দাই মা
(আমার শ্রদ্ধেয় বড়ভাই দিলীপ টমাস রোজারিও চড়াখোলা গ্রামের একজন মহিয়সী নারীক নিয়ে ফেসবুকে একটি পোষ্ট দিয়েছেন। তা আমার ভালো লেগেছে। তাই আমি আমার এলাকার একজন মহিয়নী নরীর কথা লিখলাম।)
আমাদের এলাকার আমার পিসির নাম মনে পড়ে গেল। আমার পিসি জগুর বাড়ীর বীর মুক্তিযোদ্ধা রিচার্ড গমেজ এর মা। তাঁকে সকলে ইছটের মা বলে ডাকতো। আমার পিসিকে দেখেছি, কোন বাড়ীতে বিয়ে হলে সেখানে তিনি আগে গিয়ে হাজির। বিয়েবাড়ীর রান্নার সব দায়িত্ব আমার পিসির উপর পড়ত। তিনি খুশিমনে রান্নার কাজ আপন করে নিতেন। কি বিশালতা তার মধ্যে দেখেছি। আমি এখন হয়তো তা বর্ননা করতে পারবো না। সমুদ্রের মত বিশাল ছিল তাঁর হৃদয়। কখনও টাকা পয়সার জন্য লালায়িত ছিলেন না। কাজ এসেছে, কাজ করতে হবে হাসিমুখে। কি পেলাম তা নিয়ে কখনও চিন্তা করতেন না। এধরনের মানুষগুলো মরে যায় কিন্তু তাদের বিশালতা মরে না, তাদের হৃদয় মরে না।প্রসঙ্গক্রমে বলি, আমার পিসি একজন দাই মা ছিলেন। আমি দেখেছি, যেখানেই সন্তান সম্ভবা মা, সেখানে আমার পিসি। একটি মানব সন্তানকে পৃথিবীতে এনে তিনি জীবনের পরমানন্দ উপভোগ করতেন।আমাদের এলাকায় ষাট , সত্তর ও আশির দশকে যারা জন্মেছেন তাদের প্রায় সকলেই আমার পিসির পরশ পাথরের ছোঁয়ায় জন্মেছেন, এ কথা বলতে পারি। কখনও তিনি বলেন নি, আমাকে এতো টাকা দিতে হবে, ওতো টাকা দিতে হবে। সেবাটাই তাঁর কাছে মহৎ ছিলো। এই সেবা দিয়েই তিনি মনকে প্রশস্ত করেছেন, বিস্তর করেছেন। তাঁর কাছে টাকার কোন মূল্য ছিলো না। এই এতো এতো শিশু তাঁর হাতে জন্ম নিয়েছে , সবার বাবা-মা কি তাঁকে তার প্রকৃত পারিশ্রমিক দিতে পেরেছে? অবশ্যই দিতে পারেনি। অথচ এতে তাঁর কোন দু:খ ছিলোনা। এখানেই তাঁর মনের বড়ত্ব প্রকাশ পায়। এই বড়ত্ব পরিমাপ করা যায় না। এধরণের স্বরথহীন বড় মনের লোকদের জন্য পৃথিবীটা চলছে। কিন্তু এখন মানুষের হৃদয় অত বিশাল নয়। তারা নদী দেখতে চায় না, সমুদ্র তো দূরের কথা। এখন মানুষ পুকুরের মধ্যে সীমাবদ্ধ। কিন্তু মানুষকে বিপুল হতে হবে, তার দুচোখ দিয়ে অনেক কিছু দেখতে হবে। কল্পনা করতে হবে আমি নায়াগ্রাতে আছি। বিশাল মাঠ দেখতে হবে, যার কোন শেষ নেই। আমেরিকা, কানাডা যাওয়ার স্বপ্ন দেখতে হবে। তাহলে অন্তত ভারতের তাজমহল দেখা যাবে। আমার পিসির মত বিশাল না হলে, স্বপ্ন দেখতে না পরলে আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবোনা।
