ভাওয়ালের ঐহিত্যবাহী ফুটবল খেলা
ভাওয়াল এলাকার অনেক ঐতিহ্যের মধ্যে অন্যতম হল ফুটবল খেলা। বলতে গেলে আশি ও নব্বই -এর দশকে ভাওয়ালের ফুটবল খেলা ছিলো সেই সময়ের মানুষের চিত্তোবিনোদনের অন্যতম মাধ্যম। ফুটবল খেলা না হলে যেন চলতোই না। এখন তো আর সেই মাঠ ও নেই, সেই খেলাও নেই। হায়রে আফসোস! কোথায় গেল সেই হারানো দিনগুলো। ভাবলে মনটা একেবারে খারাপ হয়ে যায়। মনে মনে গাইতে ইচ্ছা করে ’আগে কি সুন্দর দিন কাটাইতাম..আমি.....’।
আগে ভাওয়ালে ৬টি মিশন ছিলো। তুমিলিয়া, নাগরী, মঠবাড়ী, রাঙ্গামাটিয়া, মাউছাইদ ও ধরেন্ডা। আগে দড়িপাড়া তুমিলিয়া মিশনের অন্তর্ভুক্ত ছিলো। বর্তমানে দড়িপাড়া আলাদা মিশন হয়েছে। ভৌগলিক কারণে ভাদুন, পাগাড় ও হারবাইদে আলাদা মিশন/সাব-মিশন হয়েছে। চড়াখোলাও আলাদা মিশন হবে। নাগরী মিশনে ছিলো বিরাট ফুটবল খেলার মাঠ। নাগরী মিশনে এখন যে নতুন গীর্জা, সেটাই ছিলো মাঠ। নাগরীর মত এতো বড় মাঠ আমাদের ভাওয়াল এলাকায় দ্বিতীয়টি ছিলো বলে আমার জানা নেই। আর ভাওয়াল খ্রীষ্টান যুব সমিতির আয়োজনে মিশন ভিত্তিক খেলাগুলো হত নাগরী মাঠে। এই খেলাগুলোর আগে সাজ সাজ রব পড়ে যেত। খেলাগুলো চলতো ভরা বর্ষাকালে। আমরা নৌকা নিয়ে চড়াখোলা হয়ে নাগরী চলে আসতাম এই স্বপ্নের খেলা দেখার জন্য। সাথে কিছুটা বাজারও করে নিয়ে যেতাম। খেলা শুরুর আগেই আমরা মাঠে গিয়ে হাজির হতাম। নিজেদের দল যখন খেলতো তখন দলের সাথে পিছনে পিছনে একেবারে মাঠের ভিতরে চলে যেতান। তখন অনেক মজা লাগতো। মাঝে মাঝে খেলোয়াড়দের সাথে হ্যান্ডশেক করতাম। তখন অনেক আনন্দ অনুভূত হত। তখন এক একটা খেলোয়াড়কে এক একটা দেবতা মনে হতো। সুন্দর জার্সি, পায়ে বুট। তখন মনে হতো আকাশের সব দেবতাগুলো যেন নাগরী মাঠে এসে জড়ো হয়েছে। আর এই দেবতাদের সাথে হাত মেলানো সে তো পরম আনন্দের! পরম ভাগ্যের ব্যাপার! খেলায় জিততে পরলে আমাদের একটি বিপ্লবী মনোভাব কাজ করতো। ‘গোল’ বলে এক যে চিৎকার দিতাম এবং তারপর চিৎকার দিতে দিতে মধ্য মাঠে চলে আসতাম। হায় রে, কি যে আনন্দ হতো! সেই সময় নাগরীর একজন খেলোয়াড় ছিলো। তার নাম নীলু। তিনি ব্যাগী খেলতেন। তিনি বল মারলে নাগরী মাঠের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে চলে যেত। তার যে পায়ের কারুকার্য, দেখে মনটা ভরে যেত। মঝে মাঝে খেলায় গন্ডগোল হত। তখন নৌকা নিয়ে পালাতাম।
