কয়েকটি গল্প
(১)
গ্রাম বাংলার খেলাধুলা
আগে খেলাধুলা গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যের অংশ ছিলো। বিকালে খেলাধুলা না করলে রাতে ঘুমই আসতো না। মানুষের জীবনে প্রতিদিন অন্তত ২/১ ঘন্টা কায়িক পরিশ্রমের দরকার। কিন্তু তা আমরা করতে পারছি না। ফলে অল্প বয়সেই বিভিন্ন রোগ-বালাই আমাদের দেহে বাসা বাঁধে। আর যারা কায়িক পরিশ্রম করে তারা রোগহীন জীবন যাপন করতে পারে। যাহোক, এই কায়িক পরিশ্রমের একটি মাধ্যম এই খেলাধুলা। আমাদের গ্রামের প্রধান খেলা ছিলো হা-ডু-ডু। এই হা-ডু-ডু খেলায় মাধ্যমে প্রমাণ হত কার কত বেশী শক্তি আছে! কে কত বেশী পালোয়ান! আর দলগতভাবে কোন দল বেশী শাক্তিশালী। হা-ডু-ডু খেলায় একটি বিশেষ সুবিধা হল- এই খেলায় জন্য বেশী বড় জায়গার প্রয়োজন হয় না। ছোট জায়গায়ই এ খেলা খেলা যায়। এই খেলায় দুটি দল থাকে। এই খেলাটি শ্বাস নিরভর। অরথাৎ একজন খেলোয়ার এক শ্বাসে অপর দলের কোন খেলোয়ারকে ছুঁয়ে আসতে পারলে সে বাদ হয়ে যেত অথবা তাকে কেউ ধরে ফেললে সে নিজে বাদ হয়ে যেত। এই খেলায় দরশকদের অবস্থা দেখলে খুব মজা লাগতো। অনেক দরশকদের সমাগম হতো। দরশকরা যেন একবারে মুখিয়ে থাকতো। চিৎকার করে চারিদিক যেন মুখরিত করে রাখতো। কোন দল জয়ী হলে সে যে কি চিৎকার! আর বিজিত দল মনের কষ্টে বাড়ী যেত।
এই খেলাগুলো আমার কাছে মনে হয়েছে এক একটি ইতিহাস। মানুষ স্বত:ফূরতভাবে এই খেলা দেখতে আসতো। এখন মানুষকে ডাকলেও বিভিন্ন জায়গায় পাওয়া যায় না। হায় রে দুনিয়া!
- স্বপন রোজারিও, ০১/১০/২০
(২)
আগের পারিবারিক সম্পর্ক
আমি যৌথ পরিবারের সন্তান। আমাদের পারিবারিক বন্ধন ছিলো সুদৃঢ়। পরিবারের একজন লোক কষ্ট পেলে পরিবারের সবাই কষ্ট পেত এবং পরিবারের একজন সুখী হলে সবাই এই খুশী ভাগাভাগি করে নিতো। এর নামই ছিলো যৌথ পরিবার। আগে যখন বিয়ে হতো তখন দাওয়াত দেয়ার তালিকায় প্রথমেই থাকতো পরিবারের লোকদের নাম। সে দেশের যে প্রান্তেই থাকতো না কেন? পরিবারের কোন সদস্য বিয়ে হয়ে গেলেও পরিবারের বন্ধন কোনভাবেই ছিন্ন হত না। আমার একজন পিসি চড়াখোলা, দুইজন পিসি পাবনা ও এক বোন রাঙ্গামাটিয়া বিয়ে হয়েছে। আমার মনে আছে, আমাদের পুকুরে বড় বড় মাছ ধরা পরলে আমি নিজে মাছ নিয়ে যেতান চড়াখোলা পিসির বাড়ী এবং রাঙ্গামাটিয়া বোনের বাড়ী। অন্যান্য ফসলের ক্ষেত্রেও এই প্রথা বলবৎ থাকতো। আমাদের বাড়ীতে কোন অনুষ্ঠান হওয়ার আগেই আমরা পাবনা যেতান পিসিদের বাড়ীতে, তাদের দাওয়াত করার জন্য। যৌথ পরিবারের সন্তানরা আসলে অনেক আদরে বেড়ে উঠে। তাঁরা অনেক ভাগ্যবান। যৌথ পরিবারের একজন সন্তান দিনে কতজনের কোলে উঠে তা হিসেব করা যায় না। শেষে মা-ই কোলে নেয়ার জন্য তার সন্তানকে পায় না।এই হলো আমাদের যৌথ পরিবারের ঐতিহ্য।
এই ধরনের পারিবারিক সম্পক এখন আর চোখে পড়ে না। ফলে আমাদের সন্মুখীন হতে হচ্ছে নানা বিপত্তির। পারিবারিক বন্ধন যত বেশী থাকবে, সমাজে তত বেশী শান্তি বিরাজ করবে, এটাই মূল কথা।
-স্বপন রোজারিও, ২৯/৯/২০
(৩)
মেলায় কাগজের ঠোঙ্গা বিক্রির আনন্দ!
