একজন নক্ষত্রতুল্য মানুষের উপাখ্যান
আমি আজ যে মহান হৃদয়ের মানুষের গল্প বলবো তাঁর নাম জর্জ গমেজ। হ্যাঁ, তুমিলিয়া মিশনের বোয়ালী গ্রামের ফেনার বাড়ীর জর্জ গমেজের কথা বলছি আমি। একজন অসাধারণ ব্যক্তি ছিলেন তিনি। তিনি নক্ষত্রের চেয়ে কোন অংশে কম ছিলেন না। তাঁর মত মহান লোককে আমি দেখেছি আর ধন্য হয়েছি। কি যে বিশাল হৃদয়ের মানুষ ছিলেন তিনি, তা আমরা এ জগতে কল্পনাও করতে পারি না।
আমাদের এলাকায় আগে থেকে বৈঠকী গানের চল ছিলো। জর্জ গমেজকে দেখেছি সেই গান পরিচালনায় নেতৃত্ব দিতে। এই গানগুলি তিনি নিজেই রচনা করেছেন। নিজেই সুরারোপ করেছেন। এমন গুণের অধিকারী মানুষ আসলে জগতে কমই আছে। এই যে গান রচনা করা, সুর দেয়া, এগুলো তো বিরাট মুন্সিয়ানার কাজ। অগাধ জ্ঞানের কাজ। দুরদৃষ্টিসম্পন্ন মানুষ না হলে এই ধরনের ক্রিয়েটিভ কাজ করা যায় না। শুধু বৈঠকী গান নয়, তাঁকে আমি দেখেছি একের পর এক গান লিখতে ও সুর দিতে। সেই সময় বিশেষ করে কীর্তনের গানগুলো তিনিই লিখেছেন অগাধ প্রেমে। গানের সাথে প্রকৃত প্রেম করতে না পারলে তিনি এ গান রচনা করতে পারতেন না। শুনেছি এক সময় তুমিলিয়া মিশনের অনেক কীর্তন দলের গানই তিনি লিখে দিতেন ও সুর করে দিতেন। একাধারে তিনি ছিলেন কবি, গীতিকার ও সুরকার। একজন মানুষের মধ্যে যে এতো রুপ তা শুখু জর্জ গমেজ এর বেলায় হয়েছে। কল্পনাকে শব্দ দিয়ে বেঁধে ফেলার এক অসীম ক্ষমতা তাঁর মধ্যে ছিলো। তিনি ছিলেন কবিদের কবি, সুরের সম্রাট। আমি অবাক হয়ে তার কাজ দেখেছি। একটি অজো পাড়া গাঁয়ে এমন মহান মানুষের জন্ম হয়, তা আমার ভাবতে ও বুকটা গর্বে ভরে যায়। তা আবার আমাদের মিশনে, ধরতে গেলে আমাদের বাড়ীর পাশে। তিনি ছিলেন আসলে প্রকৃত নেতা ও সমাজ সংস্কারক। আমি তাঁকে এখনও দেখতে পাই, বৈঠকী গানের দলনেতা হিসেবে। তিনি বক্তব্য দিয়ে মাইক ফাঁটিয়ে দেন নাই, তার পরেও আমার কাছে তিনিই ছিলেন মহান নেতা, প্রকৃত হিরু। বাদশাদের বাদশা।
তিনি আমাদের মধ্যে স্বশরীরের নেই। কিন্তু তাঁর মহান কাজগুলো আমাদের মধ্যে এখনও তাড়া করে চলে। তাঁর মত এমন প্রতিভাবান কবি ও সমাজ সংস্কারক আমাদের সমাজ সংসারে এখন আর নেই। আর জন্ম গ্রহণ করবে কি না জানি না। আজকে আমরা তাঁকে স্মরণ করি এবং একজন জর্জ গমেজ হওয়ার জন্য অঙ্গীকার করি।
-স্বপন রোজারিও, মধুবাগ, ঢাকা, ৬ আগষ্ট, ২০২০, ৭:৩৭ মিনিট
