সমবায় ভাবনা -(২৮- ৩০)
সমবায় ভাবনা - ২৮
সমবায়ে আর্থিক পণ্য বা প্রোডাক্ট
সমবায়ের একটি মূলনীতি হল সমবায়ে সদস্যদের আর্থিক অংশগ্রহণ। সদস্যদের আর্থিক অংশগ্রহণ ছাড়া কোন সমবায় হয় না। যেখানে অর্থ থাকে সেখানে মানুষের আনাগোনা থাকে। ইহা ঐতিহাসিকভাবে সত্য যে, কোন সংগঠনে আর্থিক অংশগ্রহণ না থাকলে সে সংগঠন দীর্ঘস্থায়ী হয় না। আবার যেখানে অর্থ থাকে সেখানে নানা ধরনের চ্যালেঞ্জ থাকে। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করেই সমবায়কে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হয়। সমবায়ে সদস্যদের আর্থিক অংশগ্রহণ বৃদ্ধি করার জন্য প্রয়োজন হয় বিভিন্ন ধরনের আর্থিক পণ্য বা প্রোডাক্ট। কোন আর্থিক প্রোডাক্ট চালু করার পূর্বে বাজার বিশ্লেষণ করতে হয়। বাজার বিশ্লেষণ করে সম্ভাবতা যাচাই করে কোন প্রোডাক্ট চালু করলে খুবই ভালো হয়। অল্প সদস্য থাকলে সদস্যদের মতামতও নেয়া যেতে পারে। সদস্যদের আর্থিক সক্ষমতা, প্রয়োজনীয়তা, উপযোগীতা, মুনাফা প্রভৃতি বিষয় বিশ্লেষণ করে প্রোডাক্ট করা হলে তা সদস্যদের মধ্যে গ্রহণযোগ্যতা পায়।
সমবায় ভাবনা - ২৯
মানুষের সংঘবদ্ধ ও সহযোগিতার জীবন সমবায় সৃষ্টির প্রধান সহায়ক
মানুষ আদিকাল থেকেই সংঘবদ্ধ থেকেছে, একে অপরকে সহযোগিতা করেছে। প্রস্তর যুগে মানুষ বন্য জীবজন্তুর আক্রমন থেকে নিজেদের রক্ষা করার জন্য সংঘবদ্ধ থেকেছে। প্রাচীন যুগে মানুষ কৃষিকাজ করেছে। কৃষি পণ্য উৎপাদন, সংগ্রহ ও গোলাজাতকরণের প্রতিটি পর্যায়ে মানুষ অন্যের উপর নির্ভরশীল ছিলো। বিনিময় যুগে মানুষ এক পণ্যের বিপরীতে অন্য পণ্য আনতো। যেমন- আমাদের এলাকায় আগে অনেক পিঁয়াজ, মরিচ, রসুন, সরিষা ইত্যাদি ফলতো। আবার আমাদের এলাকায় কাঁঠাল হত না। তাই আমরা নৌকায় করে আমাদের উৎপাদিত ফসল নিয়ে পলহান ও রাতুরা যেতাম আমাদের পণ্য বিনিময়ের মাধ্যমে কাঁঠল আনার জন্য। এই প্রথা ৩০ বছর আগেও প্রচলিত ছিলো। পরে এই সমস্যা দূর করার জন্য মুদ্রার প্রচলন শুরু হয়। এই যে বিভিন্ন যুগে মানুষ অবস্থান করেছে তার মূলে ছিলো সংঘবদ্ধ জীবন ও সহযোগিতার জীবন যা মানুষকে সমবায় গঠনে অনুপ্রাণিত করেছে।
সমবায় ভাবনা - ৩০
সমবায়ে সততা
সমবায়ের প্রথম ‘স’তে হলো ‘সততা’। বাংলাদেশে ক্রেডিট ইউনিয়নের জনক ফাদার চার্লস জে. ইয়াং সিএসসি বলেছেন ‘সমবায়ে অসৎ ব্যক্তির কোন স্থান নাই।’ তিনি যথার্থভাবেই এই উক্তিটি করেছেন। কারণ, সমবায়ে সৎ মানুষ না থাকলে সমবায় দীর্ঘমেয়াদে চলতে পারে না। সমবায় নেতৃত্বের প্রধান বৈশিষ্ট হলো এর নেতাকে ১০০% সৎ থাকতে হবে। সৎ নেতৃত্ব দেশের সমবায় উন্নয়নকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে অনেক দূর। অন্যদিকে অসৎ মানুষ বা নেতৃত্ব সমবায়কে ধ্বংস করে দিতে পরে নিমেষেই। সৎ মানুষ নির্বাচনে সদস্যদের রয়েছে প্রধানতম ভূমিকা। সমবায়ের সদস্যগণ তাদের এই দায়িত্বটি সঠিকভাবে পালন করলে বাংলাদেশে সমবায় এগিয়ে যেতে বাধ্য। কিন্তু অপরদিকে সদস্যদের একটু ভুল সমবায়ে আসতে পারে ধ্বংসের থাবা। সুতরাং মালিক হিসেবে সদস্যদেরই ভাবতে হবে তাঁরা কি করবে।
সমবায়ে আর্থিক পণ্য বা প্রোডাক্ট
