কতগুলো চরিত্র যা আমাকে অভিভূত করেছে
মানুষের জীবন বড়ই অদ্ভুত। মানুষের জীবনে কি জিনিস যে তাকে প্রভাবিত করে তা বুঝা যায় না। আমার জীবনে এরুপ কয়েকটি চরিত্র আছে যা আমাকে দারুণভাবে প্রভাবিত করেছে। আমার মনকে দোলা দিয়েছে, আমাকে বড় হওয়ার আশা জাগিয়েছে।
আমরা তখন ছোট ছিলাম। আশি ও নব্বই-এর দশক। তখন আমাদের এলাকায় অনেক মঞ্চ নাটক হত। তখন গ্রামে এতো টেলিভিশন ছিলো না। মানুষের বিনোদন অনেকটা মঞ্চ নাটকের উপর নির্ভর করতো। সেই সময়ে আমাদের এলাকায় একটা মঞ্চ নাটক হতো যার নাম ‘বাহারাম বাদশা।’ এক বিরাট আয়োজন হতো সেটা। নাটকের পারফরমারদের পোষাক হায়ার করে সেই নাটক হত। পারফরমারদের চকচকে পোষাক দেখলে চোখে ধাঁ ধাঁ ধরে যেত। এলাকায় নাটক হওয়া মানে বিশাল কান্ড, বিশাল মঞ্চ। দূর দূরান্ত থেকে লোক আসতো নাটক উপভোগ করার জন্য। যাহোক, ‘বাহারাম বাদশা’ নাটকে বাদশা/রাজার পাঠ/অভিনয় করতেন আমার বড় ভাই মেলবিন রোজারিও (মাস্টার)। কি অপূর্ব সেই দৃশ্য। আমার কাছে মনে হত এই বাদশাই পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ বাদশা। এর চেয়ে শক্তিধর মানুষ দুনিয়ায় নেই। এই বাদশা আদেশ দিলে যেন তামাম দুনিয়া তাঁর কাছে নুয়ে পড়বে। আমি এখনও দেখি সেই বাদশার চেহারা আমার চোখের সামনে ঝল ঝল করছে। আমি এখনও বাদশার সেই সাজানো মুকুটটা দেখতে পাই। এই বাদশার দৃশ্য দেখে আমি তখন নিজেকে বাদশা বাদশা মনে করতাম। আমি মনে করতাম আমিও একদিন দাদার মত বাদশা হব। এরপর এলাকায় অনেক মঞ্চ নাটক দেখেছি। চড়াখোলা স্কুলেও অনেক নাটক হয়েছে। চড়াখোলার নাটকে চয়ন রিবেরুর অভিনয় আমার অনেক ভালো লেগেছে। আমি আজ চয়ন দাদাকে ধন্যবাদ জানাই। জানিনা চয়ন দা আমার লেখাটি পড়বেন কি না।
চড়াখোলায় নাটকের পাশাপাশি যিশুর পালাগান খুবই প্রসিদ্ধ ছিল। চড়াখোলার যিশুর পালাগান দেশের অনেক জায়গায় অভিনীত হয়েছে। যিশুর পালাগানের আরেকটি চরিত্র আমার এখনও মনে পড়ে। সেটি হল সুনীল পেরেরা অভিনীত পিলাতের চরিত্র। আমার কাছে পালাগানের সবচেয়ে আকরষণীয় চরিত্র ছিলো পিলাতের চরিত্র। তখন এই পিলাতকে আমার বিশ্বের রাজাধিরাজ মনে হয়েছে। মনে হত আমি যদি একবার পিলাতের চরিত্রে অভিনয় করতে পারতাম তবে আমার জীবনটা স্বারথক হত।
-স্বপন রোজারিও, মধুবাগ, ঢাকা, ০৭/০৮/২০, ১০:৪৮ মি.
আমরা তখন ছোট ছিলাম। আশি ও নব্বই-এর দশক। তখন আমাদের এলাকায় অনেক মঞ্চ নাটক হত। তখন গ্রামে এতো টেলিভিশন ছিলো না। মানুষের বিনোদন অনেকটা মঞ্চ নাটকের উপর নির্ভর করতো। সেই সময়ে আমাদের এলাকায় একটা মঞ্চ নাটক হতো যার নাম ‘বাহারাম বাদশা।’ এক বিরাট আয়োজন হতো সেটা। নাটকের পারফরমারদের পোষাক হায়ার করে সেই নাটক হত। পারফরমারদের চকচকে পোষাক দেখলে চোখে ধাঁ ধাঁ ধরে যেত। এলাকায় নাটক হওয়া মানে বিশাল কান্ড, বিশাল মঞ্চ। দূর দূরান্ত থেকে লোক আসতো নাটক উপভোগ করার জন্য। যাহোক, ‘বাহারাম বাদশা’ নাটকে বাদশা/রাজার পাঠ/অভিনয় করতেন আমার বড় ভাই মেলবিন রোজারিও (মাস্টার)। কি অপূর্ব সেই দৃশ্য। আমার কাছে মনে হত এই বাদশাই পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ বাদশা। এর চেয়ে শক্তিধর মানুষ দুনিয়ায় নেই। এই বাদশা আদেশ দিলে যেন তামাম দুনিয়া তাঁর কাছে নুয়ে পড়বে। আমি এখনও দেখি সেই বাদশার চেহারা আমার চোখের সামনে ঝল ঝল করছে। আমি এখনও বাদশার সেই সাজানো মুকুটটা দেখতে পাই। এই বাদশার দৃশ্য দেখে আমি তখন নিজেকে বাদশা বাদশা মনে করতাম। আমি মনে করতাম আমিও একদিন দাদার মত বাদশা হব। এরপর এলাকায় অনেক মঞ্চ নাটক দেখেছি। চড়াখোলা স্কুলেও অনেক নাটক হয়েছে। চড়াখোলার নাটকে চয়ন রিবেরুর অভিনয় আমার অনেক ভালো লেগেছে। আমি আজ চয়ন দাদাকে ধন্যবাদ জানাই। জানিনা চয়ন দা আমার লেখাটি পড়বেন কি না।
চড়াখোলায় নাটকের পাশাপাশি যিশুর পালাগান খুবই প্রসিদ্ধ ছিল। চড়াখোলার যিশুর পালাগান দেশের অনেক জায়গায় অভিনীত হয়েছে। যিশুর পালাগানের আরেকটি চরিত্র আমার এখনও মনে পড়ে। সেটি হল সুনীল পেরেরা অভিনীত পিলাতের চরিত্র। আমার কাছে পালাগানের সবচেয়ে আকরষণীয় চরিত্র ছিলো পিলাতের চরিত্র। তখন এই পিলাতকে আমার বিশ্বের রাজাধিরাজ মনে হয়েছে। মনে হত আমি যদি একবার পিলাতের চরিত্রে অভিনয় করতে পারতাম তবে আমার জীবনটা স্বারথক হত।
-স্বপন রোজারিও, মধুবাগ, ঢাকা, ০৭/০৮/২০, ১০:৪৮ মি.
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
ঐশিকা প্রজীতা বসু ০৯/০৮/২০২০বাঃ, খুব ভালো অভিজ্ঞতা।
-
Biswanath Banerjee ০৯/০৮/২০২০Good
-
আব্দুর রহমান আনসারী ০৮/০৮/২০২০সত্যই অবাক করার মতই
-
শঙ্খজিৎ ভট্টাচার্য ০৮/০৮/২০২০superb post
-
ফয়জুল মহী ০৭/০৮/২০২০Excellent post. Best wishes