সমবায় ভাবনা
আমাদের এই ভূখন্ডে (তৎকালীন ভারতীয় উপমহাদেশে) সমবায়ের ইতিহাস শত বছরেরও পুরাতন। ক্রেডিট ইউনিয়নের ইতিহাসও অর্ধশত বছরের অধিক সময় পার করে ফেলেছে। বাংলাদেশ সৃষ্টির পর বাংলাদেশের স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-ই দেশের সংবিধানে এই সমবায়কে উন্নয়নের দ্বিতীয় খাত হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। সমবায় অধিদপ্তরের জুন ২০২০ খ্রীষ্টাব্দের পরিসংখ্যান অনুসারে দেশে ১ লক্ষ ৯২ হাজার সমবায় প্রতিষ্ঠান রয়েছে যার সদস্য সংখ্যা ১ কোটি ১৫ লক্ষের বেশী। ৯ লক্ষ ৫৩ হাজারের বেশী মানুষ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সমবায়ে বিভিন্নভাবে কাজ করছে। সমিতিগুলোতে রয়েছে ৫,৮৪৭ কোটি ৮৫ লক্ষ টাকার সম্পদ ও ১৪,৬১২ কোটি ৭০ লক্ষ টাকার কার্যকরী মূলধন। কিন্তু দু:খের বিষয়, সমবায়ে এতো বেশী সংখ্যক মানুষের সংশ্লিষ্টতা থাকলেও কার্যত: এর প্রতিফলন কোন জায়গায় পরিলক্ষিত হয় না। সমবায় খাত অবহেলিতই থেকে গেছে এ যাবৎ! দিন শেষে, সমবায়ের যে উন্নয়ন তা কোথায় গিয়ে যেন বিলিন হয়ে যায়! অথচ কোটি কোটি মানুষ সমবায় থেকে অর্থনৈতিক সুবিধা ভোগ করছে ঠিকই। সমবায়ের এই যে উন্নয়ন তা জাতীয় খাতে যাচ্ছে না কেন? আর যদি যায় তাহলে এর প্রতিচ্ছবি কোথায়? এর কোন প্রভাব জাতীয় জিডিপিতে পড়ছে না কেন?
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
শঙ্খজিৎ ভট্টাচার্য ২৭/০৫/২০২১নাইস
-
ফয়জুল মহী ২৫/০৫/২০২১Good post