একটি গ্রাম- একটি সমবায়
‘সমবায়ই শক্তি; সমবায়ই মুক্তি।’ বাংলাদেশকে আত্মনির্ভরশীল দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে হলে সমবায়ের কোন বিকল্প নেই। এই সমবায়ের মাধ্যমেই সবাইকে একত্রিত করে আত্মনির্ভরশীল বাংলাদেশ গড়া সম্ভব।
এজন্য সর্বাগ্রে ‘একটি গ্রাম, একটি সমবায়’ নীতি অনুসরণ করা একান্ত প্রয়োজন অর্থাৎ বাংলাদেশের প্রতিটি গ্রাম বা মহল্লায় সমবায় প্রতিষ্ঠা করা এখন সময়ের দাবী। ১৮ বছরের উর্ধ্বে সকল নাগরিককে (নারী ও পুরুষ) সমবায় সমিতির সদস্য করা বা সমবায়ের আওতাভূক্ত করা অত্যন্ত জরুরী। এক্ষেত্রে কোন নাগরিককে সমবায়ের বাইরে রাখা যাবে না। যাদের ১৮ বছর পূর্ণ হয়নি তাদের জন্যও সঞ্চয়ী হিসাব খোলার ব্যবস্থা রাখতে হবে যাতে তাদের মধ্যে সঞ্চয়ী মনোভাব বৃদ্ধি পায়। এর জন্য প্রতিটি সদস্যকে দৈনিক/সাপ্তাহিক/মাসিক সঞ্চয়ে উৎসাহী করতে হবে। কারণ, সঞ্চয়ের মাধ্যমে সমৃদ্ধি আনা সম্ভব এবং সঞ্চয় মানুষেয় দুর্দিনের বন্ধু। সঞ্চয় থাকলে মানুষ মানসিকভাবে শক্তিশালী থাকে এবং তার মনোবল বৃদ্ধি পায়।
শিক্ষা সেমিনারের মাধ্যমে জনসাধারণকে সমবায়ের গুরুত্ব সম্পর্কে জানানো যায় যাতে তাঁরা নিজের ইচ্ছায় সমবায়ের সদস্য হতে উৎসাহিত হয় এবং সমবায় থেকে উপকার পেতে পারেন এবং সমবায়ের সুফল অন্যদেরও বুঝাতে পারেন। সকল সদস্যকে নিয়ে প্রতি মাসে উঠান সভা করে সমবায় সম্পর্কে জ্ঞানদান করা যায়। এই ধরনের উঠান সভা সদস্যদের সমবায় সম্পর্কে জানতে ও বুঝতে সহযোগিতা করে সদস্যদের সমবায়মুখী করে তুলে।
সমবায়ের মাধ্যমে উৎপাদনমুখী কার্যক্রম গ্রহণ করা যায় (যেমন- চাল ও আটা ভাঙ্গানোর আড়ৎ করা, জুস ফ্যাক্টরি করা, সমবায় বাজার করা ইত্যাদি )। সমবায়ের মাধ্যমে উৎপাদনশীল কাজ করে সদস্যদের জীবন মানের উন্নতি করা সম্ভব। এর ফলে সমাজ তথা দেশেরও উন্নতি করা সম্ভব।
বেকার সমস্যা বাংলাদেশের একটি বড় সমস্যা। সমবায়ের মাধ্যমে বেকার সদস্যদের ঋণ দিয়ে উৎপাদনশীল খাতে বিনিয়োগ করাতে উৎসাহী করা সমবায়ের একটি মহৎ উদ্দেশ্য। ঋণ নিয়ে উৎপাদনশীল খাতে বিনিয়োগ করার কোন বিকল্প নেই। ঋণ নিয়ে উৎপাদনশীল খাতে বিনিয়োগ করে সেই ঋণ খুব সহজেই পরিশোধ করা সম্ভব। অপরদিকে অনুৎপাদনশীল খাতে ঋণ নেয়া নিরুসাহিত করাও সমবায়ের উদ্দেশ্য। অনুৎপাদনশীল খাতে ঋণ দেয়া হলে তা অবশ্যই খেলাপী হবে এবং এই ঋণ খেলাপী সমবায়ে খারাপ প্রভাব সৃষ্টি করবে। কোন ঋণ খেলাপী হলে সমবায়ের টাকা বøক হয়ে যায় এবং অন্য সদস্যদেরও ঋণ দেয়া যায় না। ফলে গোট সমবায়ে কার্যক্রম স্থবির হয়ে যায়।
