ছেলে বেলার স্কুল পালানো
আমাদের বাড়ি বিলের পাড়ে। বলতে গেলে একেবারে পাত্তরী বিলে আমাদের বাড়ি। আগে বর্ষাকালে আমাদের বাড়ির চারিদিকে অথৈ জল থাকতো। আমাদের এলাকাটা অপেক্ষাকৃত নীঁচু। কিন্তু আমাদের বাড়িটা অনেক উঁচু। ফলে বর্ষাকালেও আমাদের বাড়িতে কখনও পানি উঠে নি। আমাদের চলাচলের বাহন ছিলো প্রধানত কুন্দা ও নৌকা। কেউ কেউ আবার কলা গাছের তৈরী ভেউড়াতে ও চলতো। ভেউড়া বেশী টেকসই ছিলো না।অল্প দিনেই নষ্ট হয়ে যেত। কুন্দা ছিলো তাল গাছের তৈরী বিশেষ বাহন যা পানিতে ভেসে থাকতো। কুন্দ ছিলো আমাদের টেকসই জলযান। এই কুন্দা দিয়েই আমরা চলাফেরা করতাম সবচেয়ে বেশী। আমাদের নৌকায় চড়া তখন সৌখিন ব্যাপার ছিলো। সারা বাড়িতে নৌকা ছিলো মাত্র ২ টা। হাট-বাজারসহ নানাবিধ কাজে নৌকার বহুমুখী ব্যবহারের ফলে নৌকা পাওয়া বিরাট ভাগ্যের ব্যাপার ছিলো। তাই কপালে থাকতো সাধের কুন্দা। এই কুন্দা দিয়ে আমরা স্কুলে যেতাম। যেদিন ক্লাসের পড়া পারতাম সেদিন আনন্দ মনেই স্কুলে যেতাম। কিন্তু কোন কোন দিন ক্লাসের পড়া না পাড়ার কারণে নিজে নিজেই কুন্দা ডুবিয়ে দিয়ে ভিজে যেতাম এবং স্কুল কামাই করতাম। আমাদের সময় ক্লাসের পড়া না পাড়লে স্যারেরা বেধম বেত্রাঘাত করতো। এই বেত্রাঘাত থেকে বাঁচার জন্য নিজে নিজেই কুন্দা ডুবিয়ে দিয়ে স্কুল পালাতাম।
-স্বপন রোজারিও, মধুবাগ, ঢাকা,১৯/০৮/২০
-স্বপন রোজারিও, মধুবাগ, ঢাকা,১৯/০৮/২০
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
কুমারেশ সরদার ২৮/০৮/২০২০মনে পড়ে গেল যে......।।
-
আব্দুর রহমান আনসারী ২০/০৮/২০২০শৈশবের সুখস্মৃতি বেশ উপভোগ্য
-
সাইয়িদ রফিকুল হক ১৯/০৮/২০২০শৈশবের স্মৃতিকথা!
-
মোঃ মাহাবুবুর রহমান পথিক ১৯/০৮/২০২০এভাবে আমিও স্কুল পালাতাম
-
ফয়জুল মহী ১৮/০৮/২০২০Excellent