আমরা ছেলেবেলায় অনেক আজব ধরনের কাজ করেছি। এর মধ্যে মেলায় কাগজের ঠোঙ্গা বিক্রি অন্যতম। আগে (৪০ বছর আগে) আমাদের এলাকায় বিভিন্ন উৎসব উপলক্ষ্যে মেলা বসতো। এটা গ্রাম-বাংলার এক ধরনের ঐহিত্য বলা চলে। দশমী উপলক্ষ্যে মেলাটা খুব বড় আকারে হত। এই মেলাটা হত কালীগঞ্জ। পূবাইলের কাছে উদুর নামক স্থানেও এ ধরনের মেলা বসতো। সেই আমলে আমাদের কাছে টাকা-পয়সা বলতে কিছুই থাকতো না। বাবা-মায়ের কাছে টাকা চাইলেও বিফল হতাম। আমাদের ধান-পাট-পেয়াজ-মরিচ-এর কোন অভাব ছিলো না। কিন্তু টাকা পয়সার বড়ই অভাব ছিলো। বোধ করি, সব কৃষকের সন্তানদেরই এই ক্যাশ টাকার অভাব ছিলো। যাহোক, মেলায় যেতে হবে। আর মেলায় গেলে তো কিছু কেনা-কাটা করতে তবে, তবে টাকা পাব কোথায়? অন্তত পক্ষে একটি পিস্তল তো কিনতেই হবে। সুতরাং টাকা যোগার করতেই হবে, যে কোন ভাবে। সেই সময় মেলায় খুব জিলাপী বিক্রি হত। তিল বিক্রি হত, আরো কত কি?......। আর মেলায় যা কিছু বিক্রি হত তার সব কিছুর সাথে কাগজের ঠোঙ্গা দিতে হত। সুতবাং মাথায় এলো, মেলায় কাগজের ঠোঙ্গা বিক্রি করা যাবে। এই চিন্তা থেকে শুরু হয়ে যেত কাগজের ঠোঙ্গা বানানো। মেলা শুরু হবার অনেক দিন আগেই শুরু হত কাগজের ঠোঙ্গা বানানোর কর্মযজ্ঞ। সব পুরানো খাতা ছিঁড়ে এ কাজ করা হত। মাঝে মাঝে নতুন খাতাও ছিঁড়ে ফেলতাম ঠোঙ্গা বানানোর জন্য। ছোট ভাই-ভাতিজাকে এ কাজে লাগানো হত। সবাই মিলে কাজ করার আনন্দটা ছিলো বিশাল। ঠোঙ্গা বানিয়ে অপেক্ষা করে থাকতাম কবে মেলা আসবে। মেলার দিন আসলে মেলায় গিয়ে ঘুরে ঘুরে দোকানে দোকানে এই ঠোঙ্গ বিক্রি করতাম। কি যে আনন্দ পেতাম! অনেক দোকান-মালিকরা আমাদের সাথে খারাপ ব্যবহার করতো, কিন্তু তা আমরা ধরার মধ্যেই আনতাম না। অনেক কষ্টে এই ঠোঙ্গা বিক্রি করে পয়সা/টাকা হাতে পেতাম। তখন মনে হতো আকাশের চাঁদ যেন হাতে পেয়েছি। এই ঠোঙ্গা বিক্রির মাধ্যমে আমরা টাকা যোগার করে মেলা থেকে পছন্দের জিনিস কিনতাম। আমার সবচেয়ে বেশী লোভনীয় জিনিস ছিলো খেলনা পিস্তল। একটা পিস্তল কিনতে পারলে নিজেকে ডাকাত দলের সর্দার মনে হত। ডাকাত