মাসিক সভা ও বার্ষিক সাধারণ সভা নিয়মিত করা সমবায়ের জন্য খুবই জরুরী। সমবায় আইন অনুসারে প্রতিটি প্রাথমিক সমবায়ে ব্যবস্থাপনা কমিটিকে মাসে অন্তত একবার সভা করা এবং সকল সদস্যকে নিয়ে বৎসরে একবার সভা করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এই সভাগুলো নিয়মিত করা হলে একদিকে যেমন আইনগত বিধি-বিধান পরিপালন করা হয় এবং অন্যদিকে সমবায়ের প্রতি সদস্যদের আস্থা ও বিশ্বাস বৃদ্ধি পায়।
কিছুদিনের মধ্যে বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশ হতে যাচ্ছে। এ ক্ষেত্রে সমবায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। সমবায়ই হলো অর্থনৈতিক উন্নয়নের বুনিয়াদ। এ কারণে জনগণের মধ্যে ‘একটি গ্রাম, একটি সমবায়’ চেতনার মাধ্যমে সমবায়ী সচেতনতা বৃদ্ধি করে সমবায় আন্দোলনকে আরো ত্বরান্বীত করা প্রয়োজন। সমন্বিত সমবায় কার্যক্রমের মাধ্যমে যুগোপযোগী উৎপাদন বৃদ্ধির মাধ্যমে আত্মনির্ভরশীল বাংলাদেশ গড়া শুধু সময়ের ব্যাপার মাত্র।
এজন্য সর্বাগ্রে ‘একটি গ্রাম, একটি সমবায়’ নীতি অনুসরণ করা একান্ত প্রয়োজন অর্থাৎ বাংলাদেশের প্রতিটি গ্রাম বা মহল্লায় সমবায় প্রতিষ্ঠা করা এখন সময়ের দাবী। ১৮ বছরের উর্ধ্বে সকল নাগরিককে (নারী ও পুরুষ) সমবায় সমিতির সদস্য করা বা সমবায়ের আওতাভূক্ত করা অত্যন্ত জরুরী। এক্ষেত্রে কোন নাগরিককে সমবায়ের বাইরে রাখা যাবে না। যাদের ১৮ বছর পূর্ণ হয়নি তাদের জন্যও সঞ্চয়ী হিসাব খোলার ব্যবস্থা রাখতে হবে যাতে তাদের মধ্যে সঞ্চয়ী মনোভাব বৃদ্ধি পায়। এর জন্য প্রতিটি সদস্যকে দৈনিক/সাপ্তাহিক/মাসিক সঞ্চয়ে উৎসাহী করতে হবে। কারণ, সঞ্চয়ের মাধ্যমে সমৃদ্ধি আনা সম্ভব এবং সঞ্চয় মানুষেয় দুর্দিনের বন্ধু। সঞ্চয় থাকলে মানুষ মানসিকভাবে শক্তিশালী থাকে এবং তার মনোবল বৃদ্ধি পায়।
শিক্ষা সেমিনারের মাধ্যমে জনসাধারণকে সমবায়ের গুরুত্ব সম্পর্কে জানানো যায় যাতে তাঁরা নিজের ইচ্ছায় সমবায়ের সদস্য হতে উৎসাহিত হয় এবং সমবায় থেকে উপকার পেতে পারেন এবং সমবায়ের সুফল অন্যদেরও বুঝাতে পারেন। সকল সদস্যকে নিয়ে প্রতি মাসে উঠান সভা করে সমবায় সম্পর্কে জ্ঞানদান করা যায়। এই ধরনের উঠান সভা সদস্যদের সমবায় সম্পর্কে জানতে ও বুঝতে সহযোগিতা করে সদস্যদের সমবায়মুখী করে তুলে।