আমরা ভাওয়ালের খেলা আবারও চাই। সেই মাঠ চাই। এ চাওয়াগুলো কি এতোই অন্যায়????? অন্তত আমাদের বর্তমান প্রজন্মকে বাঁচাতে হলেও আমাদের খেলা দরকার, মাঠ দরকার।
২৩/০৯/২০
আগে ভাওয়ালে ৬টি মিশন ছিলো। তুমিলিয়া, নাগরী, মঠবাড়ী, রাঙ্গামাটিয়া, মাউছাইদ ও ধরেন্ডা। আগে দড়িপাড়া তুমিলিয়া মিশনের অন্তর্ভুক্ত ছিলো। বর্তমানে দড়িপাড়া আলাদা মিশন হয়েছে। ভৌগলিক কারণে ভাদুন, পাগাড় ও হারবাইদে আলাদা মিশন/সাব-মিশন হয়েছে। চড়াখোলাও আলাদা মিশন হবে। নাগরী মিশনে ছিলো বিরাট ফুটবল খেলার মাঠ। নাগরী মিশনে এখন যে নতুন গীর্জা, সেটাই ছিলো মাঠ। নাগরীর মত এতো বড় মাঠ আমাদের ভাওয়াল এলাকায় দ্বিতীয়টি ছিলো বলে আমার জানা নেই। আর ভাওয়াল খ্রীষ্টান যুব সমিতির আয়োজনে মিশন ভিত্তিক খেলাগুলো হত নাগরী মাঠে। এই খেলাগুলোর আগে সাজ সাজ রব পড়ে যেত। খেলাগুলো চলতো ভরা বর্ষাকালে। আমরা নৌকা নিয়ে চড়াখোলা হয়ে নাগরী চলে আসতাম এই স্বপ্নের খেলা দেখার জন্য। সাথে কিছুটা বাজারও করে নিয়ে যেতাম। খেলা শুরুর আগেই আমরা মাঠে গিয়ে হাজির হতাম। নিজেদের দল যখন খেলতো তখন দলের সাথে পিছনে পিছনে একেবারে মাঠের ভিতরে চলে যেতান। তখন অনেক মজা লাগতো। মাঝে মাঝে খেলোয়াড়দের সাথে হ্যান্ডশেক করতাম। তখন অনেক আনন্দ অনুভূত হত। তখন এক একটা খেলোয়াড়কে এক একটা দেবতা মনে হতো। সুন্দর জার্সি, পায়ে বুট। তখন মনে হতো আকাশের সব দেবতাগুলো যেন নাগরী মাঠে এসে জড়ো হয়েছে। আর এই দেবতাদের সাথে হাত মেলানো সে তো পরম আনন্দের! পরম ভাগ্যের ব্যাপার! খেলায় জিততে পরলে আমাদের একটি বিপ্লবী মনোভাব কাজ করতো। ‘গোল’ বলে এক যে চিৎকার দিতাম এবং তারপর চিৎকার দিতে দিতে মধ্য মাঠে চলে আসতাম। হায় রে, কি যে আনন্দ হতো! সেই সময় নাগরীর একজন খেলোয়াড় ছিলো। তার নাম নীলু। তিনি ব্যাগী খেলতেন। তিনি বল মারলে নাগরী মাঠের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে চলে যেত। তার যে পায়ের কারুকার্য, দেখে মনটা ভরে যেত। মঝে মাঝে খেলায় গন্ডগোল হত। তখন নৌকা নিয়ে পালাতাম।
আমরা ভাওয়ালের খেলা আবারও চাই। সেই মাঠ চাই। এ চাওয়াগুলো কি এতোই অন্যায়????? অন্তত আমাদের বর্তমান প্রজন্মকে বাঁচাতে হলেও আমাদের খেলা দরকার, মাঠ দরকার।
২৩/০৯/২০
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
ফয়জুল মহী ২৪/০৯/২০২০Good post
-
পি পি আলী আকবর ২৪/০৯/২০২০ভালোই
-
শঙ্খজিৎ ভট্টাচার্য ২৪/০৯/২০২০fine