দলের সর্দার মানে একটা বিশাল বিষয়। আমার একটা বাহিনী থাকতো আর আমি সেই বাহিনীর প্রধান। আমার শিষ্যদের কাছে মানব বিধ্বংসী পিস্তল নেই, শুধু আমার কাছে আছে, তাদের কাছে আছে শুধু দেশী অস্ত্র মানে ছেন, কাতরা, লাঠী ইত্যাদি। আর আমার কাছে এমন একটি অস্ত্র আছে যা দিয়ে জ্যান্ত মানুষকে মেরে ফেলা যাবে, সুতরাং এটা কিন্তু কম ব্যাপার নয়। জিলাপী না কিনলে কিন্তু মেলা স্বার্থক হত না। সাথে বাঁশি, বেলুন, মুড়লী, তিল আরো কতো কি? সেই সোনার দিলগুলো আজ কোথায় গেল???
-স্বপন রোজারিও, ২৯/৯/২০
গ্রাম বাংলার খেলাধুলা
আগে খেলাধুলা গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যের অংশ ছিলো। বিকালে খেলাধুলা না করলে রাতে ঘুমই আসতো না। মানুষের জীবনে প্রতিদিন অন্তত ২/১ ঘন্টা কায়িক পরিশ্রমের দরকার। কিন্তু তা আমরা করতে পারছি না। ফলে অল্প বয়সেই বিভিন্ন রোগ-বালাই আমাদের দেহে বাসা বাঁধে। আর যারা কায়িক পরিশ্রম করে তারা রোগহীন জীবন যাপন করতে পারে। যাহোক, এই কায়িক পরিশ্রমের একটি মাধ্যম এই খেলাধুলা। আমাদের গ্রামের প্রধান খেলা ছিলো হা-ডু-ডু। এই হা-ডু-ডু খেলায় মাধ্যমে প্রমাণ হত কার কত বেশী শক্তি আছে! কে কত বেশী পালোয়ান! আর দলগতভাবে কোন দল বেশী শাক্তিশালী। হা-ডু-ডু খেলায় একটি বিশেষ সুবিধা হল- এই খেলায় জন্য বেশী বড় জায়গার প্রয়োজন হয় না। ছোট জায়গায়ই এ খেলা খেলা যায়। এই খেলায় দুটি দল থাকে। এই খেলাটি শ্বাস নিরভর। অরথাৎ একজন খেলোয়ার এক শ্বাসে অপর দলের কোন খেলোয়ারকে ছুঁয়ে আসতে পারলে সে বাদ হয়ে যেত অথবা তাকে কেউ ধরে ফেললে সে নিজে বাদ হয়ে যেত। এই খেলায় দরশকদের অবস্থা দেখলে খুব মজা লাগতো। অনেক দরশকদের সমাগম হতো। দরশকরা যেন একবারে মুখিয়ে থাকতো। চিৎকার করে চারিদিক যেন মুখরিত করে রাখতো। কোন দল জয়ী হলে সে যে কি চিৎকার! আর বিজিত দল মনের কষ্টে বাড়ী যেত।
এই খেলাগুলো আমার কাছে মনে হয়েছে এক একটি ইতিহাস। মানুষ স্বত:ফূরতভাবে এই খেলা দেখতে আসতো। এখন মানুষকে ডাকলেও বিভিন্ন জায়গায় পাওয়া যায় না। হায় রে দুনিয়া!
