আগে কি সুন্দর দিন কাটাইতাম (৯৫-৯৬)
আগে কি সুন্দর দিন কাটাইতাম (৯৫)
যেমন খুশি তেমন সাজো !
আমি গ্রামের স্কুলে লেখাপড়া করেছি। আমাদের স্কুলে মাঠ ছিলো অনেক বড় যেখানে অনায়াসে ফুটবল খেলা যেতো। বিস্তর মাঠ ছাড়া আমরা কোন স্কুল কল্পনা করতে পারতাম না। স্কুলের মাঠে প্রত্যেক শিক্ষা বছরের শুরুতে হত বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা। বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় একটি বিষয় ছিলো ‘যেমন খুশি তেমন সাজো।’ এর জন্য পুরস্কারও থাকতো। অনেক ছাত্র-ছাত্রী তার ইচ্ছা মত সাজতো। কেউ হত ভিক্ষুক, কেউ ব্যবসায়ী, কেউ চাষী, কেউ বেদে-বেদেনী, কেউ বা গায়ক......। যারা প্রতিযোগিতার কোন বিষয়ে অংশগ্রহণ করতো না তারা ‘যেমন খুশি তেমন সাজতো’। স্কুল কর্তৃপক্ষ সব শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার জন্য এই আয়োজন করতো। যারা গ্রামের স্কুলে পড়েছেন, তাদের জন্য বিষয়টা পুরাতন হলেও যারা শহরের স্কুলে পড়েছেন তাদের জন্য বিষয়টা নতুন ও আকর্ষণীয় বটে। আর এখন করোনার জন্য বিষয়টি সবার জন্যই নতুন হিসেবে আর্ভিভূত হয়েছে !
আগে কি সুন্দর দিন কাটাইতাম (৯৬)
টিনের চালে বৃষ্টি ও কবিতা লিখন !
আগে প্রচুর বৃষ্টিপাত হত। প্রকৃতিগতভাবেই এই বৃষ্টিধারা নেমে আসতো। প্রকৃতিক সৌন্দর্য্য এই বারিধারাকে আকাশ হতে ভূমিতে নেমে আসার জন্য আমন্ত্রণ জানাতো অনবরত। এই বৃষ্টি টিনের চালে পড়লে তা রীতিমত গান হয়ে আমাদের হৃদয়ের মনিকোঠায় ধরা দিতো। মনে হতো, কে যেন সুরের লাহরী ছড়িয়ে যাচ্ছে সারা দিনময়। এই সুরের ছন্দের সাথে তাল মিলিয়ে দুই একটা কবিতাও লিখে ফেলতাম আনমনে আর ছাপাতে দিতাম মিশনের ম্যাগাজিনে। সেই ছন্দময় দিনগুলোর কথা এখনও ভুলতে পারি না আমি।
এখন সেই প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য আর নেই। অনেক জায়গায় গাছ-গাছরা কেটে ফেলার কারণে মরুভূমি হয়ে গেছে। সুতরাং আগের বৃষ্টি এখন আর নেই।
যেমন খুশি তেমন সাজো !
আমি গ্রামের স্কুলে লেখাপড়া করেছি। আমাদের স্কুলে মাঠ ছিলো অনেক বড় যেখানে অনায়াসে ফুটবল খেলা যেতো। বিস্তর মাঠ ছাড়া আমরা কোন স্কুল কল্পনা করতে পারতাম না। স্কুলের মাঠে প্রত্যেক শিক্ষা বছরের শুরুতে হত বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা। বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় একটি বিষয় ছিলো ‘যেমন খুশি তেমন সাজো।’ এর জন্য পুরস্কারও থাকতো। অনেক ছাত্র-ছাত্রী তার ইচ্ছা মত সাজতো। কেউ হত ভিক্ষুক, কেউ ব্যবসায়ী, কেউ চাষী, কেউ বেদে-বেদেনী, কেউ বা গায়ক......। যারা প্রতিযোগিতার কোন বিষয়ে অংশগ্রহণ করতো না তারা ‘যেমন খুশি তেমন সাজতো’। স্কুল কর্তৃপক্ষ সব শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার জন্য এই আয়োজন করতো। যারা গ্রামের স্কুলে পড়েছেন, তাদের জন্য বিষয়টা পুরাতন হলেও যারা শহরের স্কুলে পড়েছেন তাদের জন্য বিষয়টা নতুন ও আকর্ষণীয় বটে। আর এখন করোনার জন্য বিষয়টি সবার জন্যই নতুন হিসেবে আর্ভিভূত হয়েছে !
আগে কি সুন্দর দিন কাটাইতাম (৯৬)
টিনের চালে বৃষ্টি ও কবিতা লিখন !
আগে প্রচুর বৃষ্টিপাত হত। প্রকৃতিগতভাবেই এই বৃষ্টিধারা নেমে আসতো। প্রকৃতিক সৌন্দর্য্য এই বারিধারাকে আকাশ হতে ভূমিতে নেমে আসার জন্য আমন্ত্রণ জানাতো অনবরত। এই বৃষ্টি টিনের চালে পড়লে তা রীতিমত গান হয়ে আমাদের হৃদয়ের মনিকোঠায় ধরা দিতো। মনে হতো, কে যেন সুরের লাহরী ছড়িয়ে যাচ্ছে সারা দিনময়। এই সুরের ছন্দের সাথে তাল মিলিয়ে দুই একটা কবিতাও লিখে ফেলতাম আনমনে আর ছাপাতে দিতাম মিশনের ম্যাগাজিনে। সেই ছন্দময় দিনগুলোর কথা এখনও ভুলতে পারি না আমি।
এখন সেই প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য আর নেই। অনেক জায়গায় গাছ-গাছরা কেটে ফেলার কারণে মরুভূমি হয়ে গেছে। সুতরাং আগের বৃষ্টি এখন আর নেই।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
রেদওয়ান আহমেদ বর্ণ ০৯/০৭/২০২১অসাধারণ একটা স্মৃতি জাগানিয়া লেখা পড়লাম। ভালো লাগলো প্রিয় মানুষ