লকডাউন নিয়ে দুটি কথা
বাংলাদেশে ৮ মার্চ প্রথম করোনা রোগী সনাক্ত হয়। করোনা রোগী সনাক্ত হওয়ার পর থেকে বাংলাদেশ সরকার এ রোগের বিস্তার রোধকল্পে কাজ করে আসছিলো। এর অংশ হিসেবে প্রথমে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়। জনসাধারণকে ঘরে রাখার জন্য এর পর ঘোষণা করা হয় সাধারণ ছুটি। তখন আমরা করোনার ভয়াবহতা কল্পনা করতে পানিনি। গিয়েছি কক্সবাজারে, গিয়েছি গ্রামের বাড়িতে। ফলশ্রুতিতে করোনা বিস্তার লাভ করেছে সারা দেশব্যাপি। তখন যদি আমরা ঘরে থাকতাম তাহলে করোনার এতো বিস্তার হতো না। ঐ সময় ঘরে না থাকা ছিলো আমাদের মস্ত বড় ভুল। এই ভুলের খেসারত আমাদের এখন জীবন দিয়ে দিতে হচ্ছে। পরে সরকার বিভিন্ন ছোট ছোট এলাকাকে রেড জোন চিহ্নিত করে লকডাউন ঘোষণা করেছে। এর মধ্যে পূর্ররাজাবাজার অন্যতম। এখন চলছে ওয়ারীতে। যে এলাকা লকডাউন করে গ্রীন জোন করা হয়েছে, লকডাউনের পরে তা আবার ইয়ালো বা রেড জোন হতে পরে। কারণ সেই এলাকার বিভিন্ন লোক অন্য এলাকায় যাচ্ছে এবং অন্য এলাকার লোক সেই এলাকায় প্রবেশ করছে। এমতাবস্থায়, ছোট এলাকা লকডাউন করে ফলত: কোন কাজ হচ্ছেনা। এই লকডাউন দিতে হবে সারা দেশব্যাপি এবং একমাস ব্যাপি। আমরা অনেক কষ্ট করেছি । আর এক মাস কষ্ট করলে আমরা করোনামুক্ত হতে পারবো।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
হাবিবা বেগম ১০/০৭/২০২০
-
ফয়জুল মহী ০৯/০৭/২০২০Good post and
ভালো থাকুন।