- স্বপন রোজারিও, ০১/১০/২০
(২)
আগের পারিবারিক সম্পর্ক
আমি যৌথ পরিবারের সন্তান। আমাদের পারিবারিক বন্ধন ছিলো সুদৃঢ়। পরিবারের একজন লোক কষ্ট পেলে পরিবারের সবাই কষ্ট পেত এবং পরিবারের একজন সুখী হলে সবাই এই খুশী ভাগাভাগি করে নিতো। এর নামই ছিলো যৌথ পরিবার। আগে যখন বিয়ে হতো তখন দাওয়াত দেয়ার তালিকায় প্রথমেই থাকতো পরিবারের লোকদের নাম। সে দেশের যে প্রান্তেই থাকতো না কেন? পরিবারের কোন সদস্য বিয়ে হয়ে গেলেও পরিবারের বন্ধন কোনভাবেই ছিন্ন হত না। আমার একজন পিসি চড়াখোলা, দুইজন পিসি পাবনা ও এক বোন রাঙ্গামাটিয়া বিয়ে হয়েছে। আমার মনে আছে, আমাদের পুকুরে বড় বড় মাছ ধরা পরলে আমি নিজে মাছ নিয়ে যেতান চড়াখোলা পিসির বাড়ী এবং রাঙ্গামাটিয়া বোনের বাড়ী। অন্যান্য ফসলের ক্ষেত্রেও এই প্রথা বলবৎ থাকতো। আমাদের বাড়ীতে কোন অনুষ্ঠান হওয়ার আগেই আমরা পাবনা যেতান পিসিদের বাড়ীতে, তাদের দাওয়াত করার জন্য। যৌথ পরিবারের সন্তানরা আসলে অনেক আদরে বেড়ে উঠে। তাঁরা অনেক ভাগ্যবান। যৌথ পরিবারের একজন সন্তান দিনে কতজনের কোলে উঠে তা হিসেব করা যায় না। শেষে মা-ই কোলে নেয়ার জন্য তার সন্তানকে পায় না।এই হলো আমাদের যৌথ পরিবারের ঐতিহ্য।
এই ধরনের পারিবারিক সম্পক এখন আর চোখে পড়ে না। ফলে আমাদের সন্মুখীন হতে হচ্ছে নানা বিপত্তির। পারিবারিক বন্ধন যত বেশী থাকবে, সমাজে তত বেশী শান্তি বিরাজ করবে, এটাই মূল কথা।
-স্বপন রোজারিও, ২৯/৯/২০
(৩)
মেলায় কাগজের ঠোঙ্গা বিক্রির আনন্দ!