সমবায়ের মাধ্যমে উৎপাদনমুখী কার্যক্রম গ্রহণ করা যায় (যেমন- চাল ও আটা ভাঙ্গানোর আড়ৎ করা, জুস ফ্যাক্টরি করা, সমবায় বাজার করা ইত্যাদি )। সমবায়ের মাধ্যমে উৎপাদনশীল কাজ করে সদস্যদের জীবন মানের উন্নতি করা সম্ভব। এর ফলে সমাজ তথা দেশেরও উন্নতি করা সম্ভব।
বেকার সমস্যা বাংলাদেশের একটি বড় সমস্যা। সমবায়ের মাধ্যমে বেকার সদস্যদের ঋণ দিয়ে উৎপাদনশীল খাতে বিনিয়োগ করাতে উৎসাহী করা সমবায়ের একটি মহৎ উদ্দেশ্য। ঋণ নিয়ে উৎপাদনশীল খাতে বিনিয়োগ করার কোন বিকল্প নেই। ঋণ নিয়ে উৎপাদনশীল খাতে বিনিয়োগ করে সেই ঋণ খুব সহজেই পরিশোধ করা সম্ভব। অপরদিকে অনুৎপাদনশীল খাতে ঋণ নেয়া নিরুসাহিত করাও সমবায়ের উদ্দেশ্য। অনুৎপাদনশীল খাতে ঋণ দেয়া হলে তা অবশ্যই খেলাপী হবে এবং এই ঋণ খেলাপী সমবায়ে খারাপ প্রভাব সৃষ্টি করবে। কোন ঋণ খেলাপী হলে সমবায়ের টাকা বøক হয়ে যায় এবং অন্য সদস্যদেরও ঋণ দেয়া যায় না। ফলে গোট সমবায়ে কার্যক্রম স্থবির হয়ে যায়।
মাসিক সভা ও বার্ষিক সাধারণ সভা নিয়মিত করা সমবায়ের জন্য খুবই জরুরী। সমবায় আইন অনুসারে প্রতিটি প্রাথমিক সমবায়ে ব্যবস্থাপনা কমিটিকে মাসে অন্তত একবার সভা করা এবং সকল সদস্যকে নিয়ে বৎসরে একবার সভা করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এই সভাগুলো নিয়মিত করা হলে একদিকে যেমন আইনগত বিধি-বিধান পরিপালন করা হয় এবং অন্যদিকে সমবায়ের প্রতি সদস্যদের আস্থা ও বিশ্বাস বৃদ্ধি পায়।
কিছুদিনের মধ্যে বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশ হতে যাচ্ছে। এ ক্ষেত্রে সমবায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। সমবায়ই হলো অর্থনৈতিক উন্নয়নের বুনিয়াদ। এ কারণে জনগণের মধ্যে ‘একটি গ্রাম, একটি সমবায়’ চেতনার মাধ্যমে সমবায়ী সচেতনতা বৃদ্ধি করে সমবায় আন্দোলনকে আরো ত্বরান্বীত করা প্রয়োজন। সমন্বিত সমবায় কার্যক্রমের মাধ্যমে যুগোপযোগী উৎপাদন বৃদ্ধির মাধ্যমে আত্মনির্ভরশীল বাংলাদেশ গড়া শুধু সময়ের ব্যাপার মাত্র।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
আব্দুর রহমান আনসারী ২১/১০/২০২০সমবায় আন্দোলন চলুক
-
সাইয়িদ রফিকুল হক ২৯/০৫/২০২০সমবায়প্রথা গুরুত্বপূর্ণ।