সমবায় ভাবনা - (২৩-২৬)
সমবায় ভাবনা - ২৩
সমবায় বা ক্রেডিট ইউনিয়নে পারস্পারিক সহযোগিতা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়
সমবায় বা ক্রেডিট ইউনিয়নকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য পারস্পারিক সহযোগিতা একটি গুরুত্বপূর্ণ চালিকাশক্তি। সদস্যদের মধ্যে পারস্পারিক সহযোগিতা না থাকলে একটি সমবায় বা ক্রেডিট ইউনিয়ন দীর্ঘমেয়াদে টিকে থাকতে পারে না। সমবায়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল- এর সদস্যদের স্বল্প সুদে ঋণ প্রদান করা। আর প্রতিটা সদস্যের অধিকার হল- সমবায় থেকে ঋণ পাওয়া। তবে এই ঋণ অবশ্যই উৎপাদনশীল খাতের জন্য নিতে হবে যাতে এই ঋণ থেকে অর্জিত আয় দিয়ে ঋণ পরিশোধ করা যায়। এই ঋণ নেয়ার জন্য দরকার সদস্যদের সহযোগিতা। একজন সদস্যকে ঋণ নিতে হলে অন্য সদস্যের নিকট থেকে জামিন আনতে হয়। পারস্পারিক সহযোগিতা, অঙ্গীকার ও বিশ্বাস না থাকলে একজন সদস্য আরেকজন সদস্যকে জামিন দেয় না। এই জামিনের জন্য অন্য সদস্য ঋণ নিতে পারে না। কোন সদস্য জামিনের অভাবে ঋণ নিতে না পরলে তিনি সমবায়মুখী না হয়ে সুদ ব্যবসায়ীদের কাছে চলে যায়। ফলে সমবায়ের বিকাশ না হয়ে লাভবান হয় সুদখোর ব্যবসায়ীরা। এতে সমাজ কলুষিত হয়। সমাজ জিম্মি হয়ে যায় সুদখোরদের কাছে। তাই কোন ভালো সদস্য জমিন চাইলে তাকে জামিন দেয়া আমাদের পবিত্র দায়িত্ব হওয়া উচিত। একটা সমবায়ের বিকাশের জন্যই দরকার।
সমবায় ভাবনা - ২৪
সমবায়ে অঙ্গীকার রক্ষা করা
শুধু সমবায়ে নয়, সারা পৃথিবীটাই অঙ্গীকারের উপর ভিত্তি করে চালিত হচ্ছে। ধরুন, আপনি একটি রিক্সায় গন্তব্যে গেলেন। এখানেও রিক্সাওয়ালার সাথে আপনার একটি দ্বিমুখী অঙ্গীকার হয়। রিক্সাওয়ালার দিক থেকে আপনাকে গন্তবে পৌঁছিয়ে দেয়া তার অঙ্গীকার আবার আপনার পক্ষ থেকে তাকে কিছু টাকা দেয়া আপনার অঙ্গীকার। উভয়ে সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করলে কোন সমস্যা হয় না। কিন্তু একজন অঙ্গীকার ভঙ্গ করলেই সমস্যা সৃষ্টি হয়। সমবায়ে বা ক্রেডিট ইউনিয়নে ঋণের ক্ষেত্রেও এই ধরনের অঙ্গীকার সৃষ্টি হয়। যিনি ঋণ নিবেন তার অঙ্গীকার হল- নিয়মিত ঋণটি পরিশোধ করা। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় যে, ঋণগ্রহণকারী তাঁর অঙ্গীকার রাখতে পারে না। তখন জামিনদারগণ সমস্যায় পড়ে এবং সমাজে বিশৃংখলা সৃষ্টি হয়। তাই অঙ্গীকার রক্ষা করা সমবায়ের জন্য খুবই জরুরী বিষয়। এই একটি বিষয় সমবায়ে ভালোভাবে চর্চা করলে সমবায় খুবই সুন্দরভাবে পরিচালিত হবে।
সমবায় ভাবনা - ২৫
ভালো সদস্যকে জামিন দেয়া