আমাদের এলাকায় আগে থেকে বৈঠকী গানের চল ছিলো। জর্জ গমেজকে দেখেছি সেই গান পরিচালনায় নেতৃত্ব দিতে। এই গানগুলি তিনি নিজেই রচনা করেছেন। নিজেই সুরারোপ করেছেন। এমন গুণের অধিকারী মানুষ আসলে জগতে কমই আছে। এই যে গান রচনা করা, সুর দেয়া, এগুলো তো বিরাট মুন্সিয়ানার কাজ। অগাধ জ্ঞানের কাজ। দুরদৃষ্টিসম্পন্ন মানুষ না হলে এই ধরনের ক্রিয়েটিভ কাজ করা যায় না। শুধু বৈঠকী গান নয়, তাঁকে আমি দেখেছি একের পর এক গান লিখতে ও সুর দিতে। সেই সময় বিশেষ করে কীর্তনের গানগুলো তিনিই লিখেছেন অগাধ প্রেমে। গানের সাথে প্রকৃত প্রেম করতে না পারলে তিনি এ গান রচনা করতে পারতেন না। শুনেছি এক সময় তুমিলিয়া মিশনের অনেক কীর্তন দলের গানই তিনি লিখে দিতেন ও সুর করে দিতেন। একাধারে তিনি ছিলেন কবি, গীতিকার ও সুরকার। একজন মানুষের মধ্যে যে এতো রুপ তা শুখু জর্জ গমেজ এর বেলায় হয়েছে। কল্পনাকে শব্দ দিয়ে বেঁধে ফেলার এক অসীম ক্ষমতা তাঁর মধ্যে ছিলো। তিনি ছিলেন কবিদের কবি, সুরের সম্রাট। আমি অবাক হয়ে তার কাজ দেখেছি। একটি অজো পাড়া গাঁয়ে এমন মহান মানুষের জন্ম হয়, তা আমার ভাবতে ও বুকটা গর্বে ভরে যায়। তা আবার আমাদের মিশনে, ধরতে গেলে আমাদের বাড়ীর পাশে। তিনি ছিলেন আসলে প্রকৃত নেতা ও সমাজ সংস্কারক। আমি তাঁকে এখনও দেখতে পাই, বৈঠকী গানের দলনেতা হিসেবে। তিনি বক্তব্য দিয়ে মাইক ফাঁটিয়ে দেন নাই, তার পরেও আমার কাছে তিনিই ছিলেন মহান নেতা, প্রকৃত হিরু। বাদশাদের বাদশা।
তিনি আমাদের মধ্যে স্বশরীরের নেই। কিন্তু তাঁর মহান কাজগুলো আমাদের মধ্যে এখনও তাড়া করে চলে। তাঁর মত এমন প্রতিভাবান কবি ও সমাজ সংস্কারক আমাদের সমাজ সংসারে এখন আর নেই। আর জন্ম গ্রহণ করবে কি না জানি না। আজকে আমরা তাঁকে স্মরণ করি এবং একজন জর্জ গমেজ হওয়ার জন্য অঙ্গীকার করি।
-স্বপন রোজারিও, মধুবাগ, ঢাকা, ৬ আগষ্ট, ২০২০, ৭:৩৭ মিনিট
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
ঐশিকা প্রজীতা বসু ০৯/০৮/২০২০এমন মানুষ এখনকার দিনে পাওয়া দুষ্কর। খুব ভালো লিখেছেন দাদা। এমন আরো চাই।
-
সাইয়িদ রফিকুল হক ০৭/০৮/২০২০ভালো।
-
ফয়জুল মহী ০৬/০৮/২০২০অনবদ্য লেখা পড়ে বিমোহিত হলাম।
-
আব্দুর রহমান আনসারী ০৬/০৮/২০২০অনেক অনেক শুভ কামনা
-
শঙ্খজিৎ ভট্টাচার্য ০৬/০৮/২০২০superb