আমাদের এলাকার আমার পিসির নাম মনে পড়ে গেল। আমার পিসি জগুর বাড়ীর বীর মুক্তিযোদ্ধা রিচার্ড গমেজ এর মা। তাঁকে সকলে ইছটের মা বলে ডাকতো। আমার পিসিকে দেখেছি, কোন বাড়ীতে বিয়ে হলে সেখানে তিনি আগে গিয়ে হাজির। বিয়েবাড়ীর রান্নার সব দায়িত্ব আমার পিসির উপর পড়ত। তিনি খুশিমনে রান্নার কাজ আপন করে নিতেন। কি বিশালতা তার মধ্যে দেখেছি। আমি এখন হয়তো তা বর্ননা করতে পারবো না। সমুদ্রের মত বিশাল ছিল তাঁর হৃদয়। কখনও টাকা পয়সার জন্য লালায়িত ছিলেন না। কাজ এসেছে, কাজ করতে হবে হাসিমুখে। কি পেলাম তা নিয়ে কখনও চিন্তা করতেন না। এধরনের মানুষগুলো মরে যায় কিন্তু তাদের বিশালতা মরে না, তাদের হৃদয় মরে না।প্রসঙ্গক্রমে বলি, আমার পিসি একজন দাই মা ছিলেন। আমি দেখেছি, যেখানেই সন্তান সম্ভবা মা, সেখানে আমার পিসি। একটি মানব সন্তানকে পৃথিবীতে এনে তিনি জীবনের পরমানন্দ উপভোগ করতেন।আমাদের এলাকায় ষাট , সত্তর ও আশির দশকে যারা জন্মেছেন তাদের প্রায় সকলেই আমার পিসির পরশ পাথরের ছোঁয়ায় জন্মেছেন, এ কথা বলতে পারি। কখনও তিনি বলেন নি, আমাকে এতো টাকা দিতে হবে, ওতো টাকা দিতে হবে। সেবাটাই তাঁর কাছে মহৎ ছিলো। এই সেবা দিয়েই তিনি মনকে প্রশস্ত করেছেন, বিস্তর করেছেন। তাঁর কাছে টাকার কোন মূল্য ছিলো না। এই এতো এতো শিশু তাঁর হাতে জন্ম নিয়েছে , সবার বাবা-মা কি তাঁকে তার প্রকৃত পারিশ্রমিক দিতে পেরেছে? অবশ্যই দিতে পারেনি। অথচ এতে তাঁর কোন দু:খ ছিলোনা। এখানেই তাঁর মনের বড়ত্ব প্রকাশ পায়। এই বড়ত্ব পরিমাপ করা যায় না। এধরণের স্বরথহীন বড় মনের লোকদের জন্য পৃথিবীটা চলছে। কিন্তু এখন মানুষের হৃদয় অত বিশাল নয়। তারা নদী দেখতে চায় না, সমুদ্র তো দূরের কথা। এখন মানুষ পুকুরের মধ্যে সীমাবদ্ধ। কিন্তু মানুষকে বিপুল হতে হবে, তার দুচোখ দিয়ে অনেক কিছু দেখতে হবে। কল্পনা করতে হবে আমি নায়াগ্রাতে আছি। বিশাল মাঠ দেখতে হবে, যার কোন শেষ নেই। আমেরিকা, কানাডা যাওয়ার স্বপ্ন দেখতে হবে। তাহলে অন্তত ভারতের তাজমহল দেখা যাবে। আমার পিসির মত বিশাল না হলে, স্বপ্ন দেখতে না পরলে আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবোনা।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
আব্দুর রহমান আনসারী ০৩/০৮/২০২০বাস্তবতার প্রতিভাস
-
মশিউর ইসলাম (বিব্রত কবি) ০২/০৮/২০২০মনোমুগ্ধকর লেখা
-
সাইয়িদ রফিকুল হক ০২/০৮/২০২০ভালোমানুষ কমে যাচ্ছে।
-
আব্দুর রহমান আনসারী ০২/০৮/২০২০অনুপম
-
ফয়জুল মহী ০২/০৮/২০২০অনন্যসাধারণ