সমবায় সমিতিতে জামিন দেয়া একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ঋণ নেয়ার জন্য জামিন অত্যাবশ্যক। জামিনের উপর ভিত্তি করে সমবায় সমিতি তার সদস্যদের অনুকূলে ঋণ অনুমোদন করে। এরুপ দেখা গেছে, অনেক সদস্য জামিনের জন্য তার কাঙ্খিত ঋণ পায় না। সমবায় যেহেতু একটি সহযোগিতামূলক প্রতিষ্ঠান তাই জামিনের অভাবে ঋণ না পেলে মানুষ আর সমবায়ের পতাকাতলে আবদ্ধ হতে চায় না। তাই যাচাই-বছাই করে ভালো সদস্যদের অবশ্যই জামিন প্রদান করতে হবে। তা না হলে সমবায়ের অগ্রযাত্রা ব্যহত হবে। তাহলে ভালো সদস্য চেনার উপায় কি? একজন ভালো সদস্যের নিম্নলিখিত গুণাবলী থাকবে-
(১) তিনি সমিতিতে নিয়মিত লেনদেন করবেন।
(২) তিনি সমিতি সম্পর্কে প্রতিনিয়ত খুঁজ-খবর রাখেন।
(৩) তিনি কখনো একবারে বেশী টাকা জমা দিবেন না।
(৪) তিনি নিয়মিত বার্ষিক সাধারণ সভায় উপস্থিত হয়ে মতামত দিবেন।
(৫) তিনি উৎপাদনশীল খাতে ঋণ নিবেন।
(৬) তিনি ঋণ পরিশোধে সক্ষম।
(৭) তিনি আয় থেকে আগে সঞ্চয় করে পরে ব্যয় করবেন।
সমবায় ভাবনা - ২৬
নিজের জমা টাকা হতে পারে নিজের জামিন
সমবায়ের মূলমন্ত্র হলো- সঞ্চয়ী হওয়া ও উৎপাদনশীল খাতে ঋণ নেওয়া। অনেক সময় দেখা যায় যে, ঋণ নেয়ার সময় পর্যাপ্ত জামিন পাওয়া যায় না। তখন সমস্যায় পড়তে হয়। অনেক সময় জামিনের অভাবে ঋণ পাওয়া না গেলে কাঙ্খিত উদ্দেশ্য পূরণ করা সম্ভব হয় না। ক্রেডিট ইউনিয়নে নিজের টাকা জমা থাকলে সেই জমা টাকা নিজের ঋণের বিপরীতে জামিন দিয়ে ঋণ গ্রহণ করা যায়। তাই ক্রেডিট ইউনিয়নের ধারনায় সঞ্চয়কে খুবই গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করা হয়।
সমবায় বা ক্রেডিট ইউনিয়নে পারস্পারিক সহযোগিতা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়
সমবায় বা ক্রেডিট ইউনিয়নকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য পারস্পারিক সহযোগিতা একটি গুরুত্বপূর্ণ চালিকাশক্তি। সদস্যদের মধ্যে পারস্পারিক সহযোগিতা না থাকলে একটি সমবায় বা ক্রেডিট ইউনিয়ন দীর্ঘমেয়াদে টিকে থাকতে পারে না। সমবায়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল- এর সদস্যদের স্বল্প সুদে ঋণ প্রদান করা। আর প্রতিটা সদস্যের অধিকার হল- সমবায় থেকে ঋণ পাওয়া। তবে এই ঋণ অবশ্যই উৎপাদনশীল খাতের জন্য নিতে হবে যাতে এই ঋণ থেকে অর্জিত আয় দিয়ে ঋণ পরিশোধ করা যায়। এই ঋণ নেয়ার জন্য দরকার সদস্যদের সহযোগিতা। একজন সদস্যকে ঋণ নিতে হলে অন্য সদস্যের নিকট থেকে জামিন আনতে হয়। পারস্পারিক সহযোগিতা, অঙ্গীকার ও বিশ্বাস না থাকলে একজন সদস্য আরেকজন সদস্যকে জামিন দেয় না। এই জামিনের জন্য অন্য সদস্য ঋণ নিতে পারে না। কোন সদস্য জামিনের অভাবে ঋণ নিতে না পরলে তিনি সমবায়মুখী না হয়ে সুদ ব্যবসায়ীদের কাছে চলে যায়। ফলে সমবায়ের বিকাশ না হয়ে লাভবান হয় সুদখোর ব্যবসায়ীরা। এতে সমাজ কলুষিত হয়। সমাজ জিম্মি হয়ে যায় সুদখোরদের কাছে। তাই কোন ভালো সদস্য জমিন চাইলে তাকে জামিন দেয়া আমাদের পবিত্র দায়িত্ব হওয়া উচিত। একটা সমবায়ের বিকাশের জন্যই দরকার।
সমবায় ভাবনা - ২৪
সমবায়ে অঙ্গীকার রক্ষা করা
