আগে কি সুন্দর দিন কাটাইতাম (৬৬ ও ৬৭)
আগে কি সুন্দর দিন কাটাইতাম (৬৬)!
মাছ বা লাউ নিয়ে যেতাম আত্মীয়দের বাড়ী
আগের দিনের মানুষের মধ্যে সহযোগিতা ও সৌহার্দ ছিলো চোখে পড়ার মত। এর প্রমাণ হিসেবে মানুষ সাধারণত: খালি হাতে আত্মীয়-স্বজনদের বাড়ী যেত না। আমার কাছে ইহা একটি বিরাট ব্যাপার বলে মনে হত। আমরাও যখন আমাদের দিদি/পিসি/মাসিদের বাড়ী যেতাম তখন কিছু না কিছু নিয়ে যেতাম। নিজেদের যা থাকতো তাই নিয়ে যেতাম। বর্ষাকাল হলে মাছ নিয়ে যেতাম। কখনও বা লাউ, কখনো কুমড়া ইত্যাদি ইত্যাদি। কিন্তু খালি হাতে যেতাম না। আমি পরিবারের ছোট ছিলাম বিধায় এই দায়িত্বটা বেশী আমার উপরই বর্তাতো। আর আমি মনের আনন্দেই এই দায়িত্ব পালন করতাম। আমার কাছে বিষয়টি অনেক আবেগের মনে হত। আমি অন্তর দিয়ে অনুধাবন করতাম বিষয়টিকে। সেই দিনগুলো এখন আর নেই। মানুষ এখন আত্মীয়-স্বজনদের বাড়ীই যেতে চায় না। খুবই কর্মাশিয়াল হয়ে গেছে। কিছু নিয়ে যাওয়া তো দূরের কথা! আপাত দৃষ্টিতে বিষয়টি কিন্তু খুবই সামান্য। কিন্তু এর অর্থ অনেক গভীর। এই ছোট ছোট জিনিসের জন্যই আগের দিনের সমাজ কিন্তু সুন্দর ছিলো। এই ছোট ছোট বিষয়গুলো আমাদের সমাজে এখন আর নাই বলেই আমাদের সমাজ এতো অসুন্দর এখন।
আগে কি সুন্দর দিন কাটাইতাম (৬৭)!
মাছের সাথে সাপও ধরে ফেলতাম!
আমাদের বাড়ীর পাশেই বিল। আমাদের বাড়ী বিলের কাছে হওয়াতে আমরা ছিলাম নামা পাড়ার লোক। নামা পাড়া অর্থ কিছুটা নীচু এলাকা। নীচু এলাকা হওয়াতে আমাদের বাড়ীর চারিদিকে বর্ষাকালের আগে-পরে বছরে প্রায় ৬ মাস পানি থাকতো। আর পানিতে থাকতো মাছ। আমরা সেই সৃষ্টিকর্তার দান ‘মাছ’ ধরে খেয়ে দিনাতিপাত করতাম। এই মাছ সবই ছিলো বিনামূল্যে। আমরা বিনামূল্যে যে মাছ ধরেছি তা টাকার অংকে পরিমাপ করতে গেলে যে কত হতো তা ধারনারই বাইরে, আমার মনে হয় ক্যালকুলেটরে ধরবে না। পানি যতদিন ছিলো ততদিনই বিভিন্ন মাছ ধরতাম। বিলে কতটুকু পানি আছে এর উপর নির্ভর করতো মাছ ধরার ধরণ। বিলে যখন বেশী পানি তখন বরশি দিয়ে, জালি দিয়ে মাছ ধরতাম। বিলে যখন হাঁটু পানি ছিলো তখন বেশীরভাগ সময় পল দিয়ে মাছ ধরতাম। পল দিয়ে শুধু যে মাছই ধরতাম তা কিন্তু নয়। মাঝে মাঝে সাপও ধরে ফেলতাম। তবে তা বিষাক্ত সাপ না। ধোঁরা সাপ! এই সাপ ধরে বিষাক্ত সাপ মনে করে হাপ হাপ (সাপ) বলে দিতাম এক চিৎকার! আর পরে দুর্বা ঘাসের রস দিয়ে নিমেষেই ক্ষত ভালো করে পেলতাম। তখন দুর্বা ঘাসের রস ছিলো মহৌষধ।
মাছ বা লাউ নিয়ে যেতাম আত্মীয়দের বাড়ী
