আমাদের সামাজিকতা
একসময় আমাদের গ্রামীণ সমাজিকতা খুবই সুদৃঢ় ছিলো। মানুষ সমাজবদ্ধ হয়েই জীবন নির্বাহ করতো। কোন বাড়িতে কোন মানুষ মারা গেলে মৃত ব্যক্তির জন্য কবর খুঁড়া, শব সমাধি পর্যন্ত নিয়ে যাওয়া/পরিবহন করা, মৃত ব্যক্তির পরিবার ও আপনজনকে সান্তনা দেয়া এবং তাদের খাবার-দাবারের ব্যবস্থাসহ মৃতর সৎকারের সম্পূর্ণ প্রক্রিয়া সমাজের মানুষরাই করতো। মৃত ব্যক্তির সাথে রাত জেগে প্রার্থনা করা যেন সমাজের মানুষেরই দায়িত্ব ছিলো। একই সমাজে যাঁরা বাস করতো তাদের প্রধানতম এবং পবিত্র দায়িত্বই যেন ছিলো অন্যান্যদের সুখ দু:খের সাথি হওয়া। নি:স্বার্থভাবে কাজ করার প্রকৃষ্ট উদাহরণ আমাদের সমাজের পরতে পরতে বিরাজিত ছিলো যা উল্লেখ করার মত এবং উদাহরণ হয়ে থাকার মত। এটা তো গেল মাত্র একটা ব্যাপার। এরূপ আরও আনেক ব্যাপার আছে যেখানে সমাজের মানুষের নিখাদ ভালোবাসা জড়িয়ে আছে একে অন্যের জন্য।
আমাদের সমাজে ’বৈঠক’ করার একটা রেওয়াজ আছে। একে গ্রাম-বাংলার ভাষায় বলা হয় ‘বৈডক’। এর অর্থ হলো বড়দিনের সময় সমাজের সকল মানুষ একত্রে বসে পিঠা-পুলি খাওয়া ও সামাজিক উন্নয়নমূলক বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করে সমাধান খুঁজে বের করা। এই ’বৈঠক’ মানুষে-মানুষে, সমাজে-সমাজে বন্ধন সুদৃঢ় করার কাজে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে।
০৯/০১/২১
আমাদের সমাজে ’বৈঠক’ করার একটা রেওয়াজ আছে। একে গ্রাম-বাংলার ভাষায় বলা হয় ‘বৈডক’। এর অর্থ হলো বড়দিনের সময় সমাজের সকল মানুষ একত্রে বসে পিঠা-পুলি খাওয়া ও সামাজিক উন্নয়নমূলক বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করে সমাধান খুঁজে বের করা। এই ’বৈঠক’ মানুষে-মানুষে, সমাজে-সমাজে বন্ধন সুদৃঢ় করার কাজে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে।
০৯/০১/২১
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
সাখাওয়াত হোসেন ১০/০১/২০২১দারুণ লিখেছেন ভাইয়া।
-
সাইয়িদ রফিকুল হক ১০/০১/২০২১ভাল লাগল।
-
ফয়জুল মহী ০৯/০১/২০২১Good post