দূর থেকে দেখার নাম প্রেম
হ্যাঁ, আজ থেকে ৩৪/৩৫ বছর আগের কথা বলছি। আমি বিশেষত: একটি কনজারভেটিভ ফ্যামিলির সন্তান ছিলাম। একটা সামাজিক অনুসাশন কেন যেন আমাদের আস্টে-পিস্টে বেঁধে রেখেছিলো। নড়াচড়া করার কোন জো ছিলো না। জীবনটা একটা রুটিনের মধ্য দিয়ে চলতো। এই ধরুন- সকালে ঘুম থেকে উঠা, তারপর মাঠে কৃষি কাজ করা, স্কুলে যাওয়া, আবার মাঠে কাজ করা, সন্ধ্যায় মালা প্রার্থনা করা, একটু পড়াশোনা করা এবং পরে ক্লান্তির ঘুম। এই রুটিন মাফিক কাজের ফাঁকে আসলে অন্য কোন কাজ করা সম্ভব হয়নি। আর এর অন্যথা হলে মাইর খাওয়ার সম্ভাবনা ছিলো ১০০%। সুতরাং কোন নারীর সাথে চুটিয়ে প্রেম করার কোন বিন্দুমাত্র সুযোগ আমাদের তখন হয়নি। মানুষ কিন্তু প্রকৃতিক নিয়ম অনুসারে চলছে, বেড়ে যাচ্ছে। বছর ঘুরে প্রকৃতিতে যেমন ফুল ফল আসে মানুষের মনেও তেমনি প্রেম আসে। আমাদের মনেও তেমনি প্রেম এসেছিলো, কিন্তু আমরা এর প্রকাশ করতে পারিনি। অবশ্য আমাদের একটা মাধ্যম ছিলো, আর তা হল দূর থেকে দেখা। সেই গানের মত ‘আমি দূর থেকে তোমাকে দেখেছি,... আর মুগ্ধ নয়নে চেয়ে থেকেছি......
তো যাই হোক, এখন আমার নিজের কথা কিছু বলি। আমিও প্রকৃতিক নিয়মে বড় হতে থাকলাম। মনে যেন একটু প্রেমের উদয় হল। কিন্তু কাউকে মুখ ফুটে কিছু বলতে পারতাম না। এমনি করে স্কুলে পড়া একটি নারীকে আমার ভাল লাগতে লাগলো, কিন্তু কখনও এ কথাটি তাকে বলতে পারি নি। শুধু দূর থেকে চেয়ে চেয়ে দেখেছি আর হৃদয়ে তার ছবি এঁকেছি। আমি ছোট কালে কারণে-অকারণে অনেক স্কুল কামাই দিয়েছি। কিন্তু ৯ম বা ১০ম শ্রেণীতে পড়াকালে সাধারণত স্কুল কামাই দিতাম না। গীর্জা কামাই দিতাম না। তখন মনের মধ্যে একধরনের শক্তি উপলব্ধি করতাম। আর এই শক্তিই আমাকে স্কুলের পাশে, গীর্জার পাশে দাঁড়িয়ে থাকতে সহায়তা করেছে। শুধু একবার দূর থেকে দেখার যে আকুতি তা আমাকে তাড়া করে বেড়াতো। জানি না, কি এক আকর্ষনে ছুটে যেতাম!
সেই সময় বড়দিন উপলক্ষ্যে মিশন পর্যায়ে অনেক ম্যাগাজিন প্রকাশিত হত। আমি দেখতাম, তার কোন কবিতা ম্যাগাজিনে প্রকাশিত হয়েছে কি না। একবার ‘বৃষ্টি’ নামে তার একটি কবিতা ম্যাগাজিনে পেয়ে গেলাম। কি যে আনন্দ হয়েছিলো তখন! সেই কবিতা পড়ে একেবারে মুখস্থ করে ফেলেছিলাম। বৃষ্টি পড়ে টুপুর টুপুর.........। আমার এখন মনে হয়েছে, দূর থেকে দেখে যে প্রেম তাই আসল প্রেম।
ইন্টারনেটের যুগে এখন প্রেমে অনেক আধুনিকতা এসেছে। এখন মোবাইলে I Love You লিখে পাঠিয়ে দিলেই প্রেম হয়ে যায়। কিন্তু আমাদের প্রেম তা ছিলো না। আমাদের প্রেমে কষ্ট ছিলো, কাটা ছিলো। যে জিনিস কষ্ট ছাড়া, কাটা ছাড়া পাওয়া যায় তার কোন মূল্য থাকে না জীবনে।
২৫/০৯/২০
তো যাই হোক, এখন আমার নিজের কথা কিছু বলি। আমিও প্রকৃতিক নিয়মে বড় হতে থাকলাম। মনে যেন একটু প্রেমের উদয় হল। কিন্তু কাউকে মুখ ফুটে কিছু বলতে পারতাম না। এমনি করে স্কুলে পড়া একটি নারীকে আমার ভাল লাগতে লাগলো, কিন্তু কখনও এ কথাটি তাকে বলতে পারি নি। শুধু দূর থেকে চেয়ে চেয়ে দেখেছি আর হৃদয়ে তার ছবি এঁকেছি। আমি ছোট কালে কারণে-অকারণে অনেক স্কুল কামাই দিয়েছি। কিন্তু ৯ম বা ১০ম শ্রেণীতে পড়াকালে সাধারণত স্কুল কামাই দিতাম না। গীর্জা কামাই দিতাম না। তখন মনের মধ্যে একধরনের শক্তি উপলব্ধি করতাম। আর এই শক্তিই আমাকে স্কুলের পাশে, গীর্জার পাশে দাঁড়িয়ে থাকতে সহায়তা করেছে। শুধু একবার দূর থেকে দেখার যে আকুতি তা আমাকে তাড়া করে বেড়াতো। জানি না, কি এক আকর্ষনে ছুটে যেতাম!
সেই সময় বড়দিন উপলক্ষ্যে মিশন পর্যায়ে অনেক ম্যাগাজিন প্রকাশিত হত। আমি দেখতাম, তার কোন কবিতা ম্যাগাজিনে প্রকাশিত হয়েছে কি না। একবার ‘বৃষ্টি’ নামে তার একটি কবিতা ম্যাগাজিনে পেয়ে গেলাম। কি যে আনন্দ হয়েছিলো তখন! সেই কবিতা পড়ে একেবারে মুখস্থ করে ফেলেছিলাম। বৃষ্টি পড়ে টুপুর টুপুর.........। আমার এখন মনে হয়েছে, দূর থেকে দেখে যে প্রেম তাই আসল প্রেম।
ইন্টারনেটের যুগে এখন প্রেমে অনেক আধুনিকতা এসেছে। এখন মোবাইলে I Love You লিখে পাঠিয়ে দিলেই প্রেম হয়ে যায়। কিন্তু আমাদের প্রেম তা ছিলো না। আমাদের প্রেমে কষ্ট ছিলো, কাটা ছিলো। যে জিনিস কষ্ট ছাড়া, কাটা ছাড়া পাওয়া যায় তার কোন মূল্য থাকে না জীবনে।
২৫/০৯/২০
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
সাইয়িদ রফিকুল হক ২৫/০৯/২০২০বেশ!
-
আব্দুর রহমান আনসারী ২৫/০৯/২০২০ভালো
-
ফয়জুল মহী ২৫/০৯/২০২০Excellent. Best wishes