আগে কি সুন্দর দিন কাটাইতাম (৫২ ও ৫৩) ও একটি কবিতা
আগে কি সুন্দর দিন কাটাইতাম (৫২)
আমাদের যত উৎসব
আর দুদিন পরেই পুনরুত্থান পার্বণ । আমাদের উৎসবের মধ্যে পুনরুত্থান পর্ব সবার উপরে। কিন্তু এর গুরুত্ব মাঝে মাঝে আমরা বুঝতে অক্ষম থাকি। পুনরুত্থানের উৎসব হল মৃত্যুকে জয় করার উৎসব। এ রকম তাৎপর্যপূর্ণ পর্ব পৃথিবীতে আরও আছে বলে আমার জানা নেই। কিন্তু দু:খ হল- আমরা এই পর্বের যথাযথ মূল্যায়ণ করতে পারছি না। আগে এ উৎসব আমরা পালন করতাম উৎসাহ ও উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে। পূণ্য বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হতো নিয়মিত গীর্জায় যাওয়া। পরে তা ইস্টার সানডেতে গিয়ে শেষ হত। এক টানা চার দিন গীর্জায় যাওয়া। গীর্জায় যেতে যে ক্লান্তি, রবিবার ভালো ভালো খাওয়ার মাধ্যমে এই ক্লান্তি দূর হয়ে যেত। বরিবার (ইস্টার সানডে) দিন খ্রীষ্টযাগের পর নিজের বাড়ী যাওয়ার সময় পেতাম না। অন্যের বাড়ীর দই, চিড়া, মুড়ি খেতে খেতে অবস্থা খারাপ হয়ে যেত। নিজের বাড়ীর খাবার খেত পরে! এতো আপ্যায়নের দেশ পৃথিবীতে নেই।
এখন সম্প্রীতি অনেকটা কমে গেছে। মানুষ আর পারত পক্ষে অন্যের বাড়ী যায় না। করোনার জন্য গতবার গীর্জায় যেতে পারিনি। এবারও মনে হয় যেতে পারবো না। কি যে হবে, সৃষ্টিকর্তা জানেন!!
-স্বপন রোজারিও (মাইকেল)
আগে কি সুন্দর দিন কাটাইতাম (৫৩)
আমাদের তখন বেল বটম পেন্ট পরার চল ছিলো। আগের দিনের পেন্টগুলো নীচের দিকে অনেকটা ছড়ানো ছিলো। ইহাই বেল বটম পেন্ট। আগের নায়করা এই ধরনের পেন্ট পরে সিনেমায় অভিনয় করতো। বিশেষ করে নায়ক রাজ রাজ্জাক। দেখতে খুব ভাল লাগতো এবং এই ধরনের পেন্ট পরতে মন চাইত। দারিদ্রতার আঘাতে যদিও খুব একটা পরতে পারিনি। তবে এ ধরনের ২/১ টা পেন্ট পরেই জীবন পার করে দিয়েছি। এই পেন্ট এর ধাক্কায় রাস্তা-ঘাট একেবারে পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন হয়ে যেত। এখন অবশ্য সেই পেন্ট আর নেই, আমরা এখন পরি চোঙ্গা পেন্ট। অর্থাৎ নীচ দিক দিয়ে সরু। আর তখন ছিলো হাই হিল জুতা। এই হাই হিল জুতা পরে গীর্জার বারান্দা দিয়ে হাঁটতে খুব আনন্দ লাগতো। নিজেকে নায়ক নায়ক বলে মনে হত। নায়ক নায়ক ভাব, নায়িকার অভাব আর কি! সিমেন্টের মধ্য দিয়ে হাঁটলে টক্ টক্ শব্দ হত। এই জুতা পরে সব বাহাদুরি দেখাতাম গীর্জার বরান্দায়। কারণ তখন গীর্জা ছাড়া পাকা জায়গা তেমন একটা ছিলো না। আগে কি সুন্দর দিন কাটাইতাম !
