জন্য। তখন আমি আমার মালিক থেকে আলাদা হয়ে যাই। চলতে চলতে একবারে বিমানে ঢুকে যাই। সেই সময় আছাড় লেগে আমার চাকাগুলো ভেঙ্গে যায়। এতে আমার চেহারা নষ্ট হয়ে যায়। ব্যাংকক এয়ারপোর্টে যখন আমি নামলাম তখন আমার বিকৃত চেহারা। আমার মালিক প্রথমে চিনতে পারে নি। ভাগ্যিস আমার মধ্যে নাম লিখা ছিলো, ফলে আমার মালিক আমাকে চিনেছে। আমার বিকৃত চেহারা দেখে আমার মালিকের মন খারাপ হয়ে যায়। আমার জন্য তার ব্যাংকক যাত্রাটাই একেবারে নিরানন্দ হয়ে গেল।
ব্যাংকক থেকে আসার পর আমার আর কোথাও যাওয়ার সুযোগ হয় নি। এখন আমার অবস্থান আলমারির উপর। ধরতে গেলে অনেকটা বন্দি জীবন। আমার জীবনে এরূপ করুণ পরিনতি হবে, ভাবতেই পারি নি আগে।
যিনি আমাকে কিনেছেন তার হঠাৎ করে ব্যাংকক যাওয়ার সুযোগ হয়ে গেল। এটা ছিলো ৭দিনের একটা ট্রেনিং। এটাই তার জীবনে প্রথম বিদেশ যাওয়া। তিনি এই খবর শুনে একেবারে বিচলিত হয়ে গেলেন। কি করবেন, না করবেন, একেবারে দিশেহারা হয়ে গেলেন। তার বিদেশে নিয়ে যাওয়ার জন্য সুন্দর ব্যাগ ছিলো না। তিনি একটি ব্যাগ ক্রয় করার জন্য স্ত্রীকে নিয়ে মৌচাক মার্কেটে এসে আমাকে দেখলো। আমার রূপ দেখে তিনি বিমোহিত হয়ে গেলেন। টাকা পরিশোধ করে আমাকে নিয়ে গেলেন বাসায়।
আমি আমার মালিকের সাথে ব্যাংকক রওয়ানা হলাম। আমার মালিক আমার অনেক যত্ন নেয়। এয়ারপোর্টের ফ্লোরে আমাকে রাখতে চায় না। পাছে আমার গায়ে ময়লা লেগে যায়। কিন্তু বিপত্তিটা হল- বোরিং পাশের পর আমাকে একটা আলাদা লাইনে ফেলে দেয়া হয় বিমানে উঠানোর জন্য। তখন আমি আমার মালিক থেকে আলাদা হয়ে যাই। চলতে চলতে একবারে বিমানে ঢুকে যাই। সেই সময় আছাড় লেগে আমার চাকাগুলো ভেঙ্গে যায়। এতে আমার চেহারা নষ্ট হয়ে যায়। ব্যাংকক এয়ারপোর্টে যখন আমি নামলাম তখন আমার বিকৃত চেহারা। আমার মালিক প্রথমে চিনতে পারে নি। ভাগ্যিস আমার মধ্যে নাম লিখা ছিলো, ফলে আমার মালিক আমাকে চিনেছে। আমার বিকৃত চেহারা দেখে আমার মালিকের মন খারাপ হয়ে যায়। আমার জন্য তার ব্যাংকক যাত্রাটাই একেবারে নিরানন্দ হয়ে গেল।
ব্যাংকক থেকে আসার পর আমার আর কোথাও যাওয়ার সুযোগ হয় নি। এখন আমার অবস্থান আলমারির উপর। ধরতে গেলে অনেকটা বন্দি জীবন। আমার জীবনে এরূপ করুণ পরিনতি হবে, ভাবতেই পারি নি আগে।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
আব্দুর রহমান আনসারী ২৩/০৮/২০২৩অনুভবে সুন্দর
-
সাইয়িদ রফিকুল হক ১২/০৭/২০২১বেশ!