আগের দিনের মানুষের মধ্যে সহযোগিতা ও সৌহার্দ ছিলো চোখে পড়ার মত। এর প্রমাণ হিসেবে মানুষ সাধারণত: খালি হাতে আত্মীয়-স্বজনদের বাড়ী যেত না। আমার কাছে ইহা একটি বিরাট ব্যাপার বলে মনে হত। আমরাও যখন আমাদের দিদি/পিসি/মাসিদের বাড়ী যেতাম তখন কিছু না কিছু নিয়ে যেতাম। নিজেদের যা থাকতো তাই নিয়ে যেতাম। বর্ষাকাল হলে মাছ নিয়ে যেতাম। কখনও বা লাউ, কখনো কুমড়া ইত্যাদি ইত্যাদি। কিন্তু খালি হাতে যেতাম না। আমি পরিবারের ছোট ছিলাম বিধায় এই দায়িত্বটা বেশী আমার উপরই বর্তাতো। আর আমি মনের আনন্দেই এই দায়িত্ব পালন করতাম। আমার কাছে বিষয়টি অনেক আবেগের মনে হত। আমি অন্তর দিয়ে অনুধাবন করতাম বিষয়টিকে। সেই দিনগুলো এখন আর নেই। মানুষ এখন আত্মীয়-স্বজনদের বাড়ীই যেতে চায় না। খুবই কর্মাশিয়াল হয়ে গেছে। কিছু নিয়ে যাওয়া তো দূরের কথা! আপাত দৃষ্টিতে বিষয়টি কিন্তু খুবই সামান্য। কিন্তু এর অর্থ অনেক গভীর। এই ছোট ছোট জিনিসের জন্যই আগের দিনের সমাজ কিন্তু সুন্দর ছিলো। এই ছোট ছোট বিষয়গুলো আমাদের সমাজে এখন আর নাই বলেই আমাদের সমাজ এতো অসুন্দর এখন।
আগে কি সুন্দর দিন কাটাইতাম (৬৭)!
মাছের সাথে সাপও ধরে ফেলতাম!
আমাদের বাড়ীর পাশেই বিল। আমাদের বাড়ী বিলের কাছে হওয়াতে আমরা ছিলাম নামা পাড়ার লোক। নামা পাড়া অর্থ কিছুটা নীচু এলাকা। নীচু এলাকা হওয়াতে আমাদের বাড়ীর চারিদিকে বর্ষাকালের আগে-পরে বছরে প্রায় ৬ মাস পানি থাকতো। আর পানিতে থাকতো মাছ। আমরা সেই সৃষ্টিকর্তার দান ‘মাছ’ ধরে খেয়ে দিনাতিপাত করতাম। এই মাছ সবই ছিলো বিনামূল্যে। আমরা বিনামূল্যে যে মাছ ধরেছি তা টাকার অংকে পরিমাপ করতে গেলে যে কত হতো তা ধারনারই বাইরে, আমার মনে হয় ক্যালকুলেটরে ধরবে না। পানি যতদিন ছিলো ততদিনই বিভিন্ন মাছ ধরতাম। বিলে কতটুকু পানি আছে এর উপর নির্ভর করতো মাছ ধরার ধরণ। বিলে যখন বেশী পানি তখন বরশি দিয়ে, জালি দিয়ে মাছ ধরতাম। বিলে যখন হাঁটু পানি ছিলো তখন বেশীরভাগ সময় পল দিয়ে মাছ ধরতাম। পল দিয়ে শুধু যে মাছই ধরতাম তা কিন্তু নয়। মাঝে মাঝে সাপও ধরে ফেলতাম। তবে তা বিষাক্ত সাপ না। ধোঁরা সাপ! এই সাপ ধরে বিষাক্ত সাপ মনে করে হাপ হাপ (সাপ) বলে দিতাম এক চিৎকার! আর পরে দুর্বা ঘাসের রস দিয়ে নিমেষেই ক্ষত ভালো করে পেলতাম। তখন দুর্বা ঘাসের রস ছিলো মহৌষধ।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
ন্যান্সি দেওয়ান ২৮/০৪/২০২১Great
-
শঙ্খজিৎ ভট্টাচার্য ১৮/০৪/২০২১nice...
-
ফয়জুল মহী ১৮/০৪/২০২১Right