আমরা ছেলেবেলায় অনেক আজব ধরনের কাজ করেছি। এর মধ্যে মেলায় কাগজের ঠোঙ্গা বিক্রি অন্যতম। আগে (৪০ বছর আগে) আমাদের এলাকায় বিভিন্ন উৎসব উপলক্ষ্যে মেলা বসতো। এটা গ্রাম-বাংলার এক ধরনের ঐহিত্য বলা চলে। দশমী উপলক্ষ্যে মেলাটা খুব বড় আকারে হত। এই মেলাটা হত কালীগঞ্জ। পূবাইলের কাছে উদুর নামক স্থানেও এ ধরনের মেলা বসতো। সেই আমলে আমাদের কাছে টাকা-পয়সা বলতে কিছুই থাকতো না। বাবা-মায়ের কাছে টাকা চাইলেও বিফল হতাম। আমাদের ধান-পাট-পেয়াজ-মরিচ-এর কোন অভাব ছিলো না। কিন্তু টাকা পয়সার বড়ই অভাব ছিলো। বোধ করি, সব কৃষকের সন্তানদেরই এই ক্যাশ টাকার অভাব ছিলো। যাহোক, মেলায় যেতে হবে। আর মেলায় গেলে তো কিছু কেনা-কাটা করতে তবে, তবে টাকা পাব কোথায়? অন্তত পক্ষে একটি পিস্তল তো কিনতেই হবে। সুতরাং টাকা যোগার করতেই হবে, যে কোন ভাবে। সেই সময় মেলায় খুব জিলাপী বিক্রি হত। তিল বিক্রি হত, আরো কত কি?......। আর মেলায় যা কিছু বিক্রি হত তার সব কিছুর সাথে কাগজের ঠোঙ্গা দিতে হত। সুতবাং মাথায় এলো, মেলায় কাগজের ঠোঙ্গা বিক্রি করা যাবে। এই চিন্তা থেকে শুরু হয়ে যেত কাগজের ঠোঙ্গা বানানো। মেলা শুরু হবার অনেক দিন আগেই শুরু হত কাগজের ঠোঙ্গা বানানোর কর্মযজ্ঞ। সব পুরানো খাতা ছিঁড়ে এ কাজ করা হত। মাঝে মাঝে নতুন খাতাও ছিঁড়ে ফেলতাম ঠোঙ্গা বানানোর জন্য। ছোট ভাই-ভাতিজাকে এ কাজে লাগানো হত। সবাই মিলে কাজ করার আনন্দটা ছিলো বিশাল। ঠোঙ্গা বানিয়ে অপেক্ষা করে থাকতাম কবে মেলা আসবে। মেলার দিন আসলে মেলায় গিয়ে ঘুরে ঘুরে দোকানে দোকানে এই ঠোঙ্গ বিক্রি করতাম। কি যে আনন্দ পেতাম! অনেক দোকান-মালিকরা আমাদের সাথে খারাপ ব্যবহার করতো, কিন্তু তা আমরা ধরার মধ্যেই আনতাম না। অনেক কষ্টে এই ঠোঙ্গা বিক্রি করে পয়সা/টাকা হাতে পেতাম। তখন মনে হতো আকাশের চাঁদ যেন হাতে পেয়েছি। এই ঠোঙ্গা বিক্রির মাধ্যমে আমরা টাকা যোগার করে মেলা থেকে পছন্দের জিনিস কিনতাম। আমার সবচেয়ে বেশী লোভনীয় জিনিস ছিলো খেলনা পিস্তল। একটা পিস্তল কিনতে পারলে নিজেকে ডাকাত দলের সর্দার মনে হত। ডাকাত দলের সর্দার মানে একটা বিশাল বিষয়। আমার একটা বাহিনী থাকতো আর আমি সেই বাহিনীর প্রধান। আমার শিষ্যদের কাছে মানব বিধ্বংসী পিস্তল নেই, শুধু আমার কাছে আছে, তাদের কাছে আছে শুধু দেশী অস্ত্র মানে ছেন, কাতরা, লাঠী ইত্যাদি। আর আমার কাছে এমন একটি অস্ত্র আছে যা দিয়ে জ্যান্ত মানুষকে মেরে ফেলা যাবে, সুতরাং এটা কিন্তু কম ব্যাপার নয়। জিলাপী না কিনলে কিন্তু মেলা স্বার্থক হত না। সাথে বাঁশি, বেলুন, মুড়লী, তিল আরো কতো কি? সেই সোনার দিলগুলো আজ কোথায় গেল???
-স্বপন রোজারিও, ২৯/৯/২০
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
আব্দুর রহমান আনসারী ১২/১০/২০২০স্মৃতির রোমন্থন উপভোগ্য
-
ফয়জুল মহী ০২/১০/২০২০Very good post.
-
Biswanath Banerjee ০২/১০/২০২০ভাল
-
সাইয়িদ রফিকুল হক ০১/১০/২০২০স্মৃতিকথা।