মানবতাবোধ
মানবতাবোধ
সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ জীব মানুষ। মানুষকে সৃষ্টিকর্তা মানবতা, বিবেক, বুদ্ধি, বিবেচনা শক্তি, প্রেম-ভালবাসা দিয়ে সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ জীব হিসেবে মহিয়ানরূপে সৃষ্টি করেছেন। এই মানুষের জন্য পৃথিবী নামক বাগানটি জ্ঞানে ও আধ্যাত্মিকতায় পরিপূর্ণতা লাভ করেছে। কোনটি ন্যায় ও কোনটি অন্যায় তা মানুষই ভাল করে উপলব্দি করতে পারে, যা অন্য প্রাণী বা জীবের পক্ষে উপলব্দি করা সম্ভব নয়। এ পৃথিবীতে ‘মানুষ মানুষের জন্য, জীবন জীবনের জন্য’ এবং মানুষের প্রেম-প্রীতি-ভালবাসা ও সাহানুভূতি মানুষই পাওয়ার অধিকার রাখে। একজন মানুষের প্রতি আরেকজন মানুষের মায়া বা মমতাবোধ থাকবে তাই স্বাভাবিক। আর একেই আমরা মানবতাবোধ বলে আখ্যায়িত করে থাকি। মানবতাবোধের প্রখর বোধশক্তি সৃষ্টিকর্তা মানুষকে উপহার দিলেও আমরা তা উপলব্দি করে সমাজ ও সংসারে কাজ করি না। তাই আমাদের সমাজ ও সংসারে এতো হিংসা, বিদ্বেষ, অরাজকতা, মারামারি ও কাটাকাটি। সবাই আমরা নিজের স্বার্থ নিয়ে এতো ব্যস্ত যে অন্যের কথা আমরা উপলব্ধি করতে পারি না। আমাদের সমাজ সংসারের একটি স্বার্থপরতার সত্যিকার গল্প এখানে উল্লেখ করা হ’ল।
অনেক ব্যক্তির মধ্য থেকে একজন ব্যক্তি দুর্ঘটনাক্রমে বাসের নীচে আটকে পড়ল। শত চেষ্টা করেও সে বের হতে পারলো না। কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী এ অবস্থা দেখে বাসে উঠে পরলো এবং ড্রাইভারসহ কন্ডাক্টরদের তারা বলতে লাগলো- ‘ভাই, বাসের নীচে একজন লোক আটকা পড়েছে, বাস থামিয়ে তাকের্ ক্ষা করুন।’ সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ জীব কোন মানুষের কর্ণগোচর হয়নি তাদের এ করুন আকুতি। একজন মানুষকে বাঁচাতে গিয়ে তাদেরকে বাসের কন্ডাক্টরদের গাল-মন্দ ও গলা ধাক্কা খেতে হয়েছে। অবশেষে দুর্ঘটনাকবলিত লোকটিকে লাশ হয়ে রাস্তায় পড়ে থাকতে হয়েছে। দুর্ঘটনাকবলিত ব্যক্তিটি একজন মৃত মানুষকে কবর দিয়ে আসছিল। তাকেও যে আবার কবরে যেতে হবে তা কি তিনি চিন্তা করতে পেরেছিলেন কিনা তা একমাত্র সৃষ্টিকর্তা জানে।
এ ধরনের ঘটনায় কি প্রমান হয় না যে, আমরা মানবতাবোধহীন প্রাণী। তা না হলে একজন লোককে কেন এভাবে মৃত্যুবরণ করতে হল? আমার প্রশ্ন হলো- একজন বিবেকবান লোকই কি ঐ বাসে ছিলো না, যিনি ড্রাইভারকে বলে বাসটি থামিয়ে একজন লোকের প্রাণ বাঁচাতে পারতেন? তাহলে কোথায় আমাদের মানবতাবোধ?
সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ জীব মানুষ। মানুষকে সৃষ্টিকর্তা মানবতা, বিবেক, বুদ্ধি, বিবেচনা শক্তি, প্রেম-ভালবাসা দিয়ে সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ জীব হিসেবে মহিয়ানরূপে সৃষ্টি করেছেন। এই মানুষের জন্য পৃথিবী নামক বাগানটি জ্ঞানে ও আধ্যাত্মিকতায় পরিপূর্ণতা লাভ করেছে। কোনটি ন্যায় ও কোনটি অন্যায় তা মানুষই ভাল করে উপলব্দি করতে পারে, যা অন্য প্রাণী বা জীবের পক্ষে উপলব্দি করা সম্ভব নয়। এ পৃথিবীতে ‘মানুষ মানুষের জন্য, জীবন জীবনের জন্য’ এবং মানুষের প্রেম-প্রীতি-ভালবাসা ও সাহানুভূতি মানুষই পাওয়ার অধিকার রাখে। একজন মানুষের প্রতি আরেকজন মানুষের মায়া বা মমতাবোধ থাকবে তাই স্বাভাবিক। আর একেই আমরা মানবতাবোধ বলে আখ্যায়িত করে থাকি। মানবতাবোধের প্রখর বোধশক্তি সৃষ্টিকর্তা মানুষকে উপহার দিলেও আমরা তা উপলব্দি করে সমাজ ও সংসারে কাজ করি না। তাই আমাদের সমাজ ও সংসারে এতো হিংসা, বিদ্বেষ, অরাজকতা, মারামারি ও কাটাকাটি। সবাই আমরা নিজের স্বার্থ নিয়ে এতো ব্যস্ত যে অন্যের কথা আমরা উপলব্ধি করতে পারি না। আমাদের সমাজ সংসারের একটি স্বার্থপরতার সত্যিকার গল্প এখানে উল্লেখ করা হ’ল।
অনেক ব্যক্তির মধ্য থেকে একজন ব্যক্তি দুর্ঘটনাক্রমে বাসের নীচে আটকে পড়ল। শত চেষ্টা করেও সে বের হতে পারলো না। কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী এ অবস্থা দেখে বাসে উঠে পরলো এবং ড্রাইভারসহ কন্ডাক্টরদের তারা বলতে লাগলো- ‘ভাই, বাসের নীচে একজন লোক আটকা পড়েছে, বাস থামিয়ে তাকের্ ক্ষা করুন।’ সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ জীব কোন মানুষের কর্ণগোচর হয়নি তাদের এ করুন আকুতি। একজন মানুষকে বাঁচাতে গিয়ে তাদেরকে বাসের কন্ডাক্টরদের গাল-মন্দ ও গলা ধাক্কা খেতে হয়েছে। অবশেষে দুর্ঘটনাকবলিত লোকটিকে লাশ হয়ে রাস্তায় পড়ে থাকতে হয়েছে। দুর্ঘটনাকবলিত ব্যক্তিটি একজন মৃত মানুষকে কবর দিয়ে আসছিল। তাকেও যে আবার কবরে যেতে হবে তা কি তিনি চিন্তা করতে পেরেছিলেন কিনা তা একমাত্র সৃষ্টিকর্তা জানে।
এ ধরনের ঘটনায় কি প্রমান হয় না যে, আমরা মানবতাবোধহীন প্রাণী। তা না হলে একজন লোককে কেন এভাবে মৃত্যুবরণ করতে হল? আমার প্রশ্ন হলো- একজন বিবেকবান লোকই কি ঐ বাসে ছিলো না, যিনি ড্রাইভারকে বলে বাসটি থামিয়ে একজন লোকের প্রাণ বাঁচাতে পারতেন? তাহলে কোথায় আমাদের মানবতাবোধ?
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
শ.ম.ওয়াহিদুজ্জামান ২৮/১২/২০২০সুন্দর ভাবনা।
-
ফয়জুল মহী ২৭/১২/২০২০সুন্দর