-স্বপন রোজারিও (মাইকেল)
পুনরুত্থান
শুরু হল পুনরুত্থান পর্ব
মনে লাগে বিশাল গর্ব,
যীশু মৃত্যুকে করেছেন জয়,
নেই রে আর কোন ভয়।
-স্বপন রোজারিও (মাইকেল), ০৩/০৪/২১
আমাদের যত উৎসব
আর দুদিন পরেই পুনরুত্থান পার্বণ । আমাদের উৎসবের মধ্যে পুনরুত্থান পর্ব সবার উপরে। কিন্তু এর গুরুত্ব মাঝে মাঝে আমরা বুঝতে অক্ষম থাকি। পুনরুত্থানের উৎসব হল মৃত্যুকে জয় করার উৎসব। এ রকম তাৎপর্যপূর্ণ পর্ব পৃথিবীতে আরও আছে বলে আমার জানা নেই। কিন্তু দু:খ হল- আমরা এই পর্বের যথাযথ মূল্যায়ণ করতে পারছি না। আগে এ উৎসব আমরা পালন করতাম উৎসাহ ও উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে। পূণ্য বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হতো নিয়মিত গীর্জায় যাওয়া। পরে তা ইস্টার সানডেতে গিয়ে শেষ হত। এক টানা চার দিন গীর্জায় যাওয়া। গীর্জায় যেতে যে ক্লান্তি, রবিবার ভালো ভালো খাওয়ার মাধ্যমে এই ক্লান্তি দূর হয়ে যেত। বরিবার (ইস্টার সানডে) দিন খ্রীষ্টযাগের পর নিজের বাড়ী যাওয়ার সময় পেতাম না। অন্যের বাড়ীর দই, চিড়া, মুড়ি খেতে খেতে অবস্থা খারাপ হয়ে যেত। নিজের বাড়ীর খাবার খেত পরে! এতো আপ্যায়নের দেশ পৃথিবীতে নেই।
এখন সম্প্রীতি অনেকটা কমে গেছে। মানুষ আর পারত পক্ষে অন্যের বাড়ী যায় না। করোনার জন্য গতবার গীর্জায় যেতে পারিনি। এবারও মনে হয় যেতে পারবো না। কি যে হবে, সৃষ্টিকর্তা জানেন!!
-স্বপন রোজারিও (মাইকেল)
আগে কি সুন্দর দিন কাটাইতাম (৫৩)
আমাদের তখন বেল বটম পেন্ট পরার চল ছিলো। আগের দিনের পেন্টগুলো নীচের দিকে অনেকটা ছড়ানো ছিলো। ইহাই বেল বটম পেন্ট। আগের নায়করা এই ধরনের পেন্ট পরে সিনেমায় অভিনয় করতো। বিশেষ করে নায়ক রাজ রাজ্জাক। দেখতে খুব ভাল লাগতো এবং এই ধরনের পেন্ট পরতে মন চাইত। দারিদ্রতার আঘাতে যদিও খুব একটা পরতে পারিনি। তবে এ ধরনের ২/১ টা পেন্ট পরেই জীবন পার করে দিয়েছি। এই পেন্ট এর ধাক্কায় রাস্তা-ঘাট একেবারে পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন হয়ে যেত। এখন অবশ্য সেই পেন্ট আর নেই, আমরা এখন পরি চোঙ্গা পেন্ট। অর্থাৎ নীচ দিক দিয়ে সরু। আর তখন ছিলো হাই হিল জুতা। এই হাই হিল জুতা পরে গীর্জার বারান্দা দিয়ে হাঁটতে খুব আনন্দ লাগতো। নিজেকে নায়ক নায়ক বলে মনে হত। নায়ক নায়ক ভাব, নায়িকার অভাব আর কি! সিমেন্টের মধ্য দিয়ে হাঁটলে টক্ টক্ শব্দ হত। এই জুতা পরে সব বাহাদুরি দেখাতাম গীর্জার বরান্দায়। কারণ তখন গীর্জা ছাড়া পাকা জায়গা তেমন একটা ছিলো না। আগে কি সুন্দর দিন কাটাইতাম !
-স্বপন রোজারিও (মাইকেল)
পুনরুত্থান
শুরু হল পুনরুত্থান পর্ব
মনে লাগে বিশাল গর্ব,
যীশু মৃত্যুকে করেছেন জয়,
নেই রে আর কোন ভয়।
-স্বপন রোজারিও (মাইকেল), ০৩/০৪/২১
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
আব্দুর রহমান আনসারী ১২/০৪/২০২১অপূর্ব লিখেছেন
-
মাহতাব বাঙ্গালী ০৪/০৪/২০২১প্রেমপূর্ণ যে মন আগে ছিল
তা এখন শূন্য
তাইতো, সৌন্দর্য এখন আর চোখে পড়েনা, মনে লাগেনা -
শঙ্খজিৎ ভট্টাচার্য ০৩/০৪/২০২১excellent...
-
ফয়জুল মহী ০৩/০৪/২০২১বাহ্ সুন্দর মননে নান্দনিক ভাবনা
মনোরম বুনুনে অনন্য উপস্থাপন ,