আগে কি সুন্দর দিন কাটাইতাম (২৩)
।। আমাদের শহীদ দিবস পালন।।
স্কুলে যখন পড়তাম তখন ফেব্রুয়ারি মাস আসলেই শুরু হত শহীদদের স্মরণে রচিত গান চর্চা । স্কুলে এ্যাসেম্বলীর আগে চলতো এই গান চর্চা। এক দিনও বাদ ছিলো না। সালাম সালাম হাজার সালাম...., আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙ্গানো একুশে ফেব্রুয়ারি, আমি কি ভুলিতে পারি....., ওরা আমার মুখের ভাষা কাইড়া নিতে চায়...,। ফেব্রুয়ারি মাস আসলে আমাদের ছাত্রদের মধ্যে এক অদৃশ্য চেতনা কাজ করতো। দেশাত্ববোধ ও মাতৃভাষার প্রতি সম্মান বেড়ে যেত অনেক গুণ। আর বাংলা চর্চা শুরু করে দিতাম। কখনো শব্দের মালা গেঁথে ছোট খাঁট কবিতা লিখে ফেলতাম। ফেসবুক না থাকার কারণে সেই কবিতাগুলো অপ্রকাশিতই থেকে যেত! সেই সময়টা এতো প্রাণবন্ত লাগতো যা ভাষায় প্রকাশ করা যায় না। একুশে ফেব্রুয়ারি সকালে শুরু হত প্রভাত ফেরি। প্রভাত ফেরির পর শুরু হত গনেশ স্যারের (স্যারের বিদেহী আত্মার কল্যাণ কামনা করি) বক্তব্য। স্যার বক্তব্যের শুরুতে আমাদের বলতো 'শোন।’ আর আমরা মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে স্যারের বক্তব্য শুনতাম। স্যারের গলায় এতো শক্তি ছিলো যে তার কোন মাইক লাগতো না। এতো শ্রদ্ধা, এতো ভক্তি কোথা থেকে আসতো তা আমরা জানি না। আর আমরা কখনো ফুল ক্রয় করি নি। এ ধরণের মহৎ কাজের জন্য কার বাগান থেকে যে ফুল আসতো তা ও জানতাম না। কখনো কখনো শহীদ মিনারের সামনে ছোট ছোট নাটিকা হতো। তা দেখে ভাষার প্রতি মমত্ববোধ অনেক বেড়ে যেত। আগে কি সুন্দর দিন কাটাইতাম!
স্কুলে যখন পড়তাম তখন ফেব্রুয়ারি মাস আসলেই শুরু হত শহীদদের স্মরণে রচিত গান চর্চা । স্কুলে এ্যাসেম্বলীর আগে চলতো এই গান চর্চা। এক দিনও বাদ ছিলো না। সালাম সালাম হাজার সালাম...., আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙ্গানো একুশে ফেব্রুয়ারি, আমি কি ভুলিতে পারি....., ওরা আমার মুখের ভাষা কাইড়া নিতে চায়...,। ফেব্রুয়ারি মাস আসলে আমাদের ছাত্রদের মধ্যে এক অদৃশ্য চেতনা কাজ করতো। দেশাত্ববোধ ও মাতৃভাষার প্রতি সম্মান বেড়ে যেত অনেক গুণ। আর বাংলা চর্চা শুরু করে দিতাম। কখনো শব্দের মালা গেঁথে ছোট খাঁট কবিতা লিখে ফেলতাম। ফেসবুক না থাকার কারণে সেই কবিতাগুলো অপ্রকাশিতই থেকে যেত! সেই সময়টা এতো প্রাণবন্ত লাগতো যা ভাষায় প্রকাশ করা যায় না। একুশে ফেব্রুয়ারি সকালে শুরু হত প্রভাত ফেরি। প্রভাত ফেরির পর শুরু হত গনেশ স্যারের (স্যারের বিদেহী আত্মার কল্যাণ কামনা করি) বক্তব্য। স্যার বক্তব্যের শুরুতে আমাদের বলতো 'শোন।’ আর আমরা মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে স্যারের বক্তব্য শুনতাম। স্যারের গলায় এতো শক্তি ছিলো যে তার কোন মাইক লাগতো না। এতো শ্রদ্ধা, এতো ভক্তি কোথা থেকে আসতো তা আমরা জানি না। আর আমরা কখনো ফুল ক্রয় করি নি। এ ধরণের মহৎ কাজের জন্য কার বাগান থেকে যে ফুল আসতো তা ও জানতাম না। কখনো কখনো শহীদ মিনারের সামনে ছোট ছোট নাটিকা হতো। তা দেখে ভাষার প্রতি মমত্ববোধ অনেক বেড়ে যেত। আগে কি সুন্দর দিন কাটাইতাম!
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
আরিফ ফারাবী ০৪/০৩/২০২১সুন্দর লেখা
-
মশিউর ইসলাম (বিব্রত কবি) ২২/০২/২০২১মনোমুগ্ধকর লেখনী
-
বোরহানুল ইসলাম লিটন ২১/০২/২০২১হৃদয়ের টানে সুন্দর নিবেদন।