সমবায়ের একটি মূলনীতি হল সমবায়ে সদস্যদের আর্থিক অংশগ্রহণ। সদস্যদের আর্থিক অংশগ্রহণ ছাড়া কোন সমবায় হয় না। যেখানে অর্থ থাকে সেখানে মানুষের আনাগোনা থাকে। ইহা ঐতিহাসিকভাবে সত্য যে, কোন সংগঠনে আর্থিক অংশগ্রহণ না থাকলে সে সংগঠন দীর্ঘস্থায়ী হয় না। আবার যেখানে অর্থ থাকে সেখানে নানা ধরনের চ্যালেঞ্জ থাকে। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করেই সমবায়কে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হয়। সমবায়ে সদস্যদের আর্থিক অংশগ্রহণ বৃদ্ধি করার জন্য প্রয়োজন হয় বিভিন্ন ধরনের আর্থিক পণ্য বা প্রোডাক্ট। কোন আর্থিক প্রোডাক্ট চালু করার পূর্বে বাজার বিশ্লেষণ করতে হয়। বাজার বিশ্লেষণ করে সম্ভাবতা যাচাই করে কোন প্রোডাক্ট চালু করলে খুবই ভালো হয়। অল্প সদস্য থাকলে সদস্যদের মতামতও নেয়া যেতে পারে। সদস্যদের আর্থিক সক্ষমতা, প্রয়োজনীয়তা, উপযোগীতা, মুনাফা প্রভৃতি বিষয় বিশ্লেষণ করে প্রোডাক্ট করা হলে তা সদস্যদের মধ্যে গ্রহণযোগ্যতা পায়।
সমবায় ভাবনা - ২৯
মানুষের সংঘবদ্ধ ও সহযোগিতার জীবন সমবায় সৃষ্টির প্রধান সহায়ক
মানুষ আদিকাল থেকেই সংঘবদ্ধ থেকেছে, একে অপরকে সহযোগিতা করেছে। প্রস্তর যুগে মানুষ বন্য জীবজন্তুর আক্রমন থেকে নিজেদের রক্ষা করার জন্য সংঘবদ্ধ থেকেছে। প্রাচীন যুগে মানুষ কৃষিকাজ করেছে। কৃষি পণ্য উৎপাদন, সংগ্রহ ও গোলাজাতকরণের প্রতিটি পর্যায়ে মানুষ অন্যের উপর নির্ভরশীল ছিলো। বিনিময় যুগে মানুষ এক পণ্যের বিপরীতে অন্য পণ্য আনতো। যেমন- আমাদের এলাকায় আগে অনেক পিঁয়াজ, মরিচ, রসুন, সরিষা ইত্যাদি ফলতো। আবার আমাদের এলাকায় কাঁঠাল হত না। তাই আমরা নৌকায় করে আমাদের উৎপাদিত ফসল নিয়ে পলহান ও রাতুরা যেতাম আমাদের পণ্য বিনিময়ের মাধ্যমে কাঁঠল আনার জন্য। এই প্রথা ৩০ বছর আগেও প্রচলিত ছিলো। পরে এই সমস্যা দূর করার জন্য মুদ্রার প্রচলন শুরু হয়। এই যে বিভিন্ন যুগে মানুষ অবস্থান করেছে তার মূলে ছিলো সংঘবদ্ধ জীবন ও সহযোগিতার জীবন যা মানুষকে সমবায় গঠনে অনুপ্রাণিত করেছে।
সমবায় ভাবনা - ৩০
সমবায়ে সততা
সমবায়ের প্রথম ‘স’তে হলো ‘সততা’। বাংলাদেশে ক্রেডিট ইউনিয়নের জনক ফাদার চার্লস জে. ইয়াং সিএসসি বলেছেন ‘সমবায়ে অসৎ ব্যক্তির কোন স্থান নাই।’ তিনি যথার্থভাবেই এই উক্তিটি করেছেন। কারণ, সমবায়ে সৎ মানুষ না থাকলে সমবায় দীর্ঘমেয়াদে চলতে পারে না। সমবায় নেতৃত্বের প্রধান বৈশিষ্ট হলো এর নেতাকে ১০০% সৎ থাকতে হবে। সৎ নেতৃত্ব দেশের সমবায় উন্নয়নকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে অনেক দূর। অন্যদিকে অসৎ মানুষ বা নেতৃত্ব সমবায়কে ধ্বংস করে দিতে পরে নিমেষেই। সৎ মানুষ নির্বাচনে সদস্যদের রয়েছে প্রধানতম ভূমিকা। সমবায়ের সদস্যগণ তাদের এই দায়িত্বটি সঠিকভাবে পালন করলে বাংলাদেশে সমবায় এগিয়ে যেতে বাধ্য। কিন্তু অপরদিকে সদস্যদের একটু ভুল সমবায়ে আসতে পারে ধ্বংসের থাবা। সুতরাং মালিক হিসেবে সদস্যদেরই ভাবতে হবে তাঁরা কি করবে।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
আব্দুর রহমান আনসারী ১৪/০৭/২০২৩বেশ সুন্দর লেখা
-
ভাস্কর অনির্বাণ ২৩/০৭/২০২১গবেষনা মূলক
-
ন্যান্সি দেওয়ান ১০/০৭/২০২১Very Nice.
-
আমিনুল ইসলাম (রিয়াজ) ১০/০৭/২০২১সুন্দর
-
সাইয়িদ রফিকুল হক ১০/০৭/২০২১সমবায় সুন্দর প্রচেষ্টা।