শুধু সমবায়ে নয়, সারা পৃথিবীটাই অঙ্গীকারের উপর ভিত্তি করে চালিত হচ্ছে। ধরুন, আপনি একটি রিক্সায় গন্তব্যে গেলেন। এখানেও রিক্সাওয়ালার সাথে আপনার একটি দ্বিমুখী অঙ্গীকার হয়। রিক্সাওয়ালার দিক থেকে আপনাকে গন্তবে পৌঁছিয়ে দেয়া তার অঙ্গীকার আবার আপনার পক্ষ থেকে তাকে কিছু টাকা দেয়া আপনার অঙ্গীকার। উভয়ে সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করলে কোন সমস্যা হয় না। কিন্তু একজন অঙ্গীকার ভঙ্গ করলেই সমস্যা সৃষ্টি হয়। সমবায়ে বা ক্রেডিট ইউনিয়নে ঋণের ক্ষেত্রেও এই ধরনের অঙ্গীকার সৃষ্টি হয়। যিনি ঋণ নিবেন তার অঙ্গীকার হল- নিয়মিত ঋণটি পরিশোধ করা। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় যে, ঋণগ্রহণকারী তাঁর অঙ্গীকার রাখতে পারে না। তখন জামিনদারগণ সমস্যায় পড়ে এবং সমাজে বিশৃংখলা সৃষ্টি হয়। তাই অঙ্গীকার রক্ষা করা সমবায়ের জন্য খুবই জরুরী বিষয়। এই একটি বিষয় সমবায়ে ভালোভাবে চর্চা করলে সমবায় খুবই সুন্দরভাবে পরিচালিত হবে।
সমবায় ভাবনা - ২৫
ভালো সদস্যকে জামিন দেয়া
সমবায় সমিতিতে জামিন দেয়া একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ঋণ নেয়ার জন্য জামিন অত্যাবশ্যক। জামিনের উপর ভিত্তি করে সমবায় সমিতি তার সদস্যদের অনুকূলে ঋণ অনুমোদন করে। এরুপ দেখা গেছে, অনেক সদস্য জামিনের জন্য তার কাঙ্খিত ঋণ পায় না। সমবায় যেহেতু একটি সহযোগিতামূলক প্রতিষ্ঠান তাই জামিনের অভাবে ঋণ না পেলে মানুষ আর সমবায়ের পতাকাতলে আবদ্ধ হতে চায় না। তাই যাচাই-বছাই করে ভালো সদস্যদের অবশ্যই জামিন প্রদান করতে হবে। তা না হলে সমবায়ের অগ্রযাত্রা ব্যহত হবে। তাহলে ভালো সদস্য চেনার উপায় কি? একজন ভালো সদস্যের নিম্নলিখিত গুণাবলী থাকবে-
(১) তিনি সমিতিতে নিয়মিত লেনদেন করবেন।
(২) তিনি সমিতি সম্পর্কে প্রতিনিয়ত খুঁজ-খবর রাখেন।
(৩) তিনি কখনো একবারে বেশী টাকা জমা দিবেন না।
(৪) তিনি নিয়মিত বার্ষিক সাধারণ সভায় উপস্থিত হয়ে মতামত দিবেন।
(৫) তিনি উৎপাদনশীল খাতে ঋণ নিবেন।
(৬) তিনি ঋণ পরিশোধে সক্ষম।
(৭) তিনি আয় থেকে আগে সঞ্চয় করে পরে ব্যয় করবেন।
সমবায় ভাবনা - ২৬
নিজের জমা টাকা হতে পারে নিজের জামিন
সমবায়ের মূলমন্ত্র হলো- সঞ্চয়ী হওয়া ও উৎপাদনশীল খাতে ঋণ নেওয়া। অনেক সময় দেখা যায় যে, ঋণ নেয়ার সময় পর্যাপ্ত জামিন পাওয়া যায় না। তখন সমস্যায় পড়তে হয়। অনেক সময় জামিনের অভাবে ঋণ পাওয়া না গেলে কাঙ্খিত উদ্দেশ্য পূরণ করা সম্ভব হয় না। ক্রেডিট ইউনিয়নে নিজের টাকা জমা থাকলে সেই জমা টাকা নিজের ঋণের বিপরীতে জামিন দিয়ে ঋণ গ্রহণ করা যায়। তাই ক্রেডিট ইউনিয়নের ধারনায় সঞ্চয়কে খুবই গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করা হয়।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
সাইয়িদ রফিকুল হক ০৭/০৭/২০২